প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

@

@

@

@

@

@

পাঁচ মিশালী ও তারেক রহমান
@


প্রফেসর আবদুল মান্নান

আমার শহর চট্টগ্রাম । গত দুই দশকে বদলে গেছে অনেকখানি । খারাপ অর্থে । এই একটি শহর যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেও কোন কাজ হয় না কারণ এখানে যারা রাজনীতি করেন তাদের সকলের ধারণা তারা কম যান কিসে ? সপ্তাহ কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম এসেছিলেন । এটি অনেকেরই জানা চট্টগ্রামের সাথে শেখ হাসিনার সম্পর্কটা অন্য যে কোন শহরের চেয়ে বেশী, অনেকটা আত্মিক । এই চট্টগ্রামেই বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সনে প্রকাশ্য জনসভায় বাঙালির মুক্তিসনদ ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন । বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে তখন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারাই শেখ হাসিনার বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন রাইফেল ক্লাবে । শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে এই চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজ হাতে তুলে নিয়েছিলেন । এই কয়েক বছরে এই শহরে কিছু ফ্লাইওভার হয়েছে ঠিক কিন্তু পুরো শহরটা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে কারণ এখানকার ঐতিহ্যবাহি সিটি কর্পোরেশনটি অযোগ্য মানুষের হাতে পরে অকার্যকর হয়ে পরেছে অনেক দিন আগে । এমন অপরিকল্পিত শহর বিশ্বের কম দেশেই আছে । ঐতিহাসিকদের মতে এই শহরের বয়স কম পক্ষে বারশত বছর। প্রধানমন্ত্রী যে দিন চট্টগ্রামে আসেন তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে রেখেছে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু দূর্বৃত্ত । অভিযোগ আছে এদের পৃষ্ঠপোষক মহানগর কেন্দ্রিক কিছু রাজনৈতিক নেতা । তাদের হুকুমে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকে আবার তাদের হুকুমে তা বন্ধ হয় । তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর খবরদারি করে সিদ্ধান্ত দেয়ার চেষ্টা করেন কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকবেন আর কারা বাইরে । কেউ কেউ পারলে নিজেরাই উপাচার্যকে সরিয়ে নিজেই সেই পদ দখল করেন । এই সব কথা প্রধানমন্ত্রীর না জানার কোন কারণ নেই । তিনি প্রথম সুযোগেই চট্টগ্রাম মহানগরের নেতাদের বেশ ক্ষুব্দ হয়ে বললেন তিনি আর একদিনও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দেখতে চান না । বিশ্ববিদ্যালয় পরদিন খুললো ঠিক কিন্তু কfদিন না যেতেই নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে নিজেদের একজনকে লাশ করে দিল এই দূর্বৃত্তরা। এই কাজ তাদের জন্য বেশ সহজ । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে । বেশ সাহসী সিদ্ধান্ত কারণ নেপথ্য নায়করা চাইছিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাক এবং প্রশাসন বেকায়দায় পড়–ক আর এই ফাঁকে তারা তাদের বশংবদ আর কর্তাভজা কোন একজনকে উপাচার্য নিয়োগের ব্যবস্থা করুক। উপাচার্যের পদটি দখল করার জন্য বেশ অনেক দিন ধরেই দৌঁড় ঝাঁপ চলছে । গত বৃহষ্পতিবার এদেরই একদল আবার হুমকী দিয়েছে রোববার হতে আবার বিশ্ববিদ্যারয় অচল করে দেবে । এবার তাদের দাবি হাটহাজারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে হবে কারণ তিনি দূর্বৃত্তদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছেন । নাদান আর কাকে বলে । ঐতিহ্যবাহি ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এমন দুর্বৃত্তপনা নজিরবিহীন ।
এই শহরে রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে জীবনটা হাতে নিয়ে চলতে হয় কারণ এখানে আছে হাজার হাজার ব্যাটারি চালিত রিক্সা । এই সব চালকের কোন কোনটির বয়স তের থেকে চৌদ্দের বেশী নয় । চট্টগ্রামের বেশীর ভাগ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের রোগী এই সব রিক্সা নামক দানবের কারণে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে এসেছেন । পঙ্গু হয়ে গেছেন অনেকে । জীবন দিতে হয়েছে বেশ কয়েকজনকে । মেট্রোপলিটন পুলিশ চেষ্টা করেছিল এই দানবদের রুখতে । ব্যর্থ হয়ে তারা এখন রাস্তা ঝাড়– দেয়ার কাজে মনোযোগী হয়েছেন । কোতোয়ালী থানার অদূরে সন্ধ্যা রাতে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয় । পুলিশ তখনো রাস্তা ঝাড়– দিতে ব্যস্ত । ডাকাতরা নির্বিঘেœ তাদের কর্ম সেরে সটকে পরে । তাদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে মারা যায় একজন । পুলিশ এখন রাস্তা ঝাড়– দেয়ার সাথে সাথে শহরের নালা নর্দমা পরিষ্কারে হাত দিয়েছেন । তারাও বুঝে গেছে সিটি কর্পোরেশনকে দিয়ে এই সব কাজ আর হবে না । জানটা হাতে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম । এই শহরে আমার কোন নিজস্ব বাহন নেই । ব্যাটারি চালিত রিক্সায় চড়লে জীবন নিয়ে ফিরতে পারবো তার কোন নিশ্চয়তা নেই । তিন চাকার সিএনজি নিয়ে কোথাও গেলে ন্যূনতম ষাট টাকার ভাড়া হাঁকে । হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল । তবে চট্টগ্রাম শহরে হাঁটতে গেলে সব সময় চোখ কান খোলা রাখতে হয় । হাঁটার পথে কয়েকজন অপরিচিত লোকজন সালাম দিয়ে অনেকটা পথ রুখে দাঁড়ালেন । বলেন তারা আমার টকশো শোনেন । যারা টকশোতে অংশগ্রহণ করেন এটি তাদের একটি বাড়তি পাওনা । অনেক অপরিচিত লোকজনের সাথেও চলার পথে পরিচয় হয়ে যায় । যাদের সাথে সেদিন চলার পথে পরিচিত হলাম তাদের একটাই অনুরোধ আমার কোন একটি টকশোতে যেন আমি তারেক রহমানের লন্ডনে গত ১৬ তারিখ বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে দেয়া বক্তব্য নিয়ে কিছু একটা বলি । তাদের বলি টকশোর বিষয় প্রযোজক নির্ধারণ করেন, অংশগ্রহণকারি নন । তাহলে কিছু একটা লিখুন । আরতো সহ্য হয় না । আমার সেই পথের বন্ধুদের বলি তারেক রহমান আপাততঃ বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে আমি মনে করি না । তার জন্য কিছু লিখে সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন দেখি না । তাদের আরো বলি তারেক রহমান কী বলেছে তাও আমি ভাল করে শুনি নি বা পত্রিকায় তখন পর্যন্ত পড়িনি । পড়ে চিন্তা করবো ।
বাসায় এসে নব্য ইতিহাসবিদ তারেক রহমানের নতুন গবেষণালব্দ তত্ত্ব পড়লাম । পড়ে আক্কেল গুড়–ম । তারেক রহমানের মেধা সম্পর্কে আমার কখনো তেমন উচ্চ ধারণা ছিল না । ১৬ তারিখে লন্ডনে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে দেয়া তার বক্তব্য পড়ে আমি নিশ্চিত যে যদিও দীর্ঘ সাত বছর যাবত লন্ডনে তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন আসলে এতদিন তার ভুল চিকিৎসা হয়েছে । গিয়েছিলেন কোমরের চিকিৎসার জন্য কিন্তু এখনতো দেখা যাচ্ছে তার মানসিক চিকিৎসারও প্রয়োজন হয়ে পরেছে । এই আলামত দেখা যাচ্ছিল বেশ কয়েক মাস ধরে । প্রথমে আবিষ্কার করলেন তার পিতা মরহুম জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি । তার বক্তব্যের সাথে গলা মেলালেন তার মা বেগম জিয়া । এর রেশ না কাটতেই লন্ডনে বসে রহমান সাহেব বললেন বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রপতির শপথ নিয়েছিলেন । কিছুদিন না যেতেই তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে eপাকবন্ধুf হিসেবে আখ্যায়িত করেন । তারেক রহমান ভুলে গিয়েছিলেন তার পিতা জিয়াউর রহমান করাচিতে বড় হয়েছেন । বাংলা লিখতে বা পড়তে পারতেন না । শুধু eজিয়াf নামটুকু সই করতে পারতেন । পরে কিছু বাংলা শব্দ শিখেছিলেন । পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে কমিশন পাওয়ার পর পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার জন্য শপথ নিয়েছিলেন । তা তাঁর কর্তব্যের মধ্যে পরে। এই সবে আপত্তির কিছু নেই । তবে অন্তত একাত্তরের ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত জিয়া পাকিস্তানের আস্থাভাজন একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন, সেই কারণেই তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য সোয়াত জাহাজ হতে অস্ত্র খালাস করতে চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছিলেন । অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু কখনো পাকিস্তানের কোন সরকারি চাকুরি করেন নি । অখন্ড পাকিস্তানের তেইশ বছরে আঠারবার কারারুদ্ধ হয়েছেন । ফাঁসির রুজ্জু হতে ফিরে এসেছেন অন্তত দুfবার । তারেকের এই সব কথা শুনে তার দলের লোকজন আড়ালে আবডালে বলাবলি করতে লাগলেন এই বলে eভাইয়ার চিকিৎসার ত্রুটি হচ্ছে মনে হয় । তার আরো উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনf । এরপর ঘটলো গত ১৬ তারিখের ঘটনা । এবার সকল লাজ লজ্জা ফেলে দিয়ে অনেকটা পরনের লুঙ্গি মাথায় পেঁচিয়ে লন্ডনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক দলীয় সভায় তারেক রহমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সম্পর্কে ঘোষণা করলেন একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আসার ঠিক আগে ইয়াহিয়া খানকে প্রেসিডেন্ট মেনে তার সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন শেখ মুজিব । ঘটনা চক্রে এই দফায় রহমান সাহেবের সাথে ছিলেন দুfজন বিজ্ঞ কেন্দ্রিয় নেতা । একজন বেগম জিয়ার উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন । এক সময় জুডিশিয়াল সার্ভিসে ছিলেন । অন্যজন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী । দুজনই শিক্ষিত বলে জানি । তবে কথায় বলে অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ । তাদের অবস্থাও হয়েছে অনেকটা সেই রকম । রহমান সাহেব বঙ্গবন্ধুকে আগা গোড়া eসেf সম্বোধন করেছেন । বলেছেন eসাতই মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা না করে সময় ক্ষেপণ করার জন্য শেখ মুজিবকেই এত লোক হত্যা করার দায়িত্ব নিতে হবেf । তিনি আরো বলেন সেই কারণেই শেখ মুজিবকে রাজাকার বলা যায় । পৌনে দুই ঘন্টার বক্তৃতায় তারেক আরো বলেন eআওয়ামী লীগ দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের দল । আরে তুমিতো পৃথিবীর সব চেয়ে বড় রাজাকারের ভাই।...মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দলকে তুমি ব্যান করে দিলে, তা তো মুক্তিযুদ্ধের সব চেয়ে বড় বিপক্ষের কাজ হলো । মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কাজ কে করবে ভাই? বাংলাদেশের সব চেয়ে বড়...।f তা হলে শেখ মুজিবকে কী বলা যায় ? বাংলাদেশের সব চেয়ে বড়...।f বিএনপিfর কর্মীরা হুক্কা হুয়া করে উঠেন eরাজাকার, খুনিf। পৌনে দুfঘন্টা ধরে এমন সব বাকওয়াজ চলতেই থাকে । এই সব বিষয় নিয়ে আগামীতে বিস্তারিত আলোচনা করার ইচ্ছা রইলো ।
তারেক রহমান অন্য কোন কিছু শিখেছে কী না জানি না তবে আদব কায়দা যে শেখেনি তা তার বক্তব্যই বড় প্রমাণ । বঙ্গবন্ধুকে তাঁর একান্ত বন্ধুবান্ধব বা পিতা মাতা ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি তারেক রহমানের মতো এমন eসেf eতুমিf সম্বোধন করতে শুনিনি, এমন কী বেগম জিয়াও না । বাঙালি সমাজে এখনো বড়দের আর কিছু না হোক eআপনিf বলে সম্বোধন করা হয় । কর্ণেল অলি যখন বিএনপি ছাড়েন তখন তারেক রহমান আর মা সম্পর্কে একটি সত্য কথা বলেছিলেন । তা মুখে আনতেও বিবেক বাধা দেয় । এখন দেখা যাচ্ছে কর্ণেল অলির কথা একশত ভাগ সত্য । তারেক রহমানের বক্তব্যের পর দেশের সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ কিছুটা হলেও হতভম্ব হয়েছেন । সাংবাদিকরা বিএনপিfর একাধিক শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা সকলে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অথবা বলেন তারা বিষয়টা সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না । বুঝা যাচ্ছে তারা তারেক রহমানের বক্তব্যে কিছুটা হলেও বিরক্ত ও বিব্রত । ১৮ তারিখ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারেকের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন । তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে পর দিন বেগম জিয়াও প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন তবে তারেক রহমানের বক্তব্য নিয়ে তেমন একটা কিছু বলেন নি । তবে বিএনপিfর ভারাক্রান্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে তারেক রহমান সাহেব গবেষণা করে কিছু সত্য কথা বলেছেন তাতে শেখ হাসিনার গা জ্বালা করার কী আছে ? দলে বাঘা বাঘা এত পন্ডিত থাকতে নিম্ন মেধার একজন তারেক রহমানকে লাগলো এতদিন পর এই eসত্যf কথা বলতে ? দেশে ফিরে রহমান সাহেব আর কোন কিছু না হোক কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক হতে পারেন । এখন শুরু হবে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বিশ্লেষক । তারা বলবেন প্রধানমন্ত্রীর উচিত হয় নি এমন করে তারেক রহমান সম্পর্কে বক্তব্য দেয়া । তারা দুই নেত্রীকে এক পাল্লায় মাপার চেষ্টা করবেন । ভুলে যাবেন তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা বলেছেন তা একজন অর্বাচীন বলতে পারে । আর যাকে নিয়ে বলেছেন তিনি জাতির জনক, হাজার বছরের বাঙালির শ্রেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা । তারেক রহমান যদি নিজেকে অর্বাচীনের পর্যায়ে নিয়ে আসেন তা হলে বলার তেমন কিছু নেই । বাস্তবে এক তারেক রহমানই তার দলের যা ক্ষতি করছেন অন্য কেউ তা করতে পারবেন বলে মনে হয় না । আসলে তারেক রহমান এই সব বালখিল্য সুলভ আচরণ করে নিজে সার্কুলেশনে থাকতে চান অন্য কিছু নয় । রাজনৈতিক দেউলিয়াদের এমন আচরণ নতুন কিছু নয় । জানি তারেক রহমান আমার প্রশ্নের কোন উত্তর দেবেন না । তার পরও তাকে প্রশ্ন করতে চাই আপনার বাবা যিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের অধীনে একজন সামরিক অফিসার ছিলেন ১৯৭৪ সনের ২৬ মার্চ সাপ্তাহিক বিচিত্রায় লিখেছিলেন eএরা (পাকিস্তানিরা) যে ভয়ংকর রকমের অশুভ একটা কিছু করবে, তার সুস্পষ্ট আভাসই আমরা পেলাম । তার পর এলো ১ মার্চ । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ব আহ্বানে সারাদেশে শুরু হলো ব্যাপক অসহযোগ আন্দোলন... । ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষণা আমাদের কাছে এক গ্রীন সিগন্যাল বলে মনে হলো ।f তারেক রহমানের পিতা জিয়াতো এই eপাক বন্ধু, খুনি রাজাকারেরf হাত থেকেই বীর উত্তম খেতাবটি নিয়েছিলেন, তাকে জাতির পিতা আর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন । দেবেন নাকি এই খেতাবটি ফিরিয়ে? নাকি বলবেন ওই জিয়াকে আমি চিনিনা ? আল্লাহ আপনার সহায় হোন ।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । ডিসেম্বর ১৯, ২০১৪

@

@

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

@

[প্রথমপাতা]

@

@

@

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]