|
নতুন সরকারের সামনে অনেক চ্যালঞ্জ
প্রফেসর আবদুল মান্নান
নানা জল্পনা কল্পনা শেষে রোববার বাংলাদেশের নতুন মন্ত্রী সভা শপথ নিল ।
শপথ নেয়া নতুন মন্ত্রী সভা কিছুটা ব্যতিক্রমী কারণ এই মন্ত্রী সভায়
সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির তিনজন সদস্যও স্থান পেয়েছেন এবং সরকারে
তাদের অংশ গ্রহণে তাদের নিজ দলের সম্মতিও আছে । শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের
মতো সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হলেন । একটি দল (জাতীয় পার্টি)
সরকারেও থাকবে আবার বিরোধী দলেও থাকবে তা নিয়ে বেশ বিতর্ক শুরু হয়েছে ।
কেউ কেউ বলছেন এটি গোঁজামিলের সরকার । তবে এটি নিশ্চিত যে এমন সরকার
অসাংবিধানিক নয় কারণ সংবিধানের ৫৬ (১) ধারায় বলা আছে সরকারে ‘একজন
প্রধানমন্ত্রী থাকিবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেরূপ নির্ধারণ করিবেন,
সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী থাকিবেন’ । সুতরাং
প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করেছেন কারা কারা তাঁর মন্ত্রী সভায় থাকবেন এবং
তাদের দলও এই বিষয়ে কোন আপত্তি তুলেন নি সুতরাং তাদের মন্ত্রী সভায়
থাকা নিয়ে কোন আপত্তি তোলার কারণ নেই । সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী
তারা তাদের দলের সদস্যপদ হারাতে পারেন যদি তারা তাদের দলের আনিত কোন
বিলের বিপক্ষে সংসদে ভোট দেন । বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেটি কোন সমস্যা
হওয়ার কথা নয় । আর তাদের দলের নেতা খোদ হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদই মন্ত্রী
পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত মনোনীত হয়েছেন । অতএব এরশাদের
জাতীয় পার্টি সরকারে থাকলে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যদি না পার্টি নিজ
হতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না করে । ইতোপূর্বে এই ধরণের সরকার দক্ষিণ
আফ্রিকা, ভারত, জার্মানিতে গঠিত হয়েছিল । সুতরাং এমন একটি সরকার যে
বাংলাদেশে প্রথম হচ্ছে তা নয় । ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সনে পাকিস্তানি
কারাগার হতে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশের
প্রথম সরকারকে পূনর্গঠন করেছিলেন । তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ছেড়ে
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে
রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছিলেন । ২০১৪ সালের একই দিনে তাঁরই কন্যা শেখ
হাসিনা নতুর মন্ত্রী সভা গঠন করলেন । প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রী সভার
সকল সদস্যকে অভিনন্দন ।
২০০৯ সনে যখন শেখ হাসিনা মন্ত্রী সভা গঠন করেন তখন তাঁর মন্ত্রী সভার বড় চমক ছিল অনেক নতুন মুখের অন্তর্ভূক্তি । বাদ পরেছিলেন পরীক্ষিত অনেক সিনিয়র নেতা । ধারণা করা হয় তাদের বাদ দেয়ার পিছনে মূল কারণ ছিল শেখ হাসিনা যখন জেলে তখন তাদের কেউ কেউ শেখ হাসিনা বিহীন আওয়ামী লীগের রূপরেখা দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন । তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাড়া কিন্তু অন্যদের ২০০৮ সনের নির্বাচনে শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছিলেন । পরবর্তীকালে দলের কাউন্সিলে তাদের প্রায় সকলকেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে বা প্রেসিডিয়ামে না রেখে উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য বানিয়েছিলেন । উপদেষ্টা ম-লী অনেকটা এক রকম অলংকারিক কমিটি যেখানে সারা জীবন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেও স্থান পাওয়া যায় । তবে স্বস্তির কথা হচ্ছে দলের যে সব শীর্ষ নেতার সে সময় ভাগ্য বিপর্যয় ঘটেছিল তারা কেউ কিন্তু দলত্যাগী হন নি অথবা বাইরে গিয়ে দলের বিরুদ্ধেও কোন কথা বলেন নি । নতুন মন্ত্রী সভায় এদের অনেকেই স্থান পেয়েছেন । ২০০৯ সনে গঠিত মন্ত্রী সভাকে অনেকে ঠাট্টা করে বলতো কচিকাঁচার আসর । সে সময় আমি শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলাম এই বলে তিনি দলে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠার একটা সুযোগ করে দিয়েছেন । কিন্তু তাদের অনেকেই পরবর্তীকালে শুধু সকলকে হতাশ করেছেন তাই নয় নিজেদের কার্যকলাপের ফলে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন । কারো বিরুদ্ধে উঠেছে দূর্নীতির অভিযোগ আবার কারো কারো বিরুদ্ধে বেফাঁস কথা বলে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার অভিযোগ । অনেকের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার অভিযোগও আছে । এটি হয়েছে অনেকটা অভিজ্ঞতার অভাবে । নতুন মন্ত্রী সভায় এদেরকে রোববার দেখা যায় নি । এতে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে । ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বৈধ ছিল কী ছিল না তা নিয়ে সুশীলদের কেউ কেউ এখনো কূট তর্কে লিপ্ত আছেন। তারা বলেছিলেন বিরোধী দল না আসলে সেই সরকার বৈধতা পাবে না । কেন পাবে না তা কিন্তু তারা পরিষ্কার করে বলেন না । বিরোধী দলকে নির্বাচনে আসতে কেউ বাধা দেয় নি । তারা শর্ত জুড়ে দিয়েছে বাতিলকৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূনর্বহাল না করলে তারা নির্বাচনে আসবে না । যে ব্যবস্থা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে তা কী ভাবে পূনর্বহাল করা সম্ভব তা কিন্তু তারা বলেন না । ১৯৯৬ সনের ১৫ ফেব্রুয়ারি যখন বিএনপি একতরফা ভাবে নির্বাচন করে তখন আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি এবং এই নির্বাচনের পর বিএনপি সংবিধানে এই ব্যবস্থাটি অন্তর্ভূক্ত করে । কিন্তু ওই ব্যবস্থা বাতিল হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পরবর্তী তিনটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে । সুতরাং বিএনপি যদি গোঁ ধরে নির্বাচনে না আসে তাহলেতো কারো কিছু করার থাকে না । সংবিধানের বাধ্যবাধকতা মেনে নিয়ে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তা হলে তো দেশে একটি সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে এবং তাতে তৃতীয় কোন শক্তি সুযোগ নিতে পারে । অবশ্য এমন পরিস্থিতি ঘটলে প্রথমে কপাল খুলে এই সব সুশীল ব্যক্তিদের । তারা শেখ হাসিনার দৃঢ়তা দেখে এই বার বেশ হতাশ হয়েছেন । যে সব বিদেশী শক্তি দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সমালোচনা মুখর ছিলেন বা এখনো তাদের প্রায় সকলেই কোন দেশের একটি নির্বাচিত সরকারকে একজন সামরিক জেনারেল বন্দুকের জোড়ে ক্ষমতাচ্যুত করলে সেই জেনারেলকে বৈধতা দিতে হুড়োহুড়ি শুরু করেন । ইরান, পাকিস্তান, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশ তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ । বাস্তবে দেখা যায় একটি সরকার দায়িত্ব নিয়ে তার কার্যক্রম শুরু করলে সেই সরকারকে তারা মেনে নিতে বাধ্য হয় কারণ বর্তমান বিশ্বে সকলের আগে অগ্রাধিকার পায় অর্থনৈতিক আর কৌশলগত স্বার্থ । চীন যদি পদ্মার উপর সেতু বানাতে এগিয়ে আসে অথবা রাশিয়া দুই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বাংলাদেশে বিক্রি করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের মজিনা সাহেবতো আর বারিধারায় বসে আঙ্গুল চুষতে পারেন না । নতুন সরকার শপথ নেয়ার সময় তাকে তো একেবারে সামনের কাতারে দেখা গেল এবং শুনেছি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে তার সে কী ব্যাকুলতা । ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা রাগ করে বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান নি কারণ বেগম জিয়া নির্বাচনে আসছেন না । রোববার দেখা গেল তারা সকলে বঙ্গভবনের দরবার হলে উপস্থিত। রাজনীতি এক বিচিত্র খেলা । আর সুশীলদের কথাই আলাদা । একজন সুশীল বঙ্গভবনের চা নাস্তা খেয়ে সাংবাদিকদের জানিয়ে গেলেন নতুন সরকারটি একটি গোঁজামিলের সরকার বৈ অন্য কিছু নয়। নতুন সরকারকে যে চ্যালেঞ্জগুলি দ্রুত মোকাবেলা করতে হবে তার মধ্যে সকলের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, বিশেষ করে যে সব এলাকায় ধর্মীয় সংখ্যা লঘুরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির-বিএনপি’র সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন । এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলির জন্য যারাই দায়ী তাদের শুধু গ্রেফতার করলেই হবে না তাদের দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করতে হবে । যে সময় নতুন মন্ত্রী সভা শপথ নিচ্ছিলেন ঠিক সে সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র লীগ ছাত্র শিবিরের মধ্যে সংগঠিত সংঘাতে একজন ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । খবর নিয়ে জানা গেছে এই সময় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকা সত্ত্বেও তারা সময়মতো কোন ধরণের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন । একদিকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন অন্যদিকে একই বাহিনীর কিছু সদস্য সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্ঠি হলে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করবেন তাতো মেনে নেয়া যায় না । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যদি এমন সদস্য থাকে তাহলেতো তাদের দিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে । এই বিষয়টা নতুন সরকারকে ভাবতে হবে । দূর্নীতি বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা । আশার কথা হচ্ছে সদ্য বিদায়ী সরকারের সময় আন্তর্জাতিক দূর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে । কিন্তু কোন কোন সংসদ সদস্য, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য আর উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগের কারণে শেষ সময়ে এসে সরকারের বেশ খানিকটা হলেও বদনাম হয়েছে । নতুন মন্ত্রী সভায় যারা ঠাঁই পেয়েছেন তাদের একটি ক্লিন ইমেজ আছে । প্রত্যাশা থাকবে শেষ সময় পর্যন্ত এমন অবস্থা বজায় থাকুক এবং যারা দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর অথিকতনের দায়ে মন্ত্রী সভায় স্থান পান নি তারা যেন পরবর্তিকালে মন্ত্রী সভায় আর ঢুকতে না পারেন । সকলের আগে প্রয়োজন দ্রুত মন্ত্রী সভার সকল সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সম্পদের তালিকা জনগণের সামনে তুলে ধরা । এই কাজটি করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে । অনেক মন্ত্রীর পিএস, এপিএস এর বিরুদ্ধে দূর্নীতির প্রচুর অভিযোগ শোনা যায় । অনেক সময় মন্ত্রীদের বদনাম হয় এদের এবং ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজনদের কারণে । এই বিষয়টি খেয়াল রেখে যদি সরকার সামনের দিকে এগিয়ে যায় তাহলে মেয়াদ শেষে অনেক বদনাম হতে মুক্ত থাকা যাবে । ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলাম কিছু চাটুকার সব কিছু বরবাদ করে দিতে পারে । তিনি সর্বাংশে তাদের দূরে রাখতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। আশা করবো তিনি এই মেয়াদে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবেন । বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলা হয় তিনি জানতেন কাকে দিয়ে কী কাজ হবে এবং সেই ভাবে তাকে কাজে লাগাতেন । কিন্তু তার কন্যা সম্পর্কে এমন কথা বলা একটু কঠিন । অভিযোগ আছে অনেক ক্ষেত্রে অনেক অযোগ্য লোককে পদায়ন করে সরকার অনেক সমালোচিত হয়েছেন । এই কথাটি বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস গুলির ক্ষেত্রে বেশী প্রোযোজ্য । নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যে সব কেলেঙ্কারি করেছেন তারপরও তিনি কী ভাবে ওই পদে অধিষ্ঠ থেকেছিলেন তা এক রহস্য । সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনে এমন ব্যক্তি আরো আছেন । উচ্চশিক্ষাঙ্গনে এদের সংখ্যা কম নয় । দ্রুত এই সব বিষয়ের প্রতি নজর দেয়া প্রয়োজন । বাংলাদেশের এখন পিছন ফিরে থাকানোর সময় নয় । বিগত দিনগুলিতো বিদ্যূত ও খাদ্য উৎপাদনে, শিক্ষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে সরকার প্রভূত সাফল্য দেখিয়েছে । তাকে ধরে রাখতে হবে । অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকা সচল রাখার জন্য শিল্পাঞ্চল গুলিতে শান্তি বজায় রাখা একান্ত জরুরী । একই সাথে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির আরো উন্নতি করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরো সচেতন হতে হবে । এই সংসদে প্রচলিত অর্থে বিরোধী দল না থাকাতে সরকারের দায়িত্ব অনেক গুণ বেড়ে গেছে । সরকার কত দিন টিকলো তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো দেশ ও জনগণের জন্য সরকার কতটুকু করলো । শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক কালে অনেক ক্ষেত্রে বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন । আশা করবো তিনি নতুন সরকার পরিচালনায়ও এমন দৃঢ়তার স্বাক্ষর রাখবেন । এই সরকারের সামনে অনেক চ্যলেঞ্জ । ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই । নতুন সরকারের সাফল্য কামনা করি । লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । জানুয়ারি ১৩, ২০১৪
WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.
|
লেখকের আগের লেখাঃ |