[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে বিপজ্জনক খেলা

 


-প্রফেসর আবদুল মান্নান

একটি রাষ্ট্র অন্য একটি রাষ্ট্রের সাথে কখনো কখনো ভয়ানক ও বিপজ্জনক খেলায় মেতে উঠে এবং এর ফলে এক বা একাধিক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘিœত ও জানমালের প্রভূত ক্ষতিও হতে পারে । এই খেলায় মারণাস্ত্র যখন হয়ে উঠে প্রধান হাতিয়ার তখন সেই খেলা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে । মধ্য আশির দশকে এমন খেলার সূচনা করেছিল খোদ যুক্তরাষ্ট্র এবং তাতে তারা শরিক করেছিল বর্তমানে তাদের ঘোষিত শত্রু ইরানকে । আয়াতুল্লাহ খোমেনির ইসলামী বিপ্লবের তোড়ে তখন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট বন্ধু ইরানের শাহ ক্ষমতাচ্যূত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে খোমেনির কিছু অনুসারী লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস দখল করে দূতাবাসে কর্মরত সাতজন কুটনীতিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাকে জিম্মি করেছে । বিপ্লবের পর ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে । দাবি করে শাহকে ইরানে ফেরত দিতে হবে কারণ শাহ কয়েক যুগ ধরে ইরানের সম্পদ লুঠ করে দেশের বাইরে পাচার করেছেন । লেবানন তখন একটি দূর্বল রাষ্ট্র । জোর পূর্বক যুক্তরাষ্ট্র জিম্মিদের উদ্ধার করবে সেই সুযোগও নেই কারণ তা করতে গেলে জিম্মিদের জীবন হানি হতে পারে । প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হলো । তারপর তারা ইরানে সকল প্রকারের সমরাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণা দিল । এতে ইরান কিছুটা অসুবিধায় পরে কারণ শাহ’র আমলে ইরান সমরাস্ত্র সহ সব কিছুর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছিল ।

ঐতিহাসিক ভাবে এটি প্রমাণিত যে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ রক্ষার জন্য সব কিছুই করতে পারে । ঠিক হলো গোপনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের মাধ্যমে আমেরিকার তৈরী অস্ত্র আর খুচরা যন্ত্রপাতি ইরানে সরবরাহ করবে এবং পরবর্তীকালে তা ইসরাইলকে পুষিয়ে দেবে এবং তা করা হবে একজন ইরানি মধ্যস্থতাকারির মাধ্যমে যিনি লেবাননে সাত মার্কিন বন্দীকে মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করবেন । যেই কথা সেই কাজ । জিম্মির বিনিময়ে অস্ত্র । আরো ঠিক হলো ইরান অস্ত্রের মূল্যের একটি অংশ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইলকে পরিশোধের বদলে দক্ষিণ আমেরিকার কমিউনিষ্ট বিরোধী নিকারাগুয়ার কন্ট্রা বিদ্রোহীদের হস্তান্তর করবে । এ সময় কন্ট্রা বিদ্রোহীরা নিকারাগুয়ার কমিউনিষ্ট সরকারকে মার্কিন সহায়তায় উৎখাত করার জন্য গেরিলা যুদ্ধে লিপ্ত ছিল । কন্ট্রা বিদ্রোহীরা ছিল চরম মানবতাবিরোধী একটি সংগঠন যাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, শিশু ও নারী হত্যার অসংখ্য অভিযোগ ও প্রমাণ ছিল । তাদের ধারণা ছিল এই সব অপকর্ম হচ্ছে গেরিলা যুদ্ধের অপরিহার্য অংশ । তাদের এই সব অপকর্মের সার্বক্ষণিক সহায়ক শক্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ।

বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইরানকে ইসরাইলের মাধ্যমে অস্ত্র সরবরাহ, সেই অস্ত্রের মূল্য কন্ট্রা বিদ্রোহীদের পরিশোধ এই সম্পূর্ণ কর্মকা- সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালিন প্রেসিডেন্ট রনাল্ড রেগান, প্রতিরক্ষা সচিব ক্যাস্পার ওয়াইনবার্গার, পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সুল্জ, এটর্নি জেনারেল এড মীজ, চীফ অব ষ্টাফ ডন রেগান সকলেই অবহিত ছিলেন যদিও পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্ট রেগান এই অবৈধ তৎপরতায় তাঁর সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন । তবে বাস্তবতা হচ্ছে ইতোমধ্যে বহির্বিশ্বে এই সব নীতি বর্জিত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ইমেজের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল । পরবর্তীকালে ঐতিহাসিকরা এই ঘটনাটিকে ইরান-কন্ট্রা কেলেঙ্কারি হিসেবে অবহিত করেন আবার অনেকে তাকে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির মতো ‘ইরানগেট’ নামকরণও করেন ।

প্রেসিডেন্ট রেগানের অন্য রাষ্ট্রকে নিয়ে বিপজ্জনক খেলা এখানেই শেষ হয়ে যায় নি । ১৯৮০ সনে ইরান-ইরাক যুদ্ধ শুরু হলো । সাদ্দাম তখন যুক্তরাষ্ট্র তথা প্রেসিডেন্ট রেগানের জানি দোস্ত । ১৯৮২ সন নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটি পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে ইরানের হাতে ইরাকের পতন সময়ের ব্যাপার । যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হতে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে তারা ইরাকে সকল প্রকারের যুদ্ধাস্ত্র ও অস্ত্রের খুচরা যন্ত্রাংশ প্রেরণ বন্ধ করে দিচ্ছে কারণ তারা এই অঞ্চলে শান্তি চায় । কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে ঠিকই রেগান ইরাকে সমরাস্ত্র প্রেরণের অনুমতি দেয় যা অনেক পরে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাঁস করে দেয় । এই অঞ্চলের মূল্যবান তেলক্ষেত্র গুলি ইসলামী বিপ্লবীদের হাতে চলে যাবে তা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অকল্পনীয় । তবে আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৯৮১ সনে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট রেগান ইসরাইলের মাধ্যমে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে ইরানের কাছে । যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ছিল এই যুদ্ধে যেন কোন এক পক্ষের একক বিজয় না হয় । সেটি যদি হয় রেগানের মতে তাহলে এলাকার শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে । পরবর্তীকালে এই একই পদ্ধতিতে সাদ্দামকে উৎখাত করে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে ইরাক দখল করে নেয় ।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান দখল করে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ পাকিস্তানের আইএসআই‘র মাধ্যমে পাকিস্তানে পড়–য়া আফগান ছাত্রদের দিয়ে তালেবান সৃষ্টি করে । তাদের যোগান দেয়া হয় প্রচুর অর্থ আর অস্ত্র আর তার সবটাই তালেবানদের কাছে হস্তান্তর করা হয় আইএসআই এর মাধ্যমে । এবং এই লেনদেনের হিসাব রাখার কোন রেওয়াজ ছিল না । পরবর্তীকালে এই তালেবানদের হাত ধরেই সৃষ্টি হয় আল কায়দার । হিলারি ক্লিন্টন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব থাকা কালে তাঁর এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন তালেবান সৃষ্টি ছিল মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির এক ঐতিহাসিক ভুল ।

আইএসআই সব সময় ভারত ও বাংলাদেশে নানা ধরণের অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিল । সাতচল্লিশে ভারত ভাগ হওয়ার পর হতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে নানা ধরণের বঞ্চনার কারণে সেই অঞ্চলের সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরণের ক্ষোভ হতে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদি আন্দোলন যার মধ্যে ষাটের দশকের মিজোরাম স্বাধীনতা আন্দোলন অন্যতম । এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন মিজো নেতা লালডেঙ্গা । তিনি মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেন এবং তাকে সর্বাত্মক সহায়তা করে পাকিস্তান সরকার তার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে । বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রাখতে পাকিস্তান সরকার মিজো নেতাকে ঢাকায় একটি অফিসও খুলে দেয় । একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে মিজোরা পাকিস্তানের হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে । যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে লালডেঙ্গা পশ্চিম পাকিস্তানে পালিয়ে যান এবং পরবর্তীকালে ভারত সরকারের সাথে ইউরোপে গোপন চুক্তি করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন এবং এক সময় মিজোরামের মূখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন ।
আইএসআই বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নানা ভাবে সাহায্য সহায়তা করে থাকে যার অন্যতম হচ্ছে অর্থ সাহায্য যা আইএসআই’র শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা তাদের সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন সময় স্বীকার করেছেন । এই সাহায্যের একটি বিরাট অংশ যায় বাংলাদেশে ধর্মান্ধ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনগুলির কাছে এবং তার একমাত্র উদ্দেশ্য বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা । বলাবাহুল্য এই অর্থের একটি বিরাট অংশ যায় জামায়াত এবং হিজবুত তাহরীরের মতো সংগঠনের হাতে । আইএসআই’র অর্থ জঙ্গি সৃষ্টিকারী বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসায় যায় বলেও ধারণা করা হয় । তবে আইএসআই সব চেয়ে বেশী তৎপর উত্তর-পূর্ব ভারতে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠনগুলিকে অর্থায়নে । পূর্ব ভারতে বর্তমানে প্রায় পনেরটি বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন ক্রিয়াশীল যার মধ্যে আসাম ভিত্তিক উলফা সব চেয়ে বেশী তৎপর । দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে আইএসআই’র মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সরকারের সক্রিয় সহায়তায় তারা নিয়মিত ভাবে অস্ত্রের চালান পেয়ে আসছে । তবে তাদের তৎপরতা লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যায় বাংলাদেশে কোন একটি সামরিক সরকার ক্ষমতায় এলে । ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে উলফা বেশ উৎফুল্ল হয় কারণ বিএনপি’র রাজনীতির অন্যতম নিয়ামক শক্তি হচ্ছে ভারত বিরোধিতা । এটি তারা নানা ভাবে কাজে লাগায় । উলফার বিভিন্ন শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসে এবং সম্প্রতি দেয়া দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ের পর এটি এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে তাদের সাথে কূখ্যাত হাওয়া ভবনের একটি নিবিড় যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল । শেখ হাসিনা প্রথম দফায় ক্ষমতায় এলে ১৯৯৭ সালে উলফার স্বঘোষিত ‘সাধারণ সম্পাদক’ অনুপ চেটিয়াকে ঢাকা হতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করা হয় । সে দীর্ঘ দিন ধরে সপরিবারে বাংলাদেশে বসবাস করছিল । দিল্লিস্থ ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্টের গবেষক ওয়াসবির হোসেন ১৯৯৮ সালের মে মাসে জাতীয় সংসদের তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার দপ্তরে তাঁর এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন । সাক্ষাৎকারে বেগম জিয়া অবলীলাক্রমে বলেন উলফারা হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামী, যেমনটি ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিবাহিনী ছিল । তিনি বলেন ১৯৭১ সালে আসামের মানুষ আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছিল এবং বাংলাদেশ উলফা সদস্যদের আশ্রয় দিয়ে কোন অন্যায় করেনি । বেগম জিয়ার এই সাক্ষাৎকার উক্ত ইনস্টিটিউটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পরবর্তীকালে আপলোড করা হয় ।

রাষ্ট্রপতি জিয়ার আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে জোর পূর্বক সমতল ভূমির নদীভাঙ্গা মানুষদের পূনর্বাসন শুরু হলে এই অঞ্চলে শান্তিবাহিনীর জন্ম হয় । শুরু হয় এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের সূচনা । কয়েক হাজার পাহাড়ী জনগোষ্ঠী ভারতে আশ্রয় নেয় । তখন তারা ভারত হতে তাদের সহিংস আন্দোলন চালানোর জন্য নানা রকমের সহায়তা পায় । ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার শাসনামলে শান্তিবাহিনীর সাথে বাংলাদেশ সরকারের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে পার্বত্য অঞ্চলে হানাহানি বন্ধ হয় এবং শরণার্থীরা দেশে ফিরে আসে এবং একই সাথে বন্ধ হয় শান্তিবাহিনীকে সকল প্রকারের সহায়তা । উত্তর-পূর্ব ভারতে দীর্ঘ দিন ধরে নানা ধরণের বিচ্ছিন্নতাবাদি আন্দোলনের নামে সহিংসতা চলে আসছে । একই সাথে মায়ানমারেও সাতটি বিচ্ছিন্নতাবাদি আন্দোলন সক্রিয় । সাধারণত একই অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদি আন্দোলনে সম্পৃক্ত দল ও গোষ্ঠীগুলির মধ্যে এক ধরণের অশুভ আঁতাত গড়ে উঠে যা ওই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকী হয়ে উঠতে পারে । আর যেহেতু এটি এখন প্রমাণিত সত্য যে বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে পাকিস্তানের আইএসআই বেশ সক্রিয় সেহেতু বাংলাদেশ ও ভারতের উচিৎ এই ব্যাপারে সার্বক্ষণিক ভাবে নজরদারি করা এবং সতর্ক থাকা । বাংলাদেশের মানুষ এই দেশটিকে আর একটি আফগানিস্তান বা ইরাক হিসেবে দেখতে চায় না । যে কোন মূল্যে তারা তাদের দেশ এবং নিজেদের নিরাপত্তা চায়, শান্তিতে থাকতে চায় ।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]