প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

@

@

@

@

@

@

একজন লতিফ সিদ্দিকী ও প্রধানমন্ত্রীর যত সব অর্জন

@


প্রফেসর আবদুল মান্নান

হিসাবে যদি ভুল না হয়ে থাকে তবে এইবার নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তম বারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন । সাধারণ পরিষদ ছাড়াও তিনি জাতিসংঘের আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বক্তব্য দিয়েছেন যা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কী মুন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন । এর একটি ছিল বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকীর পরিনাম আর দ্বিতীয়টি জাতিসংঘে শান্তি রক্ষা মিশন ও বাংলাদেশের ভূমিকা প্রসঙ্গ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ভারতের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথেও তাঁর বহু প্রতীক্ষিত সাক্ষাৎটি করেছেন এবং ভারতের সাথে অমিমাংশিত সমস্যা সমূহের সমাধানের বিষয়ে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন । এই বছর ছিল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভের চল্লিশ বছর পূর্তি। এই চল্লিশ বছরে বাংলাদেশের সকল সরকার প্রধান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একবার হলেও বক্তৃতা করেছেন । ১৯৭৪ সনে বঙ্গবন্ধু প্রথমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় এগার মিনিট বক্তৃতা দিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে চমকে দিয়েছিলেন, শুধু বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেয়ার কারণে নয় বরং বক্তৃতার বিষয় বস্তু বাছাইয়ের কারণে । এই চল্লিশ বছরে বাংলাদেশের পক্ষে যারাই জাতিসংঘে বক্তব্য রেখেছেন নির্মোহ ভাবে চিন্তা করলে শেখ হাসিনার এই বারের অর্জন অন্য যে কোন বারের তুলনায় অনেক বেশী ও তাৎপর্যপূর্ণ । শেখ হাসিনা গত ২১ তারিখ বিশ্বসভার অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন । সাথে ছিলেন প্রায় একশত আশিজন সফর সঙ্গী, যাদেও অর্ধেকের বেশী নিজেরাই নিজেদের সকল ব্যয় মিটিয়েছেন । গত ২৯ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক ছেড়েছেন । ফেরার পথে দুfদিন ব্যক্তিগত সফরে লন্ডনে অবস্থান শেষে বৃহষ্পতিবার তিনি দেশে ফিরে এসেছেন । প্রধানমন্ত্রীর দূর্ভাগ্য তিনি দেশে ফেরার আগেই তারই মন্ত্রীসভার একজন হেভি ওয়েইট মন্ত্রী ও দলের প্রেসডিয়াম সদস্য টাঙ্গাইলের বিখ্যাত সিদ্দিকী ভ্রাতাদের একজন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিউ ইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের টাঙ্গাইল সমিতির দেয়া তাঁর এক সংবর্ধনা সভায় কিছু লাগামহীন বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সব অর্জনের উপর শুধু পানিই ঢেলে দেন নি বরং শেখ হাসিনার সরকার, তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলের শুভাকাক্সিক্ষদের অনেকটা চরম বেকায়দায় ফেলে দিয়েছেন । শুধু তাই নয় লতিফ সিদ্দিকী বিরোধী দলতো বটেই দেশের সকল রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, সাধারণ মানুষের হাতে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য না চাইতেই সমালোচনার জন্য একাধিক মোক্ষম অস্ত্রও তুলে দিয়েছেন ।
ওই সন্ধ্যায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য শুধু লাগামহীন ও বেপরোয়াই ছিল না জ্যাকসন হাইটসfর কয়েকজন পরিচিত জনের সাথে টেলিফোনে আলাপ করে জেনেছি মন্ত্রীর কথা শুনে মনে হয়েছে তিনি অনেকটা অপ্রকৃতস্থ ছিলেন কারণ তাঁর বেশীর ভাগ বক্তব্যই ছিল অপ্রাসঙ্গিক ও বাচাল প্রকৃতির । তিনি মুসলমানদের পাঁচ ফরজের এক ফরজ পবিত্র হজ্ব সম্পর্কে কটূক্তি করে বলেছেন তিনি জামায়াতে ইসলামের যত বিরোধী তার চেয়েও বেশী বিরোধী হজ্ব (নাউজুবিল্লাহ) ও তাবলিগ জামায়াতের । তার মতে এই সব কর্মকান্ডে শুধু সময় ও অর্থের অপচয় হয় । পবিত্র ইসলাম ধর্মের অন্যতম স্তম্ভ পবিত্র হজ্ব সম্পর্কে এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য এর আগে অন্য কোন ধর্মাবলম্বির বা এমন কী কোন নাস্তিকের কাছ হতেও শোনা যায় নি । তিনি যে দিন এই বক্তব্য রাখছিলেন সে দিন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হজ্ব পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার হজ্বব্রত পালন করেছেন । প্রতিবছর যে সকল মানুষ প্রতারকদের খপ্পরে পরার কারণে হজ্বে যেতে পারেন না তাদের সরকারি খরচে হজ্বে পাঠান প্রধানমন্ত্রী । আর লতিফ সিদ্দিকী নিজেও ১৯৯৮ সালে হজ্ব পালন করেছেন । এই বছর বাংলাদেশ হতে প্রায় এক লক্ষ মানুষ হজ্বে গিয়েছেন । বাংলাদেশ স্বাধীন হলে সৌদি আরব আমাদের স্বীকৃতি না দেয়াতে এই দেশের মানুষের হজ্বে যাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পরে । নতুন দেশের নাগিরকদের হজ্বে যাওয়াটা নির্বিঘœ করার জন্য বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত ভাবে সৌদি বাদশাহ্র কাছে চিঠি লিখে তাঁর বিশেষ অনুমতি আদায় করেন । বাংলাদেশে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম প্রধান দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ । তার বক্তব্যে তিনি হযরত মুহাম্মদ (দঃ) সম্পর্কেও অসম্মান জনক কথা বলেছেন । পবিত্র হজ্ব সম্পর্কে তার ধারণা শুধু একজন গোমূর্খের ধারণার সাথেই তুলনা করা যায় । লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য দেশের সকল মুমিনের ধর্মানুভূতিতে প্রচন্ড আঘাত করেছে । তিনি নিশ্চয় জানেন বঙ্গবন্ধুই তাবলিগ জামায়াতকে বিশ্ব ইজতেমার জন্য তুরাগপাড়ে বিশাল ভূমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন । এই মন্ত্রীর লাগামহীন বক্তব্য হজ্ব বা তাবলিগ জামায়াত নিয়ে বক্রাক্তোতিতে থেমে থাকে নি । তিনি প্রবাসীদের কামলা বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বলেছেন যাদের কাছে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা চাই তারা যদি এক লক্ষ টাকা চাঁদা দেন তাদের তদবির করি না । প্রধানমন্ত্রীর তনয় ও তাঁর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে কটাক্ষ করে বলেন eজয় ভাই আবার কে ? তিনিতো সরকারের কেউ নন । তারতো কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেইf। স্থানীয় বাংলা পত্রিকা গুলিকে তিনি টয়লেট পেপারের সাথে তুলনা করে সাংবাদিকদের বিনা কারণে অশালিন ভাষায় অপমানিত করেন । দেশের টকশো সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যারা টকশোতে অংশগ্রহণ করেন তাদের eচু..র ভাইf সম্বোধন করে বলেন তারা হলেন eটকমারানি,f যা চু...মারানিরf সমতুল্য। তিনি ভুলে গিয়েছেন তিনি নিজেও একাধিকবার বিভিন্ন টকশোতে অংশগ্রহণ করেছেন । তার সহকর্মীরা নিয়মিত টকশোতে অংশগ্রহণ করেন । আবুল মাল আবদুল মুহিত, তোফায়েল আহম্মদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, মাঈনুদ্দিন খান বাদল, অপু উকিল, নুরজাহান মুক্তা সহ অনেক সংসদ সদস্য ও দলীয় কর্মী টকশোতে দর্শক নন্দিত । টকশো সম্পর্কে এই ধরণের ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করার কোন অধিকার আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নেই ।
মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যখন নিউ ইয়র্কে এই সব বালখিল্য সুলভ বক্তব্য রাখছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের পথে । হিথরোতে নেমেই তিনি তাঁর মন্ত্রীসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের বাচালতাপূর্ণ বক্তব্য সম্পর্কে অবহিত হন এবং দ্রুততম সময়ে আবুল লতিফ সিদ্দিকীকে তার দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । এর ফলে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন এবং নিশ্চিত ভাবে তাঁর প্রতি মানুষের আস্থা ও সমর্থন বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে । লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়াতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন । তিনি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী ও দলের সদস্যদের সম্ভবত এই মেসেজ দিতে চেয়েছেন কেউ যেন নিজেকে অপরিহার্য বা জবাবদিহিতার উর্দ্ধে না ভাবেন, যা সরকার ও দলের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল । স্বাভাবিক কারণেই লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন । সকলেই মন্ত্রীসভা হতে তার অপসারণ দাবি করেছেন । অনেকে তার সংসদ সদস্য পদও বাতিল চেয়েছেন । কেউ কেউ তার গ্রেফতার দাবি করেছেন । হেফাজতে ইসলাম তাকে মুরতাদ ঘোষণা করেছে এবং তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে তওবা করতে বলেছে । সারা দেশে তার বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত কমপক্ষে দশটি মামলা ও একটি রিট হয়েছে । নিজ দল আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রায় সকল অঙ্গ সংগঠন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছে । মির্জা ফখরুল যথারীতি লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ব্যবস্থায় ধূম্্রজাল আবিষ্কার করেছেন । সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রী সভার একজন সদস্য অপসারিত হলে বা তিনি পদত্যাগ করলে ওই ব্যক্তির ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর নিকট লিখিত ভাবে (পদত্যাগ পত্র) ব্যক্ত করবেন অথবা তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিলে প্রধানমন্ত্রী অপসারনের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি নিকট প্রেরণ করবেন এবং রাষ্ট্রপতি সেই মর্মে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যা পরবর্তীকালে প্রজ্ঞাপন হিসেবে জনবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচারিত হবে । লতিফ সিদ্দিকী বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না এবং তার দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করার কোন প্রশ্নই আসে না । সুতারং তাকে প্রধানমন্ত্রী অপসারণই করবেন । এখানে ধূম্র্রজাল সৃষ্টির কোন অবকাশ নেই কারণ যখন এই সব ঘটনা ঘটছিল তখন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনই দেশের বাইরে । যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী মেক্সিকোর গুয়াডালাহারা শহরে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে প্রদত্ত eউইটসা-২০১৪ গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স এওয়ার্ডf গ্রহণ করতে । সাথে ছিলেন তার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । পথে লতিফ সিদ্দিকী জানতে পারেন তিনি আর মন্ত্রী নেই । মেক্সিকোতে বাংলাদেশের পক্ষে মঞ্চে উঠে এওয়ার্ড গ্রহণ করেন প্রতিমন্ত্রী পলক, লতিফ সিদ্দিকী নন । মির্জা ফখরুলের ধূম্র্রজাল আবিস্কারের কোন কারণ দেখি না ।
মানুষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছ হতে বিনয় আশা করে ঔদ্ধত্য, দম্ভ বা অহমিকা নয় । দূর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে এই সব গুনাবলির বড় অভাব । বরং এfগুলি তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী । একজন মানুষের পতনের অন্যতম কারণ সমূহের মধ্যে আছে অহংকার, দম্ভ, অহমিকা আর লোভ । এই সব যাদের গ্রাস করেছে তাদের পতন অনিবার্য । আওয়ামী লীগের মতো দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের যোগ্য, দক্ষ, অভিজ্ঞ, নিরহংকার আর দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ নেতা কর্মীর অভাব নেই । কিন্তু সব সময় এদের কাজে লাগনো হয় না । এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার সামনে তেমন কোন চ্যালেঞ্জ নেই । তাঁর মন্ত্রীসভার দুfএকজন বাচাল মন্ত্রী আর ছাত্রলীগ নামধারী কিছু অর্বাচীনকে শায়েস্তা করতে পারলে দেশ গঠনে তিনি আরো অনেক বেশী সময় দিতে পারবেন । কয়েকটা রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী হুমকী দিয়েছে লতিফ সিদ্দিকী সম্পর্কে কোন কার্যকর সিদ্ধান্ত না নিলে ঈদের পর তারা মাঠে নামবে । এই ব্যাপারে নিশ্চয় সরকার সজাগ । আওয়ামী লীগের অনেকেই তাকে দল হতে বহিষ্কার দাবি করেছেন । প্রধানমন্ত্রী বৃহষ্পতিবার দেশে ফিরে সিলেটে যাত্রা বিরতির সময় বলেছেন লতিফ সিদ্দিকীতে দল হতেও অব্যাহতি দেয়া হবে । প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বেলা চারটায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে । তবে যারাই লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি করেছেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সিক্ষ । গত রোববার একটি জাতীয় দৈনিকে আমার নিয়মিত কলামে লিখেছিলাম বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে অনেকেই ওভারটাইম কাজ করছেন । তাদেও মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীদের মতো মানুষ নেই তা বলি কী করে ? শেখ হাসিনা বা তার সরকার গোল্লায় যাক তাতে তাদের কিছু আসে যায় না । তিনি সম্ভবত আর দেশে নাও ফিরতে পারবেন । অনেক আগে তিনি একবার যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিপক্ষের হাতে একটি জুৎসই অস্ত্র তুলে দিয়ে বিদেশে বসে তামাশা দেখা তার জন্য অনেক বেশী আনন্দ ও তৃপ্তির । সকল পাঠককে বিজয়া ও পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা ।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। অক্টোবর ২, ২০১৪

@

@

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

@

[প্রথমপাতা]

@

@

@

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]