[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

জঙ্গিবাদের বিশ্বায়ন, সরকার ও বাংলাদেশে

 


-প্রফেসর আবদুল মান্নান

বাংলায় প্রবাদ আছে সরষে দিয়ে নাকি ভূত তাড়ায়। তারপরের প্রশ্ন হচ্ছে সরষেই যদি ভূত থাকে তাহলে সেই সরষে দিয়ে ভূত তাড়ানো সম্ভব কিনা। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ দেশীয় মিডিয়াতে বেশ ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে বা হচ্ছে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কারাগার হতে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে একেবারে ফিল্মি স্টাইলে তিনজন ভয়ঙ্কর জঙ্গিবাদি জেএমবি’র সন্ত্রাসীকে মাঝপথে মিনিট তিন হতে চারের মধ্যে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া। ঘটনার সময় ছিনতাইকারিদের গুলিতে একজন পুলিশ সদস্যও নিহত হন । এমন ঘটনা বাংলাদেশেতো নয়ই উপমহাদেশে এর আগে কখনো ঘটেছে বলে শোনা যায় নি, এমন কি জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য পাকিস্তানেও না । বাংলায় আরো একটি প্রবাদ আছে যেটিতে বলা হয় ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে ।’ এখন এই ঘটনা নিয়ে সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখার মধ্যে পরষ্পর পরষ্পরকে দোষারোপের কাজ চলছে । এর মধ্যে একজন জঙ্গি রাকিব, পুলিশের হাতে ধরা পরেছিল । কিন্তু পুলিশের সাথে এনকাউন্টারে সে নিহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে । রাকিবের বেঁচে থাকার প্রয়োজন ছিল কারণ তা হলে তার কাছ হতে এই অপারেশন সম্পর্কে হয়তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যেত । এই সব প্রসঙ্গে পরে আসছি । এখন আসি সরষের মধ্যে ভূতের প্রসঙ্গে । এই ভূত হচ্ছে সরকারের মধ্যে ভূত এবং এই ভূত সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য যা যা করার প্রয়োজন ঠিক তাই করে । বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি আরো সত্য কারণ বাংলাদেশের রাজনীতি দেশের মানুষকে ঠিক আড়া আড়ি মাঝখান হতে দুভাগে ভাগ করে ফেলেছে । আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল । এই সময়ে সরকারের মধ্যে এমন অনেক মানুষ ঢুকে পরেছে যাদের অনেকেই বাংলাদেশের মৌলিক কাঠামোকেই বিশ্বাস করেন না । পারলে কালকেই বাংলাদেশকে একাত্তর পূর্ববর্তি অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যান । ১৯৯৬ সনে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ বিরতির পর এই সব কর্মচারি আর কর্মকর্তাদের নিয়েই যাত্রা শুরু করে । কিন্তু দূর্ভাগ্য হচ্ছে এরপর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখনো আওয়ামী লীগ তার মিত্র আর শত্রু কারা তা বুঝতে পারে নি অথবা বুঝতে পারলেও তার গুরুত্ব দেয় নি । এই ভুলটি বঙ্গবন্ধুও করেছিলেন এবং এর ফলে শুধু তাঁকে সপরিবারে নিহতই হতে হয় নি জাতিকেও অনেক মূল্য দিতে হয়েছে । সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এটি মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে বঙ্গবন্ধু কন্যাও মাঝে মাঝে একই ভুল করেন । বাবা এবং কন্যার মধ্যে তফাৎ এই যে বাবা সময় থাকতে বুঝতে পারেন নি তাঁকে এক দল ঘাতক নীরবে তাড়া করছে কিন্তু সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কন্যারতো বুঝা উচিৎ একটি বুলেট তাঁকে সর্বক্ষণ তাড়া করছে । শুধু একটি ঘটনার কথা পাঠকদের জানার জন্য বলি তাহলে পাঠক বুঝতে পারবেন কখনো কখনো পরিস্থিতি কত নাজুক হয়ে উঠতে পারে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত লাইট এন্ড সাউন্ড শো’র প্রদর্শনী উদ্বোধন হবে । এমন প্রদর্শনী ভারতের অনেক ঐতিহাসিক শহরে অনুষ্ঠিত হয় । শুধু মাত্র আলো, শব্দ আর ধারা বর্ণনায় জীবন্ত করে আনা হয় ওই অঞ্চলের ইতিহাসকে । লালবাগ দূর্গের এমন এক স্থায়ী প্রদর্শনীর আয়োজক সংষ্কৃতি মন্ত্রণালয় । সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী । সাতটার একটু আগেই মূল প্রদর্শনী শুরু হবে । আধ ঘন্টারও কম সময়ের অনুষ্ঠান সাড়ে সাতটার এশার আযানের আগেই শেষ হতে হবে । আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা শ’দুয়েক হবে । সেই মতেই সব কিছুর প্রস্তুতি । প্রধানমন্ত্রী মাগরিবের নামাজের পর পরই চলে এলেন । তাঁর গাড়ী কেল্লার ভিতরে ঢুকলো । প্রধানমন্ত্রী গাড়ি হতে নেমেই দু’কদম না দিতেই কেল্লার সব বাতি নিভে গেল । কেল্লার বাইরের সব বাতি কিন্তু তখন জ্বলছিল । আর আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের কারো হাতে কোন টর্চ লাইট দেখা যায় নি । ভরসা সব টিভি ক্যামেরার সাথে থাকা লাইট । সেই আলোয় প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসলেন । তারপর আবার আলো জ্বলে উঠে । প্রথমত প্রধানমন্ত্রীর রাতের বেলায় পুরানো ঢাকায়, যেখানে রাস্তাঘাট খুব সরু, সেখানে যাওয়াটা তাঁর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে খুব বেশি সমীচীন হয়েছে বলা যাবে না । দ্বিতীয়ত এই এলাকায় আওয়ামী লীগের ভিতরের দলীয় কোন্দল বহু পুরানো । কোন একটি এলাকায় দলীয় কোন্দল থাকলে তার কি পরিণতি হতে পারে তা আমার একবার দেখার দূর্ভাগ্য হয়েছিল চট্টগ্রামের লালদিঘীর ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায় । সেটি সম্ভবত ১৯৮৪ সন । সেই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা । জনসভা চলাকালীন সময় সভাস্থলে শুরু হলো দুই উপদলের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ । শেখ হাসিনা সহ মঞ্চে উপবিষ্ট সকলে তখন বেশ অসহায় হয়ে পরেন । দলীয় নেতা কর্মীরা শেখ হাসিনাকে বহু কষ্টে পার্শ্বের পুলিশ পাহাড়ে নিয়ে রক্ষা করেন । তৃতীয়ত, এলাকাটিতে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামি নাসির উদ্দিন পিন্টুর কর্মীরা বেশ সক্রিয় । তারাও যে কোন সময় একটি দূর্ঘটনা ঘটাতে সক্ষম । সে দিন সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হলেও মূল অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দুবার ছন্দপতন ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি পন্ড হয়ে যায় । প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এমন একটি ঘটনা অভূতপূর্ব এবং সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত। তবে ওই রাতেই বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব প্রাপ্ত বার জন কর্মচারি আর কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে । ঘটনার তদন্তের পদক্ষেপ অবশ্যই প্রয়োজন ছিল । কিন্তু এই যাবত মানুষ জানতে পারে নি তদন্তের ফলাফল কি হলো ।
তবে সাম্প্রতিক কালে সব চেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ছিল ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে দ-প্রাপ্ত ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি’র তিন সদস্য ছিনতাই যার কথা প্রথমেই উল্লেখ করেছি । অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সম্প্রতি এই ছিনতাইকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে অবহিত করলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান । এমন একটি উক্তি চরম দায়িত্বহীনতা ছাড়া আর কিছুই নয় । এই ছিনতাইয়ের জন্য ছিনতাইকারি জেএমবি’র সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তা তারা নিখুঁত ভাবে বাস্তবায়ন করেছে । ছিনতাইকৃতদের একজন পালিয়ে গিয়ে আবার ধরা পরার পর পুলিশের সাথে এনকাউন্টারে মারা গেলেও আরো দুজন ভয়াবহ জঙ্গি এখনো পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে আছে । তাদের এই সফল অপারেশনের পর নিশ্চিতভাবে তাদের মনোবল আরো চাঙ্গা হবে এবং হয়তো পরবর্তী আরো একটি এমন একটি ভয়াবহ অপারেশনের জন্য ইতোমধ্যে সকলের অজ্ঞাতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে । এই ঘটনার পর যেটি দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে একে অন্যকে দোষারোপ করা । কোন কোন সংবাদ মাধ্যম খবর দিচ্ছে তারা পলাতক এবং পরে নিহত রাকিব ও গাড়ির চালক জেএমবি সদস্য জাকারিয়ার কাছ হতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই যাবত বাকি দু’জন জঙ্গি এখনো পলাতক আছে । এই অপারেশনে সহায়তা করেছে কারাগারের কিছু পাহারাদার পুলিশ । তারা নিয়মিত অর্থের বিনিময়ে জঙ্গিদের মোবাইল ফোনে তাদের বাইরের সঙ্গীদের সাথে কথা বলতে দিত । কারাকর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে কারাগার হতে মোবাইলে কথা বলা সম্ভব নয় কারণ কারাগারে মোবাইল জ্যামার বসানো আছে । যেটি তারা বলে না তা হচ্ছে জ্যামারকে বন্ধ করে রাখা কোন ব্যাপারই না । এটি হচ্ছে এরকম যে একটি মার্কেটে রাতের বেলায় ডাকাতি হলো । জানা গেল সেই মার্কেটে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ছিল কিন্তু তা রাতের বেলায় বন্ধ ছিল । পুলিশের জানা উচিৎ বাংলাদেশে অশিক্ষিত মূর্খরা জঙ্গি হয় না, তারা বড় জোর সন্ত্রাসী হয় । যারা জঙ্গি হয় তাদের বেশীর ভাগই শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত । অনেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত গিয়েছে । আয়মান আল জাওহিরি, যার বার্তা নিয়ে বাংলাদেশে এত হৈ চৈ তিনি একজন পিএইচডি প্রাপ্ত জঙ্গি গুরু । বাংলাদেশে যে হিযবুত তাহরির এত সক্রিয় তারা প্রায় সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র । এদের গুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর । ব্লগার রাজিবকে যারা হত্যা করেছিল তারা সকলে বনেদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথের ছাত্র । পুলিশ প্রশাসন যদি একজন সন্ত্রাসী আর একজন জঙ্গির মধ্যে তফাৎ বুঝতে না পারেন তা হলে বুঝতে হবে তাদের প্রশিক্ষণে যথেষ্ট ঘাটতি আছে । সম্প্রতি ছাত্র শিবিরকে যখন বৃটেনের আইএচএস জেনস টেররিজম এ- ইনসারজেন্সি সেন্টার বিশ্বের তৃতীয় ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করলো ঠিক তখন বিভিন্ন সামাজিক গনমাধ্যমে অনেকে তার সমালোচনা করে বললেন এই স্থানটিতো পাওয়া উচিত ছাত্র লীগের কারণ তাদের হাতেই একে-৪৭ রাইফেল দেখা যায় । যারা এই ধরণের মন্তব্য করে তারা বুঝতে পারে না এরা হচ্ছে শ্রেফ সন্ত্রাসি । এরা টেন্ডারবাজি, দলবাজি, অথবা চাঁদাবজির জন্য সন্ত্রাস করে ছাত্র শিবিরের মতো কোন মতবাদকে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়ার জন্য নয় । ছাত্রলীগ বা এমন কি ছাত্রদলও জঙ্গিবাদের আশ্রয় নিয়ে কোন মতবাদ প্রচার করে না যা ছাত্র শিবির করে ।
পুলিশ যখন একজন আসামীকে আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে যায় সে সময় বিরাট একটি অর্থের লেনদেন হয় । আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার সময় অর্থের বিনিময়ে একাধিকবার তার দলীয় কর্মীরা পথের মধ্যে তার সাথে সাক্ষাত করেছে । চট্টগ্রামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার নাসিরকে অর্থের বিনিময়ে আদালত হতে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়ার সময় চট্টগ্রামের চকবাজারের সবুজ হোটেলে বিরানি খাওয়ারও সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল । নাসির অর্থের বিনিময়ে কারাগারে ফোন ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত তার সাঙ্গপাঙ্গদের সাথেও নিয়মিত কথা বলে আর তারা নিয়মিত বাইরে চাঁদাবাজি করে । এই যে তিনজন ভয়াবহ জঙ্গিকে একই ভ্যানে তিনজন গাদা বন্দুকধারি পুলিশ দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয় তা হয় উদ্দেশ্যমূলক অথবা চরম আহাম্মকি । কোনটি ঠিক তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার । তবে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা যদিও অনেক দুরুহ রহস্যের সমাধান পূর্বে করেছেন অথবা করছেন তথাপি তাদের আনাড়িপনাও মাঝে মধ্যে ক্ষমার অযোগ্য হয়ে পরে । একটি দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রথম পূর্ব শর্ত হচ্ছে তার গোয়েন্দা সংস্থাকে শক্তিশালী করা । যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ একবারই হয়েছিল । এরপর হয়তো চেষ্টা করা হয়েছিল একাধিকবার কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার আগাম ব্যবস্থার কারণে তা সম্ভব হয়নি । জঙ্গিবাদের বিশ্বায়নের কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে অনেক ঝুঁকির মধ্যে আছে । আমরা সব জঙ্গিবাদ উচ্ছেদ করে ফেলেছি অথবা জঙ্গিরা এখন আগের চেয়ে অনেক দূর্বল তেমন কথা বলে যদি ঢেকুর তুলি তাহলে সেটি হতে পারে একটি ভয়াবহ আত্মঘাতি ভুল । বাংলাদেশ গত চল্লিশ বছরে অনেক ভুল করেছে । জাতি আর কোন ভুলের খেসারত দিতে প্রস্তুত নয় । আশা করবো বঙ্গবন্ধু কন্যা কাকে দিয়ে কি কাজ হবে তা বুঝতে পারবেন এবং সেই মতে তাকে কাজে লাগাবেন ।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । মার্চ ১, ২০১৪

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]