@
@
@
@
@ |
@
প্রধানমন্ত্রীর এমন দৃঢ় অবস্থানই মানুষ প্রত্যাশা
করে
@
প্রফেসর আবদুল মান্নান
একই দিনে দুটি সাড়া জাগানো খবর সচরাচর ঘটে না, এবার বাংলাদেশে ঘটলো ।
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভা হতে বরখাস্ত হলেন দলের
প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী
টাঙ্গাইলের সিদ্দিকী ব্রাদার্সের বড় জন মহাপ্রতাপশালী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
একই সাথে তিনি দলের প্রেসিডিয়াম পদটিও হারিয়েছেন এবং দলের সদস্যপদও
সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে । দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে এক সপ্তাহের
মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে কেন তাকে দল হতে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে
না । দ্বিতীয়জন যিনি একই দিন সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন তিনি কক্সবাজার-৪
আসনের স্বনামে খ্যাত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ।
জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা
মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন । আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বরখাস্তের
সিদ্ধান্ত যেহেতু মন্ত্রীসভার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন এবং তা
রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের জন্য তাঁর
বড় নিন্দুকও যদি তাঁকে অভিনন্দন জানাতে কার্পণ্য করেন তা হলে বুঝতে হবে তিনি
হীনমন্যতায় ভুগছেন । আর বদিকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আদালতের । তিনি
যেহেতু সরকার দলীয় একজন সংসদ সদস্য এবং যেহেতু এই প্রসঙ্গে সরকার কোন
প্রতিক্রিয়া জানায়নি তাহলে ধরে নিতে হবে তার আটকের ব্যাপারেও সরকারের কোন
আপত্তি ছিল না এবং এই ব্যাপারে সরকারও আদালতে কোন হস্তক্ষেপ করেনি বরং নিয়ম
অনুযায়ী তাকে কারাগারেও পাঠাতে সরকারের অনুমোতি নিতে হয়েছে । । এই
ব্যাপারেও সরকার বাহবা পেতে পারে । প্রথমে আসি লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে ।
টাঙ্গাইলে সিদ্দিকী পরিবারের দাপট ও ক্ষমতা সম্পর্কে ওই জেলার সকলে
ওয়াকেবহাল । ১৯৯১ সালের নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই বঙ্গবীর কাদের
সিদ্দিকীকে শেখ হাসিনা টাঙ্গাইল-৮ আসন হতে মনোনয়ন দেন । তখন কাদের সিদ্দিকী
কারাগারে । সেবার স্বল্প ভোটে তিনি পরাজিত হন । পরবর্তিকালে ১৯৯৬ সালে তিনি
একই আসন হতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ।
বঙ্গবন্ধু কাদের সিদ্দিকীকে খুবই স্নেহ করতেন এবং বাকশাল প্রবর্তন হওয়ার পর
তাকে জেলা গভর্নর নিয়োগ দেন । সেই মেয়াদে কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে ঘরবাড়ী
দখল সংক্রান্ত নানা বিতর্কে জড়িয়ে পরেন এবং তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মোহাম্মদ নাসিমের সাথে অযথা বিত-ার সূত্রপাত করেন । পরবর্তিকালে তিনি নিজে
একটি দল গঠন করে তার সভাপতি হন এবং সুযোগ পেলেই শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন
। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত
হলেও পূর্বে তার সম্পর্কে তেমন কোন উৎপাতের বাব ড় ধরেণর কোন অভিযোগের কথা
শোনা যায়নি। বরং মাঝে মধ্যে তিনি তার ছোট ভাইয়ের সমালোচনা করতে ছাড়েন নি ।
তবে ১৯৮০ এর দশকে প্রবাসে থেকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সভাপতি হওয়ার
বিরোধীতা করেছিলেন আবার ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনার পক্ষে
দৃঢ় অবস্থানও নিয়েছিলেন । অনেকের মুখে শুনেছি তিনি প্রচুর পড়াশোনা করেন ।
তবে যে মানুষটি এত পড়াশোনা করেন তিনি হঠাৎ করে রাজনীতিতে এমন একজন বড় মাপের
খলনায়কের ভূমিকায় আবির্ভূত হবেন আগে তা কল্পনা করা যায় নি । প্রধানমন্ত্রীর
সফর সঙ্গী হিসেবে তিনি গিয়েছিলেন নিউ ইয়র্কে । মতান্তরে তিনি সফর সঙ্গি
ছিলেন না । তিনি মেক্সিকোতে যাচ্ছিলেন তথ্য প্রযুক্তিখাতে বাংলাদেশের
অগ্রগতি ও স্বীকৃতি স্বরূপ দেয়া একটি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার আনতে । এই ফাঁকে
নিউ ইয়র্কে যাত্রা বিরতি । ২৭ সেপ্টেম্বর যেদিন প্রধানমন্ত্রী দেশের
উদ্দেশ্যে নিউ ইয়র্ক ত্যাগ করবেন সে দিন লতিফ সিদ্দিকীকে প্রবাসী টাঙ্গাইল
বাসী একটি রেষ্টুরেন্টে সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করেন । সেই সংবর্ধনা সভায়
সকলকে হতবাক করে দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী মুসলমানদের অন্যতম ফরজ হজ নিয়ে
অপ্রাসঙ্গিক ভাবে চরম আপত্তিকর মন্তব্য করেন । একই ভাবে মন্তব্য করেন
তাবলিগ জামায়াত নিয়ে । বলেন তিনি জামায়াতকে যত ঘৃণা করেন তার চেয়েও বেশী
করেন হজ ও তাবলিগ জামায়াতকে । তিনি খুবই তাচ্ছিল্যের সাথে হযরত মুহাম্মদের
(দঃ) নাম উচ্চারণ করেন এবং প্রবাসী বাঙালিদের কামলা বলে আখ্যায়িত করেন ।
টকশোতে যারা অংশ গ্রহণ করেন তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং
সাংবাদিকদের এক হাত নেন। প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও চরম
অপমান জনক উক্তি করেন এবং আবিষ্কার করেন তাকে নাকি বাংলাদেশ সরকার এক কোটি
সত্তর লক্ষ টাকা বেতন দেয় । এত বেতন সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও
পান না । অথচ জানা মতে জয় বাংলাদেশ সরকার হতে কোন বেতন ভাতা গ্রহণ করেন না
। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক একজন উপদেষ্টা
মাত্র, সরকারের কেউ নন । বলাবাহুল্য লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য দেশে ও দেশের
বাইরে সকল ধর্মপরায়ন মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে চরম আঘাত করেছে । লতিফ
সিদ্দিকীর বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক ত্যাগ করার আগেই শুনেছেন এবং
লন্ডনের হিথরো বিমান বন্দরে অবতরনের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়ে
দেন তিনি দেশে ফিরেই এহেন অবিবেচনা প্রসূত বক্তব্যের জন্য লতিফ সিদ্দিকীর
বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন । ফিরতি পথে তিনি সিলেটে এক ঘন্টার
যাত্রা বিরতি কালে সাংবাদিকদের সামনে ঘোষণা করেন তাকে মন্ত্রী সভা হতে
অপসারণ করা হবে ।
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য নিয়ে বিএনপিতো বটেই আরো অনেকেই রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে
তৎপর হয়েছিল । বিএনপি গত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বন্ধ করতে না পেরে গত কয়েক
মাস ধরে নিয়মিত আন্দোলনের হুমকী দিয়ে চলছে কিন্তু তেমন একটা যুৎ করতে পারছে
না কারণ দেশের মানুষ একেবারে স্বর্গে না থাকলেও তেমন একটা অশান্তিতে নেই ।
তারা আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমায় পুড়ে জীবন দিতে রাজি নন । মির্জা ফখরুল
আবার সব কিছুতেই ধূম্্রজাল আবিষ্কার করতে সচেষ্ট থাকেন । বললেন
প্রধানমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে এক ধরণের ধূম্্রজাল সৃষ্টি করেছেন
বিএনপিfর স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বও চন্দ্র রায় বলেছেন, দল ও
মন্ত্রীসভা থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের বিষয়টি eআইওয়াশf। বিএনপিfর এই
সব নেতার বুঝা উচিৎ মানুষ এখন তাদের বক্তব্যকে তেমন গুরুত্ব সহকারে নেয় না
। তারা এখন অনেকটা সিনেমার রিলীফ কমেডিয়ান । লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নিয়ে শেখ হাসিনা তাঁর সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন যদিও কেউ
কেউ অনুমান করছেন ব্যবস্থা নিতে এই যে সপ্তাহ দুfএকের মতো সময় লাগলো তাতে
নিশ্চয় কোন ষড়যন্ত্র ছিল । এটি তাদের না বুঝার কোন কারণ নেই মন্ত্রী সভার
একজন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর নিকটই পদত্যাগ করতে পারেন এবং তা তিনি
রাষ্ট্রপতির নিকট পঠিয়ে দেন, আর তাকে অপসারণ করতে হলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
লাগে । এঁদের দুজনই তখন দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন । দেশে ফেরার সঙ্গে
সঙ্গেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । এই রকম ব্যবস্থা সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু
হওয়ার পর পূর্বে কখনো আর ঘটেনি । রাষ্ট্রপতি জিয়া ১৯৮০ সালে ব্যারিস্টার
মউদুদকে অপসারণ করেছিলেন । তখন দেশে রাষ্ট্রপতির শাসন বলবৎ ছিল ।
শেখ হাসিনার এই দ্রুত পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধু আমলের কথা মনে করিয়ে দিল ।
বঙ্গবন্ধু তাঁর শাসনামলে দুর্নীতি, দেশবিরোধী তৎপরতা ও চোরাচালানের সঙ্গে
জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭২ সালের ৬ এপ্রিল গণপরিষদের ১৬ জন সদস্যকে বহিষ্কার
করেন । ৯ এপ্রিল করেন আরো ৭ জনকে এবং সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বর ১৯ জনকে সহ মোট
৪২ জন গণপরিষদ সদস্যকে সংসদ ও দল হতে বহিষ্কার করেন । তাঁর কন্যার কাছ হতেও
মানুষ এমন কঠোর ও দৃঢ় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে । এই যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী
দেশের মানুষকে হতাশ করেন নি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দেশের মানুষের প্রত্যাশা
সম্পর্কে সব সময় স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া সম্ভব নয় । দেশের মানুষ মনে করেন তাঁর
বর্তমান মন্ত্রীসভা আগের বারের মন্ত্রী সভার তুলনায় অনেক গতিশীল সত্য তবে
সকলেরই যে মন্ত্রী সভায় থাকার যোগ্যতা আছে তা কিন্তু নয় । আওয়ামী লীগের মতো
এত বৃহৎ একটি দলে যোগ্য ব্যক্তির অভাব নেই কিন্তু তাদের সব সময় কাজে লাগানো
হয় না । আর সকলে দূর্নীতি মুক্ত তাও হলফ করে বলা যাবে না । অনেকে বলেন
আওয়ামী লীগের মন্ত্রী সভায় শেখ হাসিনা ছাড়াও ক্লিন ইমেজের অনেক মন্ত্রী
আছেন । অনেকে এক নিশ্বাঃসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, দলের সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রী
তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অথবা যোগাযোগ মন্ত্রী
ওবায়দুল কাদেরের নাম বলেন । মন্ত্রী সভায় নিশ্চয় আরো ক্লিন ইমেজের সদস্য
আছেন । সকলের নাম জানা সম্ভব নয় । অনেকের মতে মন্ত্রী সভায় কিছু সদস্য আছেন
যারা না থাকলে সরকারের কোন ক্ষতি নেই এবং তাতে প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ অনেক
বৃদ্ধি পাবে । তাদের সাথে দ্বিমত করার কোন কারণ দেখি না । পদ্মা সেতুর কথিত
দূর্নীতি নিয়ে যখন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক
আপত্তি তুললো তখন প্রথম দিকে একটু দ্বিধান্বিত থাকলেও তাকেও প্রধানমন্ত্রী
সরিয়ে দেন । এতে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন । এখন বিশ্বব্যাংক এই সব কথিত
দূর্নীতি নিয়ে চুপচাপ আর দেশে যে সব মহল এই একটি প্রসঙ্গ নিয়ে হৈ চৈ ফেলে
দিয়েছিল তারাও এখন মৌনব্রত পালন করছেন । বাংলাদেশে সুবিধাবাধিতা
সর্বক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে ।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সব কিছু হারিয়ে এখন রাজনৈতিক ভাবে অনেকটা দেউলিয়া ।
খবরে জানা গেছে তিনি এখন কোলকাতায় অবস্থান করছেন এবং eসবুজ সংকেতf পেলেই
ফিরবেন বলে মনে করছেন । তবে এই eসবুজ সংকেতf কে দেবেন তা পরিষ্কার নয় । তিনি
ঘোষণা করেছেন তিনি আরও শক্ত কথা বলবেন এবং সক্রেটিস হবেন । বলার বাধ
রেখেছেন তিনি নাস্তিক হবেন । অথচ তিনি নিজে ১৯৯৮ সালে হজ করেছেন । সকলে
জানেন তিনি বেশ পড়া লেখা করেন । তার জানা উচিৎ গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসকে
যখন হেমলক বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন eThe
hour of departure has arrived. And we go our separate ways-I to die and
you to live. Which of these two is better, only God knowsf
সক্রেটিসও জীবনের শেষ মুহূর্তে ঈশ্বরকে স্বীকার করেছিলেন । এই ব্যাপারে
লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্য জানতে ইচ্ছা করছে ।
টেকনাফের সংসদ সদস্য বদি । এক সময় বিএনপিfর গডফাদার ছিলেন । পরে আওয়ামী লীগে
যোগ দিয়েছেন । ইয়াবা সম্রাট হিসেবে বেশ নামডাক । তার পুরো পরিবারই এই
কারবারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ বহু পুরানো । সব সময় হাতে কথা বলেন বলে তিনি
খ্যাতি অর্জন করেছেন । তার চর থাপ্পর খান নি স্কুলের শিক্ষক হতে ইউএনও
পর্যন্ত টেকনাফের কোন সরকারি কর্মকর্তা বাদ যান নি । সেই বদি এখন দূর্নীতির
দায় কাঁধে নিয়ে কারাগারে, মানুষ প্রত্যাশা করে বিচারের মাধ্যমে তার
যথোপযুক্ত শাস্তি হবে । এতো গেল লতিফ আর বদি উপাখ্যান । আওয়ামী লীগের
অঙ্গসংগঠনগুলিতে শুদ্ধি অভিযান চালানোর এখনই সময় । এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার
সামনে তেমন কোন বড় চ্যালেঞ্জ নেই । এই অঙ্গসংগঠনগুলিকে সাইজ করতে পারলে তিনি
পরবর্তি নির্বাচন পর্যন্ত নির্বিঘেœ দেশ শাসন করতে পারবেন । হত্যার দায়ে
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধানকে বঙ্গবন্ধু আইনের মুখোমুখি
করেছিলেন এবং আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিলেন । বঙ্গবন্ধু দেশ ও
দলের স্বার্থে কঠোর হতে পিছপা হন নি । তাঁর কন্যাও প্রয়োজনে তেমনটি হবেন বলে
মানুষ আশা করে । এতে সকলের মঙ্গল ।
লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । অক্টোবর ১৪, ২০১৪
@
@
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
@
[প্রথমপাতা] |
@
@
@
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|