[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

এখানে না এলে বিশ্বাস হতো না

 


-প্রফেসর আবদুল মান্নান

তামাম দুনিয়ার মানুষ জানে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে এখন ষোড়শতম লোকসভার নির্বাচন চলছে । ৭ এপ্রিল শুরু হওয়া এই নির্বাচন নয় কিস্তিতে অনুষ্ঠিত হয়ে শেষ হবে ১২ মে । ৭মে অষ্টম দফা আর শেষ দফা একেবারে শেষ দিনে, ১২ তারিখ । তারপর ১৬ মে পর্যন্ত অপেক্ষার পালা । এদিন গোনাগুনতির পর জানা যাবে হার জিতের হিসাবটা । একশত কুড়ি কোটি মানুষের দেশে একাশি কোটির বেশি মানুষ ভোট দিতে নাম তালিকা ভুক্ত করেছেন যেই সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মিলিত জনসংখ্যার চেয়েও বেশি । মোট ভোটরের মধ্যে ১০.৪ কোটি এবার প্রথম বার ভোট দিচ্ছে । এ’সময় ভারতে না আসলে বুঝা যেত না নির্বাচনের সময় ঠিক কেমন অবস্থা হয় এদেশর রাজনৈতিক মাঠের । পেশাগত কাজে ক’দিন দক্ষিণ ভারতের হায়দ্রাবাদে কাটিয়ে এখন আমি কোলকাতায় । হায়দ্রাবাদের তাপমাত্র ছিল ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস । কোলকাতায় তা বেড়ে ৪২ পর্যন্ত হয়েছে । পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাঠের হুঙ্কারে তা হয়তো আরো দু’এক ডিগ্রী উপরে উঠেছে । তা মেপে দেখার উপায় নেই । বাইরের আবহাওয়ার কারনে বর্তমানে একপ্রকার গৃহবন্ধি । সন্ধ্যার আগে বের হওয়া মুস্কিল । তার মধ্যেও কর্মজীবী আর শ্রমজীবী মানুষরা বসে নেই । যে যার কাজে ছুঠছেন । এই দৃশ্য সারা ভারতবর্ষের । স্কুল চালু হচ্ছে সকাল সাতটায় । কোন কোনটা তিন সিফটে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলছে । কারো কোন আপত্তি নেই । বাচ্চা স্কুলে ভর্তি হতে পেরেছে এতেই অভিভাকরা খুশী । কয়টায় স্কুল বসলো আর ছুঠি হলো তা একেবারেই গৌন । বাংলাদেশে এমনটি হলে এক শ্রেনীর অভিভাবক সরকারের উপর দারুন চটে যেতেন । এতো সকালে বাচ্চাদের স্কুল বসা এক কথায় বড় ধরেণর অপরাধ । সুশিল সমাজের কিছু পন্ডিত জনেরা রাতের টিভি টকশোতে ধারুন উষ্মা প্রকাশ করতেন । আমার কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীকে দেখেছি বেলা সাড়ে এগারটার ক্লাসেও দেরী করে আসে কারণ ঘুম থেকে উঠতে পারে নি । আরামের শরীর । তাদের বলি বাবা মা ঠেলে না পাঠালে বেলা সাড়ে এগারটায়ও হয়তো আসতে না । এদের অনেকের কাছে সার্টিফিকেটাটাই মূখ্য, জ্ঞান অজর্ন নয় ।
ভারতে নির্বাচন শুরুর দিন হতে বুঝার চেষ্টা করছি এদেশের নির্বাচনের গতিবিধ । দেশে থাকেতে তা টিভির সংবাদ আর পত্রপত্রিকা পড়ে জানার চেষ্টা করেছি । টিভি দেখে আর সংবাদ পত্র পরে নির্বাচন সম্পর্কে মন্তব্য করা একটু কঠিন কারণ বাস্তব অবস্থা জানতে হলে ঘটনাস্থলে অবস্থান ও জনগনের সাথে কথা বলা জরুরি । এ’কদিন সেটাই করার চেষ্টা করলাম । দেশে থাকতে সব পত্র পত্রিকায় গুজরাতের মূখ্যমন্ত্রী হিন্দুত্বাবাদি নেতা বিজেপি’র নরেন্দ্র মোদী উত্থানের একটা উদ্বিগ্ন করার মতো খবর শুনছিলাম । বিজেপি দিল্লির মসনদ দখল করলে অসুবিধার কিছুই ছিল না কারণ এর আগে বিজেপি ছ’বছর ভারতশাসন করেছে । সে সময় ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হয় নি কারন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজেপেয়ীর মতো একজন উদার পন্থী নেতা । বাজপেয়ী কবিতা আর সঙ্গীত ভালবাসেন আর যে মানুষ এ’দুটিকে ভালবাসেন সেই মানুষের রুচিবোধের প্রশংসা করতে হয় । বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালিন উপমহাদেশের কিংবদন্তি গজল সম্রাট মেহেদী হাসান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে বাজপেয়ী এক তারবার্তায় মেহেদী হাসানের রোগমুক্তি কামনা করে বলেন ‘বন্ধু তুমি ভাল হয়ে উঠলে আমি তোমার গজল শুনতে পাকিস্তান আসবো ।’ মেহেদী হাসান সেই যাত্রায় আর সঙ্গীতের জগতে ফিরে আসেন নি । না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন । বাজপেয়ীর শাসনকালে ভারতের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ উন্নত হয়েছিল । আর বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিজেপি’র প্রার্থী হিসেবে যিনি ভারতের পরবর্তি প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে চিন্তা করছেন সেই নরেন্দ্র মোদী ইতোমধ্যে চীন ও পাকিস্তানকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন ক্ষমতায় এলে তিনি তাদের সাথে কঠোর হবেন । পশ্চিম বঙ্গে তিনি এই যাবৎ তিনবার নির্বাচনী জনসভা করতে এসেছেন । প্রত্যেক বার তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন তিনি সরকার গঠন করলে তার ভাষায় সকল ‘অবৈধ বাংলাদেশীদের’ লোট কম্বল নিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবেন । ভারতের সংবিধানে সাধারণ নির্বাচেনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন বলতে কিছু নেই । নির্বাচন হয়ে গেলে সংখ্যাগরিষ্ট দলকে রাষ্ট্রপতি সরকার গঠন করার জন্য আহ্বান জানান । তখন দল একজনকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে এবং তিনি একই সাথে সংসদ নেতাও নির্বাচত হন । এবার তার ব্যতিক্রম দেখা গেল । বিজেপি এখন একজন ব্যক্তিকেন্দ্রীক দলে পরিণত হয়েছে আর অনেক বিশ্লেষকের মতে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার মতো কথা বার্তা বলছেন । গান্ধী নেহেরুর আসাম্প্রদায়িক ভারত এখন পিছনের দিকে যাত্রা করার জন্য প্রস্তুত কিনা তা বলে দেবে আগামী ১৬ তারিখের পর ।
ষোড়শ লোকসভা নির্বাচন কিছুটা শান্তিপূর্ণ ভাবে শুরু হলেও তা পরবর্তি কালে তেমন একটা শান্তিপূর্ণ থাকে নি । একদিকে লাগামহীন ব্যক্তিগত আক্রমন আর অন্যদিকে ভোটের দিন চিরচেনা সন্ত্রাস আর নির্বাচন কমিশনের রাজ্য সরকারের কাছে নির্লজ্জ আত্মসম্পর্ন । শেষের ঘটনাগুলি ঘটেছে মূলতঃ পশ্চিম বঙ্গে । বুধবার পশ্চিম বঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো নয়টি নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন । নির্বাচনের আগের দিন অনেক নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বামফ্রন্ট অথবা কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বলে এসেছেন পরদিন তাদের ভোট দিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। গেলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। ঘরবাড়ীও ছাড়তে গতে পারে । অনেকটা চট্টগ্রামের সাকা চৌধুরী স্টাইলে । পুলিশে খবর দেয়ার চেষ্টা করেছেন অনেকে । লাভ হয় নি কারণ পুলিশ রাজ্য সরকারের অধীনে ।পর্যাপ্ত পরিমানের কেন্দ্রীয় রির্জাব পুলিশ চেয়েও পাওয়া যায় নি । যারা এসেছেন তারা তীব্র দাবদহে গাছ তলায় বসে বিশ্রাম নিয়েছেন । নির্বাচনের দিন অনেক কেন্দ্রই দখল হয়ে গেছে সূর্য্য উঠার আগেই । বুথে পৌঁছানেরা পথে ভোচরদেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে ভোট দেয়া হয়ে গেছে, কষ্ট করে আর ভোট দিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই । অনেক যায়গায় মাওবাদীদের প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে । এসব এলাকায় মাওবাদীদেও হুমকীর কারণে কোন কেন্দ্রেই ভোট পরে নি । ভোট কেন্দ্র হতে প্রতিপক্ষের এজেন্টকে বের করে পুলিশের সামনে মেরে আধমরা করা হয়েছে । বিরোধী পক্ষের কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে কোন কথা বললে তার বিরুদ্ধে পুরানো মামালা পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে কয়েক ঘন্টার মধ্যে । বাড়ি বয়ে এসে পুুলিশ সমন জারি করে বলছেন কালকের মধ্যে থানায় হাজির হতে হবে । ভোটের দিন এই সব নিয়ে সিপিএম আর কংগ্রেস নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে গেলে তার সাফ জবাব ‘কই তেমন কিছুতো শুনিনি । নির্বাচনতো অবধা ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে । আপনারা যা দেখেছেন তা ঠিক নয় । নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে কি হয়েছে তা আমার জান নেই।’ নির্বাচনের দিন নির্বাচন কমিশনের একাধিক পর্যবেক্ষক থাকেন । দিনের বেশির ভাগ সময় ঠান্ডা ঘরে বসে থেকে তারাও বিকেলে সনদ দিলেন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ সন্তুষ্ট । সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক চলছে । নির্বাচনের পরদিন বাছাই করা সিপিএম সমর্থকদেও বাড়ীতে চললো বেপরোওয়া হামলা । থানায় গেলে বলা হলো নির্বাচনের ডিউটি নিয়ে সকলে ব্যস্থ । পরে দেখা হবে। এক অবসর প্রাপ্ত সিপিএম সমর্থক স্কুল শিক্ষককে রাতে হুমকি দেয়ো হলো তিনি যেন পরদিন ভোট দিতে না যান । তিনি থানায় খবর দিলেন । পরদিন সকালে দু’জন পুলিশ এসে জানতে চাইলেন তিনি ভোট দিতে চাইলে তার নিরাপত্তা দেয়া হবে কিন্তু তারপর তারা তার কোন দায়িত্ব নিতে পারবেন না । শিক্ষক বলে একটা কথা । একটা নীতিগত অবস্থানতো আছে । তিনি সস্ত্রিক গেলেন ভোট দিতে ।
নির্বাচন যতই শেষ হয়ে আসছে ততই সকলের মুখের লাগাম খুলে গেছে । মনে হচ্ছে অনেক বাড়ীতে এক সাথে ঝগড়া লেগেছে । মমতা সখের চিত্র শিল্পি । ছবি আঁকেন । আঁকা হলে তার অন্ধ ভক্তরা তা চড়া মূল্যে কিনে নিয়ে যান । যারা কেনেন তাদের মধ্য মধ্যে বেশীর ভাগই কালো টাকা মালিক বলে জনশ্রুতি আছে । মোদি রাজ্যে এসে প্রশ্ন তুললেন ‘কে বা কারা কিনলেন আপনার একটা ছবি এক কোটি আশি লক্ষ টাকা দিয়ে?’ সঙ্গে সঙ্গে অগ্নীশর্মা হয়ে মমতার পাল্টা প্রশ্ন ‘কে তুই হরিদাস!’ মোদীকে তুলনা করলেন কোলা ভেঙে’র সাথে বললেন ‘বাংলার সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার থাকে । তোমার মতো কাগুজে বাঘ এই রাজ্যে প্রয়োজন নেই ।’ মমতার মতে মোদী পশ্চিম বঙ্গে গুজরাতের মতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উস্কে দিতে চান । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুম্বাই হতে প্রকাশিত দৈনিক ‘ফ্রী প্রেস জার্নালে’ লিখছে ‘মোদী তার হাওড়া ব্রীজ পুড়িয়ে দিয়ে এলো।’ (Modi Burns his Howrah Bridge) । মমতা অন্য দলগুলিকেও ছেড়ে কথা বলছেন না । এক জনসভায় বলরেন ‘সিপিএম মুখ। কংগ্রেস, বিজেপি মুখোস। কিছু বলার নেই বলে খালি কুৎসা ! ব্যক্তিগত আক্রমন ! খালি মিথ্যে কথা ! নোংরা রাজনীতি আমি করি না । মনে রাখবেন, সব কথা বলা যায় না। ’ মমতার কথা মাটিতে পরার আগেই সিপিএম’র গৌতম দেব মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন । ‘প্যাথোলজিক্যালি প্রোন টু বি লায়ার। এই মহিলার ডিএনএ-গত সমস্যা আছে । যেটা হলে দেহ থেকে সত্যি কথা বেরোয় না । সত্যি কথা বলার কোন অভ্যাসই নেই । এটা উনি ইচ্ছা করে করেন বলে বলে মনে হয় না । এটা প্যাথোলজিক্যাল সমস্যা ।’ গৌতম বাবুর কথা মাটিতে পরার আগেই তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাকে নিয়ে ছড়া কাটলেন ‘জল পড়ে পাতা নড়ে। পাঘলা গৌতম মাথা নাড়ে । রকের (আড্ডার) ভাষায় বলছি, নেরেন্দ্র মোদী যদি বাপের ব্যাটা হন, অভিযোগ (মমতার ছবি বিক্রি সংক্রান্ত) প্রমান করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াই থেকে সরে দাঁড়াবেন । সিপিএম রাজনীতি ছাড়বেন ।’
মোদী গেলেন কংগ্রেসের একেবারে উঠানে, উত্তর প্রদেশের আমেতিতে । সকলকে জানিয়ে দিলেন গুজরাতের মতো উন্নয়ন করতে হলে ৫৬ ইঞ্চি ছাতি দরকার (মোদীর ছাতি বড়জোর ৪০ ইঞ্চি হবে) । সোনিয়া কন্যা প্রিয়াঙ্ক বাড়ী হতে বের হয়ে জোড় গলায় বললেন ‘উন্নয়নের জন্য ৫৬ ইঞ্চি ছাতির বদলে প্রয়োজন ধৈর্য আর সংযম ।’ মোদী রাহুলকে সম্বোধন করেন ‘শাহজাদা’ বলে । এতে তিনি গান্ধী-নেহেরু পরিবার ভারতে রাজতন্ত্র বা পরিবারতন্ত্র কয়েম করছেন বলে প্রচার করেন । ভারতের বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানি আন্দ্রে বেতেই (Andre Beteille) বর্তমান লোক সভা নির্বাচন নিয়ে ৩০ তারিখের আন্দদবাজার পত্রিকায় লিখতে গিয়ে লিখছেন ‘এদেশর নির্বাচনে নীতির কোন গুরুত্ব নেই । ব্যক্তি, পরিবার, সম্প্রদায় এখানে গুরুত্বপূর্ণ । প্রচারের বিতর্কেও ধরা পড়েছে সেই ছবি । অমর্ত্য সেন ভারতীয়তের ‘তর্কপ্রিয়’ বলেছেন বটে । কিন্তু সে তর্কেও চেহারা কতটা সদর্থক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হয় । । সত্যি কথা বলতে কী রাজনীতি ঘিরে যে কাজটি এখন চলছে,তাকে তর্ক না বলে ‘একচেঞ্জ অফ অ্যাবিউস’ বলায় বোধহয় শ্রেয় । এখান তর্ক হয় না । যদি বা তর্কের আবহ তৈরি হয়, নিমষে সেটা বদলে যায় গ্রাম্য গালাগালে ।’ মোদীর ৫৬ ইঞ্চি ছাতি তত্বকে তিনি ‘মাসকিউলার গণতন্ত্রেও সাথে তুলনা করে বলছেন ‘এই ছাতি বিতর্কে আমি প্রিয়ঙ্কার পক্ষেই থাকবো ।’
১৬ তারিখের পর কে বসবেন দিল্লির মসনদে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব একান্ত ভাবে গান্ধী-নেহেরুর উত্তরসূরি ভারতবাসীর । তারাই ঠিক করবেন এই উঠতি পরাশক্তি কি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে নাকি উল্টো পথে যাত্রা করবে । তবে একটা জিনিষ আমাকে অবাক করলো তা হলো বাংলাদেশের মতো এদেশে তেমন কোন সুশিল গোষ্ঠির অস্থিত্ব টের পাওয়া গেল না ।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ভারতে । মে ২, ২০১৪

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]