[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

উনত্রিশ ডিসেম্বর কি নরক গুলজার হবে?

 

প্রফেসর আবদুল মান্নান

গত মঙ্গলবার বেগম জিয়ার সংবাদ ব্রীফিংএর পর দেশের ভিতর ও দেশের বাহির হতে অনেকে টেলিফোনে ও ব্যক্তিগত আলাপে বিরামহীন ভাবে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ রোববার রাজধানী ঢাকায় কী হবে ? ঘটবে কী গত ৫ই মে’র হেফাজতের ঢাকা দখলের মতো চরম নৈরাজ্য আর পবিত্র কোরাণ শরিফ পোড়ানোর মতো বহ্নুৎসব । রক্ষা পাবে কী বঙ্গভবন আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বা সচিবালয় ? শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন । তারা শুনেছে সাতক্ষিরায় নাকি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের জন্য জামায়াত কবর খুড়ে রেখেছে । পেট্রোল বোমায় কী কাতারে কাতারে মানুষ হত্যার মহোৎসব চলবে? ২০০৮ সালের এই দিনে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি’র সূর্য সেবারের মতো অস্তমিত হয়েছিল । সে দিনটির স্মরণে বেগম জিয়া গত মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ করার জন্য দেশের সকল সক্ষম ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন । এই লং মার্চের তিনি নাম দিয়েছেন ’গণতন্ত্রের অভিযাত্রা,’ (March for Democracy) । এরশাদ পতনের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের অধীনে দেশে সাধারণ নির্বাচন ঘোষিত হলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত সাংষ্কৃতিক কর্মীরা একই নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সফর করেছিলেন । তাদের শ্লোগান ছিল ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব, কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের দেব না ।’
বেগম জিয়ার এই বারের এই কথিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ৫ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে । বেগম জিয়া এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট গত দু’বছর ধরে দাবি করে আসছেন দশম সংসদ নির্বাচনটি অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে । দেশের উচ্চ আদালত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করার পূর্ব পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের রেওয়াজ তাই ছিল কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই বিধানটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক বলে তা বাতিল করে দিয়েছেন এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাটি ১৯৭২ সনের সংবিদধানে দেয়া পদ্ধতিতে ফেরত গেছে । তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধানটির বিরুদ্ধে রীট মামলাটি করেছিলেন জনৈক এ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেই ২০০৫ সালে যখন বেগম জিয়ার সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় । তখন এর বিরুদ্ধে সরকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেয় নি । মামলার শুনানি হওয়ার পূর্বে বাদির মৃত্যু হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান গং । দীর্ঘ শুনানির পর আদালত তার রায় দেন এবং ব্যবস্থাটি বাতিল করেন । তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বিএনপিতে এত সব জাঁদরেল ব্যারিস্টার থাকতেও সেই রায়ের বিরুদ্ধে কেউ কোন রিভিউ মামলা দায়ের করেন নি । অথচ জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার রায় শেষ মুহূর্তে স্থগিত করার জন্য এই ব্যারিস্টাররাই মধ্যরাতে চেম্বার জজের বাসায় গিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন এবং ফাঁসির আদেশ কার্যকর ৪৮ ঘন্টার জন্য স্থগিত করাতে সক্ষম হন । দেশের সংবিধান বা নির্বাচনের চেয়ে একাত্তরের একজন ঘাতককে বাঁচানোটাই তাদের কাছে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে ।
বেগম জিয়া ১৮ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দেন যার মধ্যে একমাত্র জামায়াত ছাড়া বেশীর ভাগ দলই ওয়ান ম্যান পার্টি । অবশ্য এমন কথা ১৪ দলীয় জোটের ক্ষেত্রেও সত্য । এর একটি প্রধান কারণ গত চল্লিশ বছরে আমরা যতই হৈচৈ করি বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে বাস্তবে দেশে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক দল গড়ে উঠতে পারেনি । এটি আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক সংষ্কৃতির বড় ব্যর্থতা । এক সময় দুই একটি বামপন্থি দল যেমন কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ বা ওয়ারকার্স পার্টির রাজনৈতিক দল হিসেবে দাঁড়ানোর একটি সম্ভাবনা ছিল । কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে এই সব দলের অদূরদর্শী ও তত্ত্বনির্ভর নেতৃত্বই বারটা বাজিয়েছে । একই অবস্থা পশ্চিম বঙ্গের বাম পন্থি দলগুলির ক্ষেত্রেও সত্য। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস আর মুসলিম লীগের পর উপমহাদেশে জামায়াতে ইসলামী সব চেয়ে পুরানো দল । কিন্তু তাদের কট্টর ওয়াহাবি মতবাদ নির্ভরতার কারণে জনগণের কাছে এই দলটি উপমহাদেশের কোন দেশেই গ্রহণযোগ্যতা পায় নি । কিন্তু তাদের আছে বিশাল অর্থ ভান্ডার আর আছে একদল প্রশিক্ষিত কর্মী নামের সন্ত্রাসী । ভারতে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে তারা বেশ সক্রিয় । উভয় দেশেই তাদের লালন পালন করে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই । বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে বেগম জিয়া ২৯ তারিখে যে কর্মসূচী আহ্বান করেছেন তার পুরোটাই অর্থায়ন করবে জামায়াত এবং সেই অর্থের পূরোটাই আসবে আইএসআই এর উৎস হতে । কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর হতে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের উপর বেশ ক্ষুব্দ হয়েছে এবং এই রায় কার্যকর হওয়াতে পাকিস্তানের সংসদে এই রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের উত্থাপিত একটি নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে এবং বলা বাহুল্য বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য আগামীতে পাকিস্তান আইএসআই এর মাধ্যমে বাংলাদেশে অঢেল অর্থ ব্যয় করবে । পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক আর আনুগত্যের দিক হতে জামায়াত বা বিএনপি’র মধ্যে তেমন কোন তফাৎ নেই ।

ব্রিগেডিয়ার আসিফ হারুন রাজা ১৯৭১ সনে হিলি সীমান্তে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন । অবসর নেয়ার পর তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নানা বিষয়ের উপর মন্তব্য প্রতিবেদন লিখে থাকেন । গত ২২ ও ২৫ ডিসেম্বর পাক ট্রিবিউন নামক একটি ইংরেজী অন লাইন পত্রিকায় বাংলাদেশ ও কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়া নিয়ে তার দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় । প্রথমটির শিরোনাম ছিল Yahya Khan’s contributions in East Pakistan (পূর্ব পাকিস্তানে ইয়াহিয়া খানের অবদান) আর দ্বিতীয়টির শিরোনাম Trials of War Criminals in Bangladesh (বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার) । ব্রিগেডিয়ার রাজার প্রথম লেখায় তিনি বলার চেষ্টা করেছেন পূর্ব পাকিস্তানে ইয়াহিয়া খান এত উন্নয়ন করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ আর শেখ মুজিব পাকিস্তানের সাথে কেমন করে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন । তার মতে ১৯৭০ সনে বাংলাদেশে নির্বাচনে জয়ী হতে আওয়ামী লীগ আর নেতা কর্মীরা ব্যাপক কারচুপির আশ্রয় নিয়েছিলেন । রাজার মতে মুজিব ছিলেন একজন বড় বিশ্বাস ঘাতক এবং তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মতোই প্রতিহিংসা পরায়ণ এবং সেই ধারাবাহিকতায় তিনি ৬৫ বছরের একজন বৃদ্ধ কাদের মোল্লাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন । তার দ্বিতীয় প্রতিবেদনে রাজা মন্তব্য করেছেন মুজিবের শাসনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মেজর ফারুক ও মেজর রশিদের নেতৃত্বে একটি সামরিক অভ্যূত্থানে মুজিব সপরিবারে নিহত হন কিন্তু বেঁচে যান তাঁর এক কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (আসলে দুই হবে ) । এরপর পালাক্রমে জিয়া এবং তাঁর স্ত্রী বেগম জিয়া বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসেন । রাজা লিখেছেন মুজিবের মৃত্যুর পর জিয়া হতে খালেদা সকলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাছা কাছি আনতে পেরেছিলেন । তিনি কাদের মোল্লাকে একজন দেশ প্রেমিক পাকিস্তানি হিসেবে উল্লেখ করে লিখেছেন এই দেশ প্রেমিক পাকিস্তানি দু’বার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন (ভুল তথ্য) । পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে জামায়াতের প্রধান মুনাওয়ার হোসেন কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করে যথার্থ কাজ করেছেন বলে তিনি মনে করেন । সাম্প্রতিক কালে কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা হতে এটা এখন পরিস্কার জামায়াত হচ্ছে পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক সংগঠন যারা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় রাজনীতি করেছে আর বিএনপি পাকিস্তানের কাছে একটি অত্যন্ত প্রিয় রাজনৈতিক দল ।

গত কয়েক মাস ধরে জামায়াত-বিএনপি জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে দেশব্যাপি যে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করছে আসলে তার পিছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জামায়াতের যে শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার হচ্ছে তা বানচাল করা । তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি শ্রেফ ভাওতা ছাড়া আর কিছুই নয় । বহুদিন আগেই বিএনপি’র রাজনীতি জামায়াতের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে । বিএনপি’র ভিতরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আর উদারপন্থি রাজনীতিবিদ থাকলেও তারা দলে অনেকটা কোণঠাসা । দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের কিছু বলার কোন সুযোগ নেই । ব্যক্তিগত আলাপ চারিতায় তাদের অনেকেই বলেছেন জামায়াতের খপ্পরে পরে নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা তাদের জন্য একটি বড় ধরণের কৌশলগত ভুলে পরিণত হতে পারে । যেখানে একাধিক জনমত জরিপে বলেছে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র ভাল করার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করা বোকামি বলে এদের অনেকেই মনে করেন ।
আন্দোলনের নামে গত কয়েক মাস জামায়াত শিবির এবং কোন কোন এলাকায় বিএনপি ও ছাত্রদল আর যুবদল নজির বিহীন তা-বে প্রায় দেড়শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে । এদের মধ্যে অর্ধেককে পেট্রোল বোমা মেরে নৃশংসভাবে আহত বা হত্যা করা হয়েছে । তাদের মধ্যে যেমন আছে নিম্ন আয়ের মানুষ তেমন আছে শিশু ও শারীরিক প্রতিবন্ধী । জানমালের ক্ষতি হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার । সরকারি অফিস, রেল ষ্টেশনে আগুন দিয়েই দূর্বৃত্তরা ক্ষান্ত হয়নি তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে রেল লাইন উপড়ে ফেলে ট্রেন লাইনচ্যুত করে জনজীবনকে সম্পূর্ণ বিপর্যস্থ করেছে । প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্থ করেছে । এমন কী অবুঝ পশুও তাদের হাত হতে রেহায় পায়নি । এবার তাদের হামলার প্রধান টার্গেট ছিল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী । এদের হাতে এই পর্যন্ত নিহত হয়েছেন এই বাহিনীর পনেরজন সদস্য । এটিও একটি নজির বিহীন ঘটনা । ১৯৭১এ এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মানুষ দেখেনি । যদিও এই সব ঘটনার পিছনে মূল চালিকা শক্তি জামায়াত শিবির কিন্তু যেহেতু তারা বেগম জিয়ার নির্দেশে তাদের এই সব কর্মকা- পরিচালনা করেছে সেহেতু এই দেশ ও জনগণ বিরোধী সকল কর্মকান্ডের দায় দায়িত্ব বেগম জিয়াকেই নিতে হবে । সার্বিক বিচারে ২৯ তারিখ বেগম জিয়ার ডাকা তথাকথিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হবে তা ভাবার কোন কারণ নেই । অন্তত অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে । বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করতে চাইলেও জামায়াত শিবির তা করতে দেবে না । তাদের সঙ্গে জুটেছে হিজবুত তাহরীর আর হেফাজত । সম্ভব হলে তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল হতে শুরু করে সচিবালয় পর্যন্ত আক্রমণ করতে পারে । তাদের উদ্দেশ্য যে কোন উপায়ে এই বিচার কাজ বানচাল করা । কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে তারা দেশে এবং আন্তর্জাতিক ভাবে এই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল তাতে তারা ব্যর্থ হয়ে এবার একটা মরণ কামড় দেবেই । সুতরাং এই সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে । যারা মনে করেন এবারের এই অনিবার্য সংঘাত ক্ষমতার জন্য দুই মহিলার লড়াই তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন । এটি কোন দুই মহিলার ক্ষমতার লড়াই নয় এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ । ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার নামে ঢাকায় কোন সমাবেশ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এটি নিশ্চয় তারা তাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিয়েছে । দেশের মানুষের জানমাল রক্ষা করা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব । বেগম জিয়া সব সময় বলে থাকেন গত কিছুদিন ধরে দেশে যে জানমালের ক্ষতি হয়েছে তা সরকারি দল এবং তাদের দোসররা করেছে । ২৯ তারিখ যদি এমন কোন কর্মকা- ঘটার সম্ভাবনা দেখা দেয় এবং তার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরতম ব্যবস্থা নেয় নিশ্চয় বেগম জিয়া বা তার দলের কোন আপত্তি থাকবে না আশা করি । দেশের মানুষ শান্তি চায় । রাজনীতির আড়ালে দেশ ও জনগন বিধ্বংসী কর্মকান্ডের কর্মসূচী কোন দেশেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না । ২৯ ডিসেম্বর দেশের মানুষ দেখতে চায় না বাংলাদেশের রাজধানি ঢাকায় আন্দোলনের নামে কেউ নরক গুলজার করুক । সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক । সকল পাঠককে খ্রীষ্টীয় নব বর্ষের শুভেচ্ছা । প্রত্যাশা করবো ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে ।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]