[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

শিক্ষকদের আচরণ শিক্ষকসুলভ হওয়া প্রত্যাশিত

 

 

প্রফেসর আবদুল মান্নান

‘ছাত্র-ছাত্রীদের পদভারে মুখরিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ । সোমবার সকালের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এই সংবাদটি ছাপা হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন ছাত্র ছাত্রীদের পদভারে মুখরিত হবে সেটি কোন সংবাদ হওয়ার মতো বিষয় নয় তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে হলো কারণ দেশের এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে কোন ছাত্র সংগঠনের মারামারি খুনাখুনির জন্য নয় বরং তাদের শিক্ষকদের একাংশের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নির্বাচিত উপাচার্যকে বা তাঁর কাজকে অপছন্দ সেই কারণে । তাদের ভাষায় উপাচার্য নিয়মিত বিভিন্ন অনিয়ম এবং শিক্ষকদের সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তি করেন । সুতরাং তার প্রতিবাদ করতে হবে এবং সেই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তারা উপাচার্যকে তার দপ্তরে টানা ৮৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ রাখেলেন। এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা । অন্য রকমের আর একটি অভূতপূর্ব ঘটনাও কয়েকদিন আগে রাজধানী ঢাকা শহরে ঘটেছে । একজন কিশোরী তার বাবা মা’র উপর ক্ষুব্দ হয়ে তাঁদের বুকে চাকু চালিয়ে দু’জনকেই হত্যা করেছে । চিন্তা করছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক মিলে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে খুন করলো কী না সে প্রসঙ্গ নিয়ে । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে ছেড়ে একটু ফ্ল্যাসব্যাক করে পাঠকদের ১৯৯১ সনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যেতে চাই ।
১৯৯০ সালের ৬ নভেম্বর গণ আন্দোলনের তোড়ে স্বৈরাচার এরশাদ পদত্যাগ করলেন । ক্যাম্পাসে চাকসুর নেতৃত্বে বিজয় র‌্যালি বের হলো । তাদের সাথে একাত্মতা জানানোর জন্য সিনেট কর্তৃক বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত উপাচার্য অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন তাদের সাথে যোগ দিয়ে র‌্যালি শেষে তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় আন্দোলনে ছাত্র-শিক্ষকদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন এবং শুধু একটি বাক্য যোগ করে বললেন ‘একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা নব্বইতে বিপ্লবী সেজেছে, তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে ।’ আর যায় কোথায় ? একাত্তরে ইসলামের ধ্বজাদারী পরাজিত শত্রুদের সন্তানরা, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই ক্যাম্পাস দখল করে রেখেছে তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক যুদ্ধ ঘোষণা করলো এবং কিছুদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দিল । তালা পরলো বিশ্ববিদ্যালয় সদর ফটকে । সাধারণ শিক্ষকরা ঘোষণা করলেন তাঁরা যে কোন মূল্যে ক্লাস চালু রাখবেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক এমন কোন অযৌক্তিক আন্দোলন তারা হতে দেবেন না । ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের ২২ তারিখ তারা একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার উদ্যোগ নিলে ক্যাম্পাস দখলকারীরা তাদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীকে গুরুতর আহত করে । এর একদিন পর আহত ছাত্র নেতা ফারুকুজ্জামান ফারুক মারা যায় । সম্ভবত শিক্ষকদের উপর একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের এটি প্রথম সুপরিকল্পিত হামলা । পরবর্তীকালে এই হামলায় যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের কমপক্ষে তিনজন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন ।
তখন বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের চ্যান্সেলর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন । ঘটনা তদন্তের জন্য তিনি এক সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেন । বিচারপতি মহোদয় চট্টগ্রামে আসেন । দীর্ঘ প্রায় একমাস ধরে তিনি ঐদিনের ঘটনার বিভিন্ন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন । কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন দিতে তিনি অহেতুক বিলম্ব করেন । এরপর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট অপ্রত্যাশিত ভাবে বিজয় লাভ করে । বেগম জিয়া সরকার গঠন করার পর বিচারপতি চ্যান্সেলর বরাবর ১৯৯১ সালের আগস্ট মাসে তাঁর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন । চ্যান্সেলর দপ্তর সেই প্রতিবেদন প্রকাশ না করলেও একটি অধুনালুপ্ত ইংরেজী দৈনিক তা ফাঁস করে দেয় । জানা যায় সেই প্রতিবেদনে বিচারপতি ডিসেম্বর ২০ তারিখের ঘটনার জন্য উপাচার্য আর শিক্ষকদের একতরফাভাবে দায়ী করেছেন এবং লিখেছেন ‘ছাত্রদের অবরোধ ভেঙ্গে শিক্ষকদের ক্লাস করতে যাওয়া অনুচিৎ হয়েছে ।’ তিনি আরো মন্তব্য করেন ‘এই উপাচার্যকে রেখে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না আবার তাঁকে সরালেও সমস্যার সমাধান হবে না ।’ বিচারকের এই অদ্ভুত মন্তব্যের পর ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে ক্যাম্পাস দখলকারীরা উপাচার্যের সরকারি বাসভবনকে সাব জেল ঘোষণা করে তার বাড়ীর বিদ্যুৎ গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং তাঁকে সপরিবারে বার দিন ঐ অবস্থায় বন্দী করে রাখে । তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে একটি বাসে তাদের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে । বাসে মাইক লাগানো হয় এবং উপাচার্যের বাসভবনের দিকে তা তাক করে বার দিন বিরামহীনভাবে পালা করে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা উপাচার্যকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে । এক পর্যায়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ বদ্রুদ্দোজা চৌধূরী একজন স্থানিয় বিএনপি নেতাকে সাথে নিয়ে উপাচার্যের সাথে তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে আসেন । সেই নেতা একসময় উপাচার্যের ছাত্র ছিলেন । অবরোধকারিরা তাদের পাহাড়ি ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগতম জানায় । শিক্ষামন্ত্রী ভিতরে গিয়ে উপাচার্যকে বাইরে অবস্থানরত দূবৃর্ত্তদের দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ করার আহ্বান জানান । উপাচার্যের সাফ জবাব, তিনি একজন নির্বাচিত উপাচার্য, চারবছরের জন্য চ্যান্সেলর তাঁকে নিয়োগ দিয়েছেন । তিনি যদি কিছু দূর্বৃত্তের দাবির কাছে আত্মসমর্পন করেন তা হলে আগামীতে কোন উপাচার্যই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না । দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকার কারণে তাঁর বাসভবনের পানি এবং খাদ্য তখন ফুরিয়ে আসছিল । এরই মধ্যে বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের পরিবর্তে আবদুর রহমান বিশ্বাস রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন । ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর চ্যান্সেলর প্রফেসর আলমগীর সিরাজুদ্দীনকে বৃটিশ আমলের একটি কালাকানুন, জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট-১৮৯৭ ব্যবহার করে তাঁর দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেন । বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটি ছিল একটি কালো অধ্যায় । পরবর্তীকালে সেই বিচারপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন । বিশ্ববিদ্যালয় যখন অচল ছিল তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক যুগান্তকারী প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছিলেন । তাঁরা শহরের একটি বেসরকারি কলেজে (এমইএস কলেজ) প্রতীকী ক্লাস নেয়া শুরু করেন এবং তাতে ব্যাপক সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী অংশ গ্রহণ করে । এই কর্মসূচীতে শিক্ষক সমিতির কোন অবদান ছিল না কারণ তখন শিক্ষক সমিতির কর্মকর্তারা জামায়াত-বিএনপি ঘরানার ছিলেন । উপাচার্য নাজেহালে জামায়াত-বিএনপি ঘরানার শিক্ষকদের সহায়তা থাকলেও তা কিন্তু প্রকাশ্যে করা হয়নি ।
ফিরে আসি বর্তমানে । বাংলাদেশে ছাত্র অসন্তোষ আর সংঘাতের কারণে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়া নতুন কোন ঘটনা নয় । তবে নতুন হচ্ছে সম্পূর্ণ শিক্ষকদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া। সাম্প্রতিক কালে এই সংষ্কৃতিটা চালু হয়েছিল কিছুদিন আগে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে । তারপর তা সংক্রামক ব্যাধির মতো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়েছে । এখন মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যত না সমস্যা ছাত্র সংগঠনগুলিকে নিয়ে তার চেয়েও বেশী সমস্যা কিছু সংখ্যক শিক্ষকদের নিয়ে । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে অপসারিত হয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশ করা প্রথম উপাচার্য ডঃ শরীফ এনামুল কবির । শুনেছি তিনি তাঁর ক্ষেত্রে একজন স্বীকৃত প-িত ছিলেন । তার আমলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে । তাঁর বিরুদ্ধে একইভাবে আর একদল শিক্ষক আন্দোলন শুরু করলো এবং তাঁকে তাঁর বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হলো । সেবার তাঁরা সাথে পেল কিছু ছাত্রকে । অচল হয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয়। যারা তাঁর বিরুদ্ধে সে সময় আন্দোলন করেছিলেন তাদের আন্দোলনের আসল মতলব ব্যক্তি আর গোষ্ঠীস্বার্থ ছিল বলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ চিন্তাধারার সকল শিক্ষকই মনে করেন । মনে করা হয়েছিল ডঃ কবির গেলে আন্দোলনরত কেউ একজন তাঁর পদে স্থলাভিষিক্ত হবেন । কিন্তু সরকার তাদের সেই সুযোগ না দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী ডঃ আনোয়ার হোসেনকে উপাচার্য নিয়োগ দেন । এতে বেশ ক্ষুব্দ হন আন্দোলনকারীরা এবং প্রথমদিকে তাঁরা নতুন উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন । ডঃ আনোয়ার হোসেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অবঃ) তাহের বীর উত্তমের ভাই এবং নিজেও তাঁর সকল ভাইবোনদের মতো অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা । তিনি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কৌশল হিসেবে সকল বিধিবদ্ধ পর্ষদের নির্বাচন দিয়ে দেন এবং নিজেও সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে নির্বাচিত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শুরু করেন । তাতে স্বার্থান্বেষী মহল নিবৃত্ত হবে কেন ? কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবার নতুন উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি যার ফলে গত এপ্রিল মাস হতে থেমে থেমে বিশ্ববিদ্যালয় অচল এবং তার স্বাভাবিক পঠন পাঠনের কার্যক্রম বন্ধ । আগে এক ভাগ ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কাজটি করতো আর এখন গুটিকয়েক শিক্ষক এই কাজটি করছেন । তাহলে এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? বিভিন্ন সময় উপাচার্যরা অনিয়ম যে করেনি তা নয় কিন্তু তার প্রতিবাদ করার বিভিন্ন পর্ষদ এবং আরো ভদ্র উপায় আছে । তবে উপাচার্য আর ছাত্র ছাত্রীদের জিম্মি করে তা কোন ভাবেই কাম্য নয় । আরো পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই তথাকথিত আন্দোলনকারীদের মধ্যে নাকি কিছু স্বঘোষিত বঙ্গবন্ধুর সৈনিকও আছেন যারা আসলে দেখা গেছে বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিপক্ষকে সার্বিক সহায়তা করেছেন । এদের অনেকেরই উপাচার্য হওয়ার খায়েশ আছে কিন্তু তার জন্য কতটুকু যোগ্যতা আছে তা কখনো তারা চিন্তা করেন না ।
জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলনরত শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বৈঠক করেছেন এবং পনের দিনের মধ্যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সমূহের তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন । ভাল কথা, কিন্তু অভিযোগ গুলির যদি সত্যতা প্রমাণিত না হয় তা হলে কী হবে ? তদন্ত রিপোর্ট কী আন্দোলনরতরা মেনে নেবেন? উপাচার্য বলেছেন তিনি মেনে নেবেন । পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হয়েছে উপাচার্যকে এই পনের দিন কোন বিধিবদ্ধ পর্ষদের সভা আহ্বান করতে অলিখিত ভাবে বারণ করা হয়েছে । তা যদি সত্য হয় তাহলে তা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ যা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার হতে কাম্য নয় । বঙ্গবন্ধুই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করেছিলেন । তবে এটা ঠিক আন্দোলনের নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সংখ্যক শিক্ষক গত কিছুদিন ধরে যা করেছেন তা কোন অবস্থাতেই প্রত্যাশিত নয় এবং তা সকল সুস্থ চিন্তাধারার শিক্ষকদের লজ্জিত করেছে । এই মুহুর্তে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এই ক্যাম্পাসে সুদূরপরাহত মনে হয় ।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান উপাচার্য পরিষদ।

আগস্ট ২৭, ২০১৩

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ