|
কেমন গেল এবারের ঈদ?
প্রফেসর আবদুল মান্নান
শেষ হয়ে গেল বিশ্বে মুসলমানদের পবিত্র ও আনন্দোচ্ছল উৎসব ঈদুল ফিতর ।
পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করতে রাজধানী ছেড়েছিলেন কম পক্ষে এক কোটি মানুষ ।
তারা এখন নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন । একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে
এত বিশাল সংখ্যক মানুষের একটি শহর ছাড়া আবার সেখানে ফিরে আসা বিশ্বে
নজিরবিহীন ঘটনা । তাও সাত-দশ দিনের ব্যবধানে । ইউরোপের অনেক দেশেই এক কোটি
জনসংখ্যাই নেই । ইউরোপের সব চেয়ে ধনী দেশ নরওয়ে, তার মোট জনসংখ্যা ৪৫ লক্ষ
। প্রতি বছর রমজান আর ঈদ আসলে মানুষের মনে নানা ধরণের প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি
দিতে থাকে । কেমন থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্রের দ্রব্যমূল্য ? মানুষ
কী নির্বিঘেœ আর নিরাপদে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যেতে পারবেন ?
অনেকের জন্য ঈদের আগে বাড়ি ফেরা রীতিমত দুঃস্বপ্ন । লঞ্চ, বাস বা ট্রেনের
টিকেট, সেতো সোনার হরিণ । ডিজিটাল বাংলাদেশে ৪০% ট্রেনের টিকেট ঘরে বসে কাটা
যায় । সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর পূত্র, তাঁর আইটি উপদেষ্টা । স্বপ্ন
দেখেন বাংলাদেশ একদিন সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করবে । এই কাজে
নিরলস পরিশ্রম করেন । কিন্তু তিনি হয়তো জানেন না তাঁর চেয়েও বড় আইটি
বিশেষজ্ঞ রেলওয়েতে কর্মরত আছেন । তারা ত্রিশ সেকেন্ডে রেলের ৪০% টিকেট
বিক্রি করে দিতে পারেন । সেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় পরে আসছি ।
তো ঈদতো শেষ হলো, কেমন কাটলো এই ঈদ আমাদের এই বাংলাদেশে? এই প্রশ্ন বিভিন্ন
জনের কাছে করলে পাওয়া যাবে নানা ধরণের উত্তর । বেগম জিয়া বলেছেন মানুষের
মুখে হাসি নেই, পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই, পথে ঘাটে কোন নিরাপত্তা নেই ।
যতদিন এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না । ঈদের পর
এমন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে তাতে সরকারের পতন অনিবার্য । শেখ হাসিনা পালানোর
পথ পাবেন না । এর পরের বছর ঈদ আসার আগেই ঈদের উৎসব শুরু হয়ে যাবে । তার
কথার রেশ না ফুরাতেই দলের ভারাক্রান্ত মহাসচিব আর বিএনপি’র সিপাহী সালার
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে বললেন এই জালিম সরকারকে
উৎখাত করতে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে রাজপথে নেমে আসুন । গণঅভ্যূত্থান দোড়
গোড়ায়, ফুঁ দেয়ার অপেক্ষায় । এই ঘোষণা দিয়ে তিনি ছুঠলেন সিঙ্গাপুরে ।
যুদ্ধের ময়দানে যাওয়ার আগে শরীরটাকে একটু চেক আপ করিয়ে নেয়া যাক । সাদেক
হোসেন খোকা, বিএনপি’র এক সময়ের বড় মাপের নেতা । এক এগারর পর দেশের সব ক’জন
মেয়র জেলে গেলেও খোকা মুক্ত মানুষ হিসেবে দিব্যি খোজ মেজাজে নিজের পদে বহাল
ছিলেন । দুর্জনরা বলেন তিনি আর এক-এগারর কুশীলবরা হরিহর আত্মা ছিলেন । রাতে
কী সব সলাপরামর্শ নাকি হতো । বেগম জিয়াকে বাদ দিয়ে আরো অনেকের সাথে নতুন
বিএনপি গড়তে চেয়েছিলেন । সম্প্রতি বেগম জিয়া ঢাকা মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক
কমিটি গঠন করলে তিনি সেই কমিটি হতে ছিটকে পরেন । গত কোরবানির ঈদের আগে হুমকী
দিয়ে জনগণকে আহ্বান জানিয়েছিলেন যেন কোরবানির পর তাদের দা ছুড়ি তুলে না রেখে
সেই গুলিকে পুনরায় শান দিয় সরকার উৎখাতে রাজপথে নেমে আসেন । সর্বশেষ খবরে
জানা গেল তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে
চিকিৎসাধীন আছেন । তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি । কিছুদিন পরই আর একটি
কোরবানির ঈদ আসছে ।
রুহুল কবির রিজভী । আমার খুব প্রিয় ব্যক্তিত্ব । দলকে এমন ভালবাসেনযে দলের
কেন্দ্রীয় অফিসেই তিনি লোটা কম্বল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যা পেতেছেন । দিন
শেষে টিভি ক্যামেরার সামনে তার বয়ান নিয়ে হাজির হন । বললেন মানুষের মুখে
হাসি ফুটাতে সত্ত্বর যুদ্ধ শুরু হবে । সৈন্যরা প্রস্তুত । দাঁত মুখ খিঁচিয়ে
যখন কথা বলেন তখন বেশ ভাল লাগে । এক টিভি সাংবাদিক জানালেন রিজভী
বাংলাদেশের রাজনীতির কমিক রিলীফ । এই কথা তিনি কেন বললেন তা জানি না । এই
মুহূর্তে বাংলাদেশের বামপন্থি রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে
আমার সতীর্থ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম । ভারতে বামপন্থি রাজনীতির সূর্য অস্ত
গেলেও সেলিম বাংলাদেশে বামপন্থিদের সুদিন ফিরবে এই আশায় সমাজতন্ত্রের ঝান্ডা
ধরে বসে আছেন দীর্ঘদিন । নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসে অটল । সমাজতন্ত্র আসবেই ।
তার কাছে ঈদ কেমন গেল জানতে চাইলে বলবেন বিশ্বসাম্্রাজ্যবাদের আগ্রাসনের
থাবায় বাংলাদেশের মানুষ আজ অনেকটা দিশেহারা । তাদের আবার ঈদ কী ? তাদের কাছে
পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি । এদের মুখে হাসি ফোটাতে হলে চাই একটি শোষণ
মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা । বাসদের কমরেড খালিকুজ্জামান । বামপন্থি রাজনীতির এক
রহস্য পুরুষ । বেশ সজ্জ্বন । এই প্রশ্নের উত্তরে বলবেন বাজার অর্থনীতির ফলে
দেশেটাকে কালোটাকার মালিকরা গ্রাস করে ফেলেছেন । তাদের হাত হতে এই সমাজকে
মুক্ত না করলে ঈদে কেন, কখনো সমাজের খেটে খাওয়া মানুষদের মুখে হাসি ফুটবে
না যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ তুভা গার্মেন্টস এর শ্রমিকদের বেতন ভাতা না পাওয়ার
কারনে অনশন ধর্মঘট । আর সর্বশেষ রগকাটা রাজনীতির ঝান্ডাধারী জামায়াত । তারা
বলবেন ইসলামের দুশমন নাস্তিক শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন
এদেশে মানুষ শুধু হিন্দুদের দূর্গা পূজা ছাড়া মুসলমানদের কোন উৎসব পালন করতে
পারবেন না । এই জালেম সরকারকে উৎখাত করার জন্য ঈদের পরই আমরা পেট্রোল বোমা
নিয়ে মাঠে নামছি । ভয়ে কাঁপে না মোদের হিয়া, নেত্রী মোদের বেগম জিয়া ।
সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে এই সব প্রশ্ন করার জন্য পাওয়া যাবে
না । তার পরিবর্তে মন্ত্রী কামরুল ইসলামকে ঈদ কেমন হলো এই প্রশ্ন করলে তিনি
নির্ঘাৎ বলবেন এমন আনন্দের ঈদ মানুষ আগে আর কখনো দেখেনি । আর এক মন্ত্রী
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া । একই প্রশ্নের জবাবে বলবেন এই ঈদের খুশী আগামী
ঈদ পর্যন্ত বহাল থাকবে । কেউ তা নস্যাৎ করার চেষ্টা করলে তার দাঁত ভাঙ্গা
জবাব দেয়া হবে । আমার প্রীতিভাজন ছাত্র ডঃ হাসান মাহমুদ । কথা বলেন বেশ
গুছিয়ে । এই প্রশ্নের উত্তরে বলবেন এটা আবার কোন প্রশ্ন হলো নাকি ? মানুষের
মুখে হাসি দেখে বুঝেন না ঈদ কেমন হলো ? কেউ এই হাসি বন্ধ করতে চাইলে তা
রাজপথেই মোকাবেলা করা হবে । সব শেষে আমার বন্ধু ওবায়দুল কাদের । শীতাতপ
নিয়ন্ত্রিত অফিসের বদলে রাজপথেই থাকতেই পছন্দ করেন । সত্যিকার অর্থেই
রাজপথের রাজনীতিবিদ । অনেকে তার নাম দিয়েছেন হাঁটা বাবা । তার সমালোচকরা
বলেন পথহারা পথিক । প্রশ্নর জবাবে বলবেন জনগণ যাতে নির্বিঘেœ বাড়ী পৌঁছাতে
পারেন তার জন্য ঈদের দিনেও রাজপথে ছিলাম । কোনদিকে ঈদ আসলো আর গেল বুঝতেই
পারিনি । তবে আনন্দ এটাই সকলে নির্বিঘেœ বাড়ী পৌঁছাতে পেরেছেন । ঈদের পর
দিন আমার কয়েকজন তরুণ সহকর্মী এসেছিল আমাকে ঈদের সালাম করতে । আমার কাছে
জানতে চাইলো ‘আপনার বন্ধুর ঘর বাড়ী নেই নাকি?’ বলি, কেন? তারা জানালো শহরে
আসার সময় দেখে এসেছে চট্টগ্রাম-হাটহাজারি রোডের সম্প্রসারণ কাজ তদারক করছে
বন্ধু ওবায়দুল কাদের । বেশ ভাল লাগলো । এই না হলে মন্ত্রী । শেখ হাসিনার
মন্ত্রী সভায় এমন আরো দুচারজন মন্ত্রী প্রয়োজন । অবশ্য আমার এই বক্তব্যের
সাথে অনেকেই একমত হবেন না । অনেকে বলেন মন্ত্রীর কাজ রাস্তায় লাফালাফি করা
নয় ।
আসলে কেমন গেল এবারের ঈদ বা রমজান? নির্মোহ ভাবে চিন্তা করলে বলতে হয়
নিশ্চয় ভাল গিয়েছে, তবে আরো ভাল যেতে পারতো । রমজানের প্রথম দিকে কিছু কিছু
তরিতরকারির দাম বাড়লেও মোটামুটি বেশীর ভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য
স্থিতিশীল ছিল । প্রথম দিকে বেগুন, শসা, কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও সপ্তাহ
দু’একের মধ্যে তা কমে এসেছিল । তেল, পেঁয়াজ, চিনির জন্য মানুষকে হাহাকার
করতে হয় নি । ইফতারের পরের দু’ঘন্টা ছাড়া ঢাকা শহরের যানজটের তেমন একটা হের
ফের হয় নি । আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন কোন অবনতি হয় নি । দু’একটা ছিনতাই
হয়েছে । ব্যাংকের কলমানি রেট স্বাভাবিক ছিল । ঈদের ছুটির আগের দিন তা একটু
বাড়তি ছিল, তবে তা অস্বাভাবিক ছিল না । অধিকাংশ ব্যাংক গ্রাহকদের চাহিদা মতো
নতুন নোট সরবরাহ করতে পারে নি তবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্পটে নতুন
নোট প্রকাশ্যে বেচা কেনা হয়েছে । লঞ্চ, ট্রেন, বাসে যাত্রীরা বাদুর ঝোলা হয়ে
বাড়ী ফিরেছেন কিন্তু কোন দূর্ঘটনা হয় নি । এই ভাবে বাড়ী ফেরার দৃশ্য
বিশ্বের বেশ কয়েকটা গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে । ট্রেনের টিকেট পেতে মানুষের
সব চেয়ে বেশী ভোগান্তি হয়েছে চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশনে । সুর্বণ ট্রেন যোগে
অনলাইনে আমার ফিরতি টিকেট কাটার জন্য সকাল সাড়ে আটটা হতে দু’টি কম্পিউটারে
লগ ইন করে দোয়া দরুদ পড়ে বসে আছি । নয়টায় খুলবে । যখন অনলাইন সার্ভিস চালু
হলো টিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিলাম । কম্পিউটার বললো ‘পারচেজ’। মনে মনে
বলি ‘আলহামদুল্লিাহ’ । ক্লিক করলে উভয় কম্পিউটারই জবাব দেয় ‘ইন্টারনাল এরর’,
মানে ভিতরের গোলমাল । এক মিনিটের কম সময়ের ব্যবধানে আবার চেষ্টা । এবার
কম্পিউটার জানালো ওই ট্রেনের অনলাইনের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে । এবার বলি
‘সুবাহান আল্লাহ’ । প্রধানমন্ত্রীর আইটি বিষয়ে উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় কী
জানেন তার চেয়েও বড় আইটি বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশনে বসে আছেন ? আমার
সহকর্মী মাসুদ টাঙ্গাইলে গিয়েছিল ঈদ করতে । বললো ভাই এই সড়কটির যানজট যে
কখন দূর হবে তা কী আপনার বন্ধু যোগাযোগ মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইতে পারেন?
তাকে বলি, চেষ্টা করবো ।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবার মানুষ ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঈদের বাজারে খরচ
করেছে যা গতবারের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশী । এতে বুঝতে হবে
দেশে নুন আনতে পান্তা ফুরায় নিম্ন বিত্ত অথবা নিম্ন মধ্যবিত্তের সংখ্যা
দ্রুত কমে আসছে । সব মিলে পত্রিকায় খবর দিয়েছে ঈদের কেনাকাটা বেড়েছে ১০ থেকে
১৫ শতাংশ । আমার স্নেহভাজন সাংবাদিক বাহার তার বাড়ী নোয়াখালি গিয়েছিল । ফিরে
এসে জানালো তার এলাকায় এখন দু’টি চীনা খাবারের দোকান । বিউটি পার্লার আছে
দু’টি । ঈদের আগে মেয়েরা গিয়ে এপয়েন্টমেন্ট করে এসেছে । ঈদের আগে রাত
দেড়টায় একটি টিভির অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফিরছিলাম । বাসার কাছে একটি শুধু
মুরগীর মাংসের রোস্ট বিক্রির রেঁস্তোরার সামনে দেখি শ’খানেক গাড়ীর ভীড় ।
টিভির গাড়ীর গতি শ্লথ হলে জানলা দিয়ে একজনের কাছে জানতে চাই ‘ভাই এখানে কী
হচ্ছে ?’ ভদ্রলোক বলেন সেহেরী পার্টি । আমারতো আক্কেল গুড়–ম । পরদিন আমার
এক সহকর্মীকে এই অভিজ্ঞতার কথা বললে তিনি জানালেন এতে অবাক হওয়ার কী আছে ?
এখন রমজানের সময় কোন বিয়ের অনুষ্ঠান হলে মেহেদী অনুষ্ঠান হয় রাত বারটায় ।
তারপর সেহেরী খেয়ে সকলে বাড়ী ফিরেন । অনেকের অগোচরে কখন যে বাংলাদেশ বদলে
গেল বুঝতেই পারলাম না । ঈদের ছুটির আরো খবর আছে । দেড় লক্ষ পর্যটক এবার
দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে ভীড় করেছিলেন । ৩১জুলাই হতে ৩
আগস্ট পর্যন্ত নাকি কক্সবাজারের কোন হোটেল, গেষ্টহাউজে রুম খালি নেই । রুম
ভাড়া বাবদ মালিকদের দৈনিক আয় দশ লক্ষ টাকা । রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, সিলেট
গিয়ে অনেকে থাকার জায়গা না পেয়ে ফিরে এসেছেন । সুন্দরবনে পর্যটকদের হৈ চৈ’এ
বাংলাদেশের বাঘ তাদের ভারতীয় আত্মীয়স্বজনের কাছে বেড়াতে গিয়েছে । এ’বৎসর
পর্যটন কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে প্রায় চব্বিশ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে যা
আমাদের মোট জাতীয় আয়ের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ । আর যারা দেশে ঈদ করতে করতে
ক্লান্ত তাদের মধ্যে দুই লক্ষ এবার দেশের বাইরে ঈদ করেছেন । কয়েকদিনের মধ্যে
সব কিছুর সম্পূর্ণ হিসাব জানা যাবে । সব শেষে চিন্তা করি বেগম জিয়ার পূর্ব
ঘোষিত ঈদের পরের আন্দোলনের কী হবে ? মানুষ কী আন্দোলনের নামে আবার ২০১৩ এর
সেই ভয়াবহ দিনে ফিরে যেতে চাইবেন ? নাকি বেগম জিয়া সময় থাকতে দল গুছিয়ে
পরবর্তি নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন । আমাদের অঞ্চলে প্রবাদ আছে সবুরে
মেওয়া (ফল) ফলে ।
লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । ২ জুলাই, ২০১৪
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|