প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

 

‘আমি লাল সবুজের দেশ, তুমি সূর্যোদয়ের দেশ’

 


প্রফেসর আবদুল মান্নান

‘একই বৃন্তে শাপলা আমি/তুমি সাকুরা/সুখে দুখে মিলে আছি/বন্ধু আমারা/তোমার এই বন্ধন/হবে নাকো শেষ/আমি লাল সবুজের দেশ/তুমি সূর্যোদয়ের দেশ।’ না, এটি কোন বাঙালি গায়কের গান বা কবির কবিতা নয় । এটি জাপানী নাগরিক তাকিও উজাওয়ার গাওয়া একটি গান । উজাওয়া যখন গানটি গত ২৮ মে টোকিও’র আকাসাকা রাজ প্রাসাদে আমাদের কয়েক জনকে তার ছোট্ট গিটার বাজিয়ে শোনালেন তখন রাজ প্রাসাদের উপরের তলায় তাঁর কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তুতি নিচ্ছেন চার দিনের সরকারি সফর শেষে টোকিও ত্যাগের । মাঝপথে তিনি কিছু সময় কাটাবেন টোকিওতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে । নীচে অন্য আর একটি কক্ষে তাঁর মালপত্র গোছানো হচ্ছে । তাকিও উজাওয়া জাইকার একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাংলাদেশে কয়েক বছর কাটিয়েছেন, শিখেছেন বাংলা, মনে করেন বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় আভাসভূমী । বাংলাদেশে তার বন্ধুরা তার নাম দিয়েছে চান্দু ভাই । চান্দু ভাই এখন টোকিও’র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় অধ্যাপনা করেন । আমাদের মনে করিয়ে দিলেন তিনি বিয়ে করেন নি বলে যেন মনে করা না হয় তিনি এখনো কম বয়সী একজন তরুণ । কাছে গিয়ে জানতে চাই কেন বিয়ে করেন নি ? তার সোজা সাপ্টা উত্তর, জনসেবা করতে করতে সময় পাওয়া যায় নি । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান আসছেন সে জন্য তার প্রাসাদে ডাক পড়েছে । যদি প্রধানমন্ত্রীর কোন কারণে বাংলা জানা মানুষের প্রয়োজন হয়? আমাদের চান্দু ভাই এক কথায় রাজি । শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এখনো জাপানের সাধারণ মানুষের কাছে একটি পরিচিত নাম । বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় তাকে নিয়ে সে দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন অস্কার বিজয়ী চলচিত্র নির্মাতা ওসিমা । জানতে চাই উজাওয়া বাংলাদেশী মেয়ে বিয়ে করবেন কি না? তার চেহারাটা একটু লাল হয়ে উঠে । মুখে হাঁসির ঝিলিক খেলে যায় । বলেন বাংলাদেশী মেয়েরা খুব ভাল । প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ আবদুল মালেক দায়িত্ব নিলেন তিনি নিজে চান্দু ভাই’র জন্য বাংলাদেশে কন্যা খুজবেন । আমি নিশ্চিত যতদিন এই বিষয়ে একটি সুরাহা না হচ্ছে ততদিন চান্দু ভাই অপেক্ষা করবেন ।
শেখ হাসিনার জাপানে এটি তৃতীয় রাষ্ট্রীয় সফর । প্রথমটি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে, পরেরটি ২০১০ সালে । ১৯৯৪ সালে তিনি বিরোধী দলের নেতা হিসেবে প্রথমবার জাপান সফর করেছিলেন । এবারের শেখ হাসিনার জাপান সফরটি নানা কারণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ । বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সনের অক্টোবর মাসে জাপানে সফর করেন । এর আগে তিনি পশ্চিম বঙ্গ আর মস্কো সফর করেন । জাপান সফরে সন্তান হিসেবে সঙ্গী হয়েছিল শেখ রেহানা আর শেখ রাসেল । এবার প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী একশত জনের উপর যার অর্ধেকেরও বেশী ব্যবসায়ী প্রতিনিধি । ছিলেন না পরিবারের কেউ । ব্যবাসায়ীরা সকলে নিজ খরচে জাপান গিয়েছেন । সাংবাদিক গিয়েছেন বেশ গোটা দশেক । এদের মধ্যে দু’তিন জন ছাড়া সকলে নিজ খরচে । বাকিরা সকলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের ষ্টাফ আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা । আছেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্তব্যরত ব্যক্তিরা । এর পূর্বে বাংলাদেশ হতে যতজন সরকার প্রধান জাপান সফর করেছেন তাঁরা সকলেই তারকা খচিত হোটেলে থেকেছেন । এবার শেখ হাসিনার থাকার ব্যবস্থা হয়েছে জাপানের দুটি রাজকীয় অতিথিশালার একটি, আকাসাকা রাজ প্রাসাদে । ১৯০৯ সালে নির্মিত আকাসাকা রাজ প্রাসাদে একসময় ক্রাউন প্রিন্স থাকতেন যা বর্তমানে রাজকীয় অতিথিশালা হিসেবে ব্যবহার করা হয় । এই অতিথিশালার প্রথম অতিথি ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড । আকাসাকা প্রাসাদে তিনটি জি-৮ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । এ ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয়ছে এপেক সম্মেলন । প্রাসাদের চারপার্শের নিরাপত্তা বেষ্টনি অনেকটা হাইটেক । আমাদের দেশের মতো অসংখ্য পুলিশ আর নিরাপত্তা কর্মকর্তা চোখে পরে না । প্রবেশকারিদের কাছে থাকে একটি ছোট ব্যাজ । ওটা থাকলেই যে কেউ প্রবেশ করতে পারে প্রাসাদে । সেটি যদি অননুমোদিত হয় তা হলে ঘটে যেতে পারে বিপত্তি । ফেরার সময় আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আমার কাছে বার বার জানতে চাইছিলেন আমার ব্যাজটা ফেরত দিয়েছি কি না । তা না হলে তাদের অনেক ঝক্কি পোহাতে হবে । এই ব্যাপারে আমি বেশ সতর্ক ।
এটি শেখ হাসিনার সরকার প্রধান হিসেবে তৃতীয় জাপান সফর হলেও এই সফর নানা দিক দিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ । ভারত ছাড়া ১৯৭১ সালে যে কটি দেশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সরাসরি সহায়তা করেছে তার মধ্যে জাপান অন্যতম । সে সময় জাপানের স্কুল শিশুরা তাদের পকেট খরচ হতে অর্থ সংগ্রহ করে ভারতের শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য সাহায্য পাঠিয়েছে । সাধারণ জনগণের ও সরকারের সহমর্মিতাতো ছিলই একাধিক আন্তর্জাতিক ফোরামে জাপান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছে । জেনারেল ইওয়াচি ফুজিওয়ারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মা ফ্রন্টে বৃটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন । পরে তিনি জাপানের সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা অফিসার ছিলেন । একাত্তরে তিনি ঠিকই জানতেন বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের কি প্রকারের সাহায্য সহায়তা প্রয়োজন । তিনি স্বদ্যোগে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহারের জন্য বেতার যন্ত্র পাঠিয়েছিলেন । এরা সকলেই বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু । শেখ হাসিনা ২৫ তারিখ রাতে এই বন্ধুদের জনা কুড়িকে আকাসাকা প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নৈশ ভোজে । এসেছিলেন সকলে । আরো এসেছিলেন ওই অঞ্চলের গভর্নর কিইজো হামাদা । জেনারেল ফুজিওয়ারা ১৯৮৬ সনে প্রয়াত হয়েছেন । ফুজিওয়ারার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন তার নাতনি ডঃ কানা তোমিজাওয়া । ডঃ তোমিজাওয়ার পিতা জেনারেল হিকারু তোমিজাওয়া জাপান সেনা বাহিনীর প্রধান হিসেবে অবসর নিয়ে টোকিওতেই থাকেন । ভোজের পূর্বের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করলেন একাত্তরে আমাদের মুক্তি সংগ্রামে জাপানের জনগণের অসামান্য অবদানের কথা । বলতে ভুললেন না জাপান বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী এবং চিরদিনের বন্ধু । বললেন জাপানের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষ যদি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে না দাঁড়াতো তা হলে বাঙালির মুক্তির জন্য যুদ্ধ আরো কঠিন হতো । তিনি সকলকে মনে করিয়ে দিলেন সকল বাধা বিপত্তি দূরে ঠেলে তিনি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরু করেছেন এবং তা তিনি শেষ করবেন । শেখ হাসিনার টেবিলে ছিলেন জেনারেল ফুজিওয়ারার স্ত্রী আর তার নাতনি ডঃ তোমিজাওয়া । শেখ হাসিনা তোমিজাওয়াকে তার ঢাকায় গাওয়া বাংলা গানটি সকলকে শুনাতে অনুরোধ করলেন । উল্লেখ্য বাংলাদেশ যখন মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিদেশী অতিথিদের সম্মাননা জানায় তখন ডঃ তোমিজাওয়া তার দাদির সাথে বাংলাদেশে এসেছিলেন । ডঃ তোমিজাওয়া একটু ইতস্ততঃ করে বললেন তিনি গাইবেন এক শর্তে, তার সাথে সকলকে গাইতে হবে । তিনি সেই বহুল প্রচারিত ‘আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাঙালির গান গাই’ শোনালেন । শেখ হাসিনা সহ আমরা সকলে তার সাথে বেসুরা গলায় গলা মিলালাম । সে দিনের সন্ধ্যাটি ছিল সত্যিকারের অর্থে একটি সোনাঝরা সন্ধ্যা । আমার পাশে বসেছিলেন জাইকার প্রেসিডেন্ট ডঃ আকিহিকো তানাকা । ডঃ তানাকা মন্তব্য করলেন বাঙালিদের মতো এত পরিশ্রমী জাতি তিনি কম দেখেছেন । একটু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে আর সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে উন্নয়নশীল বিশ্বের একটি রোল মডেল । এর সাথে দ্বিমত করার কোন অবকাশ নেই ।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফর নানা দিক দিয়ে আগের যে কোন বারের চেয়ে সফল । আনুষ্ঠানিক কর্মসূচীর শুরুতেই ২৬ তারিখ সকাল নয়টায় আকাসাকা প্রাসাদের বিশাল প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাপানের যৌথ বাহিনী গার্ড অব অনার দিল । গার্ড পরিদর্শন করলেন দুই প্রধানমন্ত্রী । উপস্থিত ছিলেন গোটা পঞ্চাশ স্কুল শিশু আর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের বারজন প্রতিনিধি । শুরুতেই সেনা বাহিনীর ব্যান্ডে  দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত। বিদেশে একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ‘আমার সোনার বাংলা‘ শুনতে কার না ভাল লাগে ? রাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সরকারি বাসভবনে রাষ্ট্রীয় ডিনার । শুরুতেই অর্কেস্ট্রায় সঙ্গীতের মূর্ছনা । ডাইনিং রুমে ঢুকতেই এক স্বর্গীয় পরিবেশে বেজে উঠলো ‘ধন ধান্য পুুষ্প ভরা ।’ সে আর এক অনুুভূতি । আমন্ত্রিত অতিথি সর্বসাকূল্যে একশত হবে । ডিনারের মাঝপথে শেখ হাসিনা তাঁর সফর সঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দিলেন । আমার সামনে এসে বললেন ‘উনি শিক্ষক, পত্র পত্রিকায় লেখা লেখি করেন । জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানতে চান কী নিয়ে লিখি? বলি শিক্ষা, রাজনীতি সমসাময়িক ঘটনা । মন্তব্য করেন নিশ্চয় খুব ব্যস্ত মানুষ । আমাদের প্রধানমন্ত্রী হাসেন । কত ব্যস্ত বা ব্যস্ত না তা কী আর বলা যায় ?
এখানেও এই সফরে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষর হলো । জাপান আগামী চার হতে পাঁচ বছর মেয়াদে বাংলাদেশে সহজ শর্তে বিভিন্ন প্রকল্প খাতে প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে । অন্যান্য সহায়তা বাবদ আরো ১.২ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে । জাপানে উচ্চ শিক্ষার জন্য জাপানি বৃত্তি বাড়বে । আর ১৯৭২ হতে ২০১৩ সন পর্যন্ত, চল্লিশ বছরে জাপান হতে বাংলাদেশে পেয়েছে ১১.২২ বিলিয়ন ডলার । প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশে বিভিন্ন বড় বড় অবকাঠামোগত খাতে বিনিয়োগের । জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন । ২০২০ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব অলম্পিক । সেই সময়ের নির্মান কাজে প্রয়োজন হবে অনেক শ্রমিকের । প্রধানমন্ত্রী বলতে ভুলেন নি সেই শ্রমিকের একটি বড় উৎস হতে পারে বাংলাদেশ । বাংলাদেশ অঙ্গিকার করেছে জাপানি বিনিয়োগকারিদের জন্য আমাদের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে চল্লিশটি প্লট রিজার্ভ করে রাখবে আর এ ছাড়াও জাপানি বিনিয়োগকারিদের জন্য দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে । তবে একটা কথা বলে রাখা ভাল, আর্থিক সহায়তা পাওয়াটা বড় কথা নয় তা ব্যবহার করার সক্ষমতাই বড় কথা । এই যায়গায় বাংলাদেশের করার আছে অনেক কিছু ।
বিদায়ক্ষণে প্রধানমন্ত্রীকে বাঙালিদের দেয়া এক সংবর্ধনায় অনেক প্রবাসী বাঙালি ব্যক্তিগত ভাবে এসে জানালেন জাপানিরা দূর্নীতির ব্যাপারে খুবই ষ্পর্শকাতর । জানাতে ভুললেন না এক পদ্মাসেতুর দূর্নীতির কথিত ষড়যন্ত্রে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনামের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে । তাদের বলি এই ষড়যন্ত্র আবিষ্কারে বাংলাদেশেরও একটি মহল খুব সূক্ষভাবে জড়িত ছিল যা এখন পরিষ্কার । তারা মনে করিয়ে দেয় শুরু হতেই এই ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে । একটি কথা না বললেই নয়, জাপানে বাংলাদেশের দূতাবাসে কর্মরত তরুণ বাঙালি অফিসাররা এই সফর সফল করার জন্য রাতের ঘুম হারাম করেছিল । তাদের সেই পরিশ্রম বৃথা যায় নি । তবে জাপানে অবস্থানরত বাঙালিদের দেয়া প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির প্রতি আরো একটু বেশী নজর দেয়ার প্রয়োজন ছিল । ২৮ তারিখ মধ্য রাতে টোকিও’র হানেদা বিমানবন্দরে অবস্থানরত বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ বিমানে উঠার আগে সকলকে হাত নেড়ে যখন বললাম ‘সাইওনারা’ তখন মনটা একটুতো ভারি হয়ে গিয়েছিল ।তবে আশা করছি চান্দু ভাইয়ের সাথে আবার দেখা হবে, এই বাংলাদেশে, হয়তো নতুন কোন পরিবেশে !

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । জুন ১, ২০১৪

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]