প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

@

@

@

@

@

@

হাসিনা-মোদী কী নিয়ে কথা বলবেন?

@


প্রফেসর আবদুল মান্নান

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ হবে দুfদেশ হতে অনেক দূরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, এই শনিবার, ২৭ সেপ্টম্বর । দুই প্রধানমন্ত্রীই তখন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করবেন জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভা উপলক্ষে । এরই মধ্যে দুই প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ শেষ করবেন । এই ভাষণ সাধারণত সংক্ষিপ্ত হয়, বড়জোর পনের মিনিট । এটি হবে জাতি সংঘে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম ভাষণ । শেখ হাসিনার জন্য নতুন নয় । নরেন্দ্র মোদীর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সাক্ষাৎ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন । অথচ মোদী যখন শ্রেফ গুজরাটের মূখ্য মন্ত্রী ছিলেন তখন যুক্তরাষ্ট্র তাকে কালো তালিকা ভূক্ত করে বলেছিলো মোদীকে কখনো সে দেশ ভ্রমণ করার জন্য ভিসা দেয়া হবে না, কারণ ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সাথে তিনি সম্পৃক্ত, যা তিনি সব সময় অস্বীকার করেছেন । গত লোকসভা নির্বাচনে মোদীর দল বিজেপি ধ্বস নামানো বিজয় অর্জন করলে তাঁকে অভিনন্দন জানানোর জন্য প্রথমেই ছুঠে যান ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল । বলেন কখন আপনি যুক্তরাষ্ট্র যেতে চান বলবেন আমরা সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি । রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু মিত্র বলতে কেউ নেই তা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে আর কে ভাল জানে?
জাতি সংঘে ভাষণের পর দুই প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন । তবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই দুই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও আলোচনা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দুই দেশ ইতিহাস হতে শুরু করে অনেক অভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার অংশীদার । কিন্তু ভারতের জনগণের কাছে তা সমান গুরুত্ব বহন নাও করতে পারে । মোদী যদি পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফের সাথে বৈঠক করতেন তাহলে তা ভারতের জনগণ তথা মিডিয়ার কাছে অনেক বেশী গুরুত্ব পেত । এটা বাস্তব সত্য । তবে যুক্তরাষ্ট্রে মোদী-নওয়াজ কোন বৈঠক হচ্ছে না । গত মে মাসে সমাপ্ত ভারতীয় লোক সভা নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক বিশ্ব নড়েচড়ে বসে কারণ প্রথমে তারা ধারণাই করেনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মতো একটি ঐতিহ্যবাহি সর্ব ভারতীয় রাজনৈতিক দল রাতারাতি একটি আঞ্চলিক দলে পরিণত হবে আর বিজেপিfর মতো একটি আঞ্চলিক হিন্দুত্ববাদী দল নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করবে । কংগ্রেসের এই ঐতিহাসিক পরাজয়ের পিছনে সাধারণ ভোটারদের কাছে যত না বিজেপিfর গ্রহণযোগ্যতা ছিল তার চেয়েও বেশী ছিল দেশ শাসনে কংগ্রেসের দৃঢ়তার অভাব আর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর পিছনে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধীর একটি সার্বক্ষণিক ছায়া । কংগ্রেস সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনগণের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছে কিন্তু রাহুল সে ভাবে নিজেকে তৈরী করতে ব্যর্থ হয়েছেন । কংগ্রেসের পরাজয় আর বিজেপির উত্থান বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাৎক্ষণিক নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে । ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কিছুটা হলেও হতাশ হয় কারণ ঐতিহাসিক ভাবে মনে করা হয় কংগ্রেস আর আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্কটা সব সময় উষ্ণ । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ, তৎকালিন কংগ্রেস সরকার আর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে । সেই দলের সরকার কেন্দ্রে না থাকলে আওয়ামী লীগ চিন্তিত হতেই পারে । তদুপরি নির্বাচনের পূর্বে বিজেপিfর কিছু কিছু নেতা নেত্রীর বাংলাদেশ বিরোধী কথাবার্তা বাংলাদেশে এক ধরণের আশঙ্কাও তৈরী করেছিল । অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি যাদের একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ারই হচ্ছে ভারত বিরোধিতা কংগ্রেসের পরাজয়ে তাদের শিবিরে আনন্দ আর ধরে না । বাংলাদেশ সরকার বা আওয়ামী লীগ নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানানোর আগেই বিএনপিই প্রথম মোদীর কাছে অভিনন্দন বার্তা পাঠায় আর গুজব রটায় লন্ডনে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক বেগম জিয়ার পুত্র তারেক রহমান মোদীর সাথে ফলাফল ঘোষণার পরপরই টেলিফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন । বিএনপি ২০০৬ সন হতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নেই । আর বেশী দিন এমনটা চলতে থাকলে দল হিসেবে তাদের অস্তিত্বই হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পরবে । এই দলটির আবার নিজের সক্ষমতার উপর তেমন আস্থা নেই । তারা সব সময় মনে করে অন্য কোন দেশের শক্তির উপর নির্ভর করে তারা ক্ষমতায় যাবে । এর আগে তারা যতবারই সরকার গঠন করেছে অভিযোগ আছে তাদের সহায়ক শক্তি ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই । আইএসআইfর এক কালিন প্রধান জেনারেল আসিফ র্দুরানি ২০০১ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন যা ইন্টারনেট ঘাটলেই পাওয়া যায় । লোক সভা নির্বাচনে কংগ্রেস ধরাশায়ী হওয়ার পর বিএনপি ধরেই নিল তাদের শুভ দিন আসন্ন । বিজেপিfর eশত্রুf কংগ্রেস সুতরাং আওয়ামী লীগও তাদের শত্রু । বিএনপিfর অনেক নেতাই প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন ভারতের লোক সভা নির্বাচন হতে আওয়ামী লীগের শিক্ষা নেয়া উচিৎ । কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাতো ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন বর্তমান সরকারের মেয়াদ সামনের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারা এই কথা কেন বলেন সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি ।
শেখ হাসিনা আর মোদীর প্রথম সাক্ষাতে কী নিয়ে আলোচনা হবে এখনো জানা যায় নি । তবে মঙ্গলবার বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অন লাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে সব বিষয়ে হুমকীর মধ্যে রয়েছেন সে সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করবেন । প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে এমন সংবাদ আছে যে পশ্চিমা একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অংশকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে । এই মাসের গোড়ার দিকে অন্য আরেকটি সংবাদে বলা হয়েছিল এই পশ্চিমা দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা এই কাজে পাকিস্তানের আইএসআইকে ব্যবহার করতে পারে । এই সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর মার্কিন দূতাবাস তাৎক্ষণিক তার প্রতিবাদ করে । সংবাদে আরো বলা হয়েছিল পশ্চিম বঙ্গ সরকারের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে জঙ্গিদের অর্থায়ন করছে যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে । একই সাথে তারা ভারতের ত্রিপুরার মানিক সরকারকে উৎখাত করতে তৎপর । এই সবের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করতে পারলে সেখানে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন সহজ হবে বলে তাদের ধারণা । শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে পারলে এই পশ্চিমা শক্তি আর পাকিস্তানের আইএসআইfর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে একটি জামায়াত-বিএনপি-আওয়ামী লীগের সাইড লাইনে থাকা নেতানেত্রী বৃন্দ, সাবেক আওয়ামী লীগাররা এবং বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশকে নিয়ে একটি eসর্ব দলীয় ঐক্যমতেরf সরকার গঠিত হবে এবং তারাই হয়তো অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাংলাদেশ শাসন করবেন । এর বিনিময়ে সেই পশ্চিমা দেশকে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নৌ ঘাঁটি করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী ইজারা দেবে । এই কারনেই হয়তো বিএনপিfর নেতা নেত্রীরা শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছেন । এই সব সংবাদের উৎস ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং হতে পারে তা অনুমান নির্ভর । তবে তারা দাবি করেছে তাদের কাছে এই সব ব্যাপারে যথেষ্ট প্রমান আছে । তবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উপর মার্কিন নজর বহু পুরানো । প্রশান্ত মহাসাগর আর ভারত মহাসাগরকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের যত গুরুত্বপূর্ণ নৌ ঘাঁটি আছে তার মধ্যে সেন্ট মার্টিনের কৌশলগত অবস্থান অন্য অনেক গুলির তুলনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পূর্বে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা eরf আর সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি বঙ্গবন্ধুকে একাধিকবার সতর্ক করেছিলো কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন নি । সম্প্রতি শেখ হাসিনা বলেছেন আওয়ামী লীগের সকলকে কেনা যায় শেখ হাসিনাকে ছাড়া । তাঁর বক্তব্যকে কথার কথা বলে উড়িয়ে না দেয়া ভাল । আওয়ামী লীগের খন্দকার মোশতাক বিক্রি হয়েছিলেন । বাংলাদেশে ইদানিং জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি নড়াচড়া করছে । সংবাদ মাধ্যমে আটককৃত জেএমবিfর জঙ্গিদের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে সেনা বাহিনীতে ২০১১ সালে ক্যূ করার ষড়যন্ত্রের দায়ে অভিযুক্ত পলাতক মেজর জিয়া এই জঙ্গিদের গোপনে ট্রেনিং দিচ্ছে । খবরটি সত্য হলে তা চিন্তার বিষয় । মোদীর ভারত নিশ্চয় তার পূর্ব সীমান্তে একটি জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষণকারী সরকার ক্ষমতায় আছে তা দেখতে চায় না । তেমন একটি সরকার বাংলাদেশে থাকলে কী হতে পারে তা ভারতের জনগণ ২০০১-২০০৬ মেয়াদের চার দলীয় জোট সরকারের আমলে দেখেছেন । সুতরাং বাংলাদেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সরকার ক্ষমতায় থাকা বাংলাদেশের জন্য যেমন জরুরী ঠিক তেমন জরুরী ভারতের জনগণের জন্য ।
বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে দুদেশের নিরাপত্তার বিষয় ছাড়াও আরো কিছু অমীমাংসিত বিষয় আছে যা মীমাংসা করার জন্য একান্তভাবে ভারতের সদিচ্ছাই যথেষ্ট । গত দেড় দশকে, বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ ভারতকে সব সময় তাদের চাহিদা পূরণের জন্য অনেক সময় অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের একটি বিরাট অংশের মতের বাইরে গিয়ে অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে । এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশের ভিতরে যে সকল ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন ক্রিয়াশীল ছিল সেগুলিকে ধ্বংস করে দেয়া । ত্রিপুরায় বিদ্যুত কেন্দ্র করার জন্য নিজেদের একটি প্রবাহমান নদীর উপর বাঁধ দিয়ে বিনা খরচে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে বড় বড় কার্গো পরিবহনের সুযোগ করে দিয়েছে । বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা করেছে । নীতিগত ভাবে চট্টগ্রাম বন্দরকে ভারতীয় পণ্য পরিবহণের জন্য ব্যবহার করতে দিতে একমত হয়েছে । অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা তৈরী হলে তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে । এর পরিবর্তে বাংলাদেশের চাহিদা কিন্তু খুব সামান্য । প্রথমে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি যা মনমোহন সিং সরকারের সময় হতে হতেও হলো না পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অসহযোগিতার কারণে । তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী । বাংলাদেশ তার ন্যায্য হিস্যা চেয়েছে বাড়তি কিছু নয় । গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি যদি হতে পারে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি নয় কেন? দ্বিতীয়ত ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দিরা মুজিব চুক্তির আওতায় দুfদেশের মধ্যে স্থল সীমানা চিহ্নিতকরণ বিষয়টি ভারতের সংবিধানে অন্তর্ভুক্তিকরণ যা বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালেই করেছে । এখানেও মমতা ব্যানার্জি বাধ সেধেছেন যা বাংলাদেশের মানুষের কাছে এবং উভয় দেশের ছিট মহলের অধিবাসীদের কাছে কাম্য ছিল না । ডঃ মনমোহন সিং কেন্দ্রে একটি দুর্বল সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন । নরেন্দ্র মোদীর সেই সমস্যা নেই । সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিল্লি সফরে গেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দুজনই আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই সমস্যাগুলির সমাধান হবে । বাংলাদেশের মানুষ এর বাস্তবায়ন দেখতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন । দুfদেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি জ্যামিতিক হারে বাড়ছে । এই সমস্যার সমাধান সম্ভব যদি ভারত বাংলাদেশ হতে পণ্য আমদানীর ক্ষেত্রে আরও একটু উদারতার পরিচয় দেয় । ভারতের কুচবিহার আদালতে বিএসএফfর গুলিতে নিহত বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলাটি নূতন করে শুনানি হচ্ছে । এটি একটি অত্যন্ত ভাল লক্ষণ । ২৭ তারিখের বৈঠকে হয়তো আরো অনেক কিছু আলোচনা হবে কিন্তু অমিমাংশিত বিষয় গুলি গুরুত্ব পাবে তেমনটিই বাংলাদেশের মানুষ আশা করে । একটা কথা মনে রাখা ভাল ভারত যতই চেষ্টা করুক পাকিস্তান কখনো ভারতের প্রকৃত বন্ধু হবে না । বাংলাদেশ শুধু ভারতের বন্ধুই নয় তার চেয়েও অনেক বেশী । এটি উপলব্ধি করলে ভারতেরই লাভই বেশী ।

লেখক: গবেষক ও বিশ্লেষক । সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪

@

@

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

@

[প্রথমপাতা]

@

@

@

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]