[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

আপনি আপনার সন্তানের সব চেয়ে বড় বন্ধু হতে পারেন

 

 

প্রফেসর আবদুল মান্নান

আমাদের একটি মেয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর হয়ে আসছে । এর আগেও আমাদের মেয়েরা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে কিন্তু তার কারণ ছিল গর্ব করার মতো। এই যে আমাদের কন্যারা এভারেষ্টের চূড়ায় উঠলো অথবা বিমান বাহিনীর বিমান হতে আকাশ হতে প্যারাস্যুট নিয়ে লাফিয়ে পরলো তা শুনে তেতুল তত্বের অনুসারিরা ছাড়া যে কেউ গর্ববোধ করবে । এইতো সে দিন, রমজান মাসের আগে, পাকিস্তানের লাহোরের এক বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে হল ভর্তি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের কন্যাদের অসাধারণ সব কৃতিত্বের কথা যখন বলছিলাম সকলে অবাক বিস্ময়ে বেশ তন্ময় হয়ে তা শুনছিল । সেদেশে তখন একজন মালালা ইউসুফজাই তাদের গর্ব কারণ অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক সেই বালিকা মেয়েদের শিক্ষার দাবিতে সোচ্চার হলে তালেবান অস্ত্রধারিরা তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেছিল । সেই যাত্রায় মালালা বেঁচে যায় । এবছর মালালা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে । গত পঞ্চাস বছওে এই পুরস্কারটি কত অযোগ্য লোককেই তো তা দেয়া হয়েছে । এবার যদি তা মালালার হাতে যায় তাহলে বলা যাবে অনেক দিন পর পুরস্কারটি একজন যথার্থ মানুষের হাতে গেল । ইতোমধ্যে মালামালা একাধিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে । আমাদের যে মেয়েটিকে নিয়ে লেখা সূত্রপাত করেছিলাম তার নাম না বললেও পাঠক বুঝতে পারবেন কার কথা বলছি কারণ আমাদের এই কন্যাটি একটি অভাবনীয় এবং সম্পূর্ণ নজিরবিহীন ভয়াবহ একটি কাজ করেছে । তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে তার জন্মদাতা বাবা মা‘র বুকে ছুরি চালিয়েছে অথবা চালাতে সাহায্য করেছে আর সেই ভয়াবহ ঘটনায় তার বাবা মা দু’জনই মৃত্যুবরণ করেছেন । প্রতিনিয়ত আমরা পত্রপত্রিকা খুললেই কতই না ঘটনা দূর্ঘটনার খবর পড়ি কিন্তু এমন একটি ঘটনার খবর শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বের অন্য কোন দেশে কদাচিৎ ঘটেছে বলে শুনেছি । কয়েক বছর আগে নেপালের রাজপূত্র তাঁর বাবা মাকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সাহায্যে গুলি করে নিজে আত্মহত্যা করেছিল । রাজারাজড়াদের কথাই আলাদা । ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল নয় । কিন্তু একজন সাধারণ বাঙালির ঘরে এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেছে বলে শুনিনি । নেপালের রাজপূত্র নাকি হত্যাকা- ঘটানোর আগে মাতাল ছিল । আমাদের অভিযুক্ত এই কন্যাটিও মাদকাসক্ত ছিল বলে জানা গেছে । আমি এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে বসিনি । তা নিয়ে ইতোমধ্যে বিজ্ঞজনেরা অনেক আলোচনা করেছেন । অভিযুক্ত মেয়েটির বয়স নিয়ে মতভেদ আছে । কেউ বলছেন ষোল আবার কেউ বা আঠারো । যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে পেশাগত কারণে আমি চার দশকেরও বেশী সময় ধরে এই বয়সের ছেলে মেয়েদের সাথে সময় কাটাচ্ছি আর যেহেতু আমার বয়সের আর দশজনের মতো আমিও ওই বয়স পার করে এসেছি সেই কারণেই মনে করছি আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি অন্যদের সাথে, বিশেষ করে বাবা-মা’দের সাথে শেয়ার করি । প্রথমে বলে নেই মা বাবাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত মেয়েটি আমাদের অসুস্থ সমাজ ব্যবস্থার সব চেয়ে বড় উদাহরণ । ওই ভয়াবহ ঘটনার জন্য সে না যতটা দায়ী তার চেয়ে বেশী দায়ী আমাদের সেই সমাজ যা ওই রকম একটি কন্যাকে বড় হয়ে উঠার ক্ষেত্র তৈরী করে দেয় ।
আমি যখন আমার ছাত্রছাত্রীদের সামনে উপস্থিত হই তখন তাদের বলি আমি নিজেকে বেশ স্মার্ট মনে করলেও চিন্তা চেতনার দিক থেকে আমার ভিতরে অনেক সেকেলে ধ্যান ধারণা কাজ করে । তাদের বলি আমাকে বা কাউকে ভয় করার প্রয়োজন নেই কিন্তু শ্রদ্ধা করা শিখতে হবে। বিপদজনক জন্তু জানোয়ারকে ভয় করার কারণ আছে, বাবা মা বা গুরুজনদের নয় । গুরুজনদরে শ্রদ্ধা করতে শিখতে হবে এবং তাদেরও উচিৎ হবে ছোটদের কাছ হতে আচার ব্যবহার আর কাজের মাধ্যমে শ্রদ্ধা আদায় করে নেয়া । আমার স্কুল জীবন শেষ হয় মধ্য ষাটের দশকে । তখন পর্যন্ত বাবা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় চার আনা (পঁচিশ পয়সা) হাত খরচ দিতেন । দু’আনা বাস ভাড়া আর দু’আনা টিফিন খরচ । প্রায় দিন টিফিন না খেয়ে বাড়ী ফিরতাম কারণ প্রতিদিন দু’আনা করে জমালে আট আনা দিয়ে কোলকাতা হতে প্রকাশিত স্বপন কুমার সিরিজের একটি চটি গোয়েন্দা বই কেনা যায় । একই অভ্যাস বন্ধু বান্ধবদেরও । বই একটা কিনলে তা সকলে মিলে পালা করে পরতে সে কী আনন্দ । মাঝে মধ্যে বই না কিনে গেট কিপারের টুল ভাড়া নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে বাড়ীর অগোচরে সিনেমাও দেখেছি । তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া কালে স্থানীয় বৃটিশ কাউন্সিলের সদস্য হয়ে পড়া শুরু করেছিলাম ইংরেজি সাহিত্যের সব ক্লাসিক গল্প উপন্যাস, অবশ্য তা বিশেষ করে ছোটদের জন্য লেখা । স্কুলের গন্ডি পেরুনোর আগেই এই সব পড়া শেষ । উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার আগে মোটামুটি শেষ করে ফেলেছি বাংলা সাহিত্যের সব জনপ্রিয় লেখকদের বই । পরে হাত দিয়েছি রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলে । তা এখনো শেষ হয়নি । কিছুদিন আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছিলাম । একজন প্রার্থী, আজকের সংজ্ঞা অনুযায়ী কথায় বার্তায় বেশ স্মার্ট । তার প্রথম চয়েস ফরেন সার্ভিস । বেশ ভাল । এমন স্মার্ট ছেলে মেয়ে ফরেন সার্ভিসে না গিয়ে অন্য সার্ভিসে গেলে জাতির খুব ক্ষতি হবে । প্রথম প্রশ্ন ‘কী হচ্ছে মিশরে?’ উত্তর ‘জানিনা ।’ দ্বিতীয় প্রশ্ন ‘তুমি জীবনে যে সব গল্পের বই বা উপন্যাস পড়েছো তা থেকে যে কোন একটার নাম বলো এবং বলো ওই গল্প বা উপন্যাস কেন তোমার ভাল লেগেছে ।’ এবার ফরেন সার্ভিসে যেতে আগ্রহীর জবাব ‘স্যার আমিতো কখনো কোন গল্প উপন্যাস পড়িনি ।’ পরিতাপের বিষয় এরাই যখন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় তখন সড়ক অবরোধ করে জনজীবনে দূর্ভোগ সৃষ্টি করে । আজকাল ছেলে মেয়েরা গল্প উপন্যাস তেমন একটা পড়ে না । পড়লেও তা হুমায়ূন আহমেদ বা জাফর ইকবালে ঠেকে যায় । নিয়মিত পত্রিকা পড়ে এমন ছেলে মেয়ের সংখ্যা হাতে গোনা ।
ফিরে আসি আমাদের সময় কালে শৈশবে চার আনা হাত খরচের কথায় । আজকাল চার আনা দিয়ে কিছু পাওয়া যায় না সত্য; চার টাকা দিয়েও না । তাই বলে একজন স্কুল পড়–য়া সন্তানকে দিনে হাত খরচ এক হাজার টাকা দিতে হবে? আমাদের ওই কন্যাকে নাকি তাই দেওয়া হতো । কোন কোন পত্রিকা খবর দিয়েছে মাসে সে নাকি লাখ টাকাও খরচ করেছে । অবশ্য পত্রিকাওয়ালারা অনেক সময় তিলকে তাল করতে পারঙ্গম । ধরে নিলাম দিনে এক হাজার টাকা । কোথায় খরচ করলো আপনার সন্তান সেই এক হাজার টাকা তার খবর কী আপনি নিয়েছেন? আমার এক নিকট আত্মীয়ের বাচ্চা এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল ফল করতে ব্যর্থ হলো । বাবা স্বপ্ন দেখতো মেয়ে একদিন ডাক্তার হবে । এখন ফলাফল দেখে তার আক্কেল গুড়–ম । ডাক্তারি দূরে থাক, গ্রামের কোন একটি অখ্যাত কলেজেও তাকে ভর্তি করানো কঠিন হবে । দুঃখের কথা বুঝাতে আসে আমাকে । জানতে চাই কেমন করে এমন ফল করলো মেয়েটি ? বাবার দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জবাব, ওই মোবাইল ফোন আর টিভি । স্কুল হতেই সে মোবাইল ফোনে আসক্ত । প্রশ্ন স্কুলের বাচ্চাকে কেন মোবাইল ফোন দিতে হবে ? আর যদি দিতেই হয় তা হলে তার ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ নয় কেন ? প্রথমেই বলেছি নানা ক্ষেত্রে আমি একটু সেকেলে । আমি প্রায়ই বলে থাকি আমার যদি ক্ষমতা থাকতো আমি সব ভারতীয় টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধ করে দিতাম । সব না পারলেও যে সব চ্যানেলে ‘রাশি’ ‘মা’ ‘অগ্নি পরীক্ষা’ ‘কেয়া পাতার নৌকা’ ‘সই’ ইত্যাদি সিরিয়াল অথবা অর্থহীন হিন্দী সিরিয়াল দেখায় অন্তত সেই সব গুলিকে বন্ধ করে দিতাম । মোবাইল ব্যবহার বা টিভি দেখার হয়তো প্রয়োজন আছে কিন্তু তার উপর পরিবারের, বিশেষ করে বাবা মার একটি নিয়ন্ত্রণতো থাকতে হবে । স্কুল পর্যন্ততো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের উপর অভিভাবকদের একটা নিয়ন্ত্রণ ছিল । সূর্য ডোবার আগে বাড়ী ফিরা ছিল একটি অলঙ্গনীয় নিয়ম । বর্তমানে কয়টি বাড়িতে এই সব নিয়ম কানুন বলবৎ আছে ? মাঝে মধ্যে আমি ধানমন্ডি লেকের ভিতর দিয়ে দূপুর বেলায় হেঁটে বাসায় ফিরি । যখন দেখি অসংখ্য স্কুল পড়–য়া ছেলে মেয়ে ওই সময় লেকের পাড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না এই বালক বালিকাদের উপর পরিবারের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে গেছে । অথচ এদের অনেকের বাবা মা’ই স্কুল জীবনের প্রথম দিকে তাদের ভোর বেলা স্কুলে দিয়ে এসেছে আর অনেক ক্ষেত্রে মা ফুটপাতে বসে তার বাচ্চার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেছে । যে মেয়েটিকে নিয়ে এতসব আলোচনা সেই মেয়েটির স্কুল আমার পাড়ায় । প্রতিদিন আমার কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় দেখি কয়েক ডজন মা রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ফুটপাথের উপর বসে তাদের বাচ্চার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছে । সেই স্কুলের একটি মেয়ে বাবা মা’র বুকে ছুরি চালালো ? বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় । বলা হচ্ছে মেয়েটা নাকি মাদকাসক্ত ছিল । কেমন করে ওই বয়সের একটি মেয়ের হাতে মাদক পৌঁছে গেল ? কোথায় ছিল তার অভিভাবকরা । সব সময় সকলে বলে মাদক যুব সমাজকে ধ্বংস করছে । কিন্তু তা বন্ধ করার জন্য প্রশাসন বা সমাজ কী উদ্যোগ নিচ্ছে সে প্রশ্নতো করা যেতেই পারে ।
শহুরে বাবা মায়েরা দারুন ব্যস্থ । দুজনই কর্মজীবী হলে তা আরো বেশী সত্য । সুতরাং তাদের সময় হয় না তাদের ছেলেমেয়েদের সাথে দুদ- কথা বলার বা কিছু সময় কাটানোর । ছেলে মেয়েদের সাথে কথা বলার একটি অত্যন্ত ভাল সময় খাওয়ার টেবিলে । প্রতিদিন না পারি অন্তত সপ্তাহে একদিন করি না কেন? আমার ঘরে যে বালিকাটি আছে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে । একমাত্র কন্যাটি যখন শ্বশুরবাড়ি হতে আসে তখন টেবিল ভর্তি হয় । সেও এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক । খাওয়ার টেবিলে অনন্ত জলিল হতে শুরু করে সত্যজিত রায় কোন কিছুই বাদ যায় না । মাঝে মধ্যে নওম চমস্কিও আর আন্তর্জাতিক বাজাওে তেলের দামও এসে পরে । একটি টিভি টকশোতে যেতে হবে । আলোচনার বিষয় হবে ‘বাংলা বসন্ত’ শিরোনামে আমার লেখা একটা কলাম । কন্যাকে বলি আমাকে একটু ‘আরব বসন্ত’ নিয়ে ব্রীফ করতে । সে নতুন কিছুই বলে না । তার সহায়তা নেয়ার উদ্দেশ্য হলো তাকে আমার টকশোর সাথে সম্পৃক্ত করা । সন্তানদের জন্য মা বাবা ছাড়া আর ভাল বন্ধু কেউ হতে পারে না ।
শেষ করি এই বলে আপনার সন্তানের উপর পুলিশিগিরি করার কোন প্রয়োজন নেই । অতিরিক্ত শাসনেরও প্রয়োজন নেই । খেয়াল রাখুন আপনার সন্তানটা কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে অথবা কী করছে । দিনে হাত খরচ কতটাকা প্রয়োজন তা আপনিই নির্ধারণ করার চেষ্টা করুন । ছেলে মেয়েরা অনেক কিছুরই বায়না ধরতে পারে । তাকে বুঝাতে হবে কোনটা তার জন্য ভাল আর কোনটা নয় । প্রতিদিন না পারুন সপ্তাহে একদিন কেন আপনি আপনার সন্তানের সাথে কিছু সময় কাটাতে পারবেন না ? বাচ্চাদের ভয়ের সংষ্কৃতি হতে বের করে শ্রদ্ধার সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করানোর দায়িত্ব অভিভাবকদের । মা বাবার পর বলা হয় শিক্ষকরা একজন শিক্ষার্থীর সব চেয়ে বড় অভিভাবক । ক’জন শিক্ষক তাদের এই দায়িত্বটা পালন করছেন? নাকি প্রাইভেট পড়ানোর প্রতি মনোযোগটা একটু বেশী ? অমুক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া যাবে না । এই অভিযোগ অভিভাবক আর শিক্ষার্থীরা প্রায়শঃ করে থাকেন । এই অভিযোগতো মিথ্যা নয় । তেমন যদি হয় তা হলে সে সমাজতো বাবা মা হত্যাকারী সৃষ্টি করতেই পারে । আসুন না সকলে মিলে নিজের দায়িত্বটা সম্পর্কে একটু সচেতন হই । তা যদি হয় সমাজটার আমূল পরিবর্তন সম্ভব । তখন আর সেই সমাজ এমন একজন সন্তান জন্ম দেবে না যে নিজের বাবা মা’র বুকি ছুরি চালিয়ে দিতে পারবে।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । আগষ্ট ২৪, ২০১৩

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ