[প্রথমপাতা]
|
একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা-রাষ্ট্রিয় সন্ত্রাসের নতুন রূপ
প্রফেসর আবদুল মান্নান
রাষ্ট্রের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আর ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সহযোগিতা আর
পৃষ্ঠপোষকতায় একটি দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে
গ্রেনেডের মতো ভয়াবহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া
বিশ্বের কোন একটি দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা । তবে এমন একটি বিরল ঘটনা ঘটেছিল
বাংলাদেশে ২০০৪ সালের একুশে আগষ্ট । এদিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার
বঙ্গবন্ধু এভেন্যুয়স্ত দলীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায়
এক সাথে চতুর্দিক হতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বাইশ জন নেতা কর্মীকে
নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল এবং আহত হয়েছিলেন আরো প্রায় তিনশতাধিক ।
আহতদের মধ্যে চিরতরে পঙ্গু হয়ে পরেছিল একশত ষাট জনের মতো । দলের
নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরী করে তাদের নেত্রীকে সেদিন রক্ষা করেছিলেন এবং
তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে সেদিন প্রাণ দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন । এই বর্বরোচিত
আক্রমণে নিহতদের মধ্যে ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং পরবর্তীকালে
রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান । আগষ্ট মাসটি বঙ্গবন্ধু
পরিবার আর আওয়ামী লীগের জন্য একটি শোকাবহ মাস কারণ এই মাসের পনের তারিখে
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে একদল বিপথগামী সেনা সদস্য এক সূক্ষ্ম
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সপরিবারে হত্যা করেছিল । দুটি হত্যাকা-ের মাঝেই একটি
যোগসূত্র আছে আর তা হচ্ছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ অনেকটা ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল । পনেরই
আগষ্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে
পূনরুজ্জীবিত করার আগ পর্যন্ত দেশের এই বৃহত্তম দলটি কোন রকমে তার অস্তিত্ব
বজায় রেখেছিল আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে আসতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দীর্ঘ
একুশ বছর । কোন একটি রাজনৈতিক দলের এত দীর্ঘ সময় পর গণতান্ত্রিক ভাবে
নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় ফেরাটাও একটি বিরল ঘটনা । শেখ হাসিনাকে হত্যা করার
এমন আর একটি অপচেষ্টা করা হয়েছিল ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি যখন এরশাদ বিরোধী
আন্দোলন তুঙ্গে । শেখ হাসিনা গেলেন চট্টগ্রামে লালদিঘীর ময়দানে এক জনসভায়
ভাষণ দিতে । জেলা এবং পুলিশ প্রশাসন এরশাদ সরকারের নির্দেশে সেদিন কোন
অবস্থাতেই তাঁকে চট্টগ্রামে সভা করতে দেবে না । সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে
মহানগর এলাকায় জারি করা হলো ১৪৪ ধারা । শেখ হাসিনা বেলা দশটা নাগাদ বিমান
যোগে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম এলেন । তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য পথে পথে
হাজারো মানুষের ভিড় । বেলা একটা নাগাদ তিনি যখন লালদিঘীর কাছাকাছি বাংলাদেশ
ব্যাংকের নিকট একটি খোলা ট্রাকে করে পৌঁছান তখন হঠাৎ করে কোন উস্কানি বা
সতর্ক বার্তা ছাড়া পুলিশ শেখ হাসিনাকে বহনকারি ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে
শুরু করে এবং সেদিন চব্বিশজন নিরস্ত্র নিরীহ মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করে
। এদিনও দলীয় সভানেত্রীকে মানব বর্ম সৃষ্টি করে রক্ষা করে দলীয় নেতা
কর্মীরা । সে সময় চট্টগ্রামের মহানগর পুলিশ কমিশনার ছিলেন মির্জা রকিবুল
হুদা যার নির্দেশে এই ভয়াবহ হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছিল । ১৯৮৮ সনে শেখ হাসিনা
হত্যা প্রচেষ্টার সাথে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা থাকার প্রমাণ না
থাকলেও পরবর্তীকালে বেগম জিয়া ১৯৯১ সনে সরকার গঠন করলে মির্জা রকিবুল
হুদাকে প্রমোশন দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয় ।
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভেন্যুতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা আর ২২
জন নেতা কর্মী হত্যার সাথে বেগম জিয়ার তৎকালিন সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ
ব্যক্তি ও সংস্থা যে জড়িত ছিল তা এখন দিবালোকের মতো পরিস্কার । চট্টগ্রামে
হত্যা প্রচেষ্টার পরদিন আর বঙ্গবন্ধু এভেন্যুর ঘটনার দুদিন পর আমার সুযোগ
হয়েছিল শেখ হাসিনার সাথে স্বল্প সময়ের জন্য সাক্ষাৎ ও আলাপ করার ।
চট্টগ্রামের ঘটনার পর তিনি ওই দিন আর ঢাকা ফিরতে পারেন নি । রাত্রি যাপন
করেছিলেন আমার পড়শি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরীর
বাসভবনে । পরদিন সকালে শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম । আগের দিন
বিকেলে পেশাজীবীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য রাখার কথা ছিল । তখন আমি
পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক । উভয় সাক্ষাতেই আমার কাছে শেখ হাসিনাকে
সাময়িক সময়ের জন্য হলেও অত্যন্ত বিচলিত মনে হয়েছে । তিনি বার বার বলছিলেন
তাঁকে বাঁচানোর জন্য যে এত মানুষ অকাতরে প্রাণ দিলেন তিনি তাদের ঋণ কী ভাবে
শোধ করবেন ?
বঙ্গবন্ধু এভেন্যুতে গ্রেনেড হামলা ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত যা এখন
দিবালোকের মতো পরিস্কার যদিও প্রথম দিকে পুরো ঘটনাটিকে নিয়ে একটি ধূম্রজাল
সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করা হয়েছে । অপরাধ শাস্ত্রে বলা হয় যত বড় অপরাধীই হোক
না কেন অপরাধ স্থলে অপরাধী কোন না কোন আলামত রেখে যায় । বঙ্গবন্ধু এভেন্যুর
গ্রেনেড হামলা তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয় । কিন্তু স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অকুস্থলের সব আলামতই চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ধুয়ে মুছে
পরিস্কার করে ফেলা হয় । ঘটনাস্থলে চারটি অবিষ্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল
যার দুটি ওই রাতে আর দুটি পরদিন ধ্বংস করে ফেলা হয় । গ্রেনেডের গায়ে
অপরাধীদের আঙ্গুলের ছাপ থাকার কথা কিন্তু গ্রেনেড গুলি ধ্বংস করার সাথে
সাথে তাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । ঘটনাটি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ থানায়
মামলা করতে গেলে উপরের নির্দেশ না থাকাতে মামলা নিতে থানা অস্বীকার করে ।
জামায়াতের মূখপত্র ‘দৈনিক সংগ্রাম’ এই বলে প্রচার শুরু করে যে পুরো ঘটনাটি
জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য আওয়ামী লীগই ঘটিয়েছে এবং
এর পরপরই প্রধান মন্ত্রী বেগম জিয়া এবং সংসদে বিএনপি’র দলীয় সংসদ সদস্যরা
একই সুরে কথা বলতে শুরু করেন । তাদের সাথে সুর মেলায় বাংলাদেশে নিযুক্ত
পাকিস্তানের তৎকালিন হাই কমিশনার, কিছু সংখ্যক জামায়াত-বিএনপি ঘরানার
বুদ্ধিজীবী আর কতিপয় মিডিয়া । সংসদে আওয়ামী লীগ ২১ আগষ্ট নিহতদের জন্য একটি
শোক প্রস্তাব উত্থাপন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় । এই ঘটনা তদন্ত করার জন্য
পরবর্তীকালে এফবিআই, ইন্টারপোল, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড চেষ্টা করলেও তৎকালিন
সরকারের অনীহা ও অসহযোগিতার কারণে তা ভেস্তে যায় । কিছু চাপে পরে সরকার তখন
বিচারপতি জয়নাল আবেদিনকে দিয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে ।
সকলকে অবাক করে দিয়ে সেই তদন্ত কমিটিও পরোক্ষ ভাবে ঐদিনের ঘটনার জন্য
আওয়ামী লীগকেই দায়ী করেন ।
২১ আগষ্টের সব চেয়ে হাস্যকর দিক ছিল ‘জজ মিয়া নাটক’ । পুলিশ বঙ্গবন্ধু
এলাকার একজন ছিঁচকে অপরাধী জজ মিয়াকে আটক করে ইউরেকা বলে ঘোষণা করে এই
ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী এই জজ মিয়া । পুরো বিষয়টা পরিচালনা করার
জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় রুহুল আমিন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে । এই রুহুল
আমিন ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ছিলেন ।
তখন আমাকে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের নীতি নির্ধারক বলেছিলেন এই
ব্যক্তি একজন ভাল পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিনি সরকারের খুবই আস্থাভাজন । ওই
ব্যক্তির পেশাগত দক্ষতা নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই কিন্তু পেশাগত সততা নিয়ে
যথেষ্ট সন্দেহ আছে । এমন ‘আস্থাভাজন’ কর্মকর্তা এখনো সরকারের ভিতর কত জন
আছে তা এখন খতিয়ে দেখার বিষয় । জজ মিয়া নাটকের অবসান হলো যখন এক সময় মিডিয়া
সব জাড়িজুড়ি ফাঁস করে দিয়ে জনগণকে জানিয়ে দিল এই নাটক সরকারের নির্দেশেই
সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তার জন্য জজ মিয়া পরিবারকে মাসে দুহাজার টাকা করে
মাসোহারা দেয়া হয় ।
এই ঘটনা ঘটানোর জন্য যাদের ব্যবহার করা হয়েছিল তাদের একজন জঙ্গি সংগঠন
হরকাতুল নেতা মুফতি হান্নানকে ২০০৫ সালের অক্টোবর মাসে অন্য আরেকটি
বোমাবাজীর মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ আটক করলে পরবর্তীকালে তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের সময় ২১ আগষ্টের সব জাড়িজুড়ি ফাঁস হয়ে যায় । মুফতি হান্নান আদালতে
দেয়া তার স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দিতে অকপটে স্বীকার করে ২১ আগষ্ট বোমা
হামলার সাথে কূখ্যাত হাওয়া ভবন সরাসরি জড়িত ছিল । তিনি বলেন তাকে ২১
অগাষ্টের আগে একাধিকবার হাওয়া ভবনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এক সময় সেখানে
বিএনপি’র সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব তারেক জিয়াও উপস্থিত ছিলেন । আরো উপস্থিত
ছিলেন তৎকালিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লুৎফর জামান বাবর, জামায়াতের আমির আলী
আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, বিভিন্ন জঙ্গি
সংগঠনের একাধিক নেতা ও বেগম জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী সহ
সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা । তাদের
বক্তব্য ছিল শেখ হাসিনার কারণে দেশটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সুতরাং তার বিরুদ্ধে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তা হবে তাকে দুনিয়া হতে সরিয়ে দেয়া । এরপর
হাওয়া ভবন আর লুৎফুজ্জামান বাবরের সরকারি বাসভবনে একাধিক সভা হয় এবং একটি
সভায় মুফতি হান্নানের ভাষ্য অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর অন্যতম হত্যাকারী মেজর
(অবঃ) নূরও উপস্থিত ছিলেন । তিনি সহ অন্যান্যরা এই মত প্রকাশ করেন শেখ
হাসিনাকে হত্যা করার সহজ উপায় হচ্ছে তাঁর কোন একটি জনসভায় গ্রেনেড হামলা
করা । বাবর বলেন তার কাছে গ্রেনেড আছে এবং তা সরবরাহে কোন অসুবিধা হবে না
এবং তিনি ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার জন্য ১৮ই আগষ্ট বারটি গ্রেনেড সরবরাহ
করেন । পরবর্তীকালে এই কাজে তারা আবদুস সালাম পিন্টুর চাচাতো ভাই জঙ্গি
তাজউদ্দিনকেও কাজে লাগান । ২১ আগষ্টের পর ডিজিএফআই তাজউদ্দিনকে ভূয়া
পাসপোর্টে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয় । পুরো ঘটনার সাথে ডিজিএফআইয়ের কিছু
কমকর্তা জড়িত থাকলেও এই বিষয়ে সকলে অবহিত ছিলেন বলে মনে হয় না যে কারণে
ঘটনার পরদিন সংস্থার প্রধান বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ কওে উক্ত ঘটনার তদন্ত
করার অনুমতি চান। বেগম জিয়া তাকে এই বলে নিবৃত করেন যে তার প্রয়োজন নেই ।
এই প্রসঙ্গে ডিজিএফআই এর তৎকালিন প্রধান মেজর জেনারেল সাদেক হোসেন রুমী
দ্রুত বিচার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে তা স্বীকার করেন ।
তারেক জিয়াকে বিএনপি’র নেতা নেত্রীরা বেগম জিয়ার উত্তরসূরী হিসেবে
বাংলাদেশের আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করেন । তারেক জিয়ার
সাথে যে সব জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অপকর্ম আর পাপের অভিযোগ জড়িয়ে আছে তা হতে
তো তাকে আগে মুক্ত হয়ে বের হয়ে আসতে হবে । এরপর তিনি বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারেন । বর্তমানে দ্রুত বিচার আদালতে
তারেক জিয়া সহ ৫২ জন অভিযুক্তের বিচার চলছে । কিন্তু বিচারের গতি এতই শ্লথ
যে তা কখন শেষ হবে তা কেউ বলতে পারে না । বর্তমান সরকারের এই মেয়াদে তা যদি
শেষ না হয় তা হলে পুরো বিষয়টাই ধামাচাপা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে । দেশের
মানুষ ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার সত্য ও সঠিক তথ্য জানতে চায় ।
সব সময় মনে হয় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে একটি বুলেট অথবা একাধিক
গ্রেনেড তাড়া করছে । এই পরিস্থিতি হতে উত্তরণের একমাত্র পথ শক্তিশালী
আওয়ামী লীগ যা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বুঝেন বলে মনে হয় না । তা যদি
বুঝতেন তা হলে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই দলটি বর্তমানে হাজার কিছিমের কোন্দলে
জর্জরিত থাকতো না আর দলের সভানেত্রীর চারপার্শ্বে এত চাটুকারও ঘুরঘুর করতো
না । বর্তমানে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তারা এই সত্যটি
উপলব্দি করতে ব্যর্থ যে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ এখনো অপ্রতিরোধ্য। ২১ আগষ্টের
গ্রেনেড হামলায় নিহত সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। আগষ্ট ২০, ২০১৩
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
|