প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

 

উচ্চ শিক্ষায় নানামুখী সঙ্কট


প্রফেসর আবদুল মান্নান

বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নিজ হাতে ‘শ্রদ্ধেয় স্যার’ লিখে ‘খ্যাতিমান শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্টদের’ নিয়ে সম্প্রতি একটি সভা আহ্বান করেছিলেন তাঁর মন্ত্রণালয়ে । তিনি যাঁদেরকে নিয়ে এই সভা আহ্বান করেছিলেন তার কোনটাই আমি সম্ভবত নই তারপরও হয়তো তাঁর সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে সেই সভায় আমন্ত্রিত হয়েছিলাম । সরকারের মন্ত্রীসভায় যে ক’জন যোগ্য ও সৎ মন্ত্রী আছেন তার মধ্যে নিশ্চিত ভাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ একজন । আমার এই মন্তব্যের সাথে সকলে সহমত হবেন তা মনে হয় না কারণ ইদানিং লক্ষ্য করেছি এক ধরণের সমালোচক আছেন তারা দাবি করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ বা মতিয়া চৌধুরী একশত ভাগ খাঁটি আওয়ামী লীগার নন তাই তাঁদের স্থলে ‘একশত ভাগ’ খাঁটি আওয়ামী লীগার বসানো উচিৎ । তারা ভুলে যান অযোগ্য ও অপধার্থ ‘একশত ভাগ’ খাঁটি আওয়ামী লীগার দেশের ও দলের দুইশত ভাগ ক্ষতি করতে পারেন যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ নারায়ণগঞ্জ অথবা ফেনী । আমার আগের লেখায় আমি কেন নারয়াণগঞ্জ নিয়ে কিছু উল্লেখ করিনি তার জন্য অনেকে সমালোচনার নামে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন । তাদের বুঝা উচিৎ ব্যক্তিগত আক্রমণ আর সমালোচনা এক জিনিষ নয় । সমালোচনার জবাব দেয়া যায় কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণের জবাব দেয়ার যোগ্যতা আমার নেই । যাক সেটি অন্য প্রসঙ্গ । সময় মতো সেই সভায় উপস্থিত হয়ে কিছুটা বিষ্মিত হই কারণ কদাচিৎ কোন সভায় এত বিশিষ্ট জনের উপস্থিতি দেখেছি । যারা এসেছিলেন তাদের অনেকের সাথেই রাজনীতিরও তেমন কোন সম্পর্ক নেই। প্রফেসর রেহমান সোবহান, প্রফেসর সালাহউদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর জিল্লুর রহমান সিদ্দিকি, প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর আনিসুজ্জামান, প্রফেসর এ কে আজাদ চৌধুরী, প্রফেসর নজরুল ইসলাম, প্রফেসর অনুপম সেন, প্রফেসর হারুন উর রশিদ, প্রফেসর জাফর ইকবাল, প্রফেসর মুনতাসির মামুন, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শহিদ জায়া শ্যামলি নাসরিন চৌধুরী, লেখিকা সেলিনা হোসেন কেউ বাদ যাননি । এদের অনেকেই বিভিন্ন সময় সরকারের নানা কাজের সমালোচনা করেন । ক’দিন আগে অনুজপ্রতিম সহকর্মী প্রফেসর জাফর ইকবাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটি প্রতিবাদ অবস্থান করেছেন । অনেকেই মনে করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী এই সভা সম্ভবত এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আহ্বান করেছেন । সভায় উপস্থিত থেকে বুঝতে পারলাম পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁসের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হলেও শিক্ষার অন্যান্য দিক গুলিও আলোচনা হতে বাদ যায় নি । বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হতে অর্জিত অভিজ্ঞতা হতে বলা যায় সব আওয়ামী লীগ সরকারই শিক্ষাবান্ধব ছিল । প্রাইমারি শিক্ষকদের সরকারি কর্মচারির মর্যাদা দেয়া হতে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কলেজ, চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন, কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো, বছরের শুরুতে বিনামূল্যে প্রায় একত্রিশ কোটি বই স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া এই সব কাজই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছে । তবে কেউ যদি মনে করেন এই কাজগুলির সবটাই একশত ভাগ সঠিক ভাবে হয়েছে তা হলে তা সত্যের অপলাপ হবে । বিশ্বের কোন সরকারই সব কাজ একশত ভাগ সঠিক ভাবে করে না বা করতে পারে না । তবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকারের সদিচ্ছা ছিল কি না ।
সে দিনের আলোচনায় শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হলেও সব বিষয়ে স্বল্প পরিসরে পত্রিকার পাতায় আলোচনা করা সম্ভব নয় । তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই কারণ এই পর্যায়ে শিক্ষার সাথে আমি নিজে চার দশকের বেশী সময় ধরে সম্পৃক্ত । সেটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা । বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন দেশে শুধু মাত্র ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল যার মধ্যে বিশেষায়িত ছিল দু’টি । সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা বিশ হাজারের বেশী নয় । বর্তমানে দেশে ৩৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে । এছাড়াও দেশে গাজীপুরস্থ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং চট্টগ্রামস্থ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন নামে দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে । বাংলাদেশ মঞ্জুরী কমিশনের (বিমক) ২০১২ সালের হিসাব মতে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৫,১১,৯১৮ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেন । যার মধ্যে ৪৫ ভাগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ৫৫% ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাদে) । বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার যে চরম সংকট চলছে তা নিয়ে সে দিন কিছু আলাপ হলেও তা অসম্পূর্ণ ছিল কারণ আলোচনার বিষয় সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল । বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষায় সংকট সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উভয় ক্ষেত্রেই প্রকট ।
একটি সময় ছিল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাইতেন । সেটি এখন আর হয় না কারণ বর্তমানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক যে বেতন পান তা অনেক ক্ষেত্রে একজন গাড়ীর ড্রাইভারের বেতনের চেয়েও কম । কোন একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত্র হলে তার জন্য তার সহকর্মীরা একদিনের বেতন দেন । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে একটি পা হারিয়েছেন । তার একটি কৃত্রিম পা সংযোজন করতে প্রায় এক লক্ষ টাকার প্রয়োজন । সেই অর্থ সহায়তা চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন জানিয়ে অপেক্ষা করছেন । প্রায় সব দেশেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল আছে, নেই শুধু বাংলাদেশে । অন্যান্য শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য । কারণ এরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর । সব সরকারই সুযোগ পেলেই মানবসম্পদ উন্নয়নের কথা বলে কিন্তু এটি সম্ভবত উপলব্দি করে না মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে হলে চাই দক্ষ শিক্ষক যা বর্তমান অবস্থায় পাওয়া নিশ্চিতভাবে কঠিন । সম্প্রতি এডিবি প্রকাশিত জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সূচকে তলায় আছে বাংলাদেশে । আমাদের নীচি মিয়ানমার । এই সূচক আমাদের মানবসম্পদের মানের অবস্থা নির্ণয় করে । বাংলাদেশে অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ আছে কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৬৮৭টি কলেজ আছে যার অনেক গুলিতেই মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষাদান করা হয় কিন্তু এই সব কলেজে না আছে কোন উন্নতমানের শিক্ষক না আছে কোন গ্রন্থাগার অথবা পরীক্ষাগার । আমার সুযোগ হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন পর্যায়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে বসতে । গড়ে সেখানে যে মানের প্রার্থীরা হাজির হন তা রীতিমত আঁতকে উঠার মতো । শিক্ষার্থীদের এই চরম অজ্ঞতার দায়ভারতো তাদের নয় বরং তাদের শিক্ষকদের তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের । শিক্ষক না শিখালে শিক্ষার্থী কোথা হতে শিখবে ? এই সব কলেজের অধিকাংশই বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাজনৈতিক বিবেচনায় । আবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নতমানের শিক্ষক না পাওয়ার কারণ অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অথবা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কতিপয় শিক্ষক । এই শিক্ষকদের অনেকেই নির্বাচনী বোর্ডে অথবা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটিতে থাকেন । তাদের সব সময় চেষ্টা থাকে কী ভাবে তাদের অনুগত একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিভাগের বারটা বাজানো যায় । এরকম একাধিক শিক্ষককে প্রায়শঃ দেখি বিভিন্ন টিভির টকশোতে জাতিকে নসিহত করছেন । অন্যদিকে আছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌণপুণিক বাজেট বরাদ্দে সব সরকারেরই ভয়াবহ কৃপণতা । গত চল্লিশ বছরে এই পর্যায়ে বরাদ্দের পরিমাণ শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দের এক ভাগের বেশী কখনো হয় নি । সরকার বলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে হবে । তা কি উপায়ে সম্ভব তা বলেন না । কোন ভাবেই ছাত্র বেতন বাড়ানো সম্ভব নয় । দুই টাকা বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে উপাচার্যের জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয় । এক শ্রেণীর ছাত্র মনে করেন শিক্ষা কোন দান নয় তাদের অধিকার । কিন্তু যদি বলি এই কথাটি প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি শিক্ষার বেলায় একশত ভাগ সত্য উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নয় তখন তারা আমার উপর নির্ঘাত চড়াও হবেন । এরা সকলে মনে করে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব মায়ানমারে এসে দম নিচ্ছে বাংলাদেশে যে কোন দিন এসে যাবে তখন সব শিক্ষা বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে । তাদের তীর্থ স্থানেও এই ব্যবস্থা কখনো ছিল না । উচ্চ শিক্ষা সব সময় নির্বাচিতদের জন্য ছিল, সকলের জন্য নয় । বরং সরকারের উচিৎ কারিগরি শিক্ষায় যতটুকু সম্ভব ভর্তুকি দিয়ে সেই শিক্ষাকে উৎসাহিত করা আর যারা মেধাবী কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ার মতো সক্ষমতা নেই তাদের নিখরচায় পড়ার সুযোগ করে দেয়া । যে ছাত্রটি পকেটে অর্ধ লক্ষ টাকার স্মার্ট ফোন নিয়ে ঘুরে তাকে কেন বিশ টাকা মাসিক বেতনে পড়তে দিতে হবে?
এতো গেল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা । গত দুই দশকে দেশে ৭৯টি বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে । এটি একটি অত্যন্ত ভাল লক্ষণ তবে এখানের সমস্যা গুলি ভিন্ন মাত্রার । এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সত্যিকার অর্থেই সার্টিফিকেট বাণিজ্য করে কিন্তু তাদের আইনের আওতায় আনার সক্ষমতা বিমকের নেই । এই ঢাকা শহরেই একাধিক হাই প্রোফাইল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে বাজারে যাদের প্রচ- ‘সুনাম’ । কিন্তু ক’জনে জানেন এই গুলির অনেকগুলিই ‘উপরে ফিটফাট কিন্তু ভিতরে সদরঘাট’? এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ি এগুলির প্রতিষ্ঠাতারা যারা একটি মুদি দোকান আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে অক্ষম । তবে এই সবের পাশাপাশি কোন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া বেশ ক’টি ভাল মান সম্পন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে তা স্বীকার করতেই হবে । সরকার ২০১০ সালে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ণ করেছে । তার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দিতেই হয় । কিন্তু এই আইনে বেশ অনেক অসংগতি রয়েছে যা ইতোপূর্বে আমি আমার একাধিক লেখায় উল্লেখ করেছি । বাংলাদেশে জমির পরিমাণ যেখানে এমনিতে কম সেখানে বলা হয়েছে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য এক একর অখন্ড জমি থাকতে হবে । এটি একেবারেই একটি আহাম্মকী একটি ধারা । বিশ্বের সব দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ছাত্র অনুপাতে বর্গফুট মাপা হয়, জমির পরিমাণ নয় । কদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের সময় তাঁর সাথে জাপানের দ্বিতীয় পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয় ওসাদায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে । ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ছাত্র আর সাড়ে ছয় হাজারের উপর শিক্ষক আছেন । সেই বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কোন এক একর জায়গার উপর নয় । সরকার বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশে বৈষম্যমূলক শর্তে শাখা ক্যাম্পাস অথবা কোচিং সেন্টার খোলার অনুমতি দিয়েছে । এটি উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির একটি ভাল রেসিপি । এই সব বিষয় সেদিনের সভায় কম বেশী আলোচনা হয়েছে তবে তা কতটুকু ফল বয়ে আনবে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় আর সরকারের উপর নির্ভর করে । শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন থাকবে তাঁর সে দিনের ডাকা সভাটি যেন নিষ্ফল না হয় সে দিকে তিনি লক্ষ রাখবেন।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । জুন ১৭, ২০১৪

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]