প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

৮০ বছর আগে জাপানের একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের কথা

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট।। মার্চ ৬, ২০১৬ ।।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাপানের মানুষ ৮০ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক সামরিক অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করেছেন। কিন্তু ওই ঘটনার বিস্তারিত চিত্র কখোনোই জনসমক্ষে আসতে পারেনি।

সরকারি অফিস গুলোতে হানা দিয়ে মন্ত্রী এবং প্রধান সামরিক কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত অভ্যুত্থানকে দমন করা হয়।

সামরিক অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত সামরিক কর্মকর্তাদেরকে পরে শিবুইয়া'তে প্রাণদন্ড দেয়া হয়, সে সময় সেখানে বর্তমানে বিলুপ্ত জাপানি ইম্পেরিয়াল আর্মির বন্দিশালা ছিলো। এ বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নিহতদের পরিবারের সদস্যরা শিবুইয়া'তে জড়ো হয়ে দিবসটি উদযাপন করেন।

১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী ১,৪০০ সৈন্য সহ সামরিক কর্মকর্তারা টোকিও দখল করে নেন। তারা সরকারের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যা করেন, যাদের মধ্যে দু'জন সাবেক প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন।

কিন্তু অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর ২১ সদস্যের একটি গ্রুপের সদস্যেরকে প্রাণদন্ড দেয়া হয় অথবা নিজেরা আত্মহত্যা করেন।

জাপানের সেনা ও নৌ বাহিনী অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকে দমন করে সরকারের উপর তাদের প্রভাব বিস্তার করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে জাপানের ইতিহাসে এটি একটি বড় অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

বিদ্রোহের সাথে জড়িত নেতাদের রুদ্ধদ্বার বিচার করা হয় যেখানে তাদের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আজ অবধি এই "কালো বিচার" এর রেকর্ড বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

গবেষকরা দলিল গুলোকে জনগনের সামনে উন্মুক্ত করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। সরকার এখন বিচারের সমস্ত রেকর্ড জাপানের ন্যাশনাল আর্কাইভে হস্তান্তরের কথা বিবেচনা করছেন -ফলে সাধারণ জনগণ এসব দলিলের নাগাল পাবেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সন্দিহান। তাদের আশংকা সকল দলিল হয়তো প্রকাশ করা হবেনা।

"সরকার দলিলের কোনো কোনো অংশে গোপনীয়তা রক্ষার নামে কালো কালি লেপন করে দিতে পারে। কিন্তু এসব দলিল জনগনের সম্পত্তি, সে কারণে এগুলোকে যতো দ্রুত সম্ভব উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত এবং এগুলোর কপি করার অধিকারও দেয়া উচিত" তেইকিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিওতাদা ত্সুত্সুই বলেন।

দলিল গুলো ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইতিহাস থেকে শিখতে সাহায্য করবে।

সরকার বলছে আগামী বছরের কোনো এক সময়ে দলিল গুলো প্রকাশ করা হবে। যারা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন তারা দলিলের পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ চান যার মাধ্যমে জাপানের ইতিহাস সম্পর্কে ভালোভাবে উপলব্ধি করা যাবে। এনএইচকে।

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]