|
নতুন সরকারের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা
প্রফেসর আবদুল মান্নান
বৃহষ্পতিবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেন ।
যথারীতি সুশীলরা বিতর্ক শুরু করে দিয়েছেন নবম সংসদের মেয়াদ থাকতে দশম
সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নেয়া আইন সম্মত হয়েছে কী হয় নি তা নিয়ে
। এই প্রশ্নের উত্তর সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞরা দেবেন তবে এটি নিশ্চিত
সেখানেও কোন ঐকমত্য হবে না । জনগণ আরো বিভ্রান্ত হবে । তবে শান্তির কথা
হচ্ছে কিছু শহুরে মানুষ ছাড়া দেশের আম জনতা এই সব বিষয় নিয়ে তেমন একটা
মাথা ঘামান না । তারা বুঝেন একটি নির্বাচন হয়েছে, সেখানে প্রধান বিরোধী
দল অংশ গ্রহণ করেনি কিন্তু তারপরও নির্বাচনটি হয়েছে এবং সংসদ সদস্যগণ
শপথ নিয়েছেন । নবম সংসদের আয়ুষ্কাল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
একটি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন দশম সংসদের সদস্যরা শপথ নেয়ার পর নবম সংসদ
বিলুপ্ত হয়ে গেছে । বাংলাদেশে যদি কোন যুদ্ধাবস্থা অথবা দৈবদূর্বিপাক
সৃষ্টি না হয় তাহলে নবম সংসদের মেয়াদের শেষ দিন অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারির
আগে সংসদ অধিবেশন বসার আপাতত কোন সম্ভাবনা নেই । তবে তেমন কোন অবস্থা
সৃষ্টি হলে তখন কী হতে পারে তাও আলোচনার বিষয় হতে পারে । এক জন শীর্ষ
পর্যায়ের আইন বিশেষজ্ঞের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন তখন
নবম সংসদ বসবে । সংসদের আয়ুষ্কাল শুরু হবে সংসদের প্রথম অধিবেশন হতে ।
শপথ নিলেই একজন সংসদ সদস্য তাৎক্ষণিক সংসদে বসার অধিকার অর্জন করেন না
। এই সব ব্যাপারে সংবিধানে কিছুটা অস্পষ্টতা সম্ভবত রয়ে গেছে । সৈয়দ
আশরাফ আরো বলেছেন বৃহষ্পতিবারের পর হতে বেগম জিয়া আর বিরোধী দলের নেতা
নন, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নতুন বিরোধী দলীয় নেত্রী এরশাদ পত্নী
রওশন এরশাদ । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে
লিখেছেন "আপা এরশাদ জমানায়, যখন ফার্স্ট লেডি ছিলেন তখন অনেক দূর্নাম
কামিয়েছেন । এখন আপনার সামনে একটি সুযোগ এসেছে সেই সব দূর্নাম কাটিয়ে
একজন দায়িত্বশীল বিরোধী দলীয় নেত্রীর ভূমিকা পালন করার ।" তাঁর
শুভাকাক্সিক্ষরা তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা মানে ছায়া
প্রধানমন্ত্রী, তাঁর আচরণ যেন বেগম জিয়ার মতো না হয় । বেগম জিয়া নবম
জাতীয় সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদে মাত্র দশ দিন উপস্থিত ছিলেন । সুযোগ
পেলেই এক দেড় ঘন্টা বক্তৃতা দিয়ে সংসদ কক্ষ হতে কেটে পরেছেন ।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় বেগম জিয়া সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন বলে তাদের
দাওয়াত দিয়ে তাঁর বাসভবনের সামনে জড় করেছিলেন । সাংবাদিকদের কাছে বেগম
জিয়া বেশ একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব । যদিও তারা জানেন তিনি সাংবাদিকদের
সামনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে তাদের ডাকেন কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়
তিনি একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে অন্দরমহলে ঢুকে পরেন । তাঁর এই ধরণের
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার কোন সুযোগ থাকে না তাই সংবাদ
সম্মেলন হয়ে যায় সংবাদ ব্রীফিং । লিখিত বক্তব্যটি গণমাধ্যমে প্রচারের
জন্য পাঠিয়ে দিলে কোন অসুবিধা ছিল না । কিন্তু সম্ভবত তিনি টিভি
ক্যামেরার সামনে নিজের চেহারা দেখানোর জন্য এই ব্রীফিং এর আয়োজন করেন ।
তবে বৃহষ্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের আরো এক দফা হতাশ করলেন কারণ তাঁর
একজন ব্যক্তিগত ষ্টাফ এসে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের জানিয়ে দিলেন আজ বেগম
জিয়া সাংবাদিকদের সামনে আসছেন না । যে যার মতো চলে যেতে পারেন । তারপরও
কিন্তু বেগম জিয়া ডাক দিলেই সাংবাদিক ভাইয়েরা দৌঁড়াবেন কারণ এটি তাদের
পেশা আর কোন কোন ক্ষেত্রে নেশা।
বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি তা এখন আর কোন নতুন সংবাদ নয় । তারা এই নির্বাচন শুধু বর্জনই করেছে তাই নয় তারা এই নির্বাচন প্রতিরোধ ও প্রতিহতের নামে গত আড়াই মাসে তাদের দোসর জামায়াত শিবিরকে সাথে নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক হারে তান্ডব চালিয়ে প্রায় পৌনে দুইশত মানুষ হত্যা করেছে যাদের মধ্যে পঞ্চাশ জনের উপরে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। জনসম্পদের ক্ষতি করেছে কয়েক হাজার কোটি টাকার । জন্ম দিয়েছে বিএনপি’র নিজস্ব আফগানিস্তানের মতো বিন লাদেন, মোল্লা ওমর আর আইয়ামী আল জাওহারীর মতো ভিডিও সর্বস্ব নেতাকে যারা ভিডিওর মাধম্যে জন জীবন বিপর্যস্থ করার জন্য গণমাধ্যমে নির্দেশনা পাঠান । সর্বশেষ সংবাদ হচ্ছে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় তিনটি অফিস খুলবেন এবং তিনি সেখান হতে ভিডিও’র মাধ্যমে বাংলাদেশে চলমান সহিংসতাকে উস্কে দেয়ার জন্য নিয়মিত কাজ করবেন । এবং বলা বাহুল্য তাদের এই সব কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অর্থ যোগান দেবে। সত্তরের দশকে ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি ইরাক আর তুরষ্কে বসে তাঁর দেশে নিজ অনুসারিদের এই ধরণের অডিও বার্তা পাঠিয়ে ইসলামী বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ করতেন । সম্ভত তারেক জিয়া এই পথ ধরেছেন । তিনি খুব সত্বর দেশে ফিরছেন না বলে ঘোষণা করেছেন । সার্বিক অবস্থায় মনে হয় মা বেটার মধ্যে একটি ক্ষমতার দ্বন্ধ শুরু হয়েছে যা হওয়াটা স্বাভাবিক । বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বাধীন স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন দশম জাতীয় সংসদের মাঝে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মিল আছে । একমাত্র এই দু’টি সংসদই কোন স্বাধীনতা বিরোধী চিহ্নিত রাজাকার আলবদর ছাড়া গঠিত হয়েছে । এর বাইরে পূর্বে যতগুলি সংসদ গঠিত হয়েছে সবগুলিতেই শুধু রাজাকার আলবদরদের সরব উপস্থিতিই ছিল না কোন কোন সময় এদের কয়েকজন মন্ত্রী সভায় ঠাঁই করে দিয়ে জিয়া, এরশাদ ও বেগম জিয়ার সরকার নিয়ে দেশের ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তকে চরম অবমাননা করেছিলেন। দশম জাতীয় সংসদ অন্তত এই কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে । বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার হতে লন্ডন হয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্থ বাংলাদেশে ফিরেছিলেন । তার সামনে তখন অকল্পনীয় সব চ্যালেঞ্জ । তিনি সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করার জন্য ১২ জানুয়ারি প্রথম মন্ত্রী সভায় রদবদল করে নতুন মন্ত্রী সভা গঠন করেছিলেন । বঙ্গবন্ধু কন্যাও নানামুখি সব চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী একটি মন্ত্রী সভা গঠন করতে যাচ্ছেন তাঁর পিতার সামনের চ্যালেঞ্জ গুলোর তুলনায় তার সামনে এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ গুলো কোন অংশে কমতো নয়ই বরং বর্তমান চ্যালেঞ্জ সমূহে আরো নানামাত্রা যোগ হয়েছে । বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭২ সনে সব চেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে হয়েছিল তার মধ্যে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করানো এবং ভয়াবহ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ । শেখ হাসিনাকে এই দুটির কোনটাই মোকাবেলা করতে হবে না কিন্তু তাঁকে মোকাবেলা করতে হবে জামায়াত-বিএনপি’র সন্ত্রাস, বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু পশ্চিমা শক্তির অযাচিত চাপ আর জনগণের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা । ২০১৪ সালে এসে আমাদের স্বীকার করতে হবে জামায়াত-বিএনপি মিলে বাংলাদেশকে আবার একাত্তরে ফিরিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে যার আলামত গত তিন মাস ধরে জনগণ দেখেছে । কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের সহিংস কার্যকলাপ একাত্তরকেও ছাড়িয়ে গেছে । একাত্তরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে গুলি করে কিন্তু গত তিন মাসে বাংলাদেশে তাদের প্রেতাত্মারা কী ভাবে পেট্রোল বোমা মেরে ছোট শিশু হতে শুরু করে নারী পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। দেখেছে কী ভাবে রেল লাইন তুলে ট্রেন লাইনচ্যুত করেছে এবং সরকারি সম্পদে অগ্নিসংযোগ করে তাকে ধ্বংস করেছে। গত মেয়াদে আওয়ামী লীগকে ছাত্রলীগ আর যুবলীগ নামধারি কিছু দূর্বৃত্তের কারণে অনেক বদনামীর ভাগিদার হতে হয়েছে যদিও নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী এরা আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গ অথবা সহযোগী সংগঠন নয় । এই মেয়াদে মন্ত্রী সভার বেশ কিছু সদস্য, উপদেষ্টা আর সংসদ সদস্যের গায়ে দূর্নীতির ছোঁয়া লেগেছে । সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের আগে কোন কোন মন্ত্রী আর সংসদ সদস্যদের পাঁচ বছরে বিশাল সম্পদ বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশিত হলে সেই বিষয়ে অনেকে কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি । ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দুষ্ট অনেকে । সরকার গঠনের সময় এই সময় বিষয় বঙ্গবন্ধু কন্যা মনে রাখলে তিনি সরকার ও দলের জন্য ভাল করবেন । ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন তাঁর মন্ত্রীসভায় অনেক নতুন মুখের ঠাঁই করে দেন তা ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হয়েছিল । অনেকে তাকে কচিকাঁচার মেলা বলে সমালোচনা করেছিলেন । আমি শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে একটি সাহসী উদ্যোগ বলে প্রশংসা করেছিলাম । কিন্তু পাঁচ বছর পর বলতে হয় সেই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হয়েছে তা বলা যাবে না । মন্ত্রী সভার কোন কোন সদস্যের কর্মকান্ড বেশ হতাশাব্যাঞ্জক । নির্বাচনের পর আমাকে টেলিফোনে অনেকে বলেছেন আমি যেন লিখি এবারের মন্ত্রী সভা গঠন করতে যেন প্রধানমন্ত্রী এই সব বিষয় বিবেচনা করেন । এই কথা গুলি যারা বলেন তাদের কোন স্বার্থ নেই । তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় বঙ্গবন্ধুর দলটিকে দেখতে চান । এরাই নানা প্রতিকূলতার মাঝেও মারাত্মক সব ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনে ভোট দিতে যান । এরাই আবার নির্বাচন পরবর্তীকালে জামায়াত-শিবির-বিএনপি’র সন্ত্রাসের স্বীকার হন । গত পাঁচ বছরে সব চেয়ে নাজুক অবস্থায় পরেছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ । দল সরকারে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল । বঙ্গবন্ধু সরকারের চেয়ে দলকে অনেক বেশী ভালবাসতেন । তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদে ফেরাকে অনেক বেশী যুক্তিসঙ্গত মনে করেছিলেন । দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় দলীয় কোন্দল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে । কোন কোন এলাকায় একান্ত ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের বেশ কিছু নেতা জামায়াত বিএনপি’র সাথে হাত মিলিয়েছেন । এটি একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত । দল ঠিক না থাকলে শুধু সরকার দিয়ে যুদ্ধে জেতা যায় না । শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে দ্রুততম সময়ে দলকে পূনরুদ্ধার করতে হবে । শেখ হাসিনা এতসব প্রতিকূলতা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে তাঁর পিতার মতো সাহস আর দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন । প্রথমবার ক্ষমতায় এসে তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কাজ শুরু করেছিলেন । দ্বিতীয় দফায় তিনি সেই বিচার কাজ শেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন । তৃতীয় দফায় মানুষ দেখতে চায় তিনি এই বিচার কাজ শেষ করে রায় বাস্তবায়ন করবেন । মানুষ দেখতে চায় দেশে সম্পূর্ণভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে । গত মেয়াদে বিশ্বজিত হত্যাকান্ডের বিচার করে সরকার প্রশংসা কুড়িয়েছে । কিন্তু সরকারের যারা সমালোচক তারা কখনো এই কথাটি বলেন না । তারা কথায় কথায় বিশ্বজিত হত্যাকান্ডের কথা বলতে পছন্দ করেন কিন্তু কখনো তারা বেগম জিয়ার প্রথম মেয়াদে বুয়েটে ছাত্রদলের বন্দুক যুদ্ধে নিহত মেধাবী ছাত্রী সনির কথা বলেন না । শেখ হাসিনার এই মেয়াদে দেশের মানুষ দেখতে চায় সারা দেশে যারা গত তিন বছর ধরে নানা অজুহাতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে, যারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা করে তাদের বাড়ী ঘর লুঠ করেছে, অগ্নিসংযোগ আর হত্যা ধর্ষণ করেছে তাদের প্রত্যেকেরই শুধু গ্রেফতার নয় যেন দেশের প্রচিলত আইন অনুযায়ী কঠোরতম শাস্তি হয় । এটি সব সময় সত্য আওয়ামী লীগের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অন্য যে কোন দলের চেয়ে অনেক বেশী । সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে একটি গতিশীল দক্ষ আর কার্যকর সরকার গঠনের কোন বিকল্প এই মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রীর সামনে নেই । এই যাত্রায় তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ সমূহ অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশী । নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন ইতিহাসে নাম লেখাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সকল শুভাকাক্সক্ষী তাই প্রত্যাশা করেন তবে আগামী দিনে তাঁর যাত্রাপথ তেমন কুসুমাস্তীর্ণ নাও হতে পারে । তাঁকে বেকায়দায় ফেলার জন্য অনেকেই ওঁত পেতে আছেন । সতর্ক না হলে বিপদ অনিবার্য । বাংলাদেশের নতুন সরকারের শুভ যাত্রা কামনা করি । লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । জানুয়ারি ১১, ২০১৪
WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.
|
লেখকের আগের লেখাঃ |