[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের পূনর্মূল্যায়ন

 

 

প্রফেসর আবদুল মান্নান

জনমত জরিপ নিয়ে বাংলাদেশে ইদানিং নানা ধরণের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হয় আর জরিপ জিনিষটি গণমাধ্যমের বদৌলতে সাধারণ শিক্ষিত জনগণের কাছে বেশ বিশ্বাসযোগ্যতাও পেয়েছে । যেমন টিআইবির জরিপ, যতই বিভ্রান্তিমূলক হোক না কেন এই মানুষগুলো সঙ্গে সঙ্গে তা বিশ্বাস করে ফেলে । অথচ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে টিআই বলে যে একটি বেসরকারি সংস্থা আছে এবং তারা বছরান্তে দূর্নীতির একটি ধারণামূলক সূচক প্রস্তুত করে সে সম্পর্কে সে সব দেশের সাধারন মানুষের কোন ধারণাই নেই । একটি পত্রিকা জরিপ করে বললো দেশের সব মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চায় । এমনি চারিদিকে হৈচৈ পরে গেল । আওয়ামী লীগ কেন জনগণের বিপক্ষে গিয়ে এই ব্যবস্থা বাতিল করে দিল ? আর একটি পত্রিকা জরিপ করে বললো জনগন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, তারা চায় নির্বাচন বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক । জনগন আবার বিভ্রান্তিতে । কোনটা তাহলে সঠিক ? সম্প্রতি ভারতের পশ্চিম বঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো । সে দেশে এই নির্বাচনগুলিও আবার দলীয় ভিত্তিতে হয় । নানা ধরণের জরিপ হলো কে জিতবে এই নির্বাচনে ? সকলের ধারণা এবার মমতা দিদি ধরাশায়ী হচ্ছেন কারণ তিনি মূখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর চারিদিকে যে ধরনের উৎপাত শুরু করেছেন সেই উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁকে এবার ভোটাররা এক হাত নেবেন । সব জরিপই বললো এই নির্বাচনে মমতার তৃণমূলের পরাজয় অবধারিত । নির্বাচনের পর দেখা গেল শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তৃণমূল এই নির্বাচনে ধ্বস নামানো বিজয় ছিনিয়ে এনেছে । বরং কংগ্রেস এবং বাম ফ্রন্টের অবস্থা বেশ শোচনীয় । বছরখানেকের মাথায় সে দেশে সাধারণ নির্বাচন । ইতোমধ্যে দলগুলি তাদের নিজস্ব প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে । ক’দিন পরে শুরু হবে নানা রকমের জরিপ । কোন দল রাজ্যে মন্ত্রীসভা গঠন করবেন অথবা কারা দখল করবেন দিল্লী তার হিসাব নিকাশ শুরু হবে এই সব জরিপে । অন্যান্য দেশেও তা হয়ে থাকে তবে তা নিয়ে মানুষ অথবা গণমাধ্যম তেমন একটা হৈ চৈ করে না যেমনটি আমাদের দেশে দেখা যায় ।
সম্প্রতি ভারতে একটি অদ্ভুত জরিপ পরিচালিত হয়েছে ।‘সিএনএন-আইবিএন-দ্য হিন্দু ইলেকশন ট্রাকার সার্ভে’ শীর্ষক জরিপটি চালিয়েছে ভারতের সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ । একটি প্রশ্ন ছিল কোন দেশকে ভারত সব চেয়ে বেশী বিশ্বাস করতে পারে-এ প্রশ্নের জবাবে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৮ শতাংশ মত দেন বাংলাদেশের পক্ষে । এরপর রাশিয়া (৪৬) । এই জরিপটি করা হয়েছে সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে । এটি জেনে নিশ্চয় বাংলাদেশের মানুষের ভাল লাগবে কিন্তু বেশী ভাল লাগতো যদি এই সংখ্যাটি আরো বেশী হতো এর কারণ গত চল্লিশ বছরে বাংলাদেশ ভারতবর্ষের কাছে যা অঙ্গীকার করেছিল অনেক সময় ভারতের প্রাপ্তি তার চেয়ে অনেক বেশী । এটির অন্যতম প্রধান কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও তার সরকারের অবদান এদেশের মানুষ সব সময় কৃতজ্ঞচিত্ত্বে স্মরণ করে । ফলে আমি অবাক হয়েছি কেন এটি ৪৮ শতাংশ হলো, কেন আরো বেশী নয় ? এখন ধরুন এমন একটি জরিপ যদি কেউ বাংলাদেশে চালায় তাহলে আমার ধারণা সেই হিসাব ভারতের সাধারণ জনগণকে হতাশ করবে, মানে ভারতের জন্য খুব ভাল হবে না । এখন প্রশ্ন কেন এমন হবে ? তার কারণ বহুবিধ । তবে সব কিছুকে এক জায়গায় আনলে তার সারমর্ম দাঁড়ায় ভারত নিতে জানে বেশী, দিতে জানে কম । এই মন্তব্যটি ভারতের জনগণ নয় সরকারের জন্য প্রযোজ্য এবং ভারত সরকারের অনেক এক পেশে কর্মকা-ের জন্য এই দূঃখজনক চিত্রটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে । ভারত সরকার বাংলাদেশের প্রতি তার অনেক অঙ্গীকার পূরণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং তার বলি হয়েছে দু’দেশের মধ্যে সম্ভাব্য আস্থা আর বিশ্বাস ।
সেই দেশ বিভাগের পর হতে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে অনেক অমীমাংসিত সমস্যা বিদ্যমান ছিল । এই সমস্যাগুলির অনেকগুলিই কিন্তু ইংরেজদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই সৃষ্টি হয়েছিল । এই সমস্যাগুলির মধ্যে প্রধানত ছিল দুই দেশের পারস্পরিক সীমান্ত চিহ্নিতকরণ এবং অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন । দেশ ভাগের পরবর্তী দুই দশকে ভারতের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানের অনেক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হয়ে গেলেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কিন্তু সব সমস্যাই জিইয়ে ছিল । বাংলাদেশ স্বাধীন হলে উত্তরাধিকার সূত্রে এই সমস্যাগুলি বাংলাদেশের সমস্যা হিসেবে আমরা পেয়ে যাই । তবে সুখের বিষয় যে এই সমস্যাগুলি সমাধানের একটি শুভ সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু আর ইন্দিরা গান্ধীর হাত ধরে । শুরুতেই ১৯৭৪ সনে ছিট মহল বিনিময়ের জন্য দুই নেতার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যাকে ইন্দিরা মুজিব চুক্তি হিসেবে সকলে জানে । এই চুক্তির অধীনে উভয় দেশের মধ্যে যে ছিটমহল গুলি আছে তার বিনিময় করে দু’দেশের সীমানাকে যতদূর সম্ভব সরল রৈখিক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । এর ফলে প্রায় ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত অনেকটা সোজাসুজি (সরল রৈখিক) হয়ে যেত । যেহেতু এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এটিকে বাস্তবায়ন করতে হলে উভয় দেশের জাতীয় সংসদে এই মর্মে বিল উত্থাপন করার প্রয়োজন ছিল যা বাংলাদেশ সময় ক্ষেপণ না করে করেছে কিন্তু এই ব্যাপারে ভারত চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে । দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই সমস্যাটি সুরাহা করার জন্য ভারত খুব জোড়ালো ভাবে কখনো চেষ্টা করেনি । আর স্বাক্ষরকারী দুই নেতার মর্মান্তিক হত্যাকা-ের পর পুরো বিষয়টাই হিমাগারে চলে যায় । বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আবারও বিষয়টা সামনে আসে এবং ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে নতুন করে আর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় এবং বলা হয় যত দ্রুত সম্ভব ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন সহ সীমান্ত সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধান করা হবে । কিন্তু বাস্তবে সেই চুক্তি স্বাক্ষরেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে আজো তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি । এই যাত্রায় দিল্লীর কেন্দ্রীয় সরকারের হয়তো আন্তরিকতা ছিল কিন্তু বাদ সেধেছে লোক সভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি আর পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । যেহেতু লোক সভায় এই বিল পাশ করাতে প্রয়োজনীয় কংগ্রেস সমর্থিত সরকারের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই সেহেতু মনে হচ্ছে না বর্তমান সরকারের আমলে এই চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে। তবে কিছুটা আশার কথা আবার বিলটি নাকি লোক সভায় সমর্থণের জন্য উঠছে । বর্তমানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনির ঢাকা দিল্লী দৌঁড়াদৌঁড়িই সার । তারপরও তাঁকে গণমাধ্যমের সামনে খুব কষ্টে হাসিমুখে বলতে হয় তিনি আশাবাদী । একই অবস্থা তিস্তা নদীর পানি বন্টন বিষয়টি নিয়েও। মনমোহন সিংএর ঢাকা সফরের আগের দিন পর্যন্ত দিপু মনি বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে গণমাধ্যমকে বললেন চুক্তি হবে । সকলে একটু আশান্বিত হলো । সবকিছুতে পানি ঢেলে দিলেন মমতা ব্যানার্জি । তাঁর কথা এমন যে ‘জান দেব কিন্তু তিস্তার পানি দেব না’ । মনমোহন সিং এর সাথে তাঁর ঢাকা আসার কথা ছিল কিন্তু তিনি শেষ মুহুর্তে তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত করে আসলেন না । এই সব সমস্যা জিইয়ে রেখেই কিন্তু দুই দেশের বর্তমান সরকার তাদের মেয়াদ শেষ করছে । এই সমস্যাগুলি অমীমাংসিত রাখলে আর কারো কোন ক্ষতি না হোক বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বিব্রত হবে বৈকি আর দিপু মনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন এর ফলে আগামী নির্বাচনে বতর্মান সরকার কিছুটা হলেও অসুবিধায় পরবে । এমনতো হওয়ার কথা ছিল না তারপরও হলো এবং হলো এই কারণে ভারতের কিছু অদূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিবিদের বাস্তব বাদী দৃষ্টি ভঙ্গির অভাবে । বিশ্বে এমন কোন দেশ কী আছে যেখানে সে দেশ পার্শ্ববর্তী দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য নিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা নদীর উপর কৃত্রিম বাঁধ তৈরী করে সেই বাঁধের উপর দিয়ে ভারী যানবাহনের ব্যবহার করে পাশের দেশটিকে তার ঢাউশ সাইজের যন্ত্রপাতি পরিবহণের সুযোগ করে দিয়েছে ? অথচ বাংলাদেশতো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সুবিধার্থে এই কাজটি করেছে ।
বাংলাদেশ এক সময় ভারতের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদিদের একটি নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো । বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে এই বিচ্ছিন্নতাবাদিদের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে আধুনিক অস্ত্রের চালান যেত আর সে কাজে সহায়তা দিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যন্ত্র । বিগত জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রামে দশ ট্রাক বেআইনী অস্ত্র ধরা পরা তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ । বর্তমান সরকারের আমলে এই সব ঘটনা যে বন্ধ হয়েছে শুধু তাই নয় বাংলাদেশ হতে অনেক সন্ত্রাসীকে ধরে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ একটি সত্যিকারের সৎ প্রতিবেশীর দায়িত্ব পালন করেছে । বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত অনেক নিরাপদ । বাংলাদেশের মানুষ অন্তত এই একটা কারণে ভারতের কৃতজ্ঞতাবোধতো প্রত্যাশা করতে পারে ।
বহুদিন ধরে ভারত চেষ্টা করে আসছে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ট্রানজিট বন্দর হিসেবে ব্যবহার করতে । এই বন্দরের অনেক সম্ভাবনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা হচ্ছে এটিকে ভারত সহ নেপাল, ভূটান ও দক্ষিণ চীনকেও ট্রানজিট বন্দর হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া । এটি প্রথমত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার । সেই সিদ্ধান্তটি অতীতে কোন সরকার না নিলেও বর্তমান সরকার নীতিগত ভাবে অনুমোদন দিয়েছে । এখন এটা নির্ভর করে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার উপর । আশা করা যায় বিষয়টি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে । বাংলাদেশের নদীপথ গুলিকে দীর্ঘদিন ধরে ভারত তার পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহার করে আসছে । এই সুবিধা ভারত বাংলাদেশকে দেয়ার কোন সুযোগ নেই । বাংলাদেশ হতে ভারতে নানা কাজে প্রতিমাসে কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে । এই ভ্রমনকারীরা ভারতের অর্থনীতিতে একটি বড় পরিমাণের বিদেশী মুদ্রার যোগান দিচ্ছে । পূর্বে ভারতের ভিসা পেতে এই ভ্রমনকারীরা ভয়াবহ হয়রানির শিকার হলেও তা বর্তমানে অনেকটা কমেছে । তবে এখনো এটা বোধগম্য নয় যে ব্যক্তিটির কাছে যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা আছে তিনি কেন এমন একটি ভিসা ভারত হতে পাবেন না । পশ্চিম বঙ্গ বাদে অন্যান্য রাজ্যে ভ্রমণ করলে অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের হোটেলে রুম ভাড়া নিতে অসুবিধায় পরতে হয় । এটি একটি বন্ধুভাবাপন্ন দেশ হতে প্রত্যাশিত নয় ।
জরিপের ফলাফলে আবার অনেক ভারতীয় তেমন একটা খুশি নয় । তারা মনে করেন বংলাদেশকে এত আস্থায় নেয়া উচিৎ নয় । এই মনোভাবটা বেশ জোড়ালোভাবে প্রতিফলিত হয়েছে আসামের অনেক ব্লগারদের মন্তব্যে । তাদের মতে বাংলাদেশ হতে অসংখ্য অনুপ্রবেশকারী, যাদের অধিকাংশই মুসলমান, আসামে প্রবেশ করেছে এবং তারা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে । এই ধরণের মন্তব্যে মোটেও বন্ধুত্বের ছাপ থাকে না । ভুললে চলবে না এক সময় আসাম আর বৃহত্তর সিলেট একটি প্রদেশ ছিল । সেই প্রদেশে হিন্দু মুসলমানের সংখ্যা প্রায় সমান সমান ছিল এবং অন্যদের তুলনায় মুসলমানদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা অনেক ভাল ছিল । বৃটিশরা সেই প্রদেশকে ভাগ করে সিলেটকে পাকিস্তানের সাথে যোগ করে দিয়েছিল ঠিক অনেকটা যেমন ভাবে পাঞ্জাব আর বাংলাকে ভাগ করা হয়েছিল । সীমান্তের ওই পাড়ে বিরাট সংখ্যক মুসলমান জনগোষ্ঠী রয়ে যায় । এদের অবৈধ অভিবাসী বলা মোটেও সমীচীন নয় ।
এটি কোন তর্কের বিষয় নয় যে দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মাঝে সুসম্পর্ক থাকলে উভয়েরই লাভ । তার জন্য উভয়েরই দেয়া নেয়ার হিসাব সমতার ভিত্তিতে হতে হবে । একতরফা হলে সব সময় এই সুসম্পর্কটা বজায় থাকে না আর আস্থার সংকট দেখা দিতে পারে যেমনটা কোন কোন ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের বেলায় দেখা যাচ্ছে । এটির উন্নতি ঘটানোর দায়িত্ব মূলত যতটা ভারতের ততটা বাংলাদেশের নয় । বাংলাদেশের মানুষ আশা করে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর জন্য ভারত তার দায়িত্বটুকু পালন করবে এবং আগামীবার এমন একটি জরিপ হলে তাতে সেই উন্নতির প্রতিফলনটুকু দেখা যাবে। তবে সেই জরিপ কাজটি উভয় দেশেই করা উচিৎ হবে।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। অগাষ্ট ৩, ২০১৩

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ