|
||||||||||||||||||
|
একজন দুর্দিনের অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার কথা
প্রফেসর আবদুল মান্নান গত ৫ই জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১০ম সংসদে প্রথম বারের মতো ২,৫০,৫০৬ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করলেন । বাজেট আগামী এক বছরের আয় ব্যয়ের একটি আগাম ধারণা । কোন কোন খাতে কত টাকা খরচ হতে পারে আর কোথায় পাওয়া যাবে এই টাকা বাজেটে তেমন কিছু তথ্য উপাত্ত থাকে । বছর শেষে এই হিসাবে অবধারিত ভাবে কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয় । এর প্রধান কারণ বাজেট সাধারণত অনেক ‘যদি’ আর ‘কিন্তু’র উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয় । বাংলাদেশের দীর্ঘ ৪৩ বছরের ইতিহাসে এটি সর্ববৃহৎ বাজেট । গত অর্থবছরে এই বাজেটের আকার ছিল ২,২২,০০০ কোটি টাকা । যা পরবর্তীকালে ২,১১,০০০ কোটি টাকায় নির্ধারিত হয়েছিল । শেষ পর্যন্ত তার সাথে অতিরিক্ত ৮,০৬৬ কোটি টাকা যোগ করতে হয়েছে । একটি সময় ছিল বাংলাদেশের বাজেটের প্রায় ৯০ ভাগ অর্থ আসতো বাইরের উৎস হতে । অর্থাৎ আমাদেরকে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখতে বড় আকারে অন্যের উপর নির্ভর করতে হতো । প্রতি বছর আমাদের সাহায্যদাতা দেশ আর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করতেন সকলে মিলে আমাদের কত সাহায্য আর ঋণ দেয়া যায় তা নির্ধারণ করতে । সেই বৈঠকের বাইরে আমাদের অর্থমন্ত্রী তাঁর সাঙ্গ পাঙ্গদের নিয়ে বসে থাকতেন কখন আসবে ভিতর থেকে একটা সুসংবাদ । ৪৩ বছরের ব্যবধানে পাল্টে গেছে বাংলাদেশের চিত্র । সদ্য ঘোষিত বাজেটে ব্যয়ের বিপরীতে বৈদেশিক ঋণ আর বৈদেশিক অনুদানের হিসাব ধরা হয়েছে মোট বাজেটের ৯.৭% । বছর শেষে এসে এই সংখ্যা অনেক সময় ২-৩% এ দাঁড়ায় । বাজেটের বাকিটা যোগান হবে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে । সব দেশেই অর্থ বছরের শুরুতে বাজেট দেয়ার রেওয়াজ থাকলেও অন্য কোন দেশে বাজেট নিয়ে এত হৈ হট্টগোল হয় না, যেমনটি হয় বাংলাদেশে। বিরোধী দল বাজেট পেশের আগেই ‘এই বাজেট গরীব মারার বাজেট এই বাজেট মানি না’ বলে ব্যানার নিয়ে রাস্তায় নেমে পরেন না । এবারতো বিএনপি এই সরকারের বাজেট পেশ করার অধিকার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কারণ তারা সংসদে নেই । বিগত সরকারের সময় তারা সংসদে ছিলেন কিন্তু কোন বাজেট অধিবেশনেই বাজেট পেশ করার সময় উপস্থিত ছিলেন না । এর পরিবর্তে তারা এক অভিনব পদ্ধতিতে একটি তারকা খচিত হোটেলে একটি বিকল্প বাজেট উপস্থাপন করেছেন যা অনেকটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল । রাজনীতির গুটি ঠিক মতে চাললে এমনও হতে পারতো এবারের বাজেট তাদেরই কোন এক অর্থমন্ত্রী সংসদে পেশ করতে পারতেন । বিদেশী মুরুব্বিদের পরামর্শ শুনে তারা ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে না গিয়ে যে ভুল করেছেন তা হয়তো এখন বুঝতে পারছেন । এখন কী ভাবে তাদের আবার সংসদে ঢুকানো যায় তা নিয়ে তাদের বিদেশী বন্ধুদের পুনরায় দৌঁড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে । বাংলাদশে আবার একদল সুশীল ব্যক্তি আছেন তারা যখনই বাজেট পেশ করা হয় তখনই তার ছিদ্রান্বষণে ব্যস্ত থাকেন । এবার বাজেট পেশের আগে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাজেট পেশের পর কোন সুশীল ব্যক্তি বা সংগঠন কী বলতে পারেন সে সম্পর্কে অনেকেই মজার মজার সব পোষ্টিং দিয়েছেন । তাদের সেই অনুমান নির্ভর পোষ্টিং তেমন একটা ভুল হয় নি । যেহেতু বর্তমান বাজেট নিয়ে চারিদিকে বেশ জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হচ্ছে চলুন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট কেমন ছিল তার দিকে একটু নজর দেই । তখন অনুমান করা যাবে বাংলাদেশ কোথা হতে কোথায় এসেছে । বাংলাদেশ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দখল মুক্ত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন ১০ জানুয়ারী । ১২ জানুয়ারী মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠক হয় । সেই সভায় মন্ত্রী সভা পূনর্গঠিত হয় । বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন আর যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনকে করা হয় অর্থমন্ত্রী । বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করা হয় । বাংলাদেশ তখন সম্পূর্ণ যুদ্ধবিধ্বস্থ একটি দেশ যা আজকের প্রজন্ম কল্পনাও করতে পারবেন না । এমন অবস্থায় অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ ১৯৭২ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে পেশ করেন । বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে বাজেট পেশ করতে গিয়ে তিনি তাঁর বক্তৃতায় বলেন ‘বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে এই বাজেট প্রচার না করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সামনে উপস্থাপন করতে পারলে আমি খুশি হতাম । তবে আমি আশা করি যে এর পরে আর কোনদিন এইভাবে আমাদেরকে বাজেট প্রচার করতে হবে না । নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরা এখন দেশের যে সংবিধান বা শাসনতন্ত্র প্রণয়নে ব্যাপৃত রয়েছেন, সেই সংবিধান গৃহীত হবার পরে দেশের আইনসভাতেই বাজেট উপস্থাপিত হবে এবং আইনসভার ইচ্ছা ও অনুমোদন অনুযায়ী সরকারের আয় ও ব্যয় নির্ধারিত হবে’। দূর্ভাগ্য বশত বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়া যখন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন তিনবার রেডিও টিভিতেই বাজেট পেশ করা হয়েছিল । বাংলাদেশের প্রথম বাজেটকে অর্থমন্ত্রী আখ্যায়িত করেছিলেন উন্নয়ন, পুননির্মাণ ও পুনর্বাসনের বাজেট হিসেবে । এই সময় এক কোটি শরণার্থী ভারত হতে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিল এবং দেশের অভ্যন্তরে আরো কয়েক লক্ষ মানুষ নিজেদের ভিটে মাটি হতে উচ্ছেদ হয়েছিলেন । নতুন সরকারের প্রধান দায়িত্বই ছিল এই মানুষগুলিকে পুনর্বাসন করা । প্রথম বাজেটে অর্থমন্ত্রী ৬৬ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা উদ্বৃত্ত ধরে ৫০১ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করেন । উন্নয়ন বাজেট ধরা হয় ৩১৮ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা যার মধ্যে ১০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল কৃষি খাতে । উল্লেখ্য বাংলাদেশের প্রথম বাজেটে কোন নতুন কর ছিল না কারণ সরকার ঠিকই জানতেন এই যুদ্ধবিধ্বস্থ বাংলাদেশের মানুষের নতুন কর দেয়ার মতো অবস্থা নেই । সেই সময়কার অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন ‘১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর যখন ঢাকা মুক্ত হল, তখন আমরা পেলাম এক যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেউলিয়া অর্থ ব্যবস্থা । রেলপথ, সড়ক ও নদীপথসমূহ তখন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ; নিমজ্জিত জাহাজ আর ভাসমান মাইন দিয়ে বন্দর সমূহ বন্ধ ; শিল্পসমূহ শত্রুর আঘাতে বিধ্বস্থ বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ; যন্ত্রপাতি আর কাঁচামালের অভাবে কল-কারখানা স্তব্ধ । স্বাধীনতা লাভের সাথে সাথেই যে বহুবিধ সমস্যা নতুন সরকারের আশু মনোযোগ দাবী করছিল তার মধ্যে ছিল দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাব, খাদ্যসামগ্রীর সীমিত সরবরাহ, শ্রম শক্তির বেকারত্ব । আর ছিল লক্ষ লক্ষ সহায়-সম্বলহীন মানুষ আর দেশে প্রত্যাবর্তনকারী অগণিত উদ্বাস্তুর মিছিল । এই সব সমস্যার সমাধান যে কোন সরকারের জন্য ছিল দুঃসাধ্য আর সম্পদ ও বৈদেশিক মুদ্রা বিহীন এবং যথাযথ প্রশাসনযন্ত্র বর্জিত নতুন সরকারের জন্য এ ছিল এক অসম্ভব কাজ । সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য এবং এক শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি স্থাপনের জন্য বর্তমান সরকারকে ব্রতী হতে হয়। ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থ বাজেট মূলতঃ পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন-ধর্মী । তবে সেই সঙ্গে শুরুতেই যাতে ভবিষ্যতে শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সময়ের ভিত্তি স্থাপিত হতে পারে সেই কথা স্মরণে রেখেই আমরা অগ্রসর হয়েছি ।’ এখানে একটা কথা খেয়াল রাখা ভাল বাংলাদেশের প্রথম বাজেট মূলতঃ দেড় বছরের বাজেট ছিল । প্রথমটি ছিল ১৯৭১ সনের ১৬ই ডিসেম্বরের হতে শুরু করে ১৯৭২ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত । ১৯৭২-৭৩ সালে বাজেটটি ছিল প্রথম পূর্নাঙ্গ বাজেট । বাজেট তৈরী করার সময় বাংলাদেশের কোন ব্যাংক ভোল্টে একটি ডলারও ছিল না কারণ পাকিস্তানি সৈন্যরা আত্মসমর্পনের পূর্বে সব ব্যাংক খুলে ভল্টে রক্ষিত সব টাকা কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় আর যে সব ব্যংকে বিদেশী মুদ্রা ছিল তা তারা নিজেরা ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়ে নেয় । অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন বিদেশী সাহায্যতো বটেই বিশ্বব্যাংক হতে কোন অর্থ নেওয়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন । তবে দেশের এই ক্রান্তিকালে নানা ধরণের পণ্য সাহায্য সহ অর্থ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম কয়েকটি দেশ যার মধ্যে ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন,পূর্ব ইউরোপীয় দেশ সমূহ, জাপান, বৃটেন, ফ্রান্স সহ আরো কিছু ইউরোপীয় দেশ । সে সময় যুক্তরাষ্ট্র হতে কোন সাহায্যতো আসেই নি বরং ১৯৭৪ এর দূর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে দেশটি এক ন্যাক্কারজনক ভূমিকা রেখেছিল । অর্থমন্ত্রী ঠিকই জানতেন এই যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশে জরুরী ভাবে প্রথম যে জিনিষটির সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে তা হচ্ছে খাদ্য । তিনি সেই কারণেই তার বাজেটে কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন । তিনি তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন ‘স্বাধীনতার পরপরই আমরা উপলব্দি করি যে আগামী আমন ফসল পর্যন্ত ৩০ লক্ষ টন খাদ্য ঘাটতি হতে পারে । সরকারী গুদামসমূহ তখন প্রায় শূন্য ছিল । এমনকি, দু’মাসের মেয়াদে পূর্ণ ও সংশোধিত রেশন সরবরাহের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না । খাদ্যের এই মজুদের পরিমাণ ছিল সর্বকালের জন্য নূন্যতম । মজুদ মাত্রায় এই অবক্ষয় ছিল দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পনের আগে এ-দেশকে দেউলিয়া করে ছেড়ে দেওয়ার ঐকান্তিক নীতির ফল । এই সংকট কালে সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসেন সর্বপ্রথম ভারত । ভারত ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টন অর্থাৎ ২০২ লক্ষ মন খাদ্য সামগ্রীর প্রতিশ্রুতি দিয়েই সম্ভাব্য সকল পথ দিয়ে খাদ্য সরবরাহ শুরু করে ।’ বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের প্রথম বাজেট বক্তৃতা ছিল একটি ঐতিহাসিক দলিল, যে দলিলের প্রতিটি লাইনে ছিল একটি যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর রেসিপি । তাঁর এই বক্তৃতায় একটি দর্শন ছিল । ছিল আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি রোড ম্যাপ । কৃষির সাথে সাথে জোর দেয়া হয়েছিল শিক্ষা খাতকে । তিনি বুঝেছিলেন একটি অশিক্ষিত জাতি স্বাধীন দেশ হিসেবে খুব বেশী দূর যেতে পারবে না । অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন বাজেট বক্তৃতা দিয়েই তাঁর দায়িত্ব শেষ করেন নি । পরবর্তী এক বছরে তিনি আর তাঁর সরকার সচেষ্ট থেকেছেন যাতে এই বাজেট বাস্তবায়িত হয় এবং বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে সামনে এগিয়ে যেতে পারে । তাজউদ্দীনের ভাগ্য ভাল বর্তমানের মতো ১৯৭২-৭৩ সনে বাংলাদেশে কোন সুশীল পন্ডিত ছিল না যারা বাজেটের ছিদ্রান্বষণে ব্যস্ত থাকতেন । বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত বছর যখন সংসদে বাজেট পেশ করেন তখনো এদেশের অনেক পন্ডিত জনেরা বলেছিলেন এই বাজেট সাংঘাতিক উচ্চাভিলাষি । সেই বাজেটের প্রায় ৯৮ ভাগ বাস্তবায়িত হবে তা অনেকেই চিন্তাই করতে পারেন নি । এর মধ্যে আবার আন্দোলনের নামে বিরোধী দলতো প্রায় অর্ধেক বছর পুরো দেশটাকেই অচল করে রেখেছিল । এবারের বাজেটকেই একইি পন্ডিত জনেরা ইতোমধ্যে উচ্চাভিলাষি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন । বছর শেষে হয়তো তাদের এবারের মতো আবার নিজেদেও অবস্থানকে পুণমূর্ল্যায়ন করতে হবে । তবে একটি কথা অবশ্য ঠিক যে এই বাজেটকে বাস্তবায়ন করতে হলে যারা এর বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবেন তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার কোন বিকল্প নেই । লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । জুন ১৩, ২০১৪
WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.
|
লেখকের আগের লেখাঃ
|