[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

আসামির কাঠগড়ায় জামায়াতে ইসলাম

 

 

প্রফেসর আবদুল মান্নান

বহুদিন ধরেই আমরা অনেকেই বলে আসছি জামায়াত একটি সন্ত্রাসী ও ফ্যাস্স্টি সংগঠন আর তার সন্ত্রাসীদের প্রজননের ইনকিউভেটর হচ্ছে ইসলামী ছাত্র শিবির সুতরাং এই দুটি সংগঠনকেই নিষিদ্ধ করা হোক যেমনটি বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার অব্যবহিত পরই কোন দ্বিধা দ্বন্ধ না করেই তা করেছিলেন । বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জিয়া ক্ষমতা দখল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নামে জামায়াত সহ অন্যান্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মান্ধ বাংলাদেশ বিরোধী মধ্যযুগীয় দলগুলিকে এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন । এটি ছিল একজন সামরিক শাসকের সুবিধাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করার প্রথম পদক্ষেপ । অনেকে কথায় কথায় বলেন জিয়া শুধু যে জামায়াত বা মুসলিম লীগকে স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দিয়েছেন তা নয় তিনি আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন যা বঙ্গবন্ধুর আমলে নিষিদ্ধ ছিল । এটি একটি কূতর্ক কারণ আওয়ামী লীগ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেনি বরং এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে আর ঠিক উল্টোটা করেছিল জামায়াত-মুসলিম লীগ, পিডিপি অথবা নেজামে ইসলামী । জামায়াত শুধু যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাই নয় তারা তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘকে (বর্তমানে ইসলামী ছাত্র শিবির) নিয়ে দেশে তাদের নিজস্ব কিলিং স্কোয়াড আল-বদর বাহিনী গঠন করেছিল এবং অধিকৃত বাংলাদেশে পুরো সময় ধরে তারা পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী সংগঠন হিসেবে সারা দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ আর গণহত্যা চালিয়েছিল । দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাও আল-বদর বাহিনীর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল । জামায়াত সক্রিয়ভবে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা না করলে পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর পক্ষে কখনো এত দ্রুত বাংলাদেশ দখল করা সম্ভব হতো না এবং এত প্রাণহানিও হতো না । অধিকৃত বাংলাদেশে রাজাকার গঠিত হয়েছিল একটি সরকারি গেজেটের মাধ্যমে সুতরাং তা ছিল একটি সরকারি বাহিনী আর আল বদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল জামায়াতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বলে এবং এই সংগঠনটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল জামায়াতের হাতে যদিও তাদের অস্ত্র আর অর্থ দিয়ে পাকিস্তান সেনা বাহিনী সার্বিক ভাবে সহায়তা করতো । রাজাকাররা মূলত মুক্তিবাহিনীর হামলা হতে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করতো এবং প্রয়োজনে পাকিস্তানী সেনা বাহিনীকে বাঙালি নিধন অভিযানে পথঘাট দেখিয়ে সহায়তা করতো । আল শামস্ আর মুজাহিদ বাহিনীর কাজও একই প্রকৃতির ছিল তবে তাদের সংখ্যা রাজাকারদের চেয়ে অনেক কম ছিল । পরের দুটি বাহিনীতে মূলত মুসলীম লীগ, নেজামে ইসলামী আর পিডিপির তরুণ সদস্যদের অন্তর্ভূক্ত করা হতো । জুলাই মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তান সরকার ইষ্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড পুলিশ (ইপিক্যাপ) নামে আরো একটি বাহিনী গঠন করে এবং প্রথম দিকে সেই বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয় পশ্চিম পাকিস্তান হতে নিয়ে আসা কয়েকশত অবাঙালি যাদের অনেকের বিরুদ্ধেই আবার নানা রকমের ফৌজদারি মামলা ছিল বলে জানা যায় । পরবর্তীকালে এই বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত হয় বাংলাদেশে বসবাসরত কয়েক হাজার অবাঙালি যাদেরকে বিহারী নামে মানুষ বেশী চেনেন । এদেশে এই বিহারীরাও গণহত্যার দায়ে কম অভিযুক্ত নন এবং কোন এক সময়ে গিয়ে তাদেরও বিচার হওয়া উচিৎ । এই বিহারীরা সম্ভবত একদিনে সব চেয়ে বড় গণহত্যাটি চালিয়েছিল চট্টগ্রামের আমবাগনের টাইগার পাসে একাত্তরের নভেম্বর মাসে যখন তারা দুটি ট্রেন থামিয়ে প্রত্যেকজন যাত্রীকে নির্বিচারে ঠা-া মাথায় জবাই করেছিল এবং এই কাজটি তারা করেছিল রমজান মাসে ঠিক ঈদের আগের সপ্তাহে । সেদিন বিএনপি দলীয় এক নারী সংসদ সদস্য টিভিতে তার উষ্মা ও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন যে মুজাহিদ বা গোলাম আযমের রায়গুলি পবিত্র রমজান মাসে হচ্ছে । আমার কাছে যদি একটি টাইম মেশিন থাকতো তাহলে তাকে আমি চট্টগ্রামের সেই গণহত্যা পরবর্তীকালের দৃশ্য দেখাতে নিয়ে যেতাম । সেই দৃশ্যতো আমার দেখার দূর্ভাগ্য হয়েছে । আর আল-বদর ছিল একান্তভাবে জামায়াতের নিজস্ব সংগঠন এবং যেমটা পূর্বে ইল্রেখ করেছি তার গঠনই ছিল একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে যার প্রথমটি ছিল হিন্দু আর আওয়ামী সমর্থক নিধন এবং পরবর্তীকালে যুদ্ধের শেষের দিকে তা নির্দিষ্ট হয় দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যায় যা তারা খুব পারদর্শিতার সাথে করেছিল । এই আল-বদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন মতিউর রহমান নিজামি আর সদ্য দ-প্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যর পর প্রথমে সংগঠিত হয় ইসলামী ছাত্র সংঘ এবং তার নতুন নামকরণ করা হয় ইসলামী ছাত্র শিবির । তাদের প্রথম সাংগঠনিক বৈঠকটি হয় ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে । জামায়াত সরাসরি আত্মপ্রকাশ না করে মওলানা আবদুর রহীমের নেতৃত্বে তা আই ডি এল নামে প্রথমে আত্মপ্রকাশ করে । ১৯৭৮ সালে পৃথক সংগঠন হিসেবে জামায়াত প্রথম রাজনীতির মাঠে প্রবেশ করে এবং তার প্রথম আমির নির্বাচিত হন গেলাম আযম কিন্তু যেহেতু তার নাগরিকত্ব বিষয়টি তখনো অমীমাংশিত ছিল সেহেতু আব্বাস আলি খানকে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দলের দায়িত্ব দেয়া হয় । এই তথ্যটি গোলাম আযম তার আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন । যে দলটি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের চরম বিরোধিতা করেছে, যে দলটির ঘাতক বাহিনী একাত্তরে নির্বিচারে দেশে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুঠতরাজ আর বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে জড়িত ছিল সে দলটি তাদের অতীত কৃতকর্মের জন্য বিন্দু মাত্র অনুশোচনা করে না অথবা কোন ধরনের অনুতপ্ত না হয়ে কিংবা জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে সেই দলটি সেই একই দেশে স্বাধীনতার সাত বছরের মাথায় আবার তাদের একই রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই যে ভাবে হাজির হয়েছিল তা সমসাময়িক ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা ।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই মিত্র বাহিনী এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছিল যুদ্ধ শেষ হওয়ার অব্যবহিত পরই হিটলারের নাৎসি পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং এই পার্টির সাথে যারা জড়িত ছিলেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাদের সকলের বিচার করতে হবে এবং মিত্র বাহিনী তা নূরেমবার্গ আদালতের মাধ্যমে করেছিলেন । শুধু নাৎসি পার্টির সদস্যদের নয় আদালতে যারা তাদের পক্ষে কৌশলীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদেরও বিচার হয়েছিল । যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তাদের মৃত্যুদ-, যাবজ্জীবন কারাদ- অথবা বিভিন্ন মেয়াদের কারাদ- ছাড়াও তাদের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল । নাৎসি পার্টির সাতটি অঙ্গ সংগঠন ছিল (যেমন জামায়াতের ছাত্র সংঘ অথবা আল-বদর বাহিনী) সেই সব সংগঠনের চারটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং এর ফলে বাকী তিনটি সংগঠনও আপনা আপনি নিষিদ্ধ হয়ে যায় । বর্তমানে জার্মানিতে এই আইন বলবৎ আছে যে কেউ যদি বিশ্বযুদ্ধ চলাকালিন সময় সে দেশে গণহারে ইহুদী, যাযাবর, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী নিধন (হলোকষ্ট) হয়নি এমন কথা বলেন অথবা লিখেন তাকে আইনের মুখোমুখী হতে হবে । বাংলাদেশের জামায়াত বা শিবির আর জার্মানির নাৎসি পার্টি বা তাদের কিলিং স্কোয়াড এসএস অথবা গেষ্টাপোর মধ্যে আদর্শগত তেমন কোন অমিল নেই । বরং জামায়াত বা ছাত্র শিবিরকে বাংলাদেশে অবাধে রাজনীতি করতে দিয়ে তাদের নৃশংসতার মাত্রা আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে বিভিন্ন সরকার অনেকটা সহায়তা করেছে । আফ্রিকার অনেক দেশে বর্তমানে গৃহযুদ্ধ চলছে এবং সেখানেও নৃশংস ভাবে মানুষ খুন হচ্ছে । কিন্তু জামায়াত শিবির বাংলাদেশে নানা অজুহাতে হরতাল ডেকে যে মাত্রার হিংস্রতার পরিচয় দেয় তেমনটি আফ্রিকাতেও দেখা যায় না । ছাত্র শিবিরতো এখন পুরো মাত্রায় একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে । অনেকে বলেন এই সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ করলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আরো বেশী অন্তঃর্ঘাত মূলক কার্যকলাপ চালাবে । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমানে তারা যা করছে তার বেশী আর কী করতে পারে? তারাতো এখন নতুন করে একাত্তরের মতো আবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে । তাদের সাথে হেফাজত যোগ দেয়াতে আর মাথার উপর বিএনপি’র ছাতা থাকাতে তারা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশী বেপরোয়া, ভয়ঙ্কর এবং উন্মত্ত আচরণ করছে । নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এই সংগঠন দুটির বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবে ।
জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার একাধিক আইনগত পদ্ধতি আছে । সরকারের হাতে এখন প্রধান অস্ত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের দেয়া বিভিন্ন মামলার রায় যেখানে বলা হয়েছে জামায়াত একটি যুদ্ধাপরাধী ও ক্রিমিনাল সংগঠন । এমন একটি সংগঠন বিশ্বের কোন দেশে তাদের কর্মকা- পরিচালনা করতে পারে না । সুতরাং তার জন্য প্রথমে চাই সরকারের একটি রাজনৈতিক সদিচ্ছা। এতদিনে আওয়ামী লীগের বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় জামায়াত বা হেফাজত আওয়ামী লীগের কখনো মিত্র হবে না । জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সরকারের কাছে বড় ভিত্তি বাংলাদেশের সংবিধান । সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধানের দ্বাদশ ধারা বলবৎ করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধ যা জামায়াত হরদম করে আসছে । ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইন দ্বারা ইতোমধ্যে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে হিযবুত তাহরির কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে । জামায়াত শিবিরের ইদানিং কালের কর্মকান্ডে তারা হিজবুত তাহরিরের চেয়ে কম ভয়াবহ নয় । ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনের অধীনে ২৮ এবং ২৯ ধারা বলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেও এই দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে । এক সময়ে এদেশে খুব কম মানুষই বিশ্বাস করতো বাংলাদেশে এতকাল পর যুদ্ধাপরাধী আর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে । শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বর্তমান সরকার কিছুটা দেরীতে হলেও সেই কাজটি করছে । আগামীতে হয়তো কোন এক সরকার এই জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্যও বাধ্য হবে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির নাৎসি পার্টি আর ইতালির ফ্যাসিস্ট পার্টির পর ইউরোপে মোট কুড়িটি দল নিষিদ্ধ হয়েছে । সর্বশেষ ২০০৯ সালে নিষিদ্ধ হয়েছে তুরস্কের ওয়েলফেয়ার পার্টি যারা তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল । এই দলটির প্রথম জন্ম ১৯৪৬ সনে এবং এটি অনেকটি জামায়াত ঘরানার দল । তুরস্কে তাদের পক্ষে প্রায় ১৭% ভোটারের সমর্থন আছে । তুরস্কের এই সিদ্ধান্তকে ইউরোপের মানবাধিকার সংস্থা সমর্থন করেছে । তুরস্ক সব সময় সকলের উপর তাদের সংবিধানকে স্থান দেয় এবং প্রয়োজনে সংবিধানের মূল আদর্শকে রক্ষা করার জন্য সে দেশের সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে । বাংলাদেশে জামায়াতের জন সমর্থন কোন ভাবেই ৫% এর বেশী নয় সুতরাং তাদের নিষিদ্ধ করলে দেশের কল্যাণ ছাড়া তেমন কোন ক্ষতি নেই । জানি বঙ্গবন্ধু কন্যা একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন । ইতোমধ্যে পাকিস্তান জামায়াত তাঁকে এবং আওয়ামী লীগকে গোলাম আযম ও অন্যান্য জামায়াত নেতাদের দ- দেয়ার কারণে ইসলাম বিরোধী বলে গালাগাল করে সে দেশের বিভিন্ন শহরে সমাবেশ করেছে এবং পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী নেওয়াজ শরিফকে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে বলেছেন । তবে এটি ঠিক অনাগত দিনের ইতিহাস শেখ হাসিনাকে স্মরণ করবে । একটি টিভিতে সক্ষাৎকার দিয়ে সে দেশের জামায়াতের আমির সৈয়দ মনোয়ার হোসেন সম্প্রতি বলেছেন যে কোন শাসন ব্যবস্থা হতে তালেবানি শাসন ব্যবস্থা অনেক বেশী ভাল । এমন মতাদর্শের কথা সম্প্রতি জামায়াতের দোসর হেফাজতের আমির আল্লামা শফিও বলেছেন । সুতরাং এসব রাজনৈতিক জঞ্জালকে সময় থাকতে নিষিদ্ধ না করলে বাংলাদেশের ভবিষৎ কেমন হবে তা সহজে অনুমেয়।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। জুলাই ২১, ২০১৩

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ