[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

তিস্তার পানি ঘোলা করে রাজনীতি

 


-প্রফেসর আবদুল মান্নান

আভিধানিক অর্থেই বাংলাদেশ জ্বলছে । বৃহষ্পতিবার ঢাকার তাপমাত্রা গত পঞ্চান্ন বছরের সধ্যে সর্বোচ্চ ছিল । ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস । ৩৯-৪০ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে গত কয়েকদিন দেশের অধিকাংশ জেলায় । বৃহষ্পতিবার চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম পেশাগত কাজে । সকালে বিমান হতে নামতেই একটি যেন একটি আগুনের হল্কা মুখের উপর আছড়ে পড়লো । চট্টগ্রামের মানুষ তীব্র লোডসেডিং আর পানিয় জলের অভাবে সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্থ । একটি অকার্যকর সিটি কর্পোরেশন নগরটাকে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করেছে । দেশর মানুষের যখন এমন অবস্থা তার মধ্যে একটা ভাল খবর জন্ম দিল বিএনপি । তারা তিস্তা অভিমুখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত গাড়ি বহরে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি লং ড্রাইভের আয়োজন করেছিল । ভারত তিস্তার পানি বন্ধ করে দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিস্তির্ণ এলাকার কৃষকদের মারাত্মক পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে । তিস্তা সেচ প্রকল্প অনেকটা বন্ধ । এর ফলে বাংলাদেশের প্রায় ষাট হাজর একর জমিতে এবার ফসল ফলবে না । এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ । সামগ্রিক ভাবে ক্ষতি হবে বাংলাদেশের ।
লংমার্চ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাতিয়ার । এর প্রবর্তক চীনের কমিউনিষ্ট নেতা মাওসেতুং । ১৯৭৬ সালে ন্যাপ নেতা মাওলানা ভাসানি ভারতের ফারাক্কা বাঁধ চালুর বিরুদ্ধে লং মার্চ করে বেশ বাহবা কুড়িয়েছিলন । তবে এখন আর লংমার্চ তেমন একটা হয় না কারন এখনকার রাজনীতিবিদরা মাওলানা ভাসানির মতো মাঠের কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে তেমন একটা সিদ্ধহস্ত নন । বিভিন্ন ইস্যুতে বাম দলগুলি মাঝে মধ্যে ছোটখাটো লং মার্চ করে । বড় দল গুলির মধ্যে বেগম জিয়ার লং ড্রাইভ করার একটি খ্যাতি আছে । পার্বত্য শান্তি চুক্তি করলে ফেনী পর্যন্ত ভারতের অংশ হয়ে যাবে ঘোষণা দিয়ে তিনি পার্বত্য জেলার উদ্দেশ্যে লং ড্রাইভে রওনা দিয়েছিলেন । নারাণগঞ্জ পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসেন কারণ নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামিম ওসামন সড়কে গাড়ী ফেলে বেগম জিয়ার গতি পথ রোধ করেন বলে বিএনপি অভিযোগ করেছিল। আওয়ামী লীগ কোন ইস্যুতে লং মার্চ করেছে তেমনটি মনে পরে না । ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগ জনগনকে নিয়ে প্রয়োজনে মাঠে নামতে পারে এবং একবার নামলে আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে পারে । তবে সেই ফসল অধিকাংশ সময় ধরে রাখতে পারে না, পোকায় খায় ।
তিস্তা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি আন্তর্জাতিক নদী । এর উৎপত্তি ভারতের সিকিম রাজ্যে । ৩২০ কিলোমিটারের এই নদীর ১৩০ কিলোমটিার বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত । তিস্তার পানি প্রবাহের উপর বাংলাদেশের দুইকোটি মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে আর পশ্চিম বঙ্গেও ৮০ লক্ষ মানুষ এই নদীকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকে । তিস্তার উজানে ভারত একতরফা ভাবে একাধিক বাঁধ দিয়ে সেই পানিকে সেচের জন্য বিভিন্ন নদী আর খালে প্রবাহিত করছে, যার মধ্যে মহানন্দা নদী অন্যতম । । বাংলাদেশ অনেক দিন ধরে চেষ্টা করে আসছে ভারতের সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে তিস্তা হতে তার প্রাপ্য পানির ন্যায্য হিস্যাটুকু পেতে । দিল্লির কেন্দ্রিয় সরকার এই ব্যপারে রাজী থাকলেও পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একগুয়েমির কারণে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তিস্তার পানির তার ন্যায হিস্যা পাওয়া হতে বঞ্চিত হয়েছে । বাংলাদেশে এই যাবৎ কুটনৈতিক পর্যায়ে যা চেষ্টা তদবির করেছে তাও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে । মমতার সাফ কথা ‘জলের বিনিময়ে বন্ধুত্ব নয় ।’ তিস্তার পানি এখন দুই দেশের রাজনীতেতে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভ’মিকা পালন করছে ।
বিএনপি’র লং ড্রাইভের আগে বাম দলগুলি তিস্তা অভিমূখে লং মার্চ করেছে । বাংলাদেশে বামদলগুলি তেমন কোন বড় দল না হলেও তারা তাদের এই লংমার্চে জনগনকে কিছুটা হলেও সম্পৃক্ত করতে পেরেছে । কিন্তু বিএনপি’র লংড্রাইভ জনগন দূরে থাকুক তাদের দলীয় নেতা কর্মীদেরও সম্পৃক্ত করতে পারে নি যদিও এই প্রথমবারের মতো বিএনপি একটি জনস্বার্থ সম্পৃক্ত বিষয় নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করার চেষ্টা করেছে । ২০০৬ সালে বিএনপি প্রথম রাজপথে নামে ২০০৯ সালে বেগম জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ী হতে উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানাতে । তাও কোরবানির ঈদের আগে । ২০০৯ হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন করার জন্য অনেক বিষয় পেয়েছিল কিন্তু তাদের দূর্বল নেতৃত্বের কারণে তা তারা কাজে লাগাতে পারে নি । এই সময়ের মধ্যে বিএনপি’র রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাত হতে হাতছাড়া হয়ে গেছে এবং তা কুখ্যিগত হয়ে গেছে দলের এক শ্রেণীর আরাম প্রিয় সামরিক বেসামরিক আমলার হাতে । তাদের দল এবং কর্মসূচী পরিচালিত হয়েছে সন্ত্রাস নির্ভর জামায়াত-শিবির দ্বারা । আন্দোলনের নামে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হয়েছে আর পুড়েছে অসংখ্য লোকালয় । দেশ ছাড়া হয়েছে কয়েক হাজরা মানুষ । জানুয়ারীর পাঁচ তারিেেখর নির্বাচনে তারা অংশ না নিয়ে যে আত্মঘাতি ভুল বিএনপি করেছে তা হতে স্বাভাবিক হতে তাদের দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে । না ফেরাও উড়িয়ে দেয়া যায় না ।
ঢাক হতে তিস্তা পাড় পর্যন্ত বিএনপির দুদিনের পূর্ব ঘোষিত লং ড্রাইভের কর্মসূচী ছিল । এমন বৈরী আবহাওয়ার মাঝে বেগম জিয়া তিস্তা পাড়ে যাবেন তা আশা করা যায় না । তিনিতো যানই নি একমাত্র প্রেসিডিয়াম সদস্য যিনি এই কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছেন তিনি হচ্ছে নজরুল ইসলাম খান । বাকিরা এই ভয়াবহ গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে সময় কাটানো অনেক সমীচীন ও বুদ্ধিমানের কাজ মনে করেছেন । কথা ছিল লংড্রাইভে যাওয়ার সময় পথে দু’এক জায়গায় পথ সভা হবে । তা অনেকটা ঢিলেঢালা ভাবে হলেও তাতে জনগনের তেমন কোন উপস্থিতি ছিল না । তবে আশ্চর্যের কথা হচ্ছে মঙ্গলবার মির্জা ফখরুলের গাড়ীর বহর রংপুর পৌঁছানোর আগেই হঠাৎ করে বিকালের দিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি হওয়া শুরু হলো । দিনে যেখানে ৫০০ কিউসেকের কম ছিল রাত হতে হতে তা ৩০০০ হাজার কিউসেকের উপর গিয়ে উঠে । মির্জা ফখরুল ঘোষণা করলেন বিএনপি’র লং মার্চের কারনে ভারত পানি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে । সরকারি দলও কম যায় কিসে ? সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ঘোষণা করলো এটা সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার ফসল । আর জাগপা নামক ওয়ান পার্টির প্রধান বেগম জিয়ার অন্যতম মন্ত্রনাদাতা সফিউল আলম প্রধান ঘোষণা করলেন তিনি কোলকাতায় বাংলাদেশের পতাকা উড়াবেন । ১৯৬৫ সনের পাক-ভারত যুদ্ধে আইউব খান দিল্লির লাল কেল্লায় পাকিস্তানী ঝা-া উড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ।
তিস্তার পানি নিয়ে পানি ঘোলা মির্জা ফখরুলের হম্বিতম্বিতো থেমে থাকে না । ভারতের আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য যিনি স্বপ্ন দেখছেন সেই নরেন্দ্র মোদি আর তার চেলা চামুন্ডারা আসাম, বিহার প্রবৃতি অঞ্চলে এসে ঘোষণা করলেন ক্ষমতায় গেলে উত্তর ভারতে সংযোগ খাল খনন করে এই অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে দেবেন যেমনটি দিয়েছেন গুজরাটে । মমতা দেখলেন চলতি নির্বাচনে তার অন্যতম ট্রাম্প কার্ড বাংলাদেশের পানি ইস্যু ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে । তিনি উত্তর বঙ্গে এসে ঘোষণা করলেন আগে পশ্চিম বঙ্গের মানুষ পানি পেতে হবে তারপর অন্যদের কথা ভাবা যাবে । এদিকে চীন ইতোমধ্যে ব্রহ্মপূত্র নদের উৎপত্তিস্থল তার এলাকায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বাঁধ দেয়া শুরু করেছে । তবে চীন যা করে তা নীরবে । সেজন্যই প-িতজনেরা বলে থাকেন ‘হুজ্জতে বাঙাল আর হিকমতে চীন।’ দশ কুড়ি বছর পর যখন চীন ব্রহ্মপূত্র নদের পানির উৎস নিয়ন্ত্রণ তার হাতে নিয়ে নেবে তখন যেই ক্ষতিটা হবে তার প্রধান স্বীকার ভারত তারপর বাংলাদেশ । তখন ভারতের পার্শ্বে দাঁড়ানোর জন্য কাউকে কী পাওয়া যাবে ? ভারত পাকিস্তানের মাঝেও সিন্ধু নদীর পানি বন্টন নিয়ে প্রকট সমস্যা ছিল । কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান ১৯৬০ সনে নেহেরু-আইউব চুক্তির মাধ্যমে সমাধান হয়ে গিয়েছিল । ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী অনেক দূরদর্শি নেতা ছিলেন । পরবর্তিতে দিল্লিতে যারা ওই পদে বসেছেন নেহেরুর তুলনায় মেধা ও মননে তারা অনেক খর্বাকৃতির ছিলেন । ব্যাতিক্রম তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী । বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালেই বঙ্গবন্ধু আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি স্বল্প মেয়াদী গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি করেছিলেন । পানি বন্টন বিষয়ক সমস্যাগুলির একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে একট যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়েছিল । কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সেই কমিশন তেমন কোন কাজ করতে পারেনি । ১৯৯৬ সনে বঙ্গবন্ধু কন্যা সরকার গঠন করে ভারতের সাথে ত্রিশ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি করেন । কিন্তু বাস্তবে ভারতের কাছ হতে বাংলাদেশ কদাচিৎ তার পানির ন্যায্য হিস্যা টুকু পেয়েছে ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম তিস্তার কাছে দাঁড়িয়ে বলেন বর্তমান সরকার জনগনের সরকার নয় বিধায় তারা ভারত হতে তিস্তার পানি আনতে পারবে না । তিনি আরো ঘোষণা করেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১০হাজার কিউসেক পানি আনা হবে । জিয়া, সাত্তার, বেগম জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন । তারা সরকার গঠন করেছিলেন । প্রশ্ন, তা হলে সেগুলি কী জনগনের সরকার ছিল না ? তখনতো ভারত হতে কোন পানি আনা সম্ভব হয়নি । কোন প্রকারের চুক্তিরও উদ্যোগ নেয়া হয় নি । বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিল্লি সফরে গেলে তিনি গঙ্গার পানি বন্টন বিষয়টা তার প্রতিপক্ষের কাছে তুলে ধরতে ভুলে গিয়েছিলেন । গঙ্গার পানিবন্টনের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি, যৌথ নদী কমিশন গঠন, তিস্তার পানি বন্টনের জন্য চুক্তির উদ্যোগ সব কিন্তু নেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল তখন । এই সব উদ্যোগ বা চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তাবয়ন অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সম্ভব হয় নি কিন্তু সেই দায়তো ভারতের । দশহাজার কিউসেক পানির কথা বলে হয়তো হাত তালি পাওয়া যাবে কিন্তু বাস্তবে তা বাস্তবায়ন যোগ্য নয় কারণ ভারত তার নিজস্ব প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই আমাদের পানি দেবে তবে তা হতে হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে । জনস্বার্থের বিষয়গুলি কোন হাত তালি পাওয়ার বিষয় নয়, এগুলির সামাধান খোঁজার বিষয় । এই সব সমস্যা কোন দলের একক সমস্যা নয়, দেশের সমস্যা । সেই সমস্যা সমাধান করতে হলে সমস্যাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে তার সমাধানের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন ।
যে দিন বিএনপি লংড্রাইভ করলো সেদিন তিস্তায় হঠাৎ করে পানি বেড়ে তিন হাজার কিউসেকের উপর উঠে গেল । এই দৃশ্য দেখে মির্জা ফখরুলের মুখে আর হাঁসি ধরে না । মির্জার হাসি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই পানি কমতে শুরু করলো । বর্তমানে তিস্তার পানি আবার তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে । এখন এলাকার মানুষ বলাবলি করছেন পানি আসতে শুরু করলে মির্জা আর তার সাঙ্গ পাঙ্গরা যখন ভারতের প্রতি বিজেপি স্টাইলে হুমকী দেয়া শুরু করলো তখন ভারত আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে । সম্পর্ক উন্নয়নে হুমকীর কোন স্থান নেই । আছে সমঝোতা আর বাস্তবতার উপলব্দি করণ । বাংলাদেশ আর ভারত যদি এই সত্যটা উপলব্দি করতে না পারে তা হলে ক্ষতি দু’দেশের।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । এপ্রিল ২৫, ২০১৪

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]