সংসদই হোক সকল কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র
প্রফেসর আবদুল মান্নান
প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার ভাষায় ঘোষণা করেছেন দশম সংসদের
নির্বাচন আগামী জানুয়ারী মাসের ২৪ তারিখের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে । তাঁর এই
ঘোষণা সংবিধানের প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের পরিচয় বহন করে । একজন
প্রধানমন্ত্রীর সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই । যে কোন গণতান্ত্রিক
দেশে বাংলাদেশে যেভাবে নির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে সে ভাবেই হয়ে থাকে ।
একটি নির্বাচিত সরকার আর একটি নির্বাচিত সরকারের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর
করে । এর মাঝখানে কিছু থাকা উচিৎ নয় । ত্রয়োদশ সংশোধনীর আগ পর্যন্ত এই
ব্যবস্থাই বিদ্যমান ছিল । এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনজোট দাবি করেছিল
যে এরশাদের অধীনে কোন নির্বাচনে তারা যাবে না এবং কমপক্ষে তিনটি সাধারণ
নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে । তীব্র গণআন্দোলনের মুখে এরশাদের
পতন হলে বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের আগমন ঘটে । বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের হাতেও
ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়টিও সাংবিধানিক ভাবে ঘটে । ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর
এটি ধারণা করা হয়েছিল যেহেতু সকলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা হতে গণতন্ত্রে
উত্তরণের জন্য দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে সেহেতু যে দলই
ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হোক সেই দলই গণতান্ত্রিক আচরণ করবে । সে কারণেই সম্ভবত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামক কোন ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি । এমন
একটি ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা সাধারণত কোন একটি নব্য স্বাধীন অথবা
যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশে স্বল্প মেয়াদের জন্য কার্যকর থাকতে পারে, দীর্ঘ মেয়াদের
জন্য নয় কারণ এটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ধ্যান ধ্যরণার পরিপন্থী যেমনটি
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ব্যবস্থা) মামলায় উল্লেখ করেছেন । কিন্তু ১৯৯১-১৯৯৬ সময় কালের বেগম জিয়ার
সরকারের সময় এই ব্যবস্থার ব্যত্যয় ঘটেছিল কারণ সে সময়কার সরকার মাগুরা এবং
ঢাকা-১০ উপনির্বাচনে যে তামাশা করেছিল তাতে দেশের মানুষ অনেকটা নিশ্চিত
হয়েছিল যে বেগম জিয়ার দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হওয়া
সম্ভব নয় । ওই নির্বাচনগুলির পর হতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের
পক্ষ হতে দাবি উঠে বিদ্যমান অবস্থায় সামনের সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়া উচিৎ । কিন্তু এই ব্যবস্থা
প্রবর্তনে তৎকালীন সরকারি দলের প্রচ- অনিহা ছিল এবং সে সময় প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া মন্তব্য করেন পাগল আর শিশু ছাড়া দেশে কোন নিরপেক্ষ
ব্যক্তি নেই । তিনি অন্য সব দলের বর্জন সত্ত্বেও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী
আর একটা তামাশাপূর্ণ নির্বাচন করেন । বিচারপতি আবদুর রউফ ১৯৯০ সালের ২৫
ডিসেম্বর হতে ১৯৯৫ সালের ১৮ই এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন । তাঁর
সময়ই উল্লেখিত দুটি চরম তামাশাপূর্ণ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । তীব্র
গণআন্দোলনের মুখে বিচারপতি আবদুর রউফ পদত্যাগ করলে ১৯৯৫ সনের ২৭ এপ্রিল
বিচারপতি এ কে এম সাদেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ।
তার অমর কীর্তি ছিল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর ভোটার বিহীন একদলীয় নির্বাচন
অনুষ্ঠান যে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল (অবঃ) আবদুর রশিদ পর্যন্ত
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন (পরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্ত
। বর্তমানে পলাতক) । সেই সংসদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন
অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দলের দাবিকে বেগম জিয়া মেনে নিতে বাধ্য হন এবং
অনেকটা তড়িঘড়ি করে এই ব্যবস্থা ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে
অন্তর্ভূক্ত করেন । কিন্তু এই ব্যবস্থাকে পরবর্তীকালে চারদলীয় জোট সরকারের
আমলে নিজেদের পছন্দ মতো প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করার জন্য বিচারপতিদের
অবসরের বয়স সীমা বাড়িয়ে বিতর্কিত করা হয় । এর ফলে ২০০৭ সালের এক এগার এবং
অসাংবিধানিক ভাবে ফখরুদ্দিন সরকারের দুই বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করা, শেখ
হাসিনা ও বেগম জিয়ার কারাবরণ আর দেশকে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা । আর একটি
গণআন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালে ফখরুদ্দিন সরকার সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়
এবং সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ
আসনে জয় লাভ করে বর্তমানে সরকারে অধিষ্ঠ আছে ।
ত্রয়োদশ সংশোধনী উচ্চ আদালতে যে বাতিল হলো সেই মামলাটি সরকার করেনি । একজন
সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ১৯৯৯ সনে করেছিলেন (আপিল) যার চূড়ান্ত রায় ২০১১ সালে
দেয়া হয়েছে । এর অর্থ বাংলাদেশ আবার তার আদি সংবিধানে অর্থাৎ ১৯৭২ সনের
সংবিধানের মূল কাঠামোয় ফিরে গেছে । উল্লেখিত মামলার রায়ে যদিও বলা হয়েছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক তথাপি
এমন একটি সরকার ব্যবস্থা দুই মেয়াদের জন্য বহাল করা যেতে পারে তবে তা গঠিত
হতে হবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা । তবে রায়ে বলা হয়েছে তা করার
সম্পূর্ণ এক্তিয়ার নির্বাচিত জাতীয় সংসদের অন্য কারো নয় । এটি এই কারণেই
বলা হয়েছে গণতন্ত্রের মূল স্পিরিটই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের
প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে, আর নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই জনগণের প্রতিনিধিত্ব
করে । অনির্বাচিত সরকার থাকলে সেখানে জনগণ অনুপস্থিত থাকে । পূর্বে
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত জিয়া আর এরশাদের ক্ষমতা দখলকেও অবৈধ ঘোষণা
করেছে ।
বাংলাদেশের সংবিধান প্রবর্তন করা হয় ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর । এরপর
গণপরিষদ ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং ১৭ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী সভা নতুন
সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ করেন এবং ঘোষিত হয় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশে
প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । সুতরাং নতুন সংবিধানের অধীনে গঠিত
প্রথম মন্ত্রীসভা ছিল একটি অন্তবর্তীকালীন মন্ত্রীসভা যে ব্যবস্থায় বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং তা তিনি বর্তমানে বলবত
সংবিধানের আওতায় দিয়েছেন । ১৯৭২ সনের সংবিধানের ১২৩ ধারার অধীনে ১৯৭৯ সালে
জিয়া, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে এরশাদ আর ১৯৯৬ সালে বেগম জিয়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত
করেছেন । ত্রয়োদশ সংশোধনীটি ১৯৯১-৯৬ সালের বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের
আমলের অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির কারণে অনেকটা অনিবার্য
হয়ে উঠেছিল ঠিক যেমনটি অনিবার্য হয়েছিল ১৯৯১ সালে । সাংবিধানিক ভাবে
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার আগমন
এবং নির্গমন দুটির জন্যই দায়ী বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার । তাঁর আমলে
যদি মাগুরা আর ঢাকা-১০আসনের নির্বাচনের তামাশা না হতো তা হলে বর্তমানে
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা হতো না এবং দেশের মানুষ
১৯৭২ সনের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের অধীনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো যেমনটি
অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে হয়ে থাকে । অর্থাৎ নির্বাচনকালীন সময়ে একটি
নির্বাচিত সরকার থাকবে এবং তারা রাষ্ট্র পরিচালনার দৈনন্দিন রুটিন কাজ করবে
এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে নির্বাচন কমিশন । গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি
সরকার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য গঠিত হয় । এই মেয়াদ সাধারণত চার বা পাঁচ
বছরের জন্য হয়ে থাকে, যেমনটি ভারত বা বাংলাদেশে । কোন কারণে সংসদ ভেঙ্গে না
গেলে সেই সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করে। তার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচিত
সদস্যরা শপথ না নেয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে গণ্য হয় না । ভারতে বর্তমান
লোক সভা পনেরতম লোকসভা । এর মধ্যে ছয়টি লোকসভা তার পূর্ণ মেয়াদ শেষ করেনি ।
বাকিগুলি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করেছে এবং তা করার পূর্বেই সে দেশের জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে । সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন করা যেতে পারে তবে
সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে এবং তা তিনি করেন
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে । সংবিধান অনুযায়ী জরুরি প্রয়োজনে পুরানো সংসদ
আবার অধীবেশনে বসতে পারে । তবে একবার নব নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিয়ে নিলে
ওই ব্যবস্থা আর সম্ভব নয় । বাংলাদেশেও একই রেওয়াজ এবং তা ১৯৭২ সালের
সংবিধানেই ১২৩ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে । জিয়ার আমলে একটি (১৯৭৯)
এরশাদের আমলে দুটি (১৯৮৬ ও ১৯৮৮) এবং বেগম জিয়ার আমলে একটি (১৯৯৬) এই বিধি
বিধানের অধীনেই হয়েছে । এরশাদ এবং জিয়ার শাসনামলকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত
অবৈধ ঘোষণা করেছে । সুতরাং নির্বাচিত সরকারের আমলে প্রকৃত অর্থে একটি
নির্বাচন (১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে । ১৯৭৩ সালের নির্বাচনটি
ছিল সম্পূর্ণ ভাবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন কারণ পূর্ববর্তী
সংসদ ছিল গণ পরিষদ এবং তা গঠিত হয়েছিল সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও
প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের দ্বারা । ১৯৯৪ সালে বেগম জিয়া সরকার যদি মাগুরা
আর ঢাকা-১০ আসনে জোরপূর্বক বিজয়ী হতে না চাইত তা হলে এই পুনরায়
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন দেখা দিত না ।
বিএনপি তথা ১৮ দল বাতিলকৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রর্বতনের দাবিতে
দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে এবং আগামীতে আরো করবে বলে
ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে । ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল সরকার নয় দেশের সর্বোচ্চ
আদালত করেছে । তারা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য গোঁ ধরেছেন কিন্তু
সেই ব্যবস্থায় আবার সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে চান না ।
কী চান তা তারা পরিষ্কার করে বলেন না । আদালত তাদের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক
সরকারকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে তা বাতিল করেছে
। বলেছে সংসদ যদি মনে করে তা হলে আগামী দুই টার্মের জন্য তা বহাল করা যেতে
পারে তবে তা হতে হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা এবং এই বিষয়ে নতুন
করে সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্পূর্ণ এক্তিয়ার জাতীয় সংসদের । তা না হলে
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ছেদ পরবে যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয় ।
দেশের মানুষ কোন অবস্থাতেই নৈরাজ্য চান না । বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন দাবি করছে আর তাদের প্রধান শরিক দল জামায়াত
যুদ্ধাপরাধের দায়ে যারা অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্থ হয়েছেন তাদের মুক্তি চায়
। উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী দিনে দেশে একটি চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে
পারে । বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি দেশে দু’বার ক্ষমতাসীন ছিল জনগণ
চাইলে আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারে। মানুষ তাদের কাছে আরো দায়িত্বশীল আচরণ আশা
করে । ক’দিন পর জাতীয় সংসদ অধিবেশন বসছে । তাদের উচিৎ সংসদে উপস্থিত হয়ে
সংবিধানের আওতায় নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হওয়া উচিৎ তা নির্মোহভাবে
উত্থাপন করা । আর সরকারি দলেরও উচিৎ বিরোধী দলের গঠনমূলক প্রস্তাবকে যথাযথ
গুরুত্ব দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা । সকলের সামনে এখন সময় এসেছে দায়িত্বশীল
আচরণ করে দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়া । সংসদই হোক সকল কর্মকান্ডের
প্রাণকেন্দ্র । হানাহানি শুধু দেশের নিরাপত্তা নয় সার্বভৌমত্ব বিঘিœত করে ।
সিরিয়া বা মিশর আমাদের সামনে বড় উদহারণ ।
লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । সেপটম্বর ৬, ২০১৩
WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.
লেখকের আগের লেখাঃ