|
আলোচিত নির্বাচন,
সরকার ও প্রতিপক্ষ
প্রফেসর আবদুল মান্নান
বিএনপি ও তাদের মিত্রদের বর্জিত দশম সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্তি হবে ৫
জানুয়ারি । দিনটি সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পালন করবে সংবিধান ও
গণতন্ত্র রক্ষা দিবস হিসেবে আর বিএনপি ও তার মিত্ররা ঘোষণা দিয়েছে তাদের
জন্য এই দিনটি হবে গণতন্ত্র হত্যা দিবস । গত নির্বাচনের আগে তারা ঘোষণা
দিয়েছিল তারা নির্বাচন বর্জন করার মধ্যেই তাদের কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ রাখবে
না, তাকে প্রতিরোধ ও প্রতিহতও করবে । তাদের এই কর্মসূচী সফল করার জন্য
বিএনপি ও তাদের ভাড়েটে সন্ত্রাসি বাহিনী বলে পরিচিত জামায়াত শিবির
নির্বাচনের আগের ছয়মাস দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল এবং সেই
যুদ্ধে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদের হানিতো হয়েই ছিল একই সাথে গুরুতর আহত
ও প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় পাঁচশত সাধারণ মানুষ, সেনা, পুলিশ বিজিবি সদস্য ।
অবোধ পশু পর্যন্ত বাদ যায়নি । তখন বাংলাদেশকে ইসরাইলের গাজা উপত্যকা অথবা
আফ্রিকার কোন গৃহযুদ্ধে লিপ্ত দেশ যেমন নাইজেরিয়া, সুদান অথবা মালির সাথেই
শুধু তুলনা করা যেত । ক্ষমতার জন্য যে একটি দল এবং তার মিত্ররা কত হিংস্র ও
নিষ্ঠুর হতে পারে তা মনে করলে এখনো গা শিউরে উঠে । বছর শেষে সেই আলামত
আবারও দেখা যাচ্ছে । গত ২৯ ডিসেম্বর বিএনপি হরতালের নামে আবার দেশে নৈরাজ্য
সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। তাদের পিকেটারদের ইটের আঘাতে একজন স্কুল শিক্ষিকা
নিহত হয়েছেন । আগুনে ঝলসে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ দু’জন । তাদের একজনের
অবস্থা এখনো আশংকাজনক । পূর্বের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে আগুনে ঝলসে মানুষ হত্যা
সম্ভবত বিএনপি ও জামায়াতের কাছে বেশ সমাদৃত । তাদের দাবি বর্তমানে যে সরকার
ক্ষমতায় আছে তারা অবৈধ তাই তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং নতুন করে নির্বাচন
দিয়ে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম না করলে মানুষের শরীর ঝলসানোর কর্মসূচী
আবার নতুন করে শুরু হবে ।
কেমন করে হলো আমাদের শান্তি প্রিয় দেশের এমন ভয়াবহ হাল ? কারাই বা এর সাথে
জড়িত? উত্তরণের কী কোন উপায় ছিল ? এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কী করতে
পারতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ? এই সব প্রশ্ন ও তার উত্তর
অনেক দিন ধরেই চলে আসছে । এক বছরে প্রশ্নও বদল হয়নি অথবা উত্তরের । যে যার
অবস্থানে এখনো অনড় । এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিন জোট একমত হয়েছিল এরশাদ
পতনের পর তিনটি সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে ।
প্রথমটি বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের অধীনেই হয়েছিল । তারপর সবাই ভুলে গিয়েছিল
তাদের অঙ্গিকারের কথা । এমন একটা ব্যবস্থার যে প্রয়োজন আছে তা মনে করিয়ে
দিল বেগম জিয়ার ১৯৯১-৯৫ সালের সরকার যখন মাগুরা ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন
নামক একটি প্রহসন অনুষ্ঠিত হলো । আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা বললো আগামী
নির্বাচনকে প্রহসন মুক্ত করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পূনঃপ্রবর্ত্তন
করতে হবে । বেগম জিয়া বললেন কাভি নেহী । ফের আন্দোলন । তবে সেই আন্দোলনে
হরতাল অবরোধ হয়েছে কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা অথবা বেপরোয়া নরহত্যা
হয় নি । বেগম জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী একটি নির্বাচন করলেন । সেই
নির্বাচন তার সরকারের অধীনেই হয়েছিল । অংশগ্রহণ করেছিল বঙ্গবন্ধুর
হত্যাকারিদের দল ফ্রীডম পার্টি । সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা নির্বাচিত
হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনী, বর্তমানে পলাতক ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত
কর্ণেল (অবঃ) রশীদ । সেই সংসদেই ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পাশ হয়েছিল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা । এরপর তিনটি নির্বাচন এই ব্যবস্থার অধীনেই
অনুষ্ঠিত হয় এবং একটিতে বিএনপি-জামায়াত জোট আর দু’টিতে আওয়ামী লীগ
নেতৃত্বাধীন জোট বিজয় লাভ করে । ২০০৬ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে
বিএনপি-জামায়াত জোট এই ব্যবস্থাকে মারাত্মক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে । একমাত্র
উদ্দেশ্য যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় থাকা । এর আগে ২০০৫ সালে আবদুল মান্নান খান
নামের একজন সংক্ষুব্দ ব্যক্তি এই ব্যবস্থা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কী না
সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন । হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই
মামলার কোন শুনানি না করে পাঠিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ।
দীর্ঘ শুনানির পর দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন একটি গণতান্ত্রিক শাসন
ব্যবস্থায় ক্ষমতা এক মুহূর্তের জন্যও অনির্বাচিত কোন ব্যক্তির কাছে গেলে তা
হবে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক এবং সেই যুক্তিতে ব্যবস্থাটিকে
ভাবীসাপেক্ষ ভাবে বাতিল করে দেন । এখানে এটিই ছিল একমাত্র তর্কিত বিষয় ।
অন্য কিছু নয় । আদালতের বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল যার মধ্যে বলা হয়েছে সংসদ
যদি চায় তা হলে দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বলবৎ রাখতে
পারে তবে তা গঠিত হওয়া উচিৎ শুধু নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা।
পর্যবেক্ষণ রায়ের অংশ নয় এবং তা মানতেও বাধ্য নয় । তারপরও এই বিষয়ে সরকারি
দলের সংসদ উপনেতা বেগম সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে এবং
বিরোধী দল সহ সমাজের বিভিন্ন স্থরের ব্যক্তিদের মতামত গ্রহণ করে । আমন্ত্রণ
পাওয়া সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের মতামত জানাতে অস্বীকার করে । বলে
পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেলেই শুধু আলোচনা হতে পারে । দেশের সর্বোচ্চ
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করা কারো পক্ষে উচিৎ নয় । বড় কথা হচ্ছে ত্রয়োদশ
সংশোধনী বাতিল করা হয়েছিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক বলে ।
মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করে পুরো সংবিধান বাতিল করা ছাড়া পূর্বের অবস্থায়
ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় । তা যদি করার চেষ্টা করা হয় তা হলে তার বিরুদ্ধে কেউ
একজন মামলা করে দিলে তখন সব কিছুই ঝুলে যাবে । বিএনপিতে অনেক বাঘা বাঘা
ব্যারিস্টার আছেন । তাদের এই সামান্য কথাটা না বুঝারতো কোন কারণ নেই । এর
আগে উচ্চ আদালত আর একটি রায়ে সরকারকে ৫ম সংশোধনী বাতিল করে ১৯৭২ সনের
সংবিধানে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন । সুতরাং বিএনপি যদি দেশের সংবিধান মানে তা
হলে আগামীতে যখনই নির্বাচন হবে তখনই বিদ্যমান ব্যবস্থায় তাদের নির্বাচন করতে
হবে ।
অনেক বিদগ্ধ প-িত ব্যক্তি টিভি’র টক শো এবং তাদের লেখা লেখিতে বেশ খোলামেলা
আলোচনা করে বলেন গত এক বছরে বাংলাদেশ সার্বিক অবস্থায় রসাতলে গেছে ।
গণতন্ত্রের নামে এখানে নির্বাচিত একনায়কতন্ত্র চলছে । গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
খর্ব করার চেষ্টা চলছে । বিরোধী দলকে (বিএনপি-জামায়াত) নিশ্চিহ্ন করার
এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে । যারা এই সব কথা বলেন তাদের আবার বলা
হয় সুশীল । কেউ কেউ নিজেদের নাগরিক সমাজও বলে থাকেন । ২০০৮-২০১৩ সাল মেয়াদে
বিএনপি সংসদে বিরোধী দলে ছিল । ক’দিন তারা সংসদ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন
? মাঝে মধ্যে যখন সংসদে তাদের আসন বাঁচানোর জন্য গিয়েছেন তখন তারা সংসদে
কলতলার অবস্থা সৃষ্টি করেছেন । তখন কিন্তু এই সব সুশীলরা তেমন কোন
উচ্চবাচ্য করেন নি । দিনের পর দিন আন্দোলনের নামে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করেছে জামায়াত-বিএনপি । সুশীলরা চুপ থেকেছেন । এই যে বছর শেষে হরতালের নামে
স্কুল শিক্ষিকা শামুন্নাহারকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করলো অথবা দু’জনকে পেট্রোল
বোমা ছুঁড়ে গুরুতর জখম করলো তখন কোন সুশীলতো পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে তার
নিন্দা করলেন না । বছরের প্রথম দিন স্কুলে বাচ্চারা সরকার হতে নতুন বই পাবে
। সে দিন জামায়াত সারা দেশে হরতাল দিল কারণ তাদের সহকারি সেক্রেটারি
জেনারেল ঘাতক আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল একাত্তরের
অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড দিয়েছে । তারা তাদের মক্কেলের মামলায় আইনি লড়াই
লড়লো । হেরে গিয়ে হরতাল । এর বিরুদ্ধে গোল টেবিলের সুশীলরা কই ? আসলে সব
সুশীলরা জামায়াতের অর্থের কাছে নিজের সতীত্ব বিক্রি করে দিয়েছেন অনেক আগেই
। একজন সুশীল পত্রিকায় দেয়া তার বক্তব্যে বললেন এখনো বিএনপি বাংলাদেশের
সবচেয়ে জনপ্রিয় দল । তাহলে বিএনপি গত নির্বাচনে অংশ নিল না কেন ? শেখ
হাসিনাতো সব রকমের ছাড় দেয়ার কথা বলেছিলেন । ভিতরের খবর হচ্ছে বেগম জিয়ার
চারিদিকে থাকা তার কিছু স্তাবক আমলা আর এই সব সুশীলরাই তাকে গত নির্বাচনে
অংশ নেয়া হতে বিরত রেখেছিলেন । বলেছিলেন ম্যাডাম চিন্তা করবেন না । আমাদের
বিদেশী মুরুব্বিরা সব ঠিক করে দেবেন । মুরব্বিরা চেষ্টা করেছিলেন । হেরে
গেছেন একজন শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কাছে । বিএনপি’র দেশের মানুষের উপর যত না
আস্থা তার চেয়ে তারা বেশী নির্ভর করেন বিদেশী প্রভুদের উপর, সুশীলরাতো
আছেনই । বর্তমান সরকারের সমালোচকরা সুযোগ পেলেই বলেন সংসদে যে বিরেধী দল
আছে তা গৃহপালিত । কারণ তারা সংসদে বিএনপি’র মতো আচরণ করে না । বিরোধী দলের
অর্থ শুধু কথায় কথায় সরকারের সব কাজের বিরোধিতা হতে পারে না । জনস্বার্থের
পক্ষে বিরোধী দল অবশ্যই সংসদীয় রীতি নীতি মেনে বিরোধিতা করবেন । তার জন্য
সংসদের আসন ভাঙ্গার প্রয়োজন হয় না । জাতীয় পার্টি যে বিরোধী দল তা প্রমাণ
করতে কী কয়েকটি আসন আর টিভি ক্যামেরা ভাঙ্গতে হবে ?
গত এক বছরে দেশ কী আগের বছর গুলির চেয়ে ভাল চলেছে ? আগের বছরগুলির চেয়ে ভাল
না চললেও খারাপতো চলে নি । সুশাসনের বড় কোন উন্নতি হয়নি ঠিক তবে তেমন একটা
অবনতিও হয় নি । দূর্নীতি বহাল তবিয়তে আছে, তবে কিছুটাতো কমেছে । মন্ত্রী
সংসদ সদস্যদেরকে প্রয়োজনে দুদক এখন তলব কওে, যা পূর্বে কখনো হয় নি । দেশের
আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত ভাবে আরো ভাল হতে পারতো । এক ছাত্রলীগ আর যুবলীগ
নামধারী দূর্বৃত্তরা শেখ হাসিনা সরকারের অনেক অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে ।
দলের কিছু মন্ত্রী আর সংসদ সদস্যের অতি কথনের কারণে সরকারের ভাবমূর্তিরতো
কিছুটা হলেও ক্ষতি হয়েছে । আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক
ক্ষেত্রেই উন্নত হয়েছে । বিজয় হয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক ফোরামের নির্বাচনে ।
নির্বাচনের আগে পশ্চিমা দেশগুলি যে ভাবে দাদাগিরি শুরু করেছিল তার অনেকটা
ইতি ঘটেছে । বিশ্বব্যাংক, রাশিয়া, জাপান, চীন, ইইউ প্রভৃতি দেশ ও সংস্থা
বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে । এগুলো সরকার ও শেখ হাসিনার
কূটনৈতিক সাফল্য । বিশ্ব ব্যাংকের নাটক উপেক্ষা করে নিজের অর্থয়ানে
পদ্মাসেতুর নির্মান কাজ শুরু হয়েছে । নিজের উপর আস্থ থাকলে তা সম্ভব ।
বৈদেশিক বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নেতিবাচক পদক্ষেপের পরও বাংলাদেশের
রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে এক শতাংশ আর রেমিটেন্স বেড়েছে পাঁচ শতাংশ । দেশের গড়
জাতীয় প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের উপরে থেকেছে । মূদ্রাস্ফিতি সাত শতাংশের নীচে ।
তবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল যখন হেনরী কিসিঞ্জারের
তলাবিহীন ঝুড়ির এই দেশটি বিদেশে চাল রফতানি শুরু করে । প্রথম চালানটি
গিয়েছে শ্রীলংকায় । ভারতও বাংলাদেশ হতে চাল ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ।
শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ অনেকটা জঙ্গিমুক্ত হয়ে বিশ্বের নজর কেড়েছে ।
যদিও ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের অর্জন একেবারে নজর কাড়া নয় তবু কমও নয় ।
তবে তাঁকে অনেক বৈরী পরিবেশ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে অনেক দূর । মাঝে মধ্যে
বঙ্গবন্ধু কন্যাকে একজন নিঃসঙ্গ সেনাপতির মতো মনে হয় । যাদের তিনি বিশ্বাস
করেছেন তারাতো সকলে সেই বিশ্বাসের মূল্য দেন নি । এই পরিস্থিতি হতে বের হয়ে
আসতে পারলে তিনি যেতে পারেন অনেক দূর । কী ভাবে বের হবেন তা তাঁকেই ঠিক
করতে হবে । এটিতো স্বীকার করতেই হবে শেখ হাসিনার অবর্তমানে আওয়ামী লীগের
মতো একটি দলের হাল ধরার মতো নেতৃত্ব এখনো তৈরী হয় নি । এটি দলের সাংগঠনিক
দূর্বলতা । ২০১৫ সাল বিএনপি-জামায়াত জোটের কারণে প্রত্যাশিত ভাবে ভাল যাবে
তা মনে করি না । তবে তৃণমূল হতে দলকে সংগঠিত করতে আওয়ামী লীগ যদি সক্ষম হয়
কাজটি কিছুটা হলেও সহজ হবে । আর গণতন্ত্রের সংজ্ঞা যদি হয় দেশ ও জনগণের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ তা হলে দেশের মানুষ চায় না তেমন গণতন্ত্র । বিএনপি নামক
দলটির উচিৎ হবে সঠিক গণতন্ত্রের মূল ষ্পিরিটটা ধারণা করা । বছরের শেষ দিনে
বিএনপি চেয়্যারপারসন সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে তাঁর পুরানো সাত দফা
উত্থাপন করেছেন । দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় । তারপরও আশা
করি ২০১৫ সালটি আর কিছু না হোক অন্তত ২০১৪ সালের মতো শান্তিতে কাটবে।
লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । জানুয়ারি ১, ২০১৫
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|