|
রাষ্ট্রের চেয়ে কারো
হাত লম্বা হওয়া উচিৎ নয়
প্রফেসর আবদুল মান্নান
অনেক বিচক্ষণ ও চিন্তাশীল মানুষকে বলতে শুনি বিএনপিকে তার স্বাভাবিক
রাজনৈতিক কর্মকা- করতে না দিলে দেশে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে ।
দূর্ভাগ্য কখনো তারা এটা বুঝতে পারেন না বর্তমানে বিএনপি রাজনৈতিক
আন্দোলনের নামে দেশ ও জনগনের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করে নিত্যদিন পেট্রোল
বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে তা জঙ্গিবাদের চেয়ে কম কিসে ? আর জঙ্গিদের সাথে
আলোচনা করতে হলেতো প্রতিদিন আই এস, বোকো হারাম বা আল-কায়দার সাথে বিশ্বেও
বড় বড় শক্তি গুলোকে আলোচনা করতে হবে । ক্ষমতায় থাকুক অথবা ক্ষমতার বাইরে
বিএনপি কখনো একটি স্বাভাবিক রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করেনি বা করতে চায় নি
আর এখনতো করতে পারবে না । এর একটি কারণ ছিল দলটির জন্মই হয়েছিল অস্বাভাবিক
কায়দায়, সেনা ছাউনিতে । জিয়া যখন বিএনপি গঠন করেন তখন যে অপকর্মটি তিনি
প্রথমে করেছিলেন তা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মাশ্রয়ি
দলগুলি, যেমন একাত্তরে যুদ্ধাপরাধিদের দল জামায়াত, নেজামে ইসলামি, মুসলিম
লীগকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার অনুমতি দেয়া । তিনি এই কাজটি করেছিলেন
বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে কিন্তু মূল উদ্দেশ্য ছিল তাঁর নিজের দল গঠনের
ক্ষেত্রে তাদের সমর্থন আদায় করা যাতে তিন সফল হয়েছিলেন । জিয়া জন্মগত ভাবে
বাঙালি হলেও নিজে বাংলা লিখতে বা পড়তে পারতেন না কারণ তিনি বড় হয়েছেন
পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে, সেখানে পড়ালেখা করেছেন এবং পরবর্তি কালে সেনা
বাহিনীতে চাকুরি করেছেন ।
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সম্পাদিত ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রতিচিন্তার’
অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৪ সংখ্যায় প্রকাশিত মোখলেসুর রহমান (সিধু ভাই) এর
সাক্ষাৎকারভিত্তিক একটি রচনা ‘আমার জীবন-কথা ও সময়’ হতে জিয়ার রাজনীতিবিদ
হওয়ার যৎসামান্য তথ্য পাঠকদের জ্ঞাতার্থে এখানে তুলে ধরতে চাই । সিধু মিয়া
ছিলেন জিয়ার মন্ত্রী সভার সদস্য মশিউর রহমান যাদু মিয়ার বড় ভাই । তিনি নিজে
বেশ আলোকিত মানুষ ছিলেন । মূল সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন সরদার ফজলুল করিম ও
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম । যাদু মিয়াকে রাজনীতিতে আনার পিছনে সিধু মিয়ার একটা
বড় ভূমিকা ছিল । সিধু মিয়া তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন ‘তাঁকে (জিয়াকে)
রাজনীতিবিদ বানানোর যে প্রসেস, সেটি ছিল একটা খুবই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ।
জিয়াউর রহমান কিন্তু বাংলা লিখতে-পড়তে জানতেন না । তিনি শেষের দিকে যা কিছু
সই করতেন, সেটা করতেন শুধু ‘জিয়া’ লিখে ।...করাচিতে তিনি লেখাপড়া শিখেছেন ।
যৎসামান্য বাংলা বলতে পারতেন । বাংলা লেখা পড়া কিছুই জানতেন না । প্রথম দিকে
তিনি বাংলায় যে বক্তৃতা দিতেন সেগুলি উর্দুতে লিখতেন । লিখে তারপর তা-ই দেখে
দেখে ভাষণ দিতেন’। তো এমন জিয়ার কাছে বাঙালিত্বের কিছু আশা করা সমিচীন নয় ।
সুতরাং যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পকিস্তানিদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ
করেছে. গণহত্যায় শামিল হয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়ার হাত ধরে তাদের
পূনর্বাসন তেমন নতুন কিছু নয় ।
জিয়াকে শুধু যে জামায়াতের মতো চরম প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলি সমর্থন
যুগিয়েছিলেন তাই নয় দেশের বামপন্থি দলগুলিও এই ব্যাপারে পিছিয়ে ছিল না ।
এদের মধ্যে সব চেয়ে অগ্রগামি ছিল মাওলানা ভাসানির চীনপন্থি ন্যাপ । মাওলানা
ভাসানি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হওয়া সত্বেও বঙ্গবন্ধুর ঘাতক
খোন্দকার মোস্তাককে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলে তিনি অভিনন্দন জানিয়ে
বার্তা পাঠিয়েছিলেন । মোস্তাকও অসুস্থ ভাসানিকে দেখতে পিজি হাসপাতালে ছুটে
গিয়েছিলেন । পরে মস্কোপন্থি কমিউনিস্ট পার্টি জিয়াকে সমর্থন জানিয়ে তাঁর
খাল কাটা কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করেছিলেন । অথচ পাকিস্তান আমলে কমিউনিস্ট
পার্টি এদেশে নিষিদ্ধ ছিল । তারা মস্কোপন্থি ন্যাপের (মোজাফ্ফর) ছত্রছায়ায়
রাজনীতি করত । বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধুর বদান্যতায় তারা তাদের
রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে জনগনের সামনে আভির্ভূত হয় । বঙ্গবন্ধুর সাথে কমরেড
মনি সিং এর ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল । বঙ্গবন্ধুর বাকশাল করার পিছনেও মস্কোপন্থি
ন্যাপ আর কমিউনিস্ট পার্টির গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল । বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর
পর শেখ হাসিনা যখন দলের হাল ধরেন তিনিও কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সব সময়
সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন । কিন্তু অনেক সময় কমিউনিস্ট পার্টির
ভূমিকা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করেছে । কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র সংগঠন
ছাত্র ইউনিয়ন এক সময় বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ, সুশৃঙ্খল ও সংগঠিত ছাত্র
সংগঠন ছিল । কিন্তু তাদের বর্তমান অবস্থা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে দূর্বল
কারণ তারা বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হয়েছে এবং অনেক সময় মূল
দলের মতো বিভ্রান্তিমূলক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
বর্তমানে দেশে আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি সৃষ্ট যে ভয়াবহ সহিংসতা চলছে
সে সম্পর্কে দেশের অনেক বিবেকবান সুশীল ব্যক্তি অথবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের
বলে দাবিদার রাজনৈতিক দল পুরো সংকটের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন বলে মনে
হয় না । তাদের মতে এটি হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার এবং ক্ষমতায় থাকার লড়াই যা শুধু
শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়ার স্বার্থ রক্ষা করবে । তারা সব সময় উভয় নেত্রীকে
একই পাল্লায় মাপতে উৎসাহি । কিন্তু তারা বুঝতে পারেন না এই দুই নেত্রীর
রাজনৈতিক এজেন্ডাই সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা । শেখ হাসিনার সব রাজনৈতিক
সিদ্ধান্তের সাথে একমত না হয়েও বলা যায় তাঁর রাজনীতি মূলত মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা কেন্দ্রিক । তিনি অনেক সময় একক ভাবে চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগের মূল
রাজনীতিটাকে ধরে রাখতে । সব সময় যে তিনি তা পারেন তা কিন্তু নয় কারণ
বর্তমানে আওয়ামী লীগ সাংগঠিনিক ভাবে বেশ দুর্বল, অন্তত জেলা পর্যায়ে । গত
দুই দশকে দলে খড়কুটার মতো অনেক অদূরদর্শি, সুযোগ সন্ধানি আর অযোগ্য লোক ঢুকে
পরেছে যার ফলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নানা ভাবে। এই মুহুর্তে আওয়ামী লীগের
সামনে সব চেয়ে বড় সমস্যা অন্তঃদলীয় কোন্দল । সরকার ঠিক করেছে ঢাকা ও
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হবে । এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে
ইতোমধ্যে অন্ততঃ চট্টগ্রামে দলের ভিতর টানাপোড়নের আভাস পাওয়া যাচ্ছে । ২০১০
সালের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের এত জনপ্রিয় একজন নেতার কেন
এমন শোচনীয় পরাজয় তা কী দল অথবা প্রার্থী কখনো জানার চেষ্টা করেছেন নাকি
শুধু গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের উপর ভরসা করে পরবর্তি সিদ্ধান্তের জন্য
অপেক্ষা করছেন ? অতীত অভিজ্ঞতা হতে শিক্ষা না নিলে বিপর্যয় আবারও অনিবার্য
হয় উঠতে পারে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বেলায় তেমন কিছু শোনা না গেলেও
এখানেও সব কিছু ঠিকঠাক আছে তা বলা যাবে না । যারা দুই নেত্রীকে এক পাল্লায়
মাপতে চান তাদের মনে রাখতে হবে বেগম জিয়ার রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে
প্রতিক্রিয়াশীলদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । তাঁর প্রয়াত স্বামী জেনারেল জিয়া
বিভিন্ন মত ও পথের লোকজন দিয়ে দল গঠন করেছিলেন সত্য তবে তিনি তাঁর দলের দেশ
ও জনবিরোধী রমরমা অবস্থা দেখে যেতে পারেন নি । তিনি জামায়াতের মতো দলকে
রাজনীতি করার লাইসেন্স দিয়েছেন ঠিক কিন্তু তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জামায়াত
ব্যস্ত থেকেছে দল গোছাতে । তিনি শাহ আজিজ, আবদুল আলিম বা মওলানা মান্নানের
মতো রাজাকারদের মন্ত্রী সভায় স্থান দিয়েছিলেন ঠিক কিন্তু সরাসরি জামায়াতের
কাওকে মন্ত্রী সভায় ঠাঁই দিয়ে গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন নি যা তাঁর
স্ত্রী বেগম জিয়া দিয়েছেন । বেগম জিয়া সেখানেই ক্ষান্ত হন নি তারো আগে
বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত ঘাতক কর্ণেল (অবঃ) আবদুর রশিদকে জাতীয় সংসদে বিরোধী
দলীয় নেতা বানিয়েছেন । যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের যে সকল ঘাতক দ-প্রাপ্ত
হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি তাদের রাজবন্দি হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের
মুক্তি দাবি করেছেন । জিয়া অবশ্য বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের অনেককেই পররাষ্ট্র
মন্ত্রনালয়ে রাষ্ট্রদূতের চাকুরি দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য
পুরুস্কৃত করেছেন ।
এই মুহুর্তে দেশে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে যে ধরণের ভয়াবহ সন্ত্রাস, নাশকতা চলছে
তা দেশ ও জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সামিল । এতে মারা পরছে নিরীহ মানুষ । শিশু
থেকে অন্তঃসত্তা মহিলা কেউ বাদ যাচ্ছে না । ব্যবহার করা হচ্ছে পেট্রোল
বোমার মতো ভয়াবহ অস্ত্র যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর ব্যবহৃত হয় নি ।
আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন হতেই রাজপথে আন্দোলন করেছে কিন্তু কখনো এমন ভয়াবহ
সহিংসতার আশ্রয় নেয় নি । প্রশ্ন, বিএনপিকে কেন নিতে হলো ? এর একটাই উত্তর
কারণ বিএনপি যদিও বলে দেশে তাদের ত্রিশ ভাগ মানুষের সমর্থন আছে কিন্তু
বাস্তবে হয়তো এই ত্রিশভাগ মানুষ নানা কারণে আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে না বলে
বিএনপিকে সমর্থন করে । তার অর্থ এই নয় যে বেগম জিয়ার ডাকে তারা সকলে
রাস্তায় নেমে পরবে । সুতরাং সরকারের কাছ হতে বিএনপি ও তার মিত্রদের
অযৌক্তিক দাবি আদায় করতে হলে তাদের সামনে বর্তমানে একমাত্র উপায় হচ্ছে
দেশের সাধরণ মানুষকে জিম্মি করে ফেলা এবং তাদের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতিটা
ঢুকিয়ে দেয়া । এই কাজটি করার জন্য তাদের সব চেয়ে আস্থাভাজন দোসর হচ্ছে
জামায়াত যাদের মানুষ হত্যার অনেক অভিজ্ঞতা আছে । তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু
ক্ষমতায় যাওয়া নয় । সেটা বাংলাদেশে সম্ভব হবে না । তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য
বেগম জিয়াকে যে কোন উপায়ে হোক ক্ষমতায় বসিয়ে তাদের যে সকল নেতা মৃত্যুদ- বা
যাবজ্জীবন কারাদ- নিয়ে কারাগারে আছে তাদের মুক্ত করা এবং বেগম জিয়ার কৃপা
পেলে তাদের গাড়ীতে আবার পতাকা উড়ানো । বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা দমন করতে
সরকার কী করতে পারে? সরকার চেষ্টা করছে তার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী
দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে । তাতে কিছু সফলতাও এসেছে । কিন্তু সমস্যা
হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সকল সদস্য কী সরকারের নিয়ন্ত্রনে আছে
? তাতো মনে হয় না । তাই যদি হবে তাহলে টিএসসি’র মতো একটি জনবহুল এলাকায় কী
ভাবে ডঃ অভিজিৎকে হত্যা করে হত্যাকারীরা পুলিশের সামনে দিয়ে দিব্যি চলে গেল
? ওই এলাকায়তো ওই সময় গোটা পঞ্চাশ পুলিশ ছিল । কাদের বেতনে তারা চাকুরিতে
আছেন তাতো প্রশ্ন করা যেতেই পারে । তারা কী ভুলে গেছেন গত এক বছর ঘাতকদের
হাতে তাদেরই এতাধিক সহকর্মী দায়িত্ব পালন করেত গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন । নাকি
তাদের মধ্যেও ভয়ের সংষ্কৃতি ঢুকে গেছে । তাই যদি হয় তা হলে তাদেরতো এই
চাকুরিতে থাকার প্রয়োজন নেই । সরকারকে চলমান সন্ত্রাস দমন করতে সন্ত্রাস
দমন আইন-২০০৯ হাতে তুলে নিতে হবে এবং তা কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে হবে ।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে নতুন আইনের প্রয়োজন নেই । এই আইনেই জামায়াতের মতো
সন্ত্রাসি সংগঠনকে দমন করা সম্ভব । সেই আইনে লেখা আছে কোন ব্যক্তিকে পুড়িয়ে
মারলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- । এই আইন প্রয়োগ করতে সরকারের বাধা
কোথাই ? যারা নাশকতা চালাতে গিয়ে ধরা পরছে তাদের এই আইনের আওতায় বিচার করা
হোক । বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে অনেক আইনানুগ ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে । কিন্তু
কোনটার বস্তবায়নতো দেখা যায় না । তা হলে আইন না দেখানোই ভাল । ইতোমধ্যে
বেগম জিয়ার কার্যকলাপের কারণে তিনি দেশের ভিতরে ও বাইরে একজন সন্ত্রাস
নির্ভর নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন । তাঁর বা তাঁর সন্ত্রাসীদের
বিরুদ্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারলে তিনি যেমন আছেন তেমনটিই তাঁকে
থাকতে দেয়া ভাল । আর আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীদের উচিৎ ঢাকা শহরে বসে বেফজুল
কামান না দেগে জনগণকে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগঠিত করা । চলমান যুদ্ধে
জনগনের পরাজিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই । আর এই যুদ্ধে পরাজিত হওয়া মানে ত্রিশ
লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ আবার একাত্তর পূর্বাবস্থায় ফিরে
যাওয়া । আর সরকারকে উপলব্দি করতে হবে রাষ্ট্রের চেয়ে জঙ্গিদের হাত লম্বা হতে
পারে না ।
লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । মার্চ ৩, ২০১৫
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|