প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

 

খেলা নিয়ে এত উন্মাদনা ভাল নয়

 


প্রফেসর আবদুল মান্নান

 

ক্রিকেট খেলা নিয়ে লাগামহীন উন্মাদনা এই উপমহাদেশে যেমনটি দেখা যায় তেমনটি অন্য কোন দেশে দেখা যায় না । ইউরোপ বা দক্ষিণ আমেরিকায় যেমন ফুটবল তেমন এই উপমহাদেশে ক্রিকেট । বলা যেতে পারে ভারতে ক্রিকেটের সমতূল্য । আর খেলাটি যদি হয় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সেই উন্মাদনা অনেকগুণ বেড়ে যায় । তবে এবার অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ক্রিকেট খেলাটি একটি ভিন্ন মাত্রার উন্মাদনা নিয়ে এসেছিল । এই প্রথমবার কোন বিশ্বকাপের ফাইনালে উপমহাদেশের কোন টিম ছিল না। ভারতের কিছুটা সম্ভাবনা ছিল তবে দলটিকে অস্ট্রেলিয়া যে ভাবে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে তাদের অবস্থা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া হতে পালাতে পারলে বাঁচি । আমি খেলা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে বসিনি । সেটি বেশ মুন্সিয়ানার সাথে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় করেন আমার বন্ধু উদয় শঙ্কর দাশ । আমি ভারত বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল পরবর্তিকালে ভারত-বাংলাদেশের সমর্থকদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে বাক্যুদ্ধ শুরু হয়েছে সে সম্পর্কে শুধু দু‘কথা বলার চেষ্টা করছি । বাংলাদেশ যেদিন ভারতের কাছে পরাজিত হলো সেদিন ভারতের অনেক স্বনাম ধন্য পত্রপত্রিকা ও সাবেক ক্রিকেটাররা ভারতের এই জয় নিয়ে কোন রকমের উচ্ছ্বাস প্রকাশ না করে অকপটে লিখেছেন বা স্বীকার করেছেন ভারতের এই জয়ে স্বচ্ছতার অভাব ছিল । ব্যতিক্রম একমাত্র কোলকাতা হতে প্রকাশিত ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত আনন্দবাজার পত্রিকা । তারা লিখেছে এই পরাজয় বাংলাদেশের প্রাপ্য ছিল । এটি নিয়ে হা হুতাশ করার কিছু নেই । বলতে বাকি রেখেছে বাংলাদেশতো উইকএন্ড ক্রিকেট খেলার যোগ্যতাও রাখে না । অথচ এই একই আনন্দবাজার পত্রিকা ওয়েষ্ট ইন্ডিজের পোর্ট অব স্পেনে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ বিশ্বকাপের গ্রুপ বি’র খেলায় বাংলাদেশ ভারতকে ৫ উকেটে হারালে তারা প্রথম পৃষ্টায় শিরোনাম করেছিল ‘ক্রিকেটতো খেলেছে পদ্মাপাড়ের বারজন বাঙালি । বাংলাদেশের এগারজন আর একজন সৌরভ গাঙ্গুলি ‘। ভারতের ১৯১ রানের ইনিংসে সেই ম্যাচে সৌরভ একাই করেছিল ৬৬ । বাংলাদেশের মুশফিক ৫৬ রানে নট আউট ছিল । যে দু’জন আম্পায়ারের অস্ট্রেলিয়ায় ভারত-বাংলাদেশের খেলা পরিচালনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক সেই দু’জনের একজন আলীম দার ২০০৭ সালের সেই ম্যাচেও আম্পায়ার ছিলেন । অন্য জন ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এস জে ডেভিস । এমন নয় যে ভারতের কাছে বাংলাদেশে এর আগে পরাজিত হয় নি । ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মাত্র তিনবার জয় লাভ করেছে আর ১৩ বার পরাজিত হয়েছে । কোন খেলা নিয়ে দুই দেশে এত হৈ হট্টগোল হতে পূর্বে কখনো দেখা যায় নি । এবারও যদি খেলাটিতে তিন তিনটি চরম বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে না যেত তা হলে এত হৈ চৈ হয়তো হতো না । এই তিনটি সিদ্ধান্তের মধ্যে দুটির জন্য সরাসরি দুই আম্পায়ারকে শুধু বাংলাদেশের দর্শকরাই নয় বিশ্বের অনেক নাম করা সাবেক ক্রিকেটাররাও তাদের তুমুল সমালোচনা করেছেন । আর বাউন্ডারি লাইনে মাহমুদউল্লাহ্র যে ক্যাচটা শেখর ধাওয়ান তালু বন্দি করেছিলেন বলে দাবি করে মাহমুদউল্লাহ্কে আউট দেয়া হয়েছিল সেটি পরবর্তিকালে অনেক টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে শেখরের পা ক্যাচ ধরার সময় বাউন্ডারি লাইনের সাথে বেশ জুৎসই ভাবে লেগেছিল । ফিল্ডার যদি শেখর না হয়ে সৌরভ বা টেন্ডুলকার হতেন তারা ঠিকই সিগন্যাল দিয়ে জানাতেন বলটিতে ছয় রান হয়েছে । এমন ঘটনা অতীতে অনেকবার হয়েছে ।
ভারত বাংলাদেশের এবারের ক্রিকেট নিয়ে নোংরা রাজনীতির অনেক ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে । হঠাৎ ইউটিউবে দেখা গেল একটি বহুজাতীয় কোমল পানীয়ের বিজ্ঞাপনের সাথে একটি ’মওকা মওকা’ গান জড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি অপমানজনক বিজ্ঞাপন চিত্র তৈরী করো তা প্রচার করা হয়েছে । পরে সেই কোম্পানি বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ওটির সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই । চিত্রনায়ক প্রসেনজিৎ বলেন ভারত যেন বাংলাদেশের টাইগারদের আসল টাইগার মনে না করেন । তার সঠিক জবাব দিয়েছেন কোলকাতার চিত্রশিল্পী শায়ন্তনী । তার মন্তব্য ছিল ভারতের টিমে ক’জন বাঙালি এই পর্যন্ত খেলেছেন ? বাংলাদেশের এগারজন বাঙালি যে বিশ্বকাপ খেলেছে সেটাইতো গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের প্রতি আম্পায়ারের চরম অবিচার আর শেখর ধাওয়ানের মাহমুদউল্লাহ্র ক্যাচ নেয়ার অভিনয় বাংলাদেশের ক্রিকেট দর্শক ও বোদ্ধাদের বেজায় হতাশ আর ক্ষুব্দ করেছে । নানা ভাবে তার বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে । তা দেখে বা শুনে ওপারের রূপম ইসলাম নামের একজন গায়ক অসম্ভব একটি আপত্তিকর মন্তব্য করে বললেন বাংলাদেশিরা নাকি পাকিস্তানি হয়ে গেছে ।
আমার একটি অতি প্রিয় পত্রিকা কোলকাতার “এই সময়” । আমি প্রতিদিন বিশ্বের যে ক’টি পত্রিকার উপর চোখ বুলাই তার মধ্যে এই সময় অন্যতম । একবার শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে তারা একটি ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করেছিল । সেখানে আমারও একট লেখা প্রকাশিত হয়েছিল । সেই পত্রিকা গত শুক্রবার এই দু‘দেশের খেলাটি নিয়ে একটি চরম আপত্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করাতে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম । টাইমস অব ইন্ডিয়ার সহযোগী এই পত্রিকাটি খবরে ছেপেছে ‘এত রাগ? কিসের রাগ বা কেন এই অসঙ্গত রাগ তা নিয়ে বলতে বললে অনেকেই বলতে পারবেন না । ...ভারতের হেরে যাওয়ায় (অস্ট্রেলিয়ার কাছে) উল্লাসে মাতলেন সে দেশের নাগরিকরা’ । তারা আরো লিখেছে ‘বৃহষ্পতিবার সিডনিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের পরাজয়ে উল্লাসিত হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আনন্দের আবহে মিছিল করেছে বাংলাদেশিরা । অস্ট্রেলিয়ার জয় নয়, মূলত ভারতের হারেই তারা আহ্লাদে আটখানা হয়েছেন । কোয়ার্টার ফাইনালে বাজে আম্পায়ারিংয়ের অজুহাতে হার স্বীকার করতে অসুবিধা হয়েছে তাদের । সেটি বেশ প্রকট । বিকেলে ভারতের শেষ উকেট পড়ার পরপরই ঢাকার রাস্তায়ও আনন্দ মিছিল করে জমায়েত করেন ভারত বিদ্বেষী ক্রিকেটপ্রেমীরা ফলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে যারপরনাই উল্লাসিত বাংলাদেশিরা‘। তা বাংলাদেশিরা মোটেও ভারত বিদ্বেষী নয় তবে উল্লেখিত খেলায় ঘটে যাওয়া সকল অনাকাক্ষিত ঘটনা দূর্ঘটনায় তারা ক্ষুব্দ এবং তার নানা ভাবে বহিঃপ্রকাশ ঘটা স্বাভাবিক । রোববারের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে । বাংলাদেশের মানুষ তা উপভোগ করেছে । খেলা নিয়ে রাগ হয়ে থাকলে তা ভারতে হয়েছে । সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারার পর ভারতের দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে । ধোনির বাড়িতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বসানো হয়েছে । আর বাংলাদেশে ক্রিকেটাররা যখন ভারতের কাছে হেরে দেশে ফিরেছেন হাজার হাজার ক্রিকেট পাগল মানুষ তাদের বিমান বন্দরে স্বাগত জানাতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেছেন । যারা বাংলাদেশের দর্শকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন তাদের বুঝতে হবে একটি খারাপ বা ভুল সিদ্ধান্ত একটি ভাল খেলাকে সম্পূর্ণ বরবাদ করে দিতে পারে যেটি ভারত-বাংলাদেশের বেলায় হয়েছে ।
ভারত বা বাংলদেশে যারা ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনায় ভূগেন তাদের অধিকাংশ ক্রিকেটকে ভালবাসেন । এই ভালবাসা হয়তো কখনো বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায় । তার অর্থ এই নয় যে এক দেশের দর্শক অন্য দেশের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসম্ভব ক্রিকেট পাগল । তাঁর দপ্তরের অনেক কর্মকর্তার কাচে শুনেছি যদি কোথাও ভাল ক্রিকেট খেলা থাকে তখন প্রধানমন্ত্রী রুটিন দাপ্তরিক কাজ না করে অনেক সময় খেলা উপভোগ করেন । বিশ্বের যে প্রান্তেই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম খেলতে যায় তিনি সেই খেলার নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন । কোন খেলায় জিতলে দলপতি প্রথমে যাঁর অভিনন্দনে সিক্ত হন তিনি হচ্ছেন শেখ হাসিনা । তিনি কতটা ক্রিকেট পাগল তার একটা উদাহরণ দেই । ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তি উপলক্ষ্যে ঢাকায় তিন দেশীয় এক দিনের ক্রিকেট আসর বসলো । ভারত, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ । মোট ছয়টি ম্যাচ । বাংলাদেশ হেরে আগেই বিদায় নিয়েছে । ফাইনালে ভারত আর পাকিস্তান । ভারতের দলপতি মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন আর পাকিস্তানের রশিদ লতিফ । ১৮ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা নিয়ে ঢাকায় টান টান উত্তেজনা । বাংলাদেশের রজত জয়ন্তি কাপটি যেন পাকিস্তান নিয়ে না যায় । তার জন্য অনেকে নফল নামাজ পরেছেন । সময়টা ছিল রমজান মাস । খেলা ৫টা নাগাদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। হঠাৎ মাঠে হাজির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তখনও সম্ভবত দশ ওভার বাকি । ব্যাট করছে ভারত । কখনো পাল্লা ভারতের দিকে তো কখনো পাকিস্তানের দিকে । এক দম বন্ধ হওয়া পরিস্থিতি । ওদিন হঠাৎ করে আলোর স্বল্পতা দেখা দিল । দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার রুডি কোয়ের্টজেন আর জিম্বাবুয়ের রাসেল টিফিন ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনলেন । পাকিস্তান ৫ উইকেটে ৩১৪ রান করেছে । বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়ামে রাতে ক্রিকেট খেলার কোন ব্যবস্থা নেই । ফুটবল খেলার আছে । সেই আলো জললো । দুই আম্পায়ার আর উভয় দলপতি বললেন খেলা হবে । ইফতারের সময় হলো । শেখ হাসিনা কোথায় যেন ইফতার করতে গেলেন । সম্ভবত পাশের বঙ্গভবনে । কিছু সময় পরে ফিরে এলেন । তাঁর চেহারায়ও চিন্তার ছাপ । তাহলে আমাদের এই অতি মূল্যবান কাপটি কী পাকিস্তানের ঘরে যাবে ? এর মধ্যে সৌরভ গাঙ্গুলি অসুস্থ হয়ে মাঠের মধেই বমি করলেন । শেষ দুই বলে ৩ রান প্রয়োজন । গ্যালারিতে পিন পতন নিরবতা । শেষ ওভারে কে বল করেছিলেন এতদিন পরে তা মনে নেই । তবে হৃষিকেষ কানিতকার যখন একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় সুনিশ্চিত করেছিল তখন সকলের আগে সিট ছেড়ে লাফিয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা । সৌরভ গাঙ্গুলি ম্যান অব দি ম্যাচ । আজহারউদ্দিনকে শেখ হাসিনা ট্রফিটা তুলে দিলেন । হাঁসিটা কার বেশী ছিল, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর না আজাহারউদ্দীনের তা গবেষণার বিষয় হতে পারে । বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়ামের প্রায় লক্ষাধিক দর্শক সেদিন প্রাণ উজার করে দিয়ে ভারতকে সমর্থন দিয়েছিল । সেই দর্শক বা ক্রিকেট সমর্থক ভারত বিদ্বেষী কেন হতে যাবে ? যারা অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি করেন তারা ভাল উদ্দেশ্যে করেন না । এটি স্বীকার করে নেয়া ভাল সেদিন উল্লেখিত কিছু বির্তকিত সিদ্ধান্ত না ঘটলে ম্যাচটির একটি সুন্দর সমাপ্তি ঘটতে পারতো । হয়তো বংলাদেশ জিততো বা নাও জিততে পারতো ।
নিয়ম অনুযাযী বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়কের হাতে শিরোপা তুলে দেবেন আইসিসি সভাপতি, বাংলাদেশের আ হ ম মুস্তাফা কামাল । আইসিসি’র গঠতন্ত্র অনুযায়ী এটাই নিয়ম । কিন্তু রাববার অজদের হাতে শিরোপা তুলে দেয়া দুরে থাক তাকে মঞ্চেই ডাকা হয় নি । অথচ তিনি মাঠে উপস্থিত ছিলেন । এই অপমান শুধু মুস্তাফা কামালকে করা হয় নি বাংলাদেশেকে করা হয়েছে । সব নিয়ম কানুন শিকেই তুলে কাপ তুলে দিলেন আইসিসি’র চেয়াওম্যান ভারতের নারায়নস্বামী শ্রীনিবাসন যার বিরুদ্ধে দূর্নীতির এন্তার অভিযোগ আছে । ক্রিকেট যতদিন ভারতের বিগ কর্পোরেট হাউজের কাছে বন্দি এমনই হতে থাকবে । বাংলাদেশেযে এর বিরুদ্ধে কোন মিছিল বের হয় নি তা কিন্তু ‘এই সময়’ বা ‘আনন্দবাজার পত্রিকা ’লিখবে না । ক্রিকেটতো আসলেই একটি অনিশ্চয়তার খেলা । ভারততো বাংলাদেশে পাঁচ বার খেলে গেছে । এই বছর আবার আসবে । বাংলাদেশকে ভারতে আমন্ত্রণ জানাতে এত আপত্তি কেন? হয়তো তেমন একটা দর্শক হবে না । কিন্তু দুদেশের ক্রিকেটেরতো লাভ হবে ।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । মার্চ ৩০, ২০১৫

 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

[......লেখক আর্কাইভ]