[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।

 

কোটি কোটি বছর ধরে পৃথিবীর উপরের পিঠটা ভেসে বেড়াচ্ছে উত্তপ্ত ও গলিত ম্যাগমার উপর। ভাসমান প্লেটগুলো সব সময়েই নড়বড় নড়বড় করছে। পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে আস্তে আস্তে এর উপরের পিঠটা ঠান্ডা হতে শুরু করে। উপরটা ঠান্ডা হলেও ভিতরে তাপ আটকা পড়ে আছে। ফলে উত্তপ্ত ম্যাগমাগুলো ঠান্ডা হবার তেমন সুযোগ পাচ্ছেনা। উপররের ঠান্ডা প্লেটগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে গরম ম্যাগমার উপর। ভাঙছে আর তৈরি করে চলেছে মহাদেশ।

প্রায় ৩.১ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর উপরের পিঠটা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে এলো দেখতে কিছুটা ভদ্রস্থ হলো। পৃথিবীর উপর ভাসমান সব প্লেটগুলো জুড়ে হয়ে তৈরি হলো একটি বিশাল মহাদেশ ইংরেজীতে যাকে বলা হলো সুপার কন্টিনেন্ট। পৃথিবীর সবচাইতে প্রথম এই সুপার কন্টিনেন্টের নাম হলো ভালবারা। ভালবারা হলো জানা মতে সবচাইতে প্রাচীন সুপার কন্টিনেন্ট।
 

প্রায় তিরিশ কোটি বছর ধরে একসাথে থাকার পর ভালবারা ভেঙে যেতে থাকে। এক সময় ভালবারা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। কিন্তু ভূঅভ্যান্তরের প্লেটগুলোতো সবসময়েই চলমান রয়েছে। ফলে পৃথিবীর বুকে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়া মহাদেশ গুলো আবার একসময় একসাথে জুড়ে যায়। এবার আবার পৃথিবী জুড়ে একটিই মহাদেশ তৈরি হয় যার নাম সুপার কন্টিনেন্ট কেনোরল্যান্ড।

কেনোরল্যান্ডের জন্ম আনুমানিক ২.৭ বিলিয়ন বছর আগে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, গ্রীনল্যান্ড ও কালাহারি মরুভূমি কেনোরল্যান্ডের অংশে তৈরি। কেনোরল্যান্ড ভেঙে যায় প্রায় ২.৫ বিলিয়ন বছর আগে।

এভাবেই ভাঙা গড়া চলতে থাকলো কোটি কোটি বছর ধরে। কনোরল্যান্ড এর পরে তৈরি হলো আরেকটি সুপারকন্টিনেন্ট কলম্বিয়া। কলম্বিয়া আলাদা হয়ে যায় ১.৮ বিলিয়ন বছর আগে।

কলম্বিয়ার ভেঙে যাবার পরে আবার মহাদেশের টুকরোগুলো মিলে তৈরি হলো আরেকটি সুপার কন্টিনেন্ট রোডিনিয়া। ৭৫ কোটি বছর আগে রোডিনিয়াও ভেঙে গেল।

 

 

কানাডার হাডসন বে উপকুলে এই পাথরটিকে বলা হয় পৃথিবীর  প্রাচীনতম পাথর।

এর বয়স ৪ বিলিয়ন বছরেরও বেশী।

রোডিনিয়া বিচ্ছিন্ন হবার পর টুকরোগুলো জুড়ে তৈরি হলো সর্বশেষ সুপার কন্টিনেন্ট প্যানজিয়া। ধারনা করা হয়, প্যানজিয়া ২৫ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিল। জাগতিক নিয়মেই প্যানজিয়াও একসময় ভেঙে যায়। টুকরোগুলো ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীময়। বর্তমান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ-মহাদেশ সেই প্যানজিয়ার ভেঙে যাওয়া সব টুকরো। প্যানজিয়ার সময় আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ছিল একসময়ের প্রতিবেশী। ব্রাজিলের প্রতিবেশী ছিল নাইজেরিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশ ছিল দক্ষিন আফ্রিকার কাছে।

আদিকালের সেই মহাদেশ ভাঙা আর গড়ার প্রক্রিয়া এখোনো পুরোদমে চলছে। অস্ট্রেলিয়া ধীরে ধীরে চলে আসছে আমাদের কাছে। হিসেব মতে এক সময়ে সাইকেলে করেই যাওয়া যাবে সে দেশে। এশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে দুরত্ব ক্রমেই কমে যাছে কারন প্রশান্ত মহাসাগর আকারে ছোট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাড়ছে আটলান্টিক মহাসাগর। আটলান্টিক এক সময়ে হবে পৃথিবীর সবচাইতে বড় মহাসাগর। আবার মহাদেশ গুলো জুড়ে তৈরি হবে আরেকটি সুপার কন্টিনেন্ট -যার নাম প্যানজিয়া আলটিমা।

তবে প্যানজিয়া আলটিমা দেখার ভাগ্য আমাদের কারোই হবেনা কারন তাহলে আমাদেরকে আরো কয়েক কোটি বছর বাঁচতে হবে। তবে এটা নিশ্চিত যে প্যানজিয়া আলটিমা থাকার জন্য খুব উপযোগী স্থান হবেনা। বিশাল মহাদেশের কিনার গুলোর কোথাও কোথাও থাকবে বৃষ্টিচ্ছায় এলাকা, বাকী অংশ হবে চরম ভাবাপন্ন। কোথাও ভয়ঙ্কর ঠান্ডা, কোথাও ভয়ঙ্কর গরম। মধ্যাঞ্চল হবে শুষ্ক মরুভূমি। হাজার হাজার মাইলজুড়ে কোন জনপ্রানী বাঁচার মত পরিবেশই থাকবেনা। পৃথিবীর ঐ ভয়ঙ্কর আবহাওয়ার চেহারা দর্শন খুব আনন্দের হবেনা সে কথা বলাই বাহুল্য।

 

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>নতুন ধরনের তেল খেকো অনুজীব আবিষ্কার

>>সুপার ভলকেনো

>>ম্যামথ বিলুপ্তিতে মানুষের হাত নেই

>>মেগা ফ্লাডঃ চ্যানেল্ড স্ক্যাবল্যান্ডসের ভয়ঙ্কর বন্যা

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>রহস্য খুলছে বরফ মানব

>>আনবিক বোমা

>>বন্যপ্রাণী ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো

>>শেষ হলো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানানো জাহাজের অভিযান

>>গাছ চিন্তা করে, মনেও রাখে

>>বৃহত্তম তারার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছনে

>>ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, 'সম্ভবত মুরগিই!’

>>সমুদ্রতলে মাছরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে

>>সবচাইতে শীতল বাদামী বামনের সন্ধান লাভ

>>রাশিয়ান কার্গো শিপ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে থামতে ব্যর্থ হল

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ

>>২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাবে

>>সিঙ্গাপুরে প্রত্যেকের জন্য ইলেকট্রনিক মেইলবক্স

>>মিশরে ৩,৬০০ বছর আগের একটি শহরের সন্ধান লাভ 

>>আগুনের সঙ্গে বসবাস

>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা

>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য 

>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়

>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত মাংস

>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে গেল

>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক নক্ষত্র

>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী

>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব আবিষ্কার

>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত

>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল

>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ

>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান

>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে আর কতো দেরী?

>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান

>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন

>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে

>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি হবে?

>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান, আবহাওয়া, সূর্যাস্ত

>>বাংলা বছরের সূচনা

>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে বিবর্তন ধারার সন্ধান

>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

 

[প্রথমপাতা]