শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর
ঐতিহ্যের সংমিশ্রন
কমিউনিটি ডেস্ক ||
জাপানের মূল আইল্যান্ড হতে দক্ষিনে শিকোকুতে রয়েছে তাকামাত্সু। জাপানের
সবচাইতে ক্ষুদ্র প্রিফেকচার কাগাওয়ার রাজধানী হলো এই তাকামাত্সু। শহরের
পোতাশ্রয়টিই ছিল একসময়ে শিকোকুতে ঢোকার একমাত্র পথ। পরে অবশ্য ১৯৮৮ সালে
সাতো ওহাসি ব্রিজ চালু করা হয় যা শিকোকুর সাথে হনশুর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন
করেছে।
তোকুগাওয়া শোগুনের নিকটাত্মীয় মাত্সুদাইরা ক্ল্যান এক সময় তাকামাত্সু
ক্যাসেল ও তার আশেপাশের এলাকাটি নিয়ন্ত্রন করত। এদো পিরিয়ডে এলাকাটি পরিচিত
ছিল সানুকি প্রভিন্স নামে।
এদোর সময়টা ছিল ১৬০৩ থেকে ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত। হিদেইয়োশির পর তোকুগাওয়া
ইয়েয়াসু ছিলেন সেসময়ে জাপানের সবচাইতে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। মারা যান ১৫৯৮।
তিনি হিদেইয়োশির উত্তরসূরি হিদেইয়োরির বশ্যতা মেনে নেননি। কারন তার লক্ষ্য
ছিল জাপানের একছত্র শাসক হওয়া।
১৬০০ সালের সেকিগাহারার যুদ্ধে তোকুগাওয়া হিদেইয়োরির অনুগত বাহিনীকে পরাস্ত
করে প্রায় অফুরন্ত ক্ষমতা ও সম্পদের মালিক হন। ১৬০৩ সালে তিনি সম্রাট
কর্তৃক শোগুন নিযুক্ত হয়ে সে সময়্কার এদো বর্তমানে যা টোকিও তে সরকার গঠন
করেন। তকুগাওয়া শোগুন জাপানকে প্রায় ২৫০ বছর শাসন করেছিল।
আজকের তাকামাত্সুতে দেখার মত অনেক চমকপ্রদ জিনিস আছে। তাদের মধ্যে
রিত্সুরিন কোয়েন যাকে বলা হয় জাপানের সবচাইতে সুন্দর পার্ক, শিককু মুরা -খোলা
আকাশের নীচে যাদুঘর, ইয়াশিমা -গেমপেই যুদ্ধের সময়কার একটি পাহাড়ী
যুদ্ধক্ষেত্র। একই সাথে নিকটের কোতোহিরাও ভ্রমন করে আসতে পারেন সাইড ট্রিপ
হিসেবে।
রিত্সুরিন কোয়েন তাকামাত্সু সিটির একটি অসাধারন দর্শনীয় পার্ক। এটি এদোর
সময়কালে স্থানীয় সামন্ততান্তিক রাজাদের সময় নির্মান করা হয়। এটাকে ধরা হয়
জাপানের শ্রেষ্ট পার্কগুলোর একটি। বহুক্ষেত্রেই রিত্সুরিন পার্ককে জাপানের
সবচাইতে সুন্দর তিনটি পার্কের একটি হিসেবে গন্য করা হয়।
এই মনোরম পার্কে রয়েছে অনেকগুলো পুকুর,পাহাড়, ঐতিহাসিক গাছপালা আর দক্ষিন
জাপানি ষ্টাইলের বাগান ও উত্তরে পশ্চিমা ষ্টাইলের বাগান। পার্কের পেছনে
মাউন্ট শিউন পার্কের দৃশ্যাবলীকে আরো অদ্ভুত সুন্দর করে তুলেছে।
শিকোকু মুরা বা শিকোকু গ্রাম হলো খোলা আকাশের নীচে থাকা একটি যাদুঘর যা
ইয়াশিমাতে অবস্থিত। এখানে রয়েছে জাপানের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও ঘরবাড়ী যেগুলো
শিকোকুর বিভিন্ন স্থান হতে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রদর্শিত বাড়িগুলো প্রধানত এদো ও মেইজির সময়কালে নির্মান করা হয়। এগুলোর
মধ্যে রয়েছে কৃষিবাড়ি ও ষ্টোর হাউজ এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী বিক্রয়কেন্দ্র
যেখানে মুলতঃ চিনি ও সয়া সস বিক্রি করা হয়।
ইয়াশিমা বা দ্বীপের ছাদ হলো পাহাড়ের শীর্ষদেশের সমতলভূমি। এর অবস্থান হলো
তাকামাত্সু সিটি সেন্টারের ঠিক বাইরে। এখানে ১২শতকে তাইরা ও মিনামোতো
ক্ল্যানের মধ্যে গেমপেই যুদ্ধ হয়। তাইরা ক্ল্যান যুদ্ধে পরাজিত হয় আর এটাই
ছিল তাদের শেষ যুদ্ধ যার মাধ্যমে তারা সম্পুর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
তাকামাত্সুর এইসব ঐতিহাসিক ও মনোরম স্থানগুলি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষনীয়।
আপনারও ভালো লাগবে এমন চমৎকার স্থানে ঘুরতে এসে।
>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার
পেছন
>>তিমি কাহিনী
>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত
>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিনী
>>টর্নেডো
>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল
সর্বোচ্চ হুমকির মুখে
>>ভূপাল বিপর্যয়
>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল
>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!
>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ
>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের
সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা
>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া
>>কিং
কোবরা
>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক
>>রোমানিয়ায়
কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর
>>ঐতিহাসিক
নগরী কামাকুরা
>>গ্র্যান্ড
ক্যানিয়নের রহস্য
>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস
>>ফ্রিক
ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি
>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ
>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুকু
[প্রথমপাতা] |