[প্রথমপাতা]

 

 

আগুনের সঙ্গে বসবাস 

 

পিকো দো ফোগো পর্বত

 

 

কমিউনিটি ডেস্ক ।।
আফ্রিকার একটি ছোট্ট দ্বীপের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে এক আগ্নেয়গিরি৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উপরের অ্যাটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী আফ্রিকার দেশ কেপ ভ্যার্দ দ্বীপপুঞ্জের এই জীবন্ত আগ্নেয়গিরিটির নাম পিকো দো ফোগো৷

এই গিরির নাম অনুসারেই ছোট্ট দ্বীপের নাম৷ যে পর্বতের মধ্যে এখনো উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে আগুন, কোন ঘোষণা ছাড়াই ফেটে উঠতে পারে যে কোন সময়৷ সেই আগ্নেয়গিরির পাদদেশেই বাস প্রায় ১২০০ মানুষের৷ গ্রামটির নাম কালদেরাস সমতল৷ এক কথায় জীবনকে হাতের মুঠোয় রেখে বসতি৷ কিন্তু এ জন্য কি সেখানকার মানুষ ভয়ে কিংবা শঙ্কায় রয়েছেন? মোটেই না৷ পর্যটকদের গাইড আলসিন্দো জানালেন সর্বশেষ কবে বিস্ফোরিত হয়েছিল ফোগো, ‘সেই ১৯৫১ সালের কথা৷ যখন এই আগ্নেয়গিরিটি জেগে উঠেছিল, চারদিকে ছড়িয়েছিল লাভা৷ আগুনের পথ সৃষ্টি হয়েছিল, তারপর সেই আগুন লাভা নেমে গিয়েছিল নীচে৷ সমুদ্রে। '

ফোগো মানুষকে টানে৷ কাছে নেয়৷ তাই পর্বতচারীদের রোমাঞ্চ ‘চলো উপরে উঠি আরও উপরে... তারপর দেখে আসবো সেই পাহাড়ের জ্বালামুখ৷' তাদেরকে সঙ্গ দেয় আলসিন্দোর মত বেশ কয়েকজন গাইড, পথ প্রদর্শক৷

সেই ছেলেবেলা থেকে ২৯ বছরের এই যুবক দেখে আসছে আগ্নেয়গিরিটিকে৷ বললেন, ‘আমার ভালোবাসার সবটুকু এই আগ্নেয়গিরিটিকে ঘিরে৷ আমি মনে করি না একে আমি ত্যাগ করতে পারবো৷ এ জায়গা থেকে দূরে চলে যেতে পারবো৷ আমি এখানে কাজ করি৷ সপ্তাহান্তের ছুটিতে ঘুরে বেড়াই, বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলি... সবই এই পাহাড়ের বুকে৷ আমি এখানে সুখি, খুব সুখি৷'

এই কথা কেবল আলসিন্দোর নয়, কালদেরাস'এর গ্রামবাসীর৷ আজ এই ছোট্ট দ্বীপটির আগ্নেয়গিরিটি ভাগ্য খুলে দিয়েছে তাদের৷ প্রায় প্রতিদিনই সেখানে আসছেন পর্যটকরা৷ কেবল যে পর্যটনের ব্যবসাই সব, তা নয়৷ গ্রামবাসী পাহাড়ের কোল ঘেঁষে চাষাবাদ করছেন৷ ফসল ফলাচ্ছেন৷

দ্বীপের মানুষের মাথাপিছু আয় দেশটির গড় মাথাপিছু আয়ের চেয়ে কম৷ রয়েছে পানি এবং বিদ্যুৎ সংকট৷ কিন্তু এরপরেও সুখি তারা৷ সুখ বিষয়টি সত্যিই আপেক্ষিক৷

আর এই দারিদ্র দূর করতে এই তো কয়েকদিন আগে সেখানকার সরকার গ্রহণ করেছে এক প্রকল্প৷ যে প্রকল্পে কৃষিকাজকেই দেয়া হয়েছে প্রাধান্য৷

কথা হলো গ্রামের কৃষক জোসে আন্তোনিও ফার্নান্দেজের সঙ্গে৷ তাঁর স্ত্রী অডিলিয়া প্রতি মাসে কিছু টাকা উপার্জন করে হাতে বানানো জ্যাম জেলি বিক্রি করে৷ এই কয়েক দিন আগে তার এক বন্ধুর কল্যাণে কিছু অর্থের মুখ এই পরিবারটি দেখতে পাচ্ছে৷ দুই বন্ধু মিলে পর্যটকদের জন্য ঘর ভাড়া দিচ্ছে৷

সত্যিই তো তাই৷ ঘর ভাড়া দিয়ে এই কৃষকের আয় হয় বছরে ২৩০০ ইউরোর মতো৷ অন্যদিকে, ২০০৬ সাল থেকে তিনি তাঁর জমিতে উৎপাদিত আঙ্গুর বিক্রি করছেন স্থানীয় সমবায় সমিতির কাছে৷ সমিতি ঐ আঙ্গুর বিক্রি করে ফোগো শহরের বড় এক ওয়াইন উৎপাদকের কাছে৷ এতেও বেশ ক' পয়সা আসছে কালদেরাস'বাসীদের পকেটে৷

এই তো কিছু দিন আগে পাহাড়ি এই গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে একটি স্কুল৷ কিন্তু প্রাথমিক এই বিদ্যালয়ে এখনো শিশুদের যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়নি৷ সরকার বলছে, শিশুদের স্কুলে পাঠাও, কর শিক্ষিত৷ কিন্তু কেন যে এ ব্যাপারে খুব উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না, তা বোঝা যাচ্ছে না। ডয়েচে ভেলে।


 

>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা

>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য 

>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়

>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত মাংস

>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে গেল

>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক নক্ষত্র

>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী

>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব আবিষ্কার

>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত

>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল

>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ

>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান

>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে আর কতো দেরী?

>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান

>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন

>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে

>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি হবে?

>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান, আবহাওয়া, সূর্যাস্ত

>>বাংলা বছরের সূচনা

>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে বিবর্তন ধারার সন্ধান

>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

[প্রথমপাতা]