[প্রথমপাতা]

 

 

 

চীন-জাপান যুদ্ধ

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।

চীন ও জাপানের মধ্যে মূলতঃ দুটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে জাপান যেই পরাক্রমশালী ছিল বিশ্বযুদ্ধের পরে পরাজয়ের মাধ্যমে তার আগ্রাসী ভূমিকার পরিসমাপ্তি ঘটে। আর দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের সূত্র লুকিয়ে আছে ১৮৯৪-৯৫ সনের প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধে । সে সময় কুইং বংশের অধীন চীন জাপানের কাছে হেরে গিয়ে তাইওয়ান ছেড়ে দিতে এবং কোরিয়ার স্বাধীনতা স্বীকার করতে বাধ্য হ্য় ।

কুইং বংশের পতনের পর চীনে অনেক সামন্ত রাজার উত্থান ঘটে এবং বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে । অন্যদিকে জাপান সাম্রাজ্য আধুনিক ও শক্তিশালী হতে থাকে । চীনের বিভিন্ন এলাকায় জাপান তার একটি প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতে থাকে ।

১৯২০-৩০ এর দশকে চিয়াং কাই-শেক এর কুয়ো মিনটাং সরকার চীনকে একীভূত করতে শুরু করে । সেসময় সরাসরি জাপানের সাথে যুদ্ধ করার সামর্থ্য তাদের ছিল না । চিয়াং কাই-শেক একে একে সামন্ত রাজাদের পরাজিত করতে থাকেন । অন্যদিকে তিনি চীনা কমিউনিস্টদের সাথেও গৃহযুদ্ধ শুরু করেন । নিজেদের অবস্থান শক্ত রাখতে ১৯৩২ সালে জাপান উত্তর চীনের মাঞ্চুরিয়া প্রদেশ দখল করে ফেলে ও সেখানে পুতুল রাষ্ট্র মাঞ্চুকিয়ো স্থাপন করে ।

১৯৩৬ সালে আধুনা চীনের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে যখন ক্ষমতাসীন কোওমিনট্যাং ও চীনা কমিউনিস্টরা গৃহযুদ্ধে লিপ্ত আর চীন-জাপান দ্বিতীয় যুদ্ধের ঠিক আগে। কোওমিনট্যাং প্রধান চিয়াং কাই-শেককে হঠাৎ মাঞ্চুরিয়ার সেনাপ্রধান মার্শাল ঝ্যাং জুয়েলিয়াং গ্রেপ্তার ও অপহরন করেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৩৬ সালের ২২শে অক্টোবর জিয়ানের ঘটনার পর চিয়াং চীনা কমিউনিস্টদের (CPC) সাথে একত্রে জোট গঠন করতে বাধ্য হন ।

এদিকে জাপান মাঞ্চুরিয়া দখলের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হতে থাকে। মাঞ্চুরিয়া দখলের পর হেবেই ও চাহার নামে আরো দুটো এলাকাকে জাপান মাঞ্চুরিয়ার সাথে সংযুক্ত করে। এরপর ১৯৩৭ সালে জাপান প্রায় বলপূর্বক ১৫০০০ লোক নিয়জিত করে পিংগান রেলওয়েতে। এই পথটি ছিল বেইজিং এর জন্য কৌশলগত একমাত্র পথ যে পথ দিয়ে বেইজিং এর কোওমিনট্যাংরা দক্ষিন চীনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করত। মার্কো পোলো ব্রীজ পিংগান রেলওয়েতে যাবার একটি পথ যা জাপানীরা সম্পূর্ণ তাদের হাতে তুলে দেবার জন্য চীনের উপর চাপ সৃষ্টি করল। চীন যদিও তা প্রত্যাখ্যান করে।

পরবর্তীতে জাপান তাদের এক সৈন্য হারিয়ে যাবার ছুতায় ৭ই জুলাই, ১৯৩৭ এ একটি নাটক সাজিয়ে চীনের সাথে পুরোদমে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয় । প্রথমে দ্রুতগতিতে এগোলেও জাপানীরা সাংহাইতে এসে বাধা পায়। ডিসেম্বরে সাংহাইয়ের পতন ঘটে। রাজধানী নানকিং এরও পতন হয় । নাংকিঙে জাপানী অত্যাচারের বীভৎসতা সারাবিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় তোলে । চীনারা মুখোমুখি যুদ্ধের বদলে নানানভাবে বাধা দিয়ে দখলদারদের ব্যতিব্যাস্ত করে রাখার চেষ্টা করে । তারা চুংকিঙে রাজধানী সরিয়ে আনে। ১৯৪০ সালের মধ্যে যুদ্ধের উদ্দেশ্যহীনতা স্পষ্ট হয়ে যায়।

৭ই ডিসেম্বর ১৯৪১,পার্ল হারবার আক্রমণের মাধ্যমে জাপান বিশ্বযুদ্ধে প্রবেশ করে। চীনও আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। সমন্বিত চীনা বাহিনী বার্মা এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেয়। প্রশান্ত মহাসাগরের যুদ্ধে প্রাথমিক সাফল্যের পরে জাপান ক্ষতির সম্মুখীন হতে থাকে। ১৯৪৫ সাল থেকে চীন আমেরিকার সাহায্যে অবরুদ্ধ এলাকা মুক্ত করতে শুরু করে। এরসাথে সোভিয়েত ইউনিয়নও যোগ দেয়। ১৫ই অগাস্ট ১৯৪৫, আনবিক বোমা বিষ্ফোরণের সাথে সাথে জাপানের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায় । ৯ই সেপ্টেম্বর জাপান আত্মসমর্পণ করে।
 
 

 

>>দেশভেদে ভাষা বদলে যায় বাদুড়দের!

>>অতিক্ষুদ্র সামুদ্রিক প্রাণীরা ইঙ্গিত দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের

>>জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুরু, বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>নতুন ধরনের তেল খেকো অনুজীব আবিষ্কার

>>সুপার ভলকেনো

>>ম্যামথ বিলুপ্তিতে মানুষের হাত নেই

>>মেগা ফ্লাডঃ চ্যানেল্ড স্ক্যাবল্যান্ডসের ভয়ঙ্কর বন্যা

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>রহস্য খুলছে বরফ মানব

>>আনবিক বোমা

>>বন্যপ্রাণী ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো

>>শেষ হলো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানানো জাহাজের অভিযান

>>গাছ চিন্তা করে, মনেও রাখে

>>বৃহত্তম তারার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছনে

>>ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, 'সম্ভবত মুরগিই!’

>>সমুদ্রতলে মাছরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে

>>সবচাইতে শীতল বাদামী বামনের সন্ধান লাভ

>>রাশিয়ান কার্গো শিপ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে থামতে ব্যর্থ হল

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ

>>২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাবে

>>সিঙ্গাপুরে প্রত্যেকের জন্য ইলেকট্রনিক মেইলবক্স

>>মিশরে ৩,৬০০ বছর আগের একটি শহরের সন্ধান লাভ 

>>আগুনের সঙ্গে বসবাস

>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা

>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য 

>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়

>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত মাংস

>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে গেল

>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক নক্ষত্র

>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী

>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব আবিষ্কার

>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত

>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল

>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ

>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান

>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে আর কতো দেরী?

>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান

>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন

>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে

>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি হবে?

>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান, আবহাওয়া, সূর্যাস্ত

>>বাংলা বছরের সূচনা

>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে বিবর্তন ধারার সন্ধান

>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

 

[প্রথমপাতা]