[প্রথমপাতা]

 

 

 

৭১ এর টুকরো ছবি  
 

(কমিউনিটি ডেস্ক): মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলির ধারাবাহিক ঘটনাপঞ্জি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ভিডিও প্লেলিষ্টটি। খন্ড খন্ড ভিডিওচিত্র নিয়ে বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলিকে কিছুটা স্মরন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে শুরু করে নিয়াজীর আত্মসমর্পন পর্যন্ত বেশ কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই সব ভিডিওগুলি। এতে রয়েছে রনাঙ্গন থেকে জিয়াউর রহমানের সাক্ষাতকার ঐতিহাসিক কারনে যেটির একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

পাকিস্তান বাহিনীর সেনা অভিযানের ফলে অসংখ্য নিরিহ মানুষ মারা যাচ্ছে -জনৈক বিদেশী সাংবাদিক নিয়াজীকে এমন প্রশ্ন রাখলে নিয়াজীর ঔধ্যত্বপূর্ণভাবে জবাব ছিল "দিস ইজ দি প্রাইস অব দি ফ্রিডম" -এটাই মুক্তির মূল্য! সময়ই তাকে তার ঔধ্যত্বের জবাব দিয়েছে। নিয়াজীর এই দুর্দান্ত রূপ পুরো পাল্টে যায় যুদ্ধের শেষে। ১৬ই ডিসেম্বর আতঙ্কিত নিয়াজী গাড়িতে উঠছেন, বার বার পিছে তাকাচ্ছেন শংকা ভরে। তার দৃঢ়তা ততদিনে উবে হয়ে গেছে।

কিছু ভিডিওচিত্র সাক্ষ্য দিচ্ছে পাকিস্তান বাহিনীর নির্মমতাকে, মুক্তিবাহিনীর রূখে দাঁড়ানোও আছে এর মধ্যে। যুদ্ধের একেবারে শেষ দৃশ্যের দিকে এসে নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভুট্টোর আস্ফোলন ও কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে অর্থহীন রাগ দেখিয়ে ভেবেছিলেন এই করে কিছু ফয়দা অর্জন করবেন। এছাড়াও আছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের উপর একটি প্রতিবেদন।

রনাঙ্গন থেকে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের সাক্ষাতকারটি একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। সাক্ষাতকারের এক পর্যায়ে জিয়া বলেন-

“We captured the registration at Chittagong on 27th and I had to go up in the air because I found the Pakistanis were concentrating very heavily in Chittagong and they had started bringing in the 16th division. As a last resort I wanted to tell the world what was happening and I went up the air at the evening and I made the declaration…”

এ সাক্ষাতকারটি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষনা সম্পর্কে অনেক সন্দেহ দূর করবে। এখানে জিয়া নিজেই পরিস্কার ভাবে বলছেন ২৭শে মার্চ সন্ধ্যায় স্বাধীনতার ঘোষনা দেবার কথা।

সেদিন টোকিওর স্বাধীনতা দিবসের এক আলোচনায় সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম বল্লেন, তারা যখন ছোট ছিলেন তখন তাদের গ্রামের বাজারে একটা আস্ত মাছ কেনার কথা কেউ কল্পনাও করতনা। সব তখন "ভাগা" করে বিক্রি হতো। এখন "ভাগা" করে মাছ বিক্রির ঘটনা খুব কমই ঘটে। এখন মানুষ আস্ত মাছ কিনে নিয়ে যায়। অর্থাৎ মানুষের অর্থনৈতিক সামর্থ অনেকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে শুধু মাছ কেনার দিয়ে নয়, আজকে যারা প্রবাসে থাকেন তারা অনেকেই হয়ত উপলব্ধি করতে পারেন বাংলাদেশীদের প্রতি আর পাকিস্তানীদের প্রতি বিদেশিদের আচরন কিছুটা হলেও ভিন্ন। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশীদের পাকিস্তানীদের সাথে এক কাতারে ফেলা হয়না। অন্যান্য অর্জনের পাশাপাশি ৩৮ বছরে এই আত্মমর্যাদা অর্জনটিও কিন্তু একেবারে কম নয়।

[প্রথমপাতা]