[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ
 

 

 

কমিউনিটি ডেস্ক ।।
পশুজগতে হাতির একটি অসাধারন বৈশিষ্ট্য দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। হাতি তার চলাফেরাতে পায়ের ব্যবহার করছে ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ির মত।

এই "ফোর হুইল ড্রাইভ" এর অর্থ হলো হাতিরা তাদের প্রতিটি পা-ই আলাদা আলাদা ভাবে নাড়াতে সক্ষম ও তাতে একই রকম শক্তি প্রয়োগ করতে পারে।

পশুরাজ্যের অন্যসব প্রানীরা হলো "রিয়ার-লেগ-ড্রাইভ" অর্থাৎ কিনা পিছনের পা দিয়ে চলাফেরার কার্যটি করে থাকে। তাদের ক্ষেত্রে পেছনের পায়ের ব্যবহার হচ্ছে গতিবৃদ্ধি উদ্দেশ্যে আর সামনের পাগুলির দায়িত্ব হচ্ছে ব্রেক-কষা।

বিষয়টি নিয়ে রয়েল ভেটেরিনারি কলেজ লন্ডনের স্টাডি লিডার জন হাচিন্সন জানালেন, তারা জীবজগতের নড়াচড়া পর্যবেক্ষনের জন্য কিছু নতুন টেকনিক উদ্ভাবন করেছেন। যা সাধারন ভাবে আমরা এতদিন ধরে জীব জগতকে যে ভাবে দেখে এসেছিলাম তার চাইতে ভিন্ন।

তিনি বলেন "আমরা দেখতে পেয়েছি যে হাতির পা খুবই আশ্চর্য উপায়ে কাজ করে আর তা সম্ভবতঃ অন্য সব প্রানীদের চাইতে আলাদা। এমনকি আমরা আমাদের নিজেদের আগের ধারনাগুলোকেও পাল্টে ফেলতে বাধ্য হচ্ছি।"

ছ'টি এশিয়ান হাতির চলাফেরার উপর গবেষনা করতে গিয়ে গবেষকরা থ্রি-ডাইমেনশনাল মোশান-ক্যাপচার টেকনোলজি ব্যবহার করেন।

বল-সংবেদনশীল প্ল্যাটফরমের উপর দিয়ে হাতিগুলোর হেটে যাওয়া পর্যবেক্ষন করে প্রতিটি পায়ের ভিন্ন ভিন্ন গতি লক্ষ্য করা যায়।

বিজ্ঞানীরা দেখতে পান হাতির প্রতিটি পা গতি বৃদ্ধি ও থামানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তাদের পাগুলো কিছুটা "বাউন্সি" বা আঘাতে কিছুটা লাফিয়ে উঠছে, বিশেষ করে তারা যখন দ্রুত দৌড়ায় তখন। ফলে তাদের যান্ত্রিক দক্ষতা প্রত্যাশিত মাত্রার থেকে দু'তিনগুন কম হচ্ছে। এ কারনে তারা অন্যান্য প্রাণীদের চাইতে কম গতি সম্পন্ন।

"বিস্ময়কর হলো হাতিরা তাদের সামনের ও পেছনের পা গুলো একই ধরনের প্রচলক ও থামানোর কাজে ব্যবহার করছে, সেগুলোকে বিভিন্ন পায়ের মধ্যে বন্টন করছে না যা আগে ধারনা করা হতো।" ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স এর জার্নাল প্রসিডিংস এ বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেন।

"সে কারনেই হাতির পায়ের কার্যক্রম ফোর হুইল ড্রাইভের অনুরূপ।"


 

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]