[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠলো

 

(কমিউনিটি ডেস্ক): ফসিল হয়ে যাওয়া পায়ের ছাপ নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ফসিল বিজ্ঞানীদের মাথায় কি করে সাগর থেকে মাছ ডাঙায় উঠে এলো। এতদিন ধরে বিজ্ঞানীরা জানতেন চার হাত-পা বিশিষ্ট টেট্রাপড হচ্ছে সেই আদিম মাছ যারা ডাঙায় উঠে এসেছিল। আর তারাই হলো আমাদের ছিল পূর্বপুরুষ।

কিন্তু নতুন ফসিল এই চিন্তার মধ্যে নতুন আরেকটি প্রানীকে প্রবেশ করাচ্ছে। এলপিস্টোস্টেজিডস (elpistostegids) নামের আরেকটি প্রজাতির মাছ দেখে মনে হচ্ছে টেট্রাপড ও মাছের বিবর্তনের মাঝামাঝি কোন এক সময় এদের আবির্ভাব হয়ে ছিল। এর মাথা আর শরীরটি দেখতে টেট্রাপডের মতই কিন্তু এর হাত-পা'র বদলে ছিল মাছের পাখনা।

মাঝে হারিয়ে যাওয়া সূত্রগুলোকে যোগকরা প্রানীগুলোর মধ্যে টিকটালিক নামের সল্প পানির মাছ বিশেষভাবে গুরুত্ববহন করছে। এদের ফসিল হওয়া দেহ ২০০৬ সালে উত্তর মেরু হতে ১০০০ কিলোমিটার দুরে কানাডার এলেসমেরে আইল্যান্ডে পাওয়া যায়।

টিকটালিকরা বেঁচে ছিল আজ হতে প্রায় ৩৭ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে। কিন্তু এদের চাইতেও পুরোনো প্রায় ৩৮ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগের এলপিস্টোস্টেজিডসের সন্ধানও পাওয়া যায়।

কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষনায় সময়ের এই সব হিসেব আর এলপিস্টোস্টেজিডসের ভুমিকাকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বৃটিশ সাপ্তাহিক জার্নাল "নেচার" পত্রিকায় সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার আহ্লবার্গ সাম্প্রতিক তার এক পেপারে উল্লেখ করেছেন তারা কয়েক ডজন হাত-পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন, যেগুলোর বয়স অন্ততঃ ৩৯ কোটি ৫০ লক্ষ বছর হবে।

এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে এ পর্য্ন্ত প্রাপ্ত প্রাচীনতম টেট্রাপডের চাইতেও এই পায়ের ছাপগুলো কমপক্ষে ১ কোটি ৮০ লক্ষ বছরের পুরোনো আর এলপিস্টোস্টেজিডসের চাইতে এক কোটি বছরের বেশি পুরোনো।

সল্প পানির লেগুনে প্রাপ্ত কাদার ছাপ হতে বোঝা যাচ্ছে টেট্রাপডেরা ২৬ সেন্টিমিটার বা ১০.৩ ইঞ্চি চওড়া ছিল, ফলে তাদের দৈর্ঘ্য ছিল ২.৫ মিটার বা ৮.১ ফিট এর মত।

আদি টেট্রাপডের শরীর মাটিতে লাগত -এমন কোন প্রমান না পাওয়াতে ধারনা করা হয়, অল্প পানিতে ভেসে পানির নীদের মাটিতে পা দিয়ে তারা কাদামাটিতে চলত।

এই নয়া আবিস্কার টেট্রাপডের বয়স নির্ধারনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা গবেষনায় দেখা যাচ্ছে টেট্রাপডের বয়স আসলে আরো অনেক বেশী। তারা সাগর, নদী নালায় বা লেকের পানিতে থাকার বদলে অল্প পানির সাগরে থাকত, যেখানে প্রবালও মিলত প্রচুর। সল্প পানিতে থাকতে থাকতে তারা এক সময় ডাঙায় উঠতে শুরু করে।

তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো এলপিস্টোস্টেজিডস হলো হারিয়ে যাওয়া শাখার একটি অংশ, মুল সংযোগকারী নয় -ঠিক যেখান থেকে মানুষ সহ ডাঙার অন্যান্য প্রানীর উদ্ভব ঘটেছে।

গবেষনায় ফসিল রেকর্ড থেকে মাছ হতে টেট্রাপডে বিবর্তন প্রক্রিয়ার পূর্ণাঙ্গ রূপ, সময়, পরিবেশ ও জীববৈশিষ্টগত বিন্যাস পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে।

 

 

 

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]