[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে

 

 

কমিউনিটি ডেস্ক ।।

আইসল্যান্ডের আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্ল আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত বিশ্বব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দিয়েছে। কিন্তু এটাই হয়ত শেষ নয়, বৈজ্ঞানিকরা আশংকা করছেন এটা হয়ত শুরু!

বিজ্ঞানিদের আশংকা আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্ল-র উদগীরন আসলে আরো ভয়াবহ অগ্নুৎপাতেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে তা পাশেরই অন্য আরেক আগ্নেয়গিরি হতে। এটির নাম কাটলা আগ্নেয়গিরি। আর তাদের আশংকা বাস্তবায়িত হলে বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল হুমকির মুখে পতিত হবে।

কাটলার অগ্নুৎপাত আইসল্যান্ডের আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্লর অগ্নুৎপাতের ১০ গুন বেশি শক্তিশালী হতে পারে আর এর ছাই উঠে যেতে পারে আরো অনেক অনেক উঁচুতে। আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্লর ছাইয়ের কারনে ইউরোপিয়ান বিমানবন্দরগুলো পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। যা আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে।


আইসল্যান্ডের এই দুটি আগ্নেয়গিরি পাশাপাশি অবস্থিত। তাদের মধ্যে দুরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। ধারনা করা হয় এরা ভূ-অভ্যান্তরে ম্যাগমা চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত।

কাটলা অবশ্য এখন মিদালসহইয়ারকুহ্ল হিমবাহের ৫০০ মিটার পুরু বরফে আচ্ছাদিত। এই হিমবাহটি আইসল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ হিমবাহ। তার অর্থ হচ্ছে কাটলার উপর আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্লর এর দ্বিগুন পুরু বরফ রয়েছে যা আরো ভয়াবহ লম্বা সময় ধরে ইউরোপের বিমানকে মাটিতে বসিয়ে রাখতে পারে।

তবে সুখের বিষয় হলো কাটলা এখনো তেমন রাও করছেনা। কিন্তু এতেই সব আশংকা শেষ হচ্ছেনা।

আইসল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব আর্থ সায়েন্সের অধ্যাপক পল এইনারসনের মতে অনেক সময় একটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের প্রভাবে পাশের আগ্নেয়গিরিতে উদগীরন হতে পারে। আর কাটলা ও আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্ল অতীতে এক সংগে অগ্নুৎপাত ঘটিয়েছে এমন ইতিহাসও রয়েছে।

আরেকটি বিষয় হলো আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্লর বিগত তিনটি অগ্নুৎপাতের সময় কাটলাও অগ্নুৎপাত ঘটিয়েছে।

কাটলা প্রতি ৮০ বছর পরপর জেগে ওঠে। সে শেষবারের মত অগ্নুৎপাত ঘটিয়েছিল ১৯১৮ সালে -কাজেই কাটলার জেগে ওঠার সময় ইতিমধ্যেই পার হয়ে গেছে।

আইসল্যান্ড এখন আশংকা করছে কাটলা যদি জেগেই ওঠে তবে কাছাকাছি গ্রামগুলোকে অতিদ্রুত খালি করতে হবে কারন আকস্মিক ঢলে তোড়ে সেগুলো নিমেষেই উড়ে যাবে। এমনকি আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্লর অগ্নুৎপাতের সময় জলপ্রপাতের মত করে বরফ গলা পানি ও বরফের খন্ড সহ পাহাড়ি ঢল নেমে এসেছিল, মুহুর্তেই উড়ে গিয়েছিল ঘরবাড়ি। পোড়া কাঁচ ও গলিত মাটি সব ঢাকা পড়েছিল হিমবাহের নীচে।

কাটলাকে নিয়ে সবচাইতে বড় উদ্বেগের কারন হলো এর উপর থাকা আইস ক্যাপ বা বরফের টুপিটি। অগ্নুৎপাতের সময় বরফ গলা ও লাভা একসংগে মিশে বড় ধরনের বিস্ফোরন ঘটাতে পারে আর তার ছাইকে ছুঁড়ে মারতে পারতে আকাশের সুদূরে। আর জোর বাতাস তাকে গোটা ইউরোপময় ছড়িয়ে দিতে পারে।

কাটলাতে ইতিমধ্যেই হালকা ধরনের ভূকম্প অনুভূত হচ্ছে, যাকে বিজ্ঞানিরা ধরে নিচ্ছেন হিমবাহের বরফ গলার মুহুর্ত হিসেবে। তবে আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্লর উদগীরন বিজ্ঞানীদের হিসাব-নিকেশকে বেশ কঠিন করে দিচ্ছে। এখন এর ঠিক ঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করাটা বেশ মুশকিল ঠেকছে।

ভূতত্ত্ববিদ ক্রিস্টিন ভগফজর্ড বল্লেন "কাটলার ভেতরে আসলে কি হচ্ছে তা দেখা আমাদের জন্য আরো কঠিন হয়ে গেছে।"

তার টিম আগ্নেয়গিরির আশেপাশে সিসমোমিটার ও জিপিএস বসিয়ে ভূমিকম্প, ফুলে ওঠা পর্যবেক্ষনের জন্য বসিয়েছিলেন। এগুলো থেকে তারা ম্যগমা রিজার্ভারে তারা কত জোরে উর্ধ্বমুখি চাপ দিচ্ছে তা জানতে পারেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্লর আশেপাশের এলাকাগুলো ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ফুলে উঠেছে এবং তা কাটলার সর্বশেষ উদগীরনের পথেই অগ্রসর হচ্ছে।

ভগফজর্ড বলেন আইইয়াফিয়াহলাহইয়ারকুহ্লর উদগীরন পৃথিবীর অভ্যান্তরে চাপের পরিবর্তনের ফলে ম্যাগমা প্রবাহের পরিবর্তনজনিত কারনে হয়ে থাকতে পারে।

এর কোন সঠিক কোন জবাব নেই। এক্ষেত্রে ভবিষ্যদ্বাণী ফলে কমই। অগ্নুৎগিরন আর ভূমিকম্প একই রকমের -ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন।

কাটলা কালও ফুঁসে উঠতে পারে আবার তা হতে পারে ১০০ বছর পরও। আমরা সাকুল্যে যা করতে পারি তা হলো সবসময় প্রস্তুত থাকতে পারি।

 

 

>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি হবে?

>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান, আবহাওয়া, সূর্যাস্ত

>>বাংলা বছরের সূচনা

>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে বিবর্তন ধারার সন্ধান

>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]