গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
প্রাকৃতিক যে সব বিস্ময় মানুষকে যুগে যুগে মুগ্ধ করেছে গ্র্যান্ড
ক্যানিয়ন তারই একটি। ৪৪৬ কিলোমিটার লম্বা, ৬.৪ থেকে ২৯ কিলোমিটার পর্যন্ত
প্রসস্থ আর ১.৮৩ কিলোমিটার গভীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর ২০০ কোটি বছরের
ইতিহাসকে সামনে তুলে আনছে। ভূগর্ভস্থ টেকটনিক প্লেটের নানান ক্রিয়াকলাপের
সাক্ষী হয়ে রয়েছে এই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।
টেকটনিক প্লেটগুলো ভূঅভ্যান্তরের উত্তপ্ত ও গলিত ম্যাগমার উপরে ভাসমান
অবস্থায় বিদ্যমান। এগুলোর স্থান পরিবর্তনের ফলেই তৈরি হয়েছে মহাদেশ ও সাগর।
টুকরো টুকরো এই সব প্লেট গুলোর অবস্থান সর্বদাই পরিবর্তীত হচ্ছে।
ক্রটেশাস পিরিয়ডে ১৩০ মিলিয়ন বছর আগে ভূগর্ভস্থ দুটি টেকটনিক প্লেট -ওশিয়ানিক
প্লেটের সাথে নর্থ আমেরিকান প্লেটের পশ্চিমাংশের সংঘর্ষ ঘটে। ওশিয়ানিক
প্লেটের পুরুত্ব হলো ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার অন্য দিকে নর্থ আমেরিকান প্লেট
ছিল অপেক্ষাকৃত হালকা। নর্থ আমেরিকান প্লেট হালকা বলে ওশিয়ানিক প্লেটের উপর
উঠে যায় আর ওশিয়ানিক প্লেট নর্থ আমেরিকান প্লেটের তলায় ঢুকে যেতে শুরু করে।
ওশিয়ানিক প্লেটের এই চাপের ফলে হালকা আমেরিকান প্লেট সংকুচিত ও ঘনীভূত হতে
শুরু করে এবং এক সময় পশ্চিম আমেরিকার পুরোটাই উপরের দিকে ফুলে উঠতে শুরু করে।
মাটি উপরের দিকে ওঠার ফলে পানির নীচে থাকা সাগরের অংশ গুলো থেকে পানি সরে
যায় আর নানান সামুদ্রিক প্রানীগুলোরর দেহাবশেষ রয়ে যায় উপরে উঠে যাওয়া
মাটির উপর। এ ভাবেই উত্তরে তৈরি হয় পাহাড় আর দক্ষিনে প্রাচীন পর্বত মোগোলান
হাইল্যান্ডস আরো উঁচু হয়ে ওঠে সমুদ্র পৃষ্ঠথেকে ২১০০ মিটার পর্যন্ত।
এরপর ৭০ মিলিয়ন বছর আগে কলোরাডো নদী বরফ গলা পানি সহ মোগোলান হাইল্যান্ডস
এর উপর প্রবাহিত হতে শুরু করে। এর ফলে সেখানে শুরু হয় ভূমিক্ষয়। পুরোনো সেই
নদীর অস্তিত্ব এখনও বোঝা যায়। যদিও নদীতে এখন আর কোন পানির অস্তিত্ব নেই।
বর্তমান কলোরাডো নদী পূর্বের পাহাড়ী অঞ্চল হতে দক্ষিন-পশ্চিমে গলফ অব
ক্যালিফোর্নিয়া দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু পুরোনো কলোরাডো নদীর উপর
প্রাপ্ত পাথরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায় নদীটি দক্ষিনের সেন্ট্রাল
আরিজোনা হতে উত্তরে প্রবাহিত হয়েছে। অর্থাৎ পুরোনো কলোরাডো নদী উত্তর-পূর্ব
দিকে বহমান ছিল, যা ছিল বর্তমান কলোরাডো নদীর ঠিক উল্টো দিকে। কি করে এই
বিপরীত মুখী শ্রোতের উদ্ভব হলো?
এরপর আরো অনেক গবেষনায় দেখা গেল সুউচ্চ মোগোলান হাইল্যান্ড হঠাৎ প্রায় ৮০০০
মিটারের মত দেবে গেছে। ফলে তৈরি হলো এক বিশালকায় বেসিন। দক্ষিনাঞ্চল দেবে
যাওয়ায় উত্তরাঞ্চল উঁচু হয়ে গেল। ফলশ্রুতিতে উত্তর-পূর্বে ধাবমান কলোরাডোর
গতিপথ পাল্টে দক্ষিন পশ্চিম মুখী হয়ে গেল।
পুরোনো কলোরাডো নদী হতে বর্তমান কলোরাডো নদীর ব্যাবধান প্রায় ৬ কিলোমিটার।
এটা কেমন করে ঘটলো? বর্তমান কলোরাডো নদী অনেক খাড়া ভাবে নীচে নেমে এসেছে।
ফলে পুরোনো নদী তার গতি পথ পরিবর্তন করে ফেলেছে।
কলোরাডো নদী সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭০০ মিটার উঁচু, যা প্রতি ৮০০ মিটারে ৩
মিটার নেমে গেছে। এতটা খাড়া ভাবে নেমে আসাতে এখানে ভূমিক্ষয়ের পরিমান
অন্যান্য নদীর তুলনায় অনেক অনেক গুন বেশী। মিসিসিপি নদী কলোরাডোর দশগুন পানি
বহন করলেও তা প্রতি ৮০০ মিটার দুরত্বে মাত্র ৩ সেন্টিমিটারের মত নেমে গেছে,
এর ফলে মিসিসিপি নদীর দ্বারা গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মত গভীর গিরিখাতের জন্ম
হয়নি।
গ্রান্ড ক্যানিয়নে কলোরাডো নদীর এই নেমে আসার ধারাটি এখনও সম্পুর্নরূপেই
বিদ্যমান। এ ভাবেই যদি চলতে থাকলে আগামী ২০ লাখ বছরে গ্রান্ড ক্যানিয়নের
গভীরতা আরো অনেক গুন বৃদ্ধি পাবে। গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে হয়ে উঠবে আরো বেশি
গ্র্যান্ড আরো বেশি মহিমান্বিত।
>>নতুন ধরনের তেল খেকো অনুজীব আবিষ্কার
>>সুপার ভলকেনো
>>ম্যামথ বিলুপ্তিতে মানুষের হাত নেই
>>মেগা ফ্লাডঃ চ্যানেল্ড
স্ক্যাবল্যান্ডসের ভয়ঙ্কর বন্যা
>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড়
দুর্ঘটনা
>>রহস্য খুলছে বরফ মানব
>>আনবিক বোমা
>>বন্যপ্রাণী ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো
>>শেষ হলো প্লাস্টিকের বোতল
দিয়ে বানানো জাহাজের অভিযান
>>গাছ চিন্তা করে, মনেও রাখে
>>বৃহত্তম তারার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার
পেছনে
>>ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, 'সম্ভবত মুরগিই!’
>>সমুদ্রতলে মাছরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে
>>সবচাইতে
শীতল বাদামী বামনের সন্ধান লাভ
>>রাশিয়ান কার্গো শিপ ইন্টারন্যাশনাল
স্পেস স্টেশনে থামতে ব্যর্থ হল
>>ফ্রিক
ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর
পানিপ্রবাহ কমে যাবে
>>সিঙ্গাপুরে প্রত্যেকের জন্য ইলেকট্রনিক
মেইলবক্স
>>মিশরে ৩,৬০০ বছর আগের একটি শহরের সন্ধান
লাভ
>>আগুনের সঙ্গে বসবাস
>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা
>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য
>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়
>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত
মাংস
>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে
গেল
>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক
নক্ষত্র
>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী
>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব
আবিষ্কার
>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত
>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল
>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের
পূর্বপুরুষ
>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান
>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে
আর কতো দেরী?
>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান
>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন
>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা
বাড়ছে
>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি
হবে?
>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান,
আবহাওয়া, সূর্যাস্ত
>>বাংলা বছরের সূচনা
>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে
বিবর্তন ধারার সন্ধান
>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর
>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই
সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ
>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন
‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট
>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ
বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়
>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!
>>মায়া সভ্যতা
>>অ্যাকিলিস
>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও
>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর
>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা
>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি
>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা
>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ
>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন
>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি,
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন
>>তিমি কাহিনী
>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত
>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিনী
>>টর্নেডো
>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল
সর্বোচ্চ হুমকির মুখে
>>ভূপাল বিপর্যয়
>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল
>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!
>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ
>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া
>>কিং
কোবরা
>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক
>>রোমানিয়ায়
কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর
>>ঐতিহাসিক
নগরী কামাকুরা
>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি
>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ
>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুকু
[প্রথমপাতা] |