[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

 

 

কমিউনিটি ডেস্ক ||
প্রকৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী হ্যারিকেন, তাইফুন কিম্বা ট্রপিক্যাল স্টর্ম এর সংখ্যা কমে যেতে পারে। পাশাপাশি দুঃসংবাদ হচ্ছে ঝড় বাদলের সংখ্যা কমে গেলেও যেগুলো হবে সেগুলোর ভয়াবাহতা বেড়ে যেতে পারে অনেকগুন। গবেষকরা বলছেন, ঝড়ঝঞ্ঝা কমতেও পারে কিম্বা বর্তমান অবস্থাও বিরাজ করতে পারে কিন্তু বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে এদের তীব্রতা সর্বোচ্চ মাত্রাতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

যদিও কি পরিমানে ঝড়ের সংখ্যা কমতে পারে বা তীব্রতার মাত্র বাড়তে পারে তার স্পট হিসেব নেই কিন্তু বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রকৃতির স্বাভাবিক যে ভারসাম্য তাকে ছাপিয়ে যেতে পারে। এটা বিশেষ করে আটলান্টিক বেসিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

গবেষকরা "নেচার জিওসাইন্স" জার্নালে সম্প্রতি এই তথ্য প্রদান করেন।

গবেষকরা ২০০৬ সালে ট্রপিক্যাল সাইক্লন এন্ড ক্লাইমেট চেঞ্জের উপর করা একটি গবেষনার নতুন আপডেট সংযোজন করেন যা ওয়ার্ন্ড মেট্রোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের নির্দেশ ক্রমে এই টিমের গবেষকরা সম্পন্ন করেন। নতুন আপডেটে তারা ইনটারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)এর ক্লাইমেট সার্ভে ২০০৭ ও ২০০৮ এ মার্কিন ক্লাইমেট চেঞ্জ সায়েন্স প্রোগ্রাম এর করা "সিভিয়ার স্টর্ম আন্ড গ্লোবাল ওয়ার্মিং" এর উপর একটি মূল্যায়নও যোগ করেছেন।

প্রিন্সটন নিউ জার্সিতে অবস্থিত ন্যাশনাল ওশিয়ানিক এন্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনস জিওফিজিক্যাল ফ্লুইড ডাইনামিকস ল্যাবরেটরির একজন গবেষক টমাস ন্যিউটসন বলেন "নয়া বিন্যাসটি হলো একটি পরিবর্তীত রূপ যা অতীতকে দেখা এবং বিজ্ঞান এই সময়ের মধ্যে কতটুকু এগিয়েছে তার পর তাই পর্যবেক্ষন করা।" ন্যিউট হলেন গবেষনা পত্রের পর্যালোচকদের প্রধান। আগের গবেষনার সাথে নতুনটি অনেক ক্ষেত্রেই একই রকম ফলাফল দেখিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি ক্ষেত্রে ফলাফলে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পার্থক্য দেখা গেছে।

উদাহরন সরূপ, আইপিসিসির ২০০৭ এর চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে তারা বিশ্ব উষ্ণায়ন ট্রপিক্যান সাইক্লোন বৃদ্ধিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করার প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছে "না হবার চাইতে হবারই সম্ভাবনা"। কিন্তু গবেষক টিম এই কথা মানতে নারাজ। তারা বলছে বিশ্বব্যাপি ঝড়ের পরিসংখ্যান নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়েছে পাশাপাশি মেরু অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবর্তীতার প্রভাবের বিষয়টিও স্পষ্ট হয়নি।

মেরু অঞ্চলের রেকর্ড থেকে মনে হয় সাম্প্রতিক কালে সেখানে ঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট নয় যে এর কতটা প্রাকৃতিক ঘুর্ণায়নের প্রভাবে ঘটছে এবং কতটা বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে হচ্ছে।

যাইহোক গবেষক টিমটি বলছে সাম্প্রতিক গবেষনায় এটা স্পষ্ট হয়েছে যে ভবিষ্যতে ঝড়ের সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি "না হবার চাইতে হবারই সম্ভাবনা", অর্থাৎ ঝড়ের সংখ্যা কবে যাবারই সম্ভাবনা এবং একই সাথে ঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার বিষয়টি "না হবার চাইতে হবারই সম্ভাবনা" যার অর্থ ঝড়ের তীব্রতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে যাবারই সম্ভাবনা। যদিও কোন কোন অঞ্চলে এই প্রবণতা একই রকম নাও হতে পারে।

বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্য আরো উন্নত কম্পিউটার মডেলে প্রতিপাদন করে দেখা যায় ট্রপিক্যাল সাইক্লনের সর্বোচ্চ গতিবেগ এক শতাব্দীতে শতকরা ২ থেকে ১১ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। ঝড়ের কেন্দ্র থেকে ৬০ মাইল দুরত্ব পর্যন্ত বৃষ্টিপাত শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

এই গবেষনায় সী সারফেস টেম্পারেচার বা সমুদ্রের উপরিভাগের তাপমাত্রার উপর ব্যাপক নির্ভর করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন গবেষকরা।


 

 

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]