[প্রথমপাতা]

 

 

ইয়াইইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান

(কমিউনিটি ডেস্ক): ইয়াইইয়ামা (Yaeyama) হলো জাপানের সর্ব দক্ষিনের দ্বীপগুলোর একটি। ইয়াইইয়ামা, মিয়াকো ও ওকিনাওয়া এই তিনটি দ্বীপপুঞ্জ মিলে গঠিত হয়েছে ওকিনাওয়া প্রিফেকচার। ইয়াইইয়ামা মুলতঃ গ্রীষ্মমন্ডলীয় দ্বীপপুঞ্জ আর এর অবস্থান জাপানের মূল ভূখন্ড হতে অনেক দক্ষিনে। এর ফলে বছরের কোন সময়েই সাধারনত এখানকার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামেনা।  

উষ্ণমন্ডলীয় তাপমাত্রা, সাধারন গ্রাম্য ধারার জীবনযাত্রা ইয়াইইয়ামা জাপানের যান্ত্রিক শহুরে জীবন থেকে যেন একটু নিষ্কৃতি দিচ্ছে। একারনে ইয়াইইয়ামা পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়। এই পরম শান্তির রাজ্য আপনাকে দিচ্ছে সিবীচ, অগভীর সমুদ্রে সাঁতার কাটা, ডাইভিং সহ নিজেকে প্রশমিত করার মত সব কিছু।
 
ইয়াইইয়ামার সবচাইতে জনপ্রিয় হলো ইশিগাকি দ্বীপ। এ অঞ্চলের যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল। ইশিগাকি সিটি হলো দক্ষিনে জাপানের সর্বশেষ শহর। পাশাপাশি এঅঞ্চলের একমাত্র নগর। এখানে আছে প্রধান বিমানবন্দর, নৌটার্মিনাল এবং আছে হোটেল, দোকান, রেষ্টুরেন্ট ও বার।

ইশিগাকিতে চমৎকার কয়েকটি বীচ আছে যেখানে অগভীর সমুদ্রে সাঁতার কাটা যায়, কোরাল রীফে ডাইভিং এর ব্যাবস্থাও আছে। দ্বীপটির প্রায় সব বীচেই সাঁতার ডাইভিং এর এই সুবিধাগুলো আছে। যদি ডাইভিং এর চিন্তা করেন তবে আগেই মন্টা রে -এর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে নিন। এই দ্বীপের অন্যতম অকর্ষন হলো এই মন্টা রে। তারা দল বেধে থাকে বিভিন্ন স্থানে বিশেষত: কাবিরা বে এর কাছাকাছি। কাবিরা বে তে সাঁতার কাটার অনুমতি নেই। কিন্তু নৌকায় করে সচ্ছ পানির উপর দিয়ে চলতে পারবেন। দেখতে পাবেন সমুদ্রের নীচের রে সহ রং বেরংঙের মাছ। এ এক অপরূপ দৃশ্য।

ইশিগাকি ছাড়াও ইয়াইইয়ামাতে আরো কয়েকটি দ্বীপ আছে। এদের সবগুলোই খুব সুন্দর। অবকাশ যাপনের জন্য জাপানে এমন স্থান মেলা দুষ্কর। অন্যান্য দ্বীপগুলোর মধ্যে রয়েছে ইয়োনেহারা, শুকুজী, সানসেট ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে কাইয়োকে নদী ভ্রমনের ব্যাবস্থা, আছে তামাতোরীজাকি অবজারভেশন পয়েন্ট প্রভৃতি।

প্রবাসীদের অনেকেই প্রতিবেশী সাইপান এ ঘুরে আসেন সময় পেলেই, কিন্তু ঘরেই রয়েছে এমন চমৎকার জায়গা -যার কথা প্রবাসীরা অনেকেই জানেননা। ভ্রমনপিয়াসীদের জন্য ইয়াইইয়ামা নিঃসন্দেহে একটি খুবই আকর্ষনীয় স্থান হতে পারে।
 

[প্রথমপাতা]