[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

 

 

কমিউনিটি ডেস্ক ।।


এক সময়ে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ লেক আরল সাগর এখন শুকিয়ে প্রায় কাঠ হয়ে গেছে। এর আয়তম ছিল ৬৮ হাজার বর্গকিলোমিটার। ১৯৬০ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কর্মযজ্ঞে এই সাগর শুকোতে শুরু করে। এখন আর এর মাত্র ১০ ভাগ অবশিষ্ট আছে।

আরল সাগরের সর্বোচ্চ গভীরতা হচ্ছে ৪২ মিটার বা ১৩৮ ফিট। এটি বর্তমানে খুবই দুষিত অবস্থা ধারন করেছে যা এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম হ্রদটির বেশির ভাগ অংশই গাছ-গাছালি, লতাগুল্ম ও লবণাক্ত সমতলভূমি দিয়ে ভরাট হয়ে ক্রমেই মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। ১৯৬০ সালে সোভিয়েত পরিকল্পনাবিদরা এ হ্রদ থেকে পানি উত্তোলন করে উজবেকিস্তানে তুলা চাষের জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। আর এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এর ৯০ শতাংশ পানিই শুকিয়ে গেছে।

১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভিক্তির সময় আরল সাগরের বেশির ভাগ অংশই পড়ে উজবেকিস্তানের উত্তরাংশে এবং কিছুটা অংশ পড়েছে কাজাখস্তানে।

আরল সাগরের আশেপাশে যারা বসবাস করে তারা সে অঞ্চলের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী। তারা প্রতিনিয়ত বিশুদ্ধ পানি ও মাছের অভাবে ভুগছে। দূষণ এবং ধূলিঝড়ের সঙ্গে লড়াই করে কাটছে তাদের জীবন।

সম্প্রতি ঐ অঞ্চল সফর করা শুরু করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন। তিনি আরল সাগর শুকিয়ে যাওয়ার বিপর্যয়কর প্রভাব ঠেকাতে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বান কি মুন উজবেকিস্তানের নেতার সঙ্গে তার নির্ধারিত বৈঠকের কয়েক ঘন্টা আগে এ আহ্বান জানান।

"আমি খুবই মর্মাহত" বলেছেন বান কি-মুন। হেলিকাপ্টারে তিনি এলাকাটি পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন। তিনি একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম আখ্যা দেন।

বান বলেন, "আমি উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম কারিমভসহ (মধ্য এশিয়ার) সব নেতাদের একসঙ্গে আলোচনায় বসে এর একটি সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানাই।"

জাতিসংঘের বিশেষ সব সংস্থাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করাসহ বিশেষজ্ঞ দিয়ে সহায়তা করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

ধারনা করা হয় আরল সাগরের নীচে তেল ও গ্যাসের বেশ উল্লেখযোগ্য মজুদ রয়েছে। উজবেক সরকার তাই সেগুলো তোলার ব্যাপারে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করতে চান। কিন্তু সাগরটির পুনরুদ্ধারের বিষয়ে কারো তেমন মাথা ব্যথা নেই। অন্ততঃ যদি অবশিষ্ট ১০ ভাগও রক্ষা করা যায় তবুতো কিছুটা চলে। নয়ত একসময় সাহারা মরুভুমি সাগর ছিল, মাঝ সাহারায় পাওয়া গিয়েছে প্রাগৈতিহাসিক কুমির এসব ভেবে মানুষ যেমন রোমাঞ্চিত হয় তেমনি আমাদের সামনেই শুকিয়ে যাওয়া আরল মরুভুমিতে জাহাজ চলত কিম্বা মাছ সহ অন্যান্য প্রানীর দেহাবশেষ খুঁজে পেয়ে আমরাই কি আবার রোমাঞ্চিত হবো?

 


 

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]