শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা
কমিউনিটি
ডেস্ক ||
গিফূ ও তোইয়ামা প্রিফেকচারের বিস্তৃত পাহাড়ি উপত্যকার শোগাওয়া নদীর পাড়ে
শিরাকাওয়া-গো এবং তার পাশের গোকাইয়ামার অবস্থান। ১৯৯৫ সালে স্থানটিকে
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট বলে ঘোষনা করে। এখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী
গাশ্শো-যুকুরি ফার্ম হাউজ। এদের মধ্যে কোন কোনটির বয়্স ২৫০ বছরেরও বেশী হবে।
গাশ্শো-যুকুরির অর্থ হচ্ছে "প্রার্থনার হাতের মত করে তৈরি"। এখানকার বাড়ির
ছাদগুলো এমন ভাবে খাড়া হয়ে উঠেছে, বৌদ্ধসন্যাসীরা তাদের দুহাত একত্রে করে
প্রার্থনা করলে যেমনটা দেখা যায় ঠিক তেমন। এইসব বাড়ির ছাদ হয় খড়ের তৈরি।
বংশানুক্রমে এসব বাড়ির নির্মানকৌশল অনুসরন করা হয়েছে আর তা শীতকালে বিপুল
ওজনের তুষার দিব্যি সামাল দিতে সক্ষম। এ এলাকায় শীতকালে প্রচুর তুষারপাত ঘটে
থাকে। এসব বাড়ির ছাদে উঁচু ও ভারী হয়ে বরফ জমে থাকে। এসব বাড়ির বিশেষত্ব
হচ্ছে ছাদগুলোতে কোন তারকাঁটা জাতীয় কোন কিছু ব্যাবহার করা হয়নি।
বিশেষধরনের ছাদ রেশম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান করে দেয়।
ওগিমাচি হলো শিরাকাওয়া-গোর বৃহত্তম গ্রাম ও প্রধানতম আকর্ষন। তাকাইয়ামা থেকে
দিনব্যাপী একটি ট্রিপ দিতে পারেন বা তাকাইয়ামা এবং কানাজাওয়া বাসেও আসা যায়।
তবে সবচাইতে ভাল হলো যদি আপনি এসব ফার্মহাউজগুলোতে রাতও কাটাতে পারেন।
থাকার জন্য এসব ফার্মহাউজগুলো মিনশুকু নামে পরিচিত।
জাপানি স্টাইলে বিছানা ও প্রাতঃরাশের ব্যাবস্থা সহ মিনশুকু সাধারনত
পারিবারিকভাবে পরিচালনা করা হয়। এখানে থাকলে আপনি স্থানীয় পরিবারগুলোর সাথে
সাক্ষাত ও জাপানি লাইফস্টাইল কাছে থেকে দেখার সুযোগ পাবেন।
গোকাইয়ামার যোগাযোগ ব্যাবস্থা অপেক্ষাকৃত জটিল ও ওগিমাচিতে বাস পরিবর্তন
করার দরকার হয়। শিরাকাওয়া-গোর চাইতে অনুন্নত ও কম জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ
অঞ্চলের গ্রামগুলো ছোট। গোকাইয়ামার সবচাইতে সুন্দর গ্রাম হলো সুগানুমা এবং
আইনোকুরা।
সুগানুমা হলো গোকাইয়ামার অন্যতম আকর্ষন। যার দুটি অংশ রয়েছে। একটি সুগানুমা
গ্রাম ও অপরটি গোকাইয়ামা গাশ্শো নো সাতো। পায়ে হেঁটে দুটি স্থান দেখা সম্ভব
এবং একটি অপরটির সাথে সুরঙ্গ পথে যুক্ত। যা পাহাড়ের উপরে এখানকার পার্কিং
এর সাথেও সংযুক্ত। এখান থেকে এলিভেটর দিয়ে পুরো গ্রামটিকে দেখে নেয়া যায়।
সুগানুমা গ্রাম ও নয়টি গাশ্শো-যুকুরি ফার্মহাউজকে ইউনেস্কো ১৯৯৫ আইনোকুরা ও
ওগিমাচির সাথে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট বলে ঘোষনা করে।
আকিনোকুরা হলো গোকাইয়ামার সবচাইতে দুর্গম গ্রাম। এখানে সবচাইতে বেশি সংখ্যক
২০টি গাশ্শো-যুকুরি ফার্মহাউজ রয়েছে। এর অনেকগুলোই সাধারন বসবাসের উদ্দেশ্যে
ব্যাবহৃত হয়।
>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ
>>সুপার ভলকেনো
>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন
>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি,
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন
>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার
পেছন
>>তিমি কাহিনী
>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত
>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিনী
>>টর্নেডো
>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল
সর্বোচ্চ হুমকির মুখে
>>ভূপাল বিপর্যয়
>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল
>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!
>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ
>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের
সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা
>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া
>>কিং
কোবরা
>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক
>>রোমানিয়ায়
কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর
>>ঐতিহাসিক
নগরী কামাকুরা
>>গ্র্যান্ড
ক্যানিয়নের রহস্য
>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস
>>ফ্রিক
ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি
>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ
>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুকু
[প্রথমপাতা] |