২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর
পানিপ্রবাহ কমে যাবে
কমিউনিটি
রিপোর্ট ।।
নদী৷ যে নদীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক অনেক দিনের৷ নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে
উঠেছে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের জনপথ, শহর ও সভ্যতা৷ নদী বিভিন্নভাবে বাঁচিয়ে
রেখেছে আমাদের৷ কিন্তু আজ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে নদীগুলোর উপর৷
বৃদ্ধা সমিরণ বেওয়া যখন শিশু ছিলেন, তখন তিনি দেখতেন তাঁর বাড়ির পাশের নদীতে
পাল তুলে বয়ে যাচ্ছে নৌকা৷ বাহারি সব নৌকায় নানা ধরণের মালামাল৷ শুভ্র ধুতি
পরে, পান চিবুতে চিবুতে সওদাগর দেখছে নদী তীরের মানুষ আর প্রকৃতিকে৷ গুন বয়ে
যাচ্ছে মাল্লারা৷ মাঝির গলায় গান৷
কিন্তু এই অবস্থা এখন আর নেই৷ সে আপনি বাংলাদেশ বলুন আর ভারত কিংবা
ভিয়েতমাম বা ফিলিপিন্স...৷ সবখানে এই নদী হারাচ্ছে তার যৌবন৷ মরে যাচ্ছে
নানা ভাবে৷ আর এ জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ি করা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনকে৷
১৮৯১ থেকে ১৯৯০ সাল৷ একশ বছর৷ এই শত বছরে বাংলাদেশে ছোট বড় প্রায় ৭শ'
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, যার প্রায় প্রতিটিই সমুদ্র উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে
আঘাত হানে৷ এই ঝড়-জলোচ্ছাসের কারণে এখন ঐ জেলার নদীগুলোতে লবনাক্ত পানি
প্রবেশ করেছে৷ তা আর নামতে পারছে না৷ এ অবস্থা যে কেবল পটুয়াখালীর, তাই নয়৷
উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় সব নদীরই একই অবস্থা৷ বলা হচ্ছে, জলবায়ু
পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি হতে থাকায় লবনাক্ত পানি নেমে
যেতে পারছে না সমুদ্রে৷ এই নোনাজল সরাসরি প্রভাব ফেলছে কৃষি ব্যবস্থায়৷
পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যকলাপ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যেই
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা, রাজবাড়ি-ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর, হবিগঞ্জের বিবিয়ানা ও
শাখা বরাক, শরীয়তপুরের পালঅং, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বুড়িনদী, যশোরের
হরিহর ও মুক্তেশ্বরী, খুলনার হামকুড়া, সাতক্ষীরার মরিচাপ, লক্ষ্মীপুর ও
নোয়াখালীর বামনী, বগুড়ার মানস, নাটোর-পাবনার বড়াল ও চিকনি, কুষ্টিয়া,
মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, বাগেরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া
ভৈরব নদী মরে গেছে৷ আরও অনেক নদী ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে একই গন্তব্যে৷
কিন্তু এই পরিস্থিতি কি কেবল বাংলাদেশে? উত্তর ‘না'৷ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের
বিশেষজ্ঞ নেপচুন শ্রীমাল জানাচ্ছেন, সেখানেও একই অবস্থা৷ সমুদ্রপৃষ্ঠের
উচ্চতা বৃদ্ধির বর্তমান হার অপরিবর্তিত থাকলে কলকাতায় এই শতাব্দীর শেষে ৮৩২
মিলিমিটার, ডায়মন্ড হারবারে ৫৮৩ মিলিমিটার ও হলদিয়ায় ৩৩২ মিলিমিটার বৃদ্ধি
পাবে৷ অন্যদিকে, সাগরদ্বীপে সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় জমির উচ্চতা ৪০৫
মিলিমিটার বৃদ্ধি পাবে৷ এর কারণ এই নয় যে সেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে
না, সাগরদ্বীপে জমির উচ্চতা বাড়ার কারণ সেখানে অপেক্ষাকৃত উচ্চ হারে পলি
পড়বে৷ কিন্তু মোটামুটি উপকূলবর্তী পশ্চিমবঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি
পাবে যার ফলে সেই উপকূল নানান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস এর একদল পানি বিজ্ঞানী এশিয়ার নদীগুলো নিয়ে করা এক
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন৷ যে গবেষণায় স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, ২০৫০
সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাবে৷ পানিতে ঢুকে পড়বে লবন৷
সেচের পানির সংকট থাকায় বাড়বে খাদ্য সংকট৷ ডয়েচে ভেলে।
>>সিঙ্গাপুরে প্রত্যেকের জন্য ইলেকট্রনিক
মেইলবক্স
>>মিশরে ৩,৬০০ বছর আগের একটি শহরের সন্ধান
লাভ
>>আগুনের সঙ্গে বসবাস
>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা
>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য
>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়
>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত
মাংস
>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে
গেল
>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক
নক্ষত্র
>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী
>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব
আবিষ্কার
>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত
>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল
>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের
পূর্বপুরুষ
>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান
>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে
আর কতো দেরী?
>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান
>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন
>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা
বাড়ছে
>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি
হবে?
>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান,
আবহাওয়া, সূর্যাস্ত
>>বাংলা বছরের সূচনা
>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে
বিবর্তন ধারার সন্ধান
>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর
>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই
সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ
>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন
‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট
>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ
বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়
>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!
>>মায়া সভ্যতা
>>অ্যাকিলিস
>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও
>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর
>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা
>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি
>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা
>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ
>>সুপার ভলকেনো
>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন
>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি,
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন
>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার
পেছন
>>তিমি কাহিনী
>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত
>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিনী
>>টর্নেডো
>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল
সর্বোচ্চ হুমকির মুখে
>>ভূপাল বিপর্যয়
>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল
>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!
>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ
>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের
সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা
>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া
>>কিং
কোবরা
>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক
>>রোমানিয়ায়
কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর
>>ঐতিহাসিক
নগরী কামাকুরা
>>গ্র্যান্ড
ক্যানিয়নের রহস্য
>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস
>>ফ্রিক
ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি
>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ
>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুকু
[প্রথমপাতা] |