[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

 

 

কমিউনিটি ডেস্ক ||

সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে চলায় সম্ভাব্য বিপদের কথা আমরা শুনেছি৷ সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী এক গবেষণায় জানিয়েছেন সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে এক পর্যায়ে অ্যান্টার্কটিকা অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুর বরফ খন্ডে ধ্বস নামতে পারে৷

তীব্র শীতল আবহাওয়ার কারণে পৃথিবীর একেবারে উত্তর ও দক্ষিণে অবস্থিত দুই মেরুর পুরোটাই বরফে আচ্ছাদিত৷ প্রায় সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন বর্গমাইল আয়তনের দক্ষিণ মেরুর আকার এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার পরেই৷ হাজার হাজার বছর ধরে এই অ্যান্টার্কটিকায় বরফের পাহাড় জমে আছে৷ এই বরফের পুরুত্ব কোন কোন জায়গায় কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত৷ পানির ওপর ভেসে থাকা বরফের পাহাড়ের কারণেই অন্য যে কোন মহাদেশের তুলনায় দক্ষিণ মেরুর গড় উচ্চতা বেশি৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এসব বরফ খন্ডও গলতে শুরু করেছে৷ ফলে বেড়ে যাচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা৷ কিন্তু তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে যদি সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যায়৷

নামকরা বিজ্ঞান জার্নাল নেচার এ প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা যদি আর মাত্র ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়ে তাহলে বিশাল এই দক্ষিণ মেরুতে ধ্বস শুরু হতে পারে৷ অর্থাৎ পানির উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সেখানে যেসব বরফের পাহাড় রয়েছে সেগুলো গলে যেতে শুরু করবে এবং এক পর্যায়ে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বিশাল অংশ পানিতে তলিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এর গবেষক রবার্ট ডিকন্টো এবং পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক ডেভিড পোলার্ড সম্প্রতি তাদের এক গবেষণা থেকে এ বিষয়টি জানতে পেরেছেন৷ তারা আরো জানিয়েছেন যে এমনটি যদি ঘটে তাহলে সারা বিশ্বের সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে পাঁচ মিটার অর্থাৎ প্রায় ১৬ ফুট৷ আর তাহলে সাগরে হারিয়ে যাবে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে কম উচ্চতা সম্পন্ন বহু দেশ৷ বিশেষ করে মহাদেশীয় এলাকাতে অবস্থিত ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না৷ তবে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে কয়েক শতাব্দী লেগে যাবে এমনটি মন্তব্য করেছেন ব্রাসেলসের ফ্রাইয়ে ইউনিভার্সিটির গবেষক ফিলিপ হুইব্রেখটস৷

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্যানেল এক হিসাবে জানিয়েছে যে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৮ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে৷ তবে দেশগুলো যদি এখনই কার্বন নির্গমন না কমায় তাহলে এ তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার আরো বেশি হবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ৷ সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে।

 


 

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]