[প্রথমপাতা]

 

 

 

অতিক্ষুদ্র সামুদ্রিক প্রাণীরা ইঙ্গিত দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের

পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে এখনও এত বরফ আছে যে, সেগুলো গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা সাড়ে ৩ থেকে ৫ মিটার বেড়ে যাবে (ফাইল ফটো)

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পুরো বিশ্ব প্রকৃতিতে ঘটে চলেছে পরিবর্তন৷ কিন্তু জলবায়ুর এই পরিবর্তন কি আজ হঠাৎ করে? নাকি হাজার হাজার বছর আগেও এমনটাই ঘটেছিলো? এখন এ নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।

রহস্যে ঘেরা এই বিশ্ব৷ বিচিত্র এর প্রকৃতি৷ আর এই বিচিত্রতা নিয়ে প্রতিনিয়তই চলছে গবেষণা৷ সম্প্রতি পশ্চিম অ্যান্টার্টিকের বিশাল বরফ খন্ডের দু'পাশে সাগরের বুকে বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্রাকৃতির বিশেষ ধরণের প্রাণী খুঁজে পেয়েছেন৷

বিজ্ঞানীরা বলতে চাইছেন, এরাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, অতীতে কোনো একসময় অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রের মাঝখানে বিশাল বরফখন্ডগুলো গলে গিয়েছিলো৷ আর তখন এই প্রাণীরা এক দিক থেকে সাঁতরিয়ে আরেক দিকে চলে এসেছে৷ এখন পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকের বরফ পাহাড়ের দু'পাশে রোজ ও উইড্ডেল সাগরবক্ষে ফের দেখা যাচ্ছে এদেরকে৷

সম্প্রতি ‘গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি' পত্রিকায় দ্য অ্যান্টার্কটিক গবেষণায় বলা হয়েছে, সামুদ্রিক এই প্রাণীগুলোকে এক ধরণের শৈবাল বলা যেতে পারে৷ খালি চোখে এদেরকে দেখা যায় না৷ কিন্তু একসঙ্গে গুচ্ছাকারে থাকলে এদেরকে প্রবাল কিংবা আগাছার মতো দেখায়৷

পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে এখনও এত বরফ আছে যে, সেগুলো গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা সাড়ে ৩ থেকে ৫ মিটার বেড়ে যাবে৷ কোনো কোনো বিজ্ঞানী ধারণা করছেন, লাখ লাখ বছর আগে বিশ্ব উষ্ণায়নের সময় এই বরফগুলো গলে গিয়েছিলো৷

পশ্চিম অ্যান্টার্টিকের দুই কিলোমিটার পুরু বরফ খন্ডের দু'পাশে ২৪শ' কিলোমিটার ব্যবধানে একই ধরণের এই প্রাণী খুঁজে পেয়ে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের প্রধান লেখক ডেভিড বার্নস বলছিলেন, ‘‘এই ঘটনাটা বড় ধরণের একটা প্রাকৃতিক বিস্ময়৷''

বার্তাসংস্থা রয়টার্স'কে বার্নস আরও বলেছেন, ‘‘প্রাণীগুলোর এই ধরণের সাদৃশ্যের সম্ভবত ব্যাখ্যা এমন হতে পারে, আগে যেভাবে চিন্তা করা হতো তার চেয়ে এই বরফ খন্ড অপেক্ষাকৃত কম দৃঢ় এবং আগে কোনো এক সময় এর কিছু অংশ হয়তো বা গলে গিয়ে থাকতে পারে৷''

তিনি বলছেন, ‘‘সম্প্রতি পশ্চিম অ্যান্টার্টিকের বরফপাহাড় যদি গলতে থাকে, তাহলে আমাদের পুনরায় চিন্তা করা উচিত৷ কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে আবারও এরকমটাই ঘটতে পারে৷''

সংক্ষেপে এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল এরকম - সোয়া লক্ষ বছর আগে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এখনকার চেয়ে প্রায় ৫ মিটার বেশি ছিলো এবং তাপমাত্রা সম্ভবত বতর্মান সময়ের চেয়ে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিলো৷ আর লাখ লাখ বছর আগে বিশ্ব উষ্ণায়নের ঘটনা হয়তো বা বেশ কয়েকবার ঘটেছিলো৷

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেলের বিজ্ঞানীরা ২০০৭ সালে একটি প্রতিবেদনে বলেছিলেন, গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন ও জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে ২১০০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ১ থেকে ৬ দশমিক ৪ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে৷

দ্য অ্যান্টার্কটিক গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্ষুদ্রাকৃতির এই প্রাণী বলতে গেলে অনড় অবস্থায় থাকে এবং ছত্রভঙ্গ হলে এদের শুককীটগুলো স্বল্প সময়ে বাঁচে এবং খুব দ্রুত ডুবে যায়৷

বার্নস বলছেন, এটা স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করা খুব কঠিন যে বিশাল বরফের খন্ডের দু'পাশে কী করে একই ধরণের প্রাণী থাকতে পারে! কিন্তু এই বরফপাহাড় হয়তো কখনও গলে গিয়েছিলো৷ আর তখনই এপাশ থেকে ওপাশে যাবার পথ তৈরি হয়েছিলো এবং এর শুককীটগুলি স্রোতে ভাসতে ভাসতে এপাশ থেকে ওপাশে চলে গিয়েছিলো৷

বার্নস-এর এই মন্তব্য এবং গবেষণা থেকে পাওয়া ফলাফল তাই একধরণের সতর্কতাতো বটেই৷ সতর্ক হতে হবে এখনই৷ আমাদের প্রিয় পরিবেশকে বাঁচাতে, আমাদের আশ্রয়দাত্রী পৃথিবীকে বাঁচাতে এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এই জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কালক্ষেপণের অবকাশ আর আমাদের হাতে একেবারেই নেই৷
 

 

>>জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুরু, বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>নতুন ধরনের তেল খেকো অনুজীব আবিষ্কার

>>সুপার ভলকেনো

>>ম্যামথ বিলুপ্তিতে মানুষের হাত নেই

>>মেগা ফ্লাডঃ চ্যানেল্ড স্ক্যাবল্যান্ডসের ভয়ঙ্কর বন্যা

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>রহস্য খুলছে বরফ মানব

>>আনবিক বোমা

>>বন্যপ্রাণী ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো

>>শেষ হলো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানানো জাহাজের অভিযান

>>গাছ চিন্তা করে, মনেও রাখে

>>বৃহত্তম তারার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছনে

>>ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, 'সম্ভবত মুরগিই!’

>>সমুদ্রতলে মাছরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে

>>সবচাইতে শীতল বাদামী বামনের সন্ধান লাভ

>>রাশিয়ান কার্গো শিপ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে থামতে ব্যর্থ হল

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ

>>২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাবে

>>সিঙ্গাপুরে প্রত্যেকের জন্য ইলেকট্রনিক মেইলবক্স

>>মিশরে ৩,৬০০ বছর আগের একটি শহরের সন্ধান লাভ 

>>আগুনের সঙ্গে বসবাস

>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা

>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য 

>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়

>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত মাংস

>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে গেল

>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক নক্ষত্র

>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী

>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব আবিষ্কার

>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত

>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল

>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ

>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান

>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে আর কতো দেরী?

>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান

>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন

>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে

>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি হবে?

>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান, আবহাওয়া, সূর্যাস্ত

>>বাংলা বছরের সূচনা

>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে বিবর্তন ধারার সন্ধান

>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

 

[প্রথমপাতা]