[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

স্বপ্নের বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারের এখনই সময়

 

 

প্রফেসর আবদুল মান্নান

নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শাহবাগ চত্বরে সতেরদিন আঠার রাত অবস্থান করার পর সাময়িক বিরতি দিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ঘরে ফিরে গিয়েছিল । ঘরে ফিরে গেলেও ঘোষণা করেছিল ভিন্ন আঙ্গিকে তাদের এই আন্দোলন চলবে । শুক্রবার বিকেলে তারা আবার তাদের পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে হয়েছে কারণ তাদের কয়েক ঘন্টার অনুপস্থিতিতে একাত্তরের প্রেত্মাত্বারা আবার তাদের মাতৃভূমি আক্রমণ করেছে । এই প্রেত্মাত্বাদের নাম জামায়াত শিবির যারা একাত্তর সালে এই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল এবং বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া বহাল তবিয়তে তাদের পূনর্বাসন করে গিয়েছিলেন । জামায়াত শিবির আবার নানা নামে আর নানা চেহারায় এদেশে অবস্থান করে । আজ শুক্রবার বাদজুমা তারা বারটি সমমনা ইসলামি দলের নামে সারা দেশে রাস্তায় নেমে এক ভয়াবহ তা-ব চালিয়েছে, নির্বিচারে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা করেছে, পুলিশের উদ্দেশ্যে গুলি বোমা ছুড়েছে, মসজিদে নামাজের গালিচায় অগ্নিসংযোগ করেছে, আমাদের জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে, শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে এবং বিভিন্ন জায়গায় গণজাগরণ মঞ্চে আগুন দিয়েছে আর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে জোর পূর্বক ঢুকে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে । ঠিক এমন সব কাজ একাত্তরে তাদের প্রভু পাকিস্তান সেনা বাহিনী করতো । এই সবই তারা করেছে কয়েকটি ইন্টারনেট ব্লগে ইসলাম ও হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর নামে কুৎসা রটনা করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে যা ছিল সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত । সে প্রসঙ্গে পরে আসছি । তাদের এই সব ন্যাক্কারজনক কাজে উৎসাহভরে সহায়তা যুগিয়েছে জামায়াত-বিএনপি দলীয় তিনটি সংবাদ পত্র ও একটি টিভি চ্যানেল যার প্রধান শরিক একাত্তর সালে চট্টগ্রামে ইসলামি ছাত্র সংঘের প্রধান ঘাতকের ভূমিকা পালনকারী মীর কাসেম আলী । তিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে তার অপকর্মের জন্য বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন ।
শুক্রবার যারা দেশব্যাপি ভয়াবহ তা-ব চালাল তারা নিজেদের এই বলে পরিচয় দিয়েছে তারা সমমনা বারটি ইসলামী দল । তারা যদি সমমনাই হবেন তা হলে তাদের বার ভাগে ভাগ হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? যাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মানুষ হিসেবে মুসলিম দুনিয়া জানে সেই মহাপুরুষ হযরত মুহাম্মদ (দঃ) জমানায়তো ইসলাম এতভাগে বিভক্ত ছিলনা । মহানবীর ওফাতের পর পবিত্র ধর্ম ইসলামে এই বিভক্তি গুলির অনেকগুলিই এসেছে শ্রেফ ক্ষুদ্র ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে নয় । এর ফলে যে ইসলাম পবিত্র ভূমি মক্কায় প্রবর্তিত হয়েছিল শান্তির বাণী নিয়ে সেই ইসলাম এখন কিছু সংখ্যক ফেৎনা সৃষ্টিকারি আর ফেরেববাজদের হাতে পরে সারা বিশ্বে একটি জঙ্গিবাদী ধর্ম হিসেবে পরিচিত হয়েছে । পাকিস্তান, যেই দেশটি ইসলামকে পুঁজি করে সৃষ্টি হয়েছিল এখন সেখানে সব চাইতে বেশী মানুষ খুন হয় আল্লাহ্র ঘর পবিত্র মসজিদে যখন মানুষ নামাজরত অবস্থায় থাকে । এই খুনগুলি কোন ইহুদী নাসারা করেনা, করে আর একদল মানুষ নামে পশু যারা নিজেদের মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেয় । এটি কোন ধরণের ইসলাম? এই তথাকথিত সমমনা দলগুলি কয়েকটি বিষয়ে একমত পোষণ করে । তারা অন্তর হতে বাংলাদেশকে স্বীকার করেনা । তারা অনেকেই আইয়ামে জাহলিয়াত যুগের মতবাদ প্রচার করে, জগতের যা কিছু সুন্দর তা তারা ধ্বংস করতে চায়, তারা সকলে ইসলামে বাতিল মতবাদে বিশ্বাস ও প্রচার করে, তারা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য পবিত্র ধর্ম ইসলামকে রাজনীতিতে ব্যবহার করে এবং মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে, এবং সুযোগ পেলে অন্যের গলা কাটতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করেনা । এরা ইসলামের মনগড়া ব্যাখ্যা হাজির করে শ্রেফ নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য । বাংলাদেশে এদের অনেকেরই মুরব্বি সংগঠন একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াতে ইসলামী, উপমহাদেশে যার প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদী । তার গুরু আবার মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্না । গত শতকের ত্রিশের দশকে বান্না ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং শান্তির ধর্ম ইসলামকে একটি জঙ্গিবাদী ধর্ম হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে তুলে ছিলেন । তিনিই হলেন ইসলামে জঙ্গিবাদ প্রবর্তনের জনক এবং তার প্রথম কাতারের সাগরেদ ছিলেন মওদুদী, যিনি আবার পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন । মওদুদী তার অনেক লেখনিতে ইসলামের মহানবী সহ তার পূর্ববর্তী অনেক নবী. পয়গম্বর ও সাহাবা সম্পর্কে এমন সব আপত্তিজনক উক্তি করেছেন (নাউযুবিল্লাহ) যা সরাসরি ধর্মদ্রোহীর পর্যায়ে পরে । সেই মওদুদী ১৯৪১ সনে ইসলাম নয় ইংরেজদের খেদমত করার জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার একটি সংষ্করণ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, যে দলটি একাত্তরে সরাসরি ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছিল । এই মউদুদী ১৯৫৩ সনে পাকিস্তানে কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা সৃষ্টি করে কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ হত্যা করেছিলেন । বিচারে তার মৃত্যুদ- হয়েছিল । পরে সৌদি বাদশাহ্র চাপে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ-ে দন্ডিত করা হয় । বাংলাদেশে জামায়াতের প্রায় সব শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এখন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জেলে এবং বিচারের মুখোমুখি এবং তাদের অস্তিত্ব হুমকীর সম্মূখীন । এই কারণেই তারা তাদের তথাকথিত আন্দোলনসমূহ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অন্যদের ঠিকা বা আউটসোর্স করে দিয়েছে বলা যায় । শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন ধারণাটি জামায়াত বা তাদের মিত্রদের অভিধানে নেই । যুক্তিতর্ক তাদের কাছে অপরিচিত শব্দ । সব কিছুই জোর পূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার মন্ত্র তাদের আদর্শ । শাহবাগ চত্বরে নতুন প্রজন্মের যোদ্ধারা দীর্ঘ সতের দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালালো আর জামাতের দোসররা রাস্তায় নেমেই দেশ ব্যাপি তা-বে লিপ্ত ।
শাহবাগ চত্বরে নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা গত ৫ ফেব্রুয়ারি যে গণ অবস্থান শুরু করেছিল তা কোন সরকার পতন আন্দোলন ছিলনা বা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মসূচীও ছিলনা । এই গণ অবস্থান কর্মসূচীটি শুরু হয়েছিল একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে । এটি একটি নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ছিল এবং তা দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন এমন সকল মানুষকে এক কাতারে সামিল করতে পেরেছিল । শুরুতে এটি ছিল ব্লগারদের আহ্বানে সৃষ্টি একটি সমাবেশ যা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের লাখো মানুষের সমাবেশে পরিণত হয়েছে । দাবি একটাই । একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসি চাই । এর মধ্যে খুন হলো ব্লগার রাজীব । ধারণা করা হয় এই খুনের পিছনে জামায়াত শিবিরের হাত আছে । ঘাতকরা মনে করেছিল এক রাজীবকে খুন করলে বাকিরা ভয় পেয়ে যাবে । ফল হলো উল্টো । এক রাজীবের মৃত্যু সৃষ্টি করলো লক্ষ রাজীব । তারপর যে কাজটি তার ঘাতকরা করলো তা শ্রেফ জালিয়তি । তারা রাজীবের নামে ইন্টারনেটে ব্লগ তৈরী করে হযরত মুহাম্মদ (দঃ) ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য ছেড়ে দিল । এই কাজটি যার সামান্যতম তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান আছে সেই করতে পারে । আমি প্রতিদিন জামায়াত সহ বিরোধী দলীয় নেতা নেত্রীদের সম্পর্কে এমন সব কুৎসিত ছবি, ভিডিও আর মন্তব্য পাই তা কারো সাথে শেয়ার করতে রূচিতে বাঁধে । কিছুদিন আগে জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী সম্পর্কে এমন একটি অডিও পোষ্ট আসে যা একান্তভাবে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য । এর সত্যতা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে । এখন সেই পোষ্ট যদি আমি আর দশজনের সাথে শেয়ার করি তা হলে কী হতে পারে সে সম্পর্কে আমি ধারণাও করতে পারিনা । এমন একটি ভুয়া ভিডিও নিয়ে গতবছর কক্সবাজারের রামুতে একদল উন্মাদ বৌদ্ধ পল্লীতে নজিরবিহীর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল । শুক্রবার দেশব্যাপী যে তান্ডব চলল তা একই ধরণের ভুয়া ব্লগ পোষ্ট নিয়ে যেটি বুঝার ক্ষমতা অনেক তা-ব সৃষ্টিকারী মূর্খদের নেই । রাজীবতো দূরে থাক বাংলাদেশে আমার মনে হয়না এমন কোন নাস্তিকও আছে যে প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম বা তার নবীকে নিয়ে কোন ধরণের কটূক্তি করতে পারে । এমনটি করলে আমি প্রথমে রাস্তায় নামবো । আমিতো আল্লাহর ঘর কাবা শরীফ দেখেছি আর হযরত মুহাম্মদেও (দঃ) রওজা জেয়ারত করেছি । রাজীবের পরিবার পরিস্কার ভাষায় বলেছে রাজীব কোন নাস্তিক ছিলনা । সে জামায়াত শিবিরের ধর্ম ব্যবসায়ীদের রাজনীতি ঘৃনা করতো যা বাংলাদেশের পঁচানব্বই ভাগ মানুষ করে । এদেশের মানুষ সাংঘাতিকভাবে ধর্মভীরু কিন্ত ধর্মান্ধ নয় । পূর্ব-ভারতেই এই অঞ্চলে অষ্টম শতকে আরব বণিকদের হাত ধরে ইসলাম ধর্ম প্রবেশ করেছিল । তারপর এখানে অনেক সূফী সাধক ধর্ম প্রচার করতে এসেছেন এবং দেশকে ভালবেসে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন । এখনো ইসলাম তরবারির আগায় করে আসেনি যা জামায়াত শিবির প্রচার করতে চায় । এই দেশের মানুষ সূফী সাধকদের প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম পালন করতে চায় মওদুদী ব্রান্ডের ইসলাম নয় । যেসব প্রকৃত মুসলমান অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাদের সচেতন হওয়ার এখনই সময় ।
জামায়াত আগামীতে আরো নানা ধরণের উস্কানি দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে । তারা ইতোমধ্যে গৃহযুদ্ধের হুমকী দিয়েছে । সরকারকে এই তস্করদের কর্মকা- কঠোর হস্তে দমন করতে হবে । এদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে আরো সচেষ্ট হতে হবে । যে কোন দেশেই কোন গণমাধ্যম যদি অসত্য সংবাদ বা তথ্য প্রচার করে সেই সব গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইন আছে । বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয় । বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করে যে সব গণমাধ্যম দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে জামায়াতে অংশীদার হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার সহজে ব্যবস্থা নিতে পারে । সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অর্থ দেশে অশান্তি আর নৈরাজ্য সৃষ্টির লাইসেন্স দেওয়া নয় । সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যম কোন কিছুই আইনের উর্দ্ধে নয় । সরকার যদি নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পিছপা হয় তা হলে অদূর ভবিষ্যতে এমন দিনও আসবে যখন এই তস্কররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষ হত্যা করবে যেমনটি বিগত দিনের চারদলীয় জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রামে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে হত্যা করেছিল । সময় থাকতেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন ।
সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে মনে হয় সরকার সব কিছু নিয়ে এক ধরণের দোদুল্যমানতায় ভুগে । এটি কাম্য নয় । যে সরকার জনগনের এত বিশাল ম্যন্ডেট নিয়ে ক্ষমতা আসে সে সরকার জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কোন সিদ্ধান্ত নিতে কেন এত দ্বিধাগ্রস্থ থাকবে ? জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আরো নাশকতা চালাবে বলে অনেকে মনে করেন । বর্তমানে তারা যা করছে তার চাইতে তারা আর বেশী কী করবে ? জনগনকে সাথে রাখতে পারলে সরকারের জন্য অনেক বড় সমস্যাও আর সমস্যা থাকে না । আর বর্তমানে জামায়াত শিবিরতো আর রাজনৈতিক দল নেই । এই সংগঠন দুটি এখন শহর ভিত্তিক সন্ত্রাসী দল হয়ে উঠেছে । একসময় নকশালরাও পশ্চিম বঙ্গে এইরূপ ধারণ করেছিল । ইউরোপ, জাপান আর দক্ষীণ আমেরিকার কোন কোন দেশে একসময় এই ধরণের সন্ত্রাসী দলের অস্তিত্ব ছিল । সরকারের কঠোর নীতির ফলে সেগুলি এখন বিলুপ্ত হয়েছে । জামায়াত-শিবিরের ব্যপারেও সরকারের এমন নীতির কোন বিকল্প নেই । মাঝে মাঝে আমার এবং আমার মতো অনেকেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু করতে চান কিন্তু তাকে মনে হয় কেউ পিছন হতে ধরে রাখে । তা যদি হয় ক্ষতি কিন্তু একান্ত ভাবে তার । আবার অনেকে বলেন তিনি তার প্রকৃত বন্ধু আর শত্রুকে সঠিক ভাবে এখনো চিহ্নিত করতে পারেন না । তা যদি সত্য হয় তাহলে সেই ক্ষতি জাতির । কোনটা সত্য আর কোনটা নয় তা জনগনের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয় । এটি বুঝার দায়িত্ব একান্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর । দেশের মানুষ আশা করে তিনি সময় থাকতে সঠিক সিদ্ধান্তটি নেবেন । আর তা যদি না হয় তা হলে সকলকে পস্তাতে হবে । স্বপ্নের বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারের এখনই সময় ।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৩

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ