[প্রথমপাতা]
|
নষ্ট রাজনীতি ত্যাগ করার এখনই সময়
প্রফেসর আবদুল মান্নান
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন হতে কালো টাকা, পেশী শক্তি, দূর্নীতিবাজ আর
ক্ষমতা লিপ্সু সামরিক বেসামরিক আমলা আর ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করেছে তখন হতে এই
দেশে সুস্থ রাজনীতির ধারা এক প্রকার তিরোহিত হয়েছে । এক সময় রাজনীতি ছিল
জনমানুষের সাথে সম্পৃক্ত প্রকৃত রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের হাতে, যারা উঠে
আসতেন তৃণমূল হতে । এদের সংখ্যা বর্তমানে মারাত্মক ভাবে কমতির দিকে ।
নির্বাচনের সময় আসলে হঠাৎ করে রাজনীতির ময়দানে নতুন সব মুখের আনাগোনা বেড়ে
যায়, চারিদিকে উড়তে থাকে টাকা এবং এদের অনেকেই মনোনয়ন নিয়ে বাড়ী ফিরেন ।
দলের পরিক্ষীত নেতা কর্মীরা তারা শ্রেফ দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন । এতে
ক্ষতিগ্রস্থ হয় দল আর দেশের রাজনীতি । হঠাৎ রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া এই সব
নব্য ‘রাজনীতিবিদ’ আর ‘সমাজপতিরা’ কখনো উপলব্দি করেন না যে রাজনীতির অর্থ
শুধু ফেরেববাজী, ধান্ধাবাজী, ধোঁকাবাজী আর অসত্য কথা বলে মানুষকে
বিভ্রান্ত করা নয় । বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে যে ধারাটি বেশ শক্তিশালী
তা হচ্ছে নিজের শক্তির উপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রতিপক্ষকে কত অনৈতিক ভাবে
বাঁকা পথে ঘায়েল করা যায় তার ফন্দি ফিকির খুঁজতে থাকা । এর প্রধান কারণ
হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি ইদানিং শুধুই ক্ষমতা কেন্দ্রিক হয়ে পরেছে । এই
অসুস্থ ধারাটির প্রর্বতন হয়েছে মূলত সামরিক শাসকদের আমলে । বাংলাদেশের
রাজনীতিতে দু’জন সামরিক শাসকের আবির্ভাব হয়েছে । প্রথম জন জেনারেল জিয়া আর
পরের জন জেনারেল এরশাদ। এরা দেশের অসুস্থ রাজনীতিকে সুস্থ করার কথা বলে
ক্ষমতা দখল করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে সমাজের সব চেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের
নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন । ২০০৭ সালে হয়ত এমন অভিপ্রায় জেনারেল মঈন
ইউ আহমদের ছিল কিন্তু তার কিছু কৌশলগত ভুলের কারণে তিনি তা নিয়ে খুব বেশী
দূর এগুতে পারেন নি । আবার জিয়া এবং এরশাদের রাজনীতির সাথে বেশ কিছু কমন
রাজনীতিবিদ সম্পৃক্ত ছিলেন । যেমন ব্যারিস্টার মওদুদ, কাজী জাফর আহম্মদ,
মাহবুবুর রহমান, ডাঃ মতিন প্রমুখরা । এরা কখনো রাজনীতিতে সুস্থ ধারা
প্রবর্তনে কোন অবদান রাখতে পারেন নি । এর ফলে বাংলাদেশের রাজনীতি অসুস্থ
হতে অসুস্থতর হয়েছে । আমাদের পাশের দেশ ভারতে ক্ষমতার রাজনীতি তার জন্মলগ্ন
হতেই বেশ শক্তিশালী । সেখানে রাজনীতির অবক্ষয় হয়েছে এটা ঠিক কিন্তু এখনো
সেখানে কোন জাতীয় দুর্যোগ দেখা দিলে সরকারি দল আর বিরোধী দল জাতীয়
স্বার্থে একত্রিত হতে পারে । ব্যতিক্রম বাংলাদেশ । এদেশে কোন জাতীয়
দুর্যোগ বা সমস্যা দেখা দিলে বিরোধী দলে যারা থাকেন তারা তাদের কাজে কর্মে
এটা প্রকাশ করতে ব্যস্থ থাকেন ‘এবার বুঝবে মজা ’। ঘটনা এখানেই থেমে থাকে না
। উদ্ভুত পরিস্থিতিকে পূঁজি করে কতভাবে নোংরা রাজনীতির মাধ্যমে সার্বিক
অবস্থাকে কতটুকু ঘোলা করা যায় তারা সে চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন । অনেকটা নিজের
নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের মতো অবস্থা । বর্তমান মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে
দায়িত্ব নেয়ার একমাসের মাথায় ঘটলো পিলখানা ট্র্যাজেডির মতো ভয়াবহ
ভ্রাতৃঘাতী ঘটনা । কোথায় এই পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ার জন্য বিরোধী দল
সরকারকে সহায়তা করবে তা না করে বরং তারা উল্টো চেষ্টা করতে লাগল প্রমান
করতে এটি সরকারি দলের ষড়যন্ত্রের ফলেই হয়েছে । তারা একবারও চিন্তা করে দেখল
না একটি নতুন সরকারের এই ধরণের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে কী লাভ ?
২০০৯ সালের পর সরকারের সামনে এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সাভারের
রানা প্লাজা ভবন ধসের মতো আর এক ভয়াবহ দূর্ঘটনা । এই ভবন ধসে কম পক্ষে
চারশত গার্মেন্টস কর্মী প্রাণ হারিয়েছে । এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে । আহত
বা চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়েছে আরো কয়েক শত । সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়
উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার । সার্বিক বিবেচনায় এটি মানব সৃষ্ট একটি
চরম মানবিক বিপর্যয় । ১৯৭৮ সনে যাত্রা করা বাংলাদেশের তৈরী পোষাক শিল্প
এদেশের শিল্পোদ্যোক্তা এবং এই শিল্পে জড়িত শ্রমিকদের একটি অবিষ্মরণীয়
কীর্তি । হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম
তৈরী পোষাক প্রস্তুতকারি দেশ । এই শিল্পে চল্লিশ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে যার
৯০ শতাংশই নারী । দেশের রপ্তানি আয়ের ৭৫ শতাংশ এই শিল্প হতে অর্জিত হয় ।
পোষাক শিল্পে প্রথম বড় দূর্ঘটনা ঘটে ১৯৯০ সালে মিরপুরের সারাকা গার্মেন্টসে
যখন কারখানায় আগুন লেগে হুড়াহুড়ি করে নামতে গিয়ে ৩২ জন শ্রমিক মারা যায় ।
১৯৯৭ সালে সাংহাই এপারেলসে একই কারণে মারা গিয়েছিল ২৪ জন শ্রমিক । ২০০০ সনে
বনানীর গ্যান্টাব নিটিংএ আগুন লেগে প্রাণ হারান ২১ জন । ২০০৫ সালে আশুলিয়ায়
স্পেকট্রাম কারখানা ভবন ধসে মারা পরেন ৭৩ জন হতভাগা শ্রমিক । সাভার
দূর্ঘটনা বাদ দিলে এই যাবত বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানায় ১৬৬ টি
ঘটনা ঘটেছে এবং বিজেএমইএ’র হিসাব মতে ২২২ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে । তবে
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ন্যাশনাল লেবার কমিটির হিসাব মতে এই সংখ্যা প্রায় ৫০০
। কোন কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে এই সংখ্যা ৬০০ জন ছাড়িয়ে যাবে । তবে এই
সব দূর্ঘটনার সাথে যারাই জড়িত ছিল তাদের কাউকেই কখনো বিচারের মুখোমুখি হতে
হয়নি কারণ এই অভিযুক্তরা সব সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষতা পেয়েছেন । যেমন
স্পেকট্রাম গার্মেন্টস এর মালিক তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের প্রধান শরিক
দল বিএনপি’র খুব কাছের মানুষ ছিলেন এবং তার স্ত্রী দেশের উচ্চ আদালতের একজন
সম্মানিত বিচারপতি । শ্বশুর ছিলেন জিয়ার আমলের একজন মধ্যম সারির নেতা এবং
এরশাদের সময় বড় মাপের মন্ত্রী । তবে সে সময় এই সব ঘটনা দূর্ঘটনা নিয়ে তেমন
একটা রাজনীতি করতে দেখা যায় নি । হয়তো বিরোধী দল সরকারের ব্যর্থতার কথা বলে
সমালোচনা করেছে । কিন্তু সাভার দূর্ঘটনা নিয়ে যে ধরণের নোংরা রাজনীতির
চেষ্টা করা হচ্ছে তা যে কোন বিবেকবান মানুষকে লজ্জিত করবে ।
বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বেশ কিছু দিন ধরে বর্তমান সরকারকে
নানা ভাবে বেকায়দায় ফেলে উৎখাত করার চেষ্টায় লিপ্ত । কিন্তু তাদের সে
চেষ্টা তেমন একটা ফলপ্রসূ হচ্ছিল না । এর ফলে তাদের মাঝে আছে কিছুটা অবসাদ
এবং ফলশ্রুতিতে কিছুটা হতাশা আসা অস্বাভাবিক নয় । এমতাবস্থায় সাধারণত
মানুষও অনেক সময় খড়কুটাকেও লক্ষ্যে পৌঁছানোর অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করতে
চায় । এরই মাঝে তাদের সাথে যোগ হয়েছে রাজনীতির মাঠে নতুন আগুন্তক জঙ্গিবাদী
হেফাজত পার্টি । সাভার ট্র্যাজেডি নিয়ে বিরোধী দলের অবস্থান বর্তমানে জাতীয়
সংকটে আর একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে । সরকারবিরোধী কয়েকজন রাজনৈতিক
ব্যক্তিত্বের বক্তব্য তুলে ধরা এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না ।
যে দিন সাভারে এই ভয়াবহ দূর্ঘটনাটি ঘটলো সে দিন বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া । সাথে দলের অন্যান্য
নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ
। তখন সেখানে সেনা বাহিনী সহ অন্যান্যরা উদ্ধার কাজে ব্যস্ত । সকলে
অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন । চারিদিক মানুষের আহাজারী । ঠিক তখনই ব্যারিস্টার
মওদুদ টিভি ক্যামেরার সামনে প্রথম একটি দায়িত্বহীন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য
দিলেন । তিনি বললেন সরকার সেনা বাহিনীকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাচ্ছে না । অথচ
তখন সেনা বাহিনী নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি’র নেতৃত্বে পুরো বিষয়টার একটি
বৃহৎ কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে ব্যস্ত । পুরো এলাকায় তখন একটি যুদ্ধকালীন
পরিস্থিতি । বেগম জিয়া যতদিন সেনা নিবাসের বাড়ীতে ছিলেন তখন তিনি বা তার
দলের সদস্যরা সেনা বাহিনী সম্পর্কে ভেবে চিন্তে কথা বলতেন । সেখান হতে
উচ্ছেদ হওয়ার পরই তারা তাদের সেই অবস্থান পাল্টেছেন বলে মনে হয় । বেগম জিয়া
সিঙ্গাপুর হতে ফিরে সেনা বাহিনীকে প্রচ্ছন্নভাবে প্রয়োজনে ক্ষমতা দখলেরও
উস্কানি দিয়েছিলেন । পরে ব্যারিস্টার মওদুদ আরো বলেন বিএনপি আগামীতে
ক্ষমতায় গেলে সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহতদের ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতি পূরণ
দেবে । তখন উপস্থিত সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান স্পেকট্রাম দূর্ঘটনায়
আহত-নিহতদের সম্পর্কে তখন তাদের সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছিল, তখন তিনি বলেন
রেকর্ড দেখে বলতে হবে । বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর লঞ্চ
ডুবিতে শ’খানেক যাত্রী নিহত হলে সে সময় সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের নগদ বিশ হাজার
টাকা ও একটি উন্নত জাতের কালো ছাগল দিয়েছিলেন । দেশের সকল মানুষের
প্রত্যাশা রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করা হোক
। সংসদ নেত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন সে যে দলেরই হোক তাকে অবশ্যই গ্রেফতার
করা হবে । বিএনপি নেতা এমকে আনোয়ার বললেন ‘রানাকে বিদেশে পাঠিয়ে আটকের
নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ’। একই বক্তব্য দিলেন দলের আর এক নেতা
খন্দকার মোর্শারফ হোসেন । বঙ্গের বীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, বহুদিন ধরে
নানা ধরণের ষ্টান্টবাজি করে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন । তার
বক্তব্যও অন্য দুজনের অনুরূপ । একজনও বললেন না রানার উত্থান চারদলীয় জোট
সরকারের আমলে । একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীনের জমি দখল করে
সেখানে রানা ভবন নির্মান শুরু করেছিল ২০০৫ সালে । ২৮ তারিখ রানা বেনাপোল
সীমান্তের কাছে র্যাবের গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে ধরা পরলো । কিছুটা বিপাকে
পরে গেলেন এই নেতারা । বললেন আসলে পুরো বিষয়টাই লোক দেখানো । আই ওয়াশ । এখন
দেখতে হবে তাদের কী বিচার হয় । এক সময়ের রাষ্ট্রপতি ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী
বিএনপি হতে বিতাড়িত হয়ে নিজের ছেলেকে নিয়ে একটা টুম্যান পার্টি করেছেন ।
তিনি ছাড়লেন এক অমৃত বাণী । বললেন ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল না
করলে এমন ট্র্যাজেডি হতো না ’ । বিএনপি’র আর এক নেতা হান্নান শাহ টিভির
সামনে কথা বলতে বেশ ভালবাসেন । তার মতে ‘সরকার পরিকল্পনা করেছিল হেফাজতের ৫
তারিখের অবরোধ প্রতিরোধ করার । আল্লাহ সব পরিকল্পনা নস্যাত করে দিয়েছেন ।’
হেফাজত এখন রাজনীতির ময়দানে নতুন খেলোয়াড় । কিছু একটা বলতে হবে । তাদের
নেতা মওলানা মহিউদ্দিন রুহি ঘোষণা করলেন ‘সরকার আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ
ঘোষণা করেছে তারই পরিনাম এই গজব’। আর অন্যদিকে ভ্যাটিকানের পোপ সাভারের
নিহত আর আহতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করেছেন । বাংলাদেশের
রাজনীতিযে কত অসুস্থ হতে পারে এই সব উক্তি তার দু’একটি সামান্য নজির । এর
একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি এখনো দেশটাকে ষোল কোটি
জনগণের মনে করে না । তারা নিজেদের স্বার্থের বাইরে অন্য কোন কিছু চিন্তা
করতে পারে না । তারা এটাও উপলব্দি করতে চায় না বর্তমানে দেশের মানুষ আগের
মতো তেমন একটা বোকা নয় । তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ অনেক বেশী ক্ষমতার
অধিকারী । স্বাধীন গণমাধ্যম তাদের আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে । ষড়যন্ত্র
কোন দেশের সুস্থ রাজনীতির নিয়ামক হতে পারে না যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক
নেতৃবৃন্দ হরদম চেষ্টা করেস । এটিতো মনে রাখতে হবে ক্ষমতা চিরস্থায়ী কোন
বিষয় নয় ।
বেশ কিছুদিন ধরে দেশে অসুস্থ রাজনীতির যে একটা প্রতিযোগিতা চলছে হঠাৎ করে
সেখানে একটা সুবাতাস বইছে দেখা গেল যখন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম জিয়া বেশ
এক দীর্ঘ বিবৃতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের ২রা মে
ডাকা হরতাল প্রত্যাহার করলেন। অবশ্য তার এই দীর্ঘ বিবৃতিতেও অহেতুক বেশ
কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য ও বাগাড়ম্বর ছিল । তারপরও তাঁকে ধন্যবাদ দিতে হয় ।
ধন্যবাদ দিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকেও কারণ তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীর এই
সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ধন্যবাদ দিয়েছেন । আগামী দিন গুলিতেও যদি এই
ধারা বজায় থাকে তাহলে দেশের অনেক অনাকাঙ্খিত সংকট মোকাবেলা সম্ভব হবে । দেশ
স্বাধীন হয়েছে বিয়াল্লিশ বছরতো হলো । রাজনৈতিক দলগুলি নষ্টরাজনীতি এখন
পরিরত্যাগ না করলে আর কখন করবে ? তবে কোটি টাকার প্রশ্ন জামায়াত বা হেফাজত
তা কতটুকু হতে দেবে।
লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। মে ৩, ২০১৩
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
|