[প্রথমপাতা]
|
সতর্ক না হলে আরো লাশ
গুনতে হবে
আবদুল মান্নান
একই দিনে ঢাকা এবং
চট্টগ্রামে দুটি ভিন্ন
ভিন্ন ভয়াবহ দূর্ঘটনায়
এই পর্যন্ত ১৩০ জন মানব
সন্তান প্রাণ হারালো ।
দুর্ঘটনা দুটি ঘটেছে গত
শনিবার দিবাগত রাতে ।
প্রথম দূর্ঘটনাটির
অকুস্থল ঢাকার অদূরে
আশুলিয়ার
নিশ্চিন্তপূরের তাজরীন
ফ্যাশন লিমিটেডে যেখানে
সন্ধায় আগুন লেগে এই
পর্যন্ত ১১৫ জন
গার্মেন্টস কর্মী পুড়ে
মৃত্যুবরণ করেছে বলে
নিশ্চিত হওয়া গেছে । এই
সংখ্যা বাড়তেও পারে ।
এটি বাংলাদেশের
গার্মেন্টস কারখানায়
সংঘটিত এ’যাবত কালের সব
চেয়ে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ।
দ্বিতীয় দূর্ঘটনাটি
ঘটেছে চট্টগ্রাম একটি
অত্যন্ত ব্যস্ততম ও
জনবহুল এলাকা
বহদ্দারহাটে সন্ধ্যা
সাতটার কিছু পরে যখন
সেখানে নির্মানাধীন
ফ্লাইওভারের দু’টি
কংক্রিট নির্মিত
গার্ডার ধ্বসে পড়ে ১৫
জন পথচারী এবং ক্ষুদ্র
ব্যবসায়ীকে মুহুর্তেই
মাটির সাথে মিশিয়ে দিল
। এই দুর্ঘটানায়
মারাত্মকভাবে আহত হয়ে
এখনো বেশ কয়েকজন
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল
কলেজে মৃত্যুর সাথে
পাঞ্জা লড়ছে । বেশ কয়েক
সপ্তাহ ধরে বিশ্বব্যাংক
সহ একাধিক আন্তর্জাতিক
মিডিয়াতে বাংলাদেশ
সম্পর্কে বেশ কিছু
প্রশংসা সূচক ও ইতিবাচক
সংবাদ ও বিশ্লেষণ
প্রচারিত হচ্ছিল এবং এতে
সরকারতো বটেই দেশের
মানুষও বেশ উজ্জিবীত
হয়েছিল । এই মর্মান্তিক
ঘটনা দুটির কারণে
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের
ভাবমূর্তিও কিছুটা হলেও
ক্ষতি হয়েছে এবং মহাজোট
সরকারকেও বেশ বিব্রত
করেছে যদিও প্রথম
ঘটনাটির জন্য সরকারকে
সরাসরি দায়ী করা সমীচীন
হবে না যদিও বিএনপি’র
নেতৃবৃন্দ মনে করেন উভয়
ঘটনার জন্য সরকারকে
জবাবদিহি করতে হবে । সব
কিছুতে রাজনীতি নিয়ে আসা
বাঙালির মজ্জাগত স্বভাব
হয়ে গেছে । এই দু’টি
ঘটনায় নিহতদের স্মরণে
সরকারের আহ্বানে দেশের
মানুষ মঙ্গলবার জাতিয়
শোক দিবস পালন করেছে ।
এই দু’দিনের ঘটনায় যারা
প্রান হারিয়েছেন তাদের
আত্মার শান্তি কামনা
করছি এবং তাদের
শোকসন্তপ্ত পরিবারের
প্রতি গভীর সমবেদনা
জানাচ্ছি ।
বাংলাদেশের তৈরী পোষাক
শিল্পের জন্ম এবং তার
বিস্ময়কর উত্থান
রূপকথার মতো । ১৯৭৬ সনে
একজন ডাকসাইটে আমলা এবং
একাত্তরের অকূতভয়
মুক্তিযোদ্ধা নূরুল
কাদের খানের হাত ধওে
জন্ম নেওয়া এই শিল্প
এখন বাংলাদেশের
একচল্লিশ বছরের অনেক
সফলতার একটি অসাধারণ
কাহিনী । চট্টগ্রামের
কালুরঘাটে অবস্থিত
নুরুল কাদের খানের
‘দেশ’ গার্মেন্টস হতে
প্রথম চালানে আনুমানিক
বার হাজার ডলারের তৈরী
পোষাক রপতানি করে
বাংলাদেশ বেশ হৈচৈ ফেলে
দিয়েছিল । এই খাতে
আমাদের এখন রপ্তানি
উনিশ বিলিয়ন ডলার । তৈরী
পোষাক শিল্পে চীনকে বাদ
দিলে বাংলাদেশ এখন
বিশ্বের দ্বিতীয়
বৃহত্তম পোষাক
প্রস্তুতকারী দেশ ।
মাঝখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
আছে তবে এই ইউনিয়নে
২৭টি দেশ অন্তর্ভূক্ত।
দেশের আটাত্তর ভাগ
রপ্তানি খাতের আয় এই
একটি শিল্প যোগান দেয়
আর এই শিল্পে কাজ করে
প্রায় পঁয়ত্রিশ লাখ
শ্রমিক যার নব্বই ভাগই
হচ্ছে নারী শ্রমিক ।
দেশে এখন প্রায় ছোট বড়
মিলিয়ে প্রায় সাড়ে
চারহাজার তৈরী পোষাক
প্রস্তুতকারী
প্রতিষ্ঠান চালু আছে
যার বেশীর ভাগই বৃহত্তর
ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও
চট্টগ্রামে । এই শিল্পকে
কেন্দ্র করে দেশে আরো
অনেকগুলি শিল্প
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । বলতে
গেলে বাংলাদেশের
অর্থনীতির জন্য তৈরী
পোষাক শিল্প এখন সোনার
ডিম পাড়া হাঁস । চীন
বিশ্বের বৃহত্তম তৈরী
পোষাক প্রস্তুতকারী দেশ
হওয়া সত্তেও সে দেশও
এখন সীমিত আকারে
বাংলাদেশ হতে পোশাক
আমদানী শুরু করেছে আর
অনেক আন্তর্জাতিক ক্রেতা
চীন বা অন্যান্য দেশের
পরিবর্তে বাংলাদেশকে
তাদের ক্রয়ের উৎস হিসেবে
বেছে নিয়েছে কারণ মজুরী
কম হওয়ার কারণে
বাংলাদেশের পোষাক
আন্তর্জাতিক বাজারে কোন
কোন ক্ষেত্রে চীনের সাথে
প্রতিযোগীতা করছে । বলতে
দ্বিধা নেই তেমন একটি
গুরুত্বপূর্ণ খাতকে আমরা
সঠিকভাবে লালন করতে কোন
কোন ক্ষেত্রে চরমভাবে
ব্যর্থ হয়েছি । এই সব
ক্ষেত্রের অন্যতম হচ্ছে
শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে
নিরাপত্তা এবং কোন কোন
ক্ষেত্রে নি¤œতম মজুরীর
নিশ্চয়তা । অথচ কোন
সরকারই এই খাতকে সুযোগ
সুবিধা দিতে কার্পণ্য
করেনি । বাংলাদেশের তৈরী
পোষাকের সবচেয়ে বড়
বাজার যুক্তরাষ্ট্রে
তারপর ইউরোপ । নব্বইয়ের
দশকে প্রথম বাংলাদেশের
এই শিল্প ধাক্কা খায়
যখন যুক্তরাষ্ট্রের
শ্রমিক সংগঠনগুলি এই
মর্মে তাদের দেশের
সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি
করে যে যেহেতু বাংলাদেশ
এই শিল্প শিশুশ্রম
ব্যাবহার করে সেহেতু
তাদের উৎপাদন খরচ
যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন
খরচ হতে কম । অতএব
সেদেশ থেকে পোষাক আমদানী
নিষিদ্ধ করতে হবে । এই
মর্মে সিনেটর হার্কিন
কংগ্রেসে একটি বিলও
উত্থাপন করেছিলেন ।
বাংলাদেশ এই ব্যাপারে
সতর্ক হলে সেটি আর
কার্যকর হয়নি । তারপরও
কখনো কখনো সে দেশের কোন
একজন ক্রেতা যদি
বাংলাদেশে অতর্কিত একটি
পোষাক কারখানায় ঢুকে
দেখতে পায় একজন
স্বল্পবয়সী বালক দু’টি
চায়ের কাপ হাতে নিয়ে
যাচ্ছে তাহলে ঘটে যেতে
পারে তুলকালাম কান্ড ।
বাতিল হয়ে যেতে পারে ওই
ক্রেতার অর্ডার ।
নির্ধারিত এবং
প্রত্যাশিত নিয়ম কানুন
ঠিক মতো মানা হচ্ছে কীনা
তা দেখার জন্য আগে
বিদেশী ক্রেতার এই
দায়িত্বটা দিয়েছিল
তাদেও এদেশীয় এজেন্টদের
। ক্রমে তারা এখন
নিজেরাই বাংলাদেশে
পরিদর্শকের দপ্তর খুলে
বসেছে অনেক ক্ষেত্রে
কারণ তারা আর আমাদের
বিশ্বাস করতে পারছেনা ।
এই সব পরিদর্শকরা যে
কোন সময় তাদের অর্ডারের
পোষাক তৈরী করছে তেমন
যে কোন কারখানায় প্রবেশ
করতে পারে, লোকজনের সাথে
কথা বলতে পারে, করণিয়
কর্তব্যেও ব্যতয় ঘটলে
বাতিল কওে দিতে পাওে
একটি চালান । এতসব
কারণের পরও ঘটে যেতে
পারে তাজরীন ফ্যাশন
লিমিটেডের ঘটনার মতো
একটি মর্মান্তিক ঘটনা ।
এই দেশে গত দুই দশকে
এমন ঘটনায় প্রান
হারিয়েছে প্রায় এক
হাজারের মতো মানুষ,
বিচার হয়নি কারো কারণ
যারা এই সব করখানার
মালিক সরকার বদলের সাথে
সাথে রাজনৈতিক দলের
প্রতি তাদের অনেকের
আনুগত্যও বদলে যায় ।
সরকারের সাথে থাকলে
অনেক পাপ করেও পার পাওয়া
যায় ।
গত রোববার রাতে
বিজিএমইএ’র এ্কজন শীর্ষ
পর্যায়ের নেতা একাধিক
টিভি চ্যানেলে এসে এই
ঘটনা নিয়ে অনেক আলোচনা
করলেন এবং বললেন যে
কারখানাটিতে এই
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে
তারা সব নিয়ম কানুন
মেনেই চলে । তার ভাষায়
ওই কারখানার নিরাপত্তা
ব্যবস্থা সন্তোষজনক ছিল
। নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সন্তোষজন থাকলে কেমন করে
ঘটলো এমন একটি দেশ
কাঁপানো ঘটনা? গলদটা
কোথায় ছিল ? এখন দেখা
যাচ্ছে এই কারখানাটিকে
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড়
ক্রেতা ‘উচ্চ পর্যায়ের’
ঝুঁকিপূর্ণ বলে
আখ্যায়িত করেছিল । আসলে
নিরাপত্তা ব্যাবস্থার
সংজ্ঞার মধ্যে বড় ধরণের
ত্রুটি আছে । একসময় আমি
যুক্তরাষ্ট্রের একটি
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লেখা
করতাম । আমাদেও
ছাত্রাবাসটি ছিল বারতলা
। প্রতি চারমাস অন্তর
সেখানে কোন নোটিশ না
দিয়ে দমকল বাহিনী এসে
মধ্যরাতের কোন একসময়
ভবনের আগুন সতর্কীকরণ
এলার্ম বাজিয়ে দিত ।
নিয়ম ছিল সকলে তাদেও
দরজা খোলা রেখে সিড়ি
বেয়ে নীচে নেমে আসবে ।
একঘন্টা সময় । তারপর
তারা প্রত্যেক কক্ষে
গিয়ে তল্লাশি চালাতো
কেউ ঘুমিয়ে আছে কী না ।
সব ঠিক ঠাক থাকলে আমরা
আবার নিজ কক্ষে ফিরতে
পারতাম । তখন হয়তো ভোর
হয় হয় ।
তাজরীন ফ্যাসনে সে দিন
সময়মতো এলার্ম বেজেছিল
। শ্রমিকরা বেরিয়ে যেতে
উদ্যত হলে সকলকে বলা হলো
ওই এলার্ম কিছু না । ওটি
এমনি এমনি বাজছে । একটু
পরে তা বন্ধ হয়ে যাবে ।
এই বলে তারা ভবন হতে
বের হওয়ার গেটে তালা
লাগিয়ে দেন যা
নিরাপত্তার দৃষ্টিতে
একটি অমার্জনীয় অপরাধ ।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৩৬০
ডিগ্রী হওয়া একান্ত
ভাবে অপরিহার্য । এর
অর্থ হচ্ছে কোন একটি
ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকলে
চলবে না । একটি
কারখানায় পর্যাপ্ত
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
হয়তো আছে কিন্তু সে
সম্পর্কে সকলের যথেষ্ট
ধারণা না থাকেল ঘটে
যেতে পারে তাজরীন
ফ্যাশন ট্র্যাজিডি ।
শিল্পকারখানায় আধুনিক
নিরাপত্তা ব্যবস্থার
একটি অন্যতম প্রযুক্তি
হচ্ছে যেখানে দাহ্য
পদার্থ থাকে অথবা
যেখানে অনেক মানুষ এক
সাথে কাজ করে সেখানের
সিলিংএ পানির
স্প্রিংক্লারের
ব্যবস্থা থাকা । অনেক
হোটেলে কক্ষেও এই
ব্যবস্থা থাকে । এই
স্প্রিংক্লারের মুখে
একধরনের মোম থাকে ।
রুমের তাপমাত্রা একটি
নির্দিষ্ট মাত্রা
অতিক্রম করলে সে মোম
আপনা আপনি গলে যায় এবং
স্পিংক্লার হতে পানি
ছিটানো শুরু হয় । এবং
একই সাথে এলার্ম বাজতে
শুরু করে । প্রত্যেক
ফ্লোরে সিসিটিভি ক্যমরা
থাকা অবশ্যই নিরাপত্তার
জন্য একটি অপরিহার্য
বিষয় । শুধু তা থাকলে
হবে না তা প্রতিনিয়ত
মনিটর করতে হবে । এই সব
ব্যবস্থা চালু করা খুব
ব্যায় বহুল কোন বিষয় নয়
শুধু মালিকদের একটু
স্বদিচ্ছার প্রয়োজন ।
কারো কারো দ্বিমত থাকতে
পাওে, গার্মেন্টস
কারখানা পুড়লে, মানুষ
মারা গেলে মালিকদের কোন
ক্ষতি নেই । তাদের
কারখানার বীমা আছে ।
একটি কারখানায় লগ্নিকৃত
পূঁজি তুলে আনতে বেশী
হলে সাত বছর সময় লাগে ।
আগুনে পুড়লে ব্যাংক হতে
ধার করা ঋণ মওকুফ পাওয়া
যায়, তা না হলে ঋণের
সূদ মাফ পাওয়া যায় ।
ক্ষতি হয় দেশের আর সেই
সব শ্রমিকের যারা
নিজেদেও সব কিছু উজাড়
করে মালিকদের মালয়শিয়া
আর দুবাইতে সেকেন্ড হোম
ক্রয়ের অর্থ যোগায় । এই
সবের মধ্যেও ব্যতিক্রম
আছে । বছর কয়েক আগে আমি
আমার এক প্রাক্তন
ছাত্রের একটি বড়
কারখানা দেখাতে নিয়ে
গিয়েছিলাম কয়েকজন
বিদেশী অতীথিকে । তারা
সম্পূর্ণ ব্যবস্থা দেখে
মন্তব্য করেছিলেন এই
মানের করাখানা খোদ
ইউরোপেও খুব বেশী নেই ।
পুলিশ ধারণা করছে
আশুলিয়ার ঘটনা পূর্ব
পরিকল্পিত । রোববার
আশুলিয়ার ‘ডেভোনিয়ার’
গামেন্টসে আগুন দেওয়া
চেষ্টা কালে সুমি বেগম
নামের একজনকে পুলিশ আটক
করেছে । সে বলেছে তার
সহকর্মী জাকির হোসেন
তাকে কুড়ি হাজার টাকায়
এই কাজে নিয়োজিত করেছিল
। তেমনটি হলে পুরো
বিষয়টা অন্যভাবে চিন্তা
করতে হবে । ডিসেম্বর
মাসে মানবতাবিরোধী ও
যুদ্ধাপরাধের দায়ে
অভিযুক্তদের যে বিচার
হচ্ছে তা বানচাল করার
জন্য বেশ কিছু বড় ধরণের
নাশকতামূলক ঘটনা ঘটতে
পারে বলে ধারণা। সোমবার
উত্তরার দক্ষীনখানে আরো
একটি গার্মেন্টস
কারখানায় আগুন লাগলো ।
আশুলিয়া দূর্ঘটনা
তদন্তের জন্য সরকার
একাধীক তদন্ত কমিটি গঠন
করেছে দেশের মানুষ আশা
করে তদন্ত রিপোর্ট
জনসম্মূখে প্রকাশ করা
হবে এবং এই দূর্ঘটনার
জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের
শাস্তি হবে ।
চট্টগ্রামের ঘটনা আমার
নিজ শহরের ঘটনা ।
স্বল্প পরিসরে এটির
সঠিক ব্যাখা বিশ্লেষণ
করা সম্ভব নয় । তবে
এখানে শুধু এতটুক বলতে
পারি কেবল দলীয়
বিবেচনায় অযোগ্য লোকদের
হাতে পরলে সিডিএ’র মতো
একটি গুরুত্বপুর্ণ
সংস্থার কী দশা হতে
পারে চট্টগ্রাম
ট্রাজেডি তার একটি বড়
উদাহারণ । একই কথা
চট্টগ্রামি সিটি
কর্পোরেশনের বেলায়ও
সত্য । নির্মম পরিহাস
হচ্ছে এই দুই
প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারই
রাজনীতিতে অভিষিক্ত
হয়েছিল চট্টগ্রামের
একজন সফল রাজনৈতিক
ব্যাক্তিত্ব মহানগর
আওয়ামী লীগের সভাপতি,
তিনবারের নির্বাচিত
মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন
চৌধূরীর হাত ধরে । তার
অনেক গুন আছে । তবে তার
বড় দূর্বলতা তিনি সব
সময় সঠিক মানুষ চিনতে
ভুল করেছেন । এই বিষয়ে
অন্য আরেক দিন লেখার
ইচ্ছা রইলো ।
লেখক: সাবেক উপাচার্য,
চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয় ।
নভেম্বর ২৭, ২০১২
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|