[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

বাংলাদেশ: বিন্দু থেকে বৃত্ত হওয়ার কাহিনী 

 

 

প্রফেসর আবদুল মান্নান

 

এটি এখন অস্বীকার করার উপায় নেই বর্তমানে বাংলাদেশে একাধিক প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে যাদেরকে বলা যেতে পারে ইতিহাস বিমুখ, শিখড় হতে বিচ্ছিন্ন । তাদের ইতিহাস বিমুখতা হওয়ার পিছনে যত না কারণ তাদের নিজস্ব তার চেয়ে বেশী কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদ । বর্তমানে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা পেশা অথবা চাকুরী মুখী, ইতিহাস কেউ আর তেমন একটা পড়তে চায়না । সকলের ধারণা কী হবে ইতিহাস পড়ে বা জেনে? এই যখন অবস্থা মাঝে মাঝে আমার পেশার কারণে বর্তমান প্রজন্মের সামনে দাঁড়িয়ে দু’চার কথা বলতে হয় এবং সেই বলার সূত্রে যখন আমি স্বাধীনতা পরবর্তি বাংলাদেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থায় ফিরে যাই এবং যখন তাদের সামনে তুলে ধরি যে বঙ্গবন্ধু সরকারের সম্পূর্ণ যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশের অবিস্মরণীয় পুনর্গঠনের কাহিনী তখন সকলে অনেকটা অবাক বিস্ময়ে আমার সেই কথা শোনে । বুঝতে পারি তাদের সেই দূঃসময়ের কাহিনী বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় । তাদের বলি তোমাদের আমি ঘন্টার পর ঘন্টা আমাদের সেই হার না মানা সময়ের কথা বলতে পারি কিন্তু সে সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি বা অনুভূতি কেমন ছিল তা বোঝানো আমার পক্ষে তেমন একটা সহজ নয় । আমার কথা তোমাদের অনেকের কাছে হয়তো রূপকথার গল্পের মতো শোনাবে।
১০ জানুয়ারী, ১৯৭২ সনে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সূদুর লন্ডন হয়ে দিল্লিতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করে ঢাকায় । তখন বিকাল চারটা হয় হয় । তখন আমাদের বিমানবন্দর বলতে একমাত্র তেজগাঁও বিমানবন্দর, যেটিতে এখন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিস । তাও আবার বিমান নামার ঠিক উপযোগী নয় । মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্বে আমাদের মিত্র বাহিনীর বোমার আঘাতে বিমান বন্দরের রানওয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল । মহানায়ক আসবেন অনেকটা সেই চিন্তা মাথায় রেখে বিমান বন্দরের রানওয়ে মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল যদিও এরই মধ্যে ছোট বিমান আর হেলিকপ্টার নামার মতো বিমান বন্দরকে উপযোগী করে তোলা হয়েছিল । বঙ্গবন্ধু বিমান থেকে নেমে একটি অভূতপূর্ব সংবর্ধনা পেয়েছিলেন এবং সোহরোওয়ার্দি উদ্যানে একটি বিশাল জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন । এর সবগুলিই ছিল বাঙালির চিরায়ত আবেগের বহিপ্রকাশ কিন্তু দেশ পূনর্গঠনে আবেগ খুব বেশী কাজ করে না । সেখানে প্রয়োজন বাস্তবতার নিরিখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা । সেটি বঙ্গবন্ধু ঠিকই উপলব্দী করেছিলেন । কোন সময় ক্ষেপন না করে তিন পরদিন ১১ই জানুয়ারী অস্থায়ী শাসনতান্ত্রিক আদেশ জারি করেছিলেন ও রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এবং মন্ত্রীসভায় ব্যাপক রদবদল করেন । বঙ্গবন্ধুর অনেক গুনের মধ্যে একটি বড়গুন ছিল তিনি ঠিক বুঝতে পারতেন কাকে দিয়ে কী কাজ হবে । বাংলাদেশের পূনর্গঠন পর্যায়ে একটি বড় সমস্যা ছিল সরকার পরিচালনা করার জন্য দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তার বড় অভাব । অখন্ড পাকিস্তানের তেইশ বছরে বাঙালি কখনো পাকিস্তানের প্রশাসনে প্রবেশ করার তেমন একটা সুযোগ পায়নি । পাঞ্জাব ছাড়া এটি পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশের ক্ষেত্রেও অনেকটা সত্য । এর ফলে যেটি হয়েছে পাকিস্তানের আমলাতন্ত্র ছিল সম্পূর্ণভাবে পাঞ্জাবীদের নিয়ন্ত্রণে । আমলাতন্ত্রের যতই সমালোচনা করা হোক আমলা ছাড়াতো প্রশাসন চলবেনা । এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটি বঙ্গবন্ধু সমাধান করেছিলেন যে স্বল্পসংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত বাঙালি আমলা বা দক্ষ প্রশাসক জীবিত ছিলেন তাদের কাজে লাগিয়ে । বঙ্গবন্ধু ঠিকই বুঝেছিলেন দেশ পূনর্গঠনের জন্য সঠিক পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই । ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিশ দিনের মাথায় তিনি গঠন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশন । উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এই কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (বঙ্গবন্ধু) আর ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ডঃ নুরুল ইসলামকে (পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদায়) । সদস্য করা হয়েছিল ডঃ রেহমান সোবহান, ডঃ মোশররফ হোসেন আর ডঃ আনিসুর রহমানকে । এরা সকলে বঙ্গবন্ধুর ছয়দফার অর্থনৈতিক বিষয়গুলি প্রনয়নে যথেষ্ট অবদান রেখেছিলেন । ১৯৭২ সনে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন হওয়ার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । এই নির্বাচনে প্রত্যাশিত ভাবে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ আসনে (২৯৫) জয় লাভ করে এবং ১৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন মন্ত্রী সভা গঠন করেন । এই মন্ত্রী সভায় সব কিছুর উর্দ্ধে স্থান দেওয়া হয় দেশপ্রেম এবং যোগ্যতাকে । এই মন্ত্রী সভার একজন সদস্য ছিলেন বিজ্ঞান, কারিগরি ও আনবিক শক্তি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ডঃ মফিজ চৌধুরী (বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জনাব মঞ্জুর এলাহীর শ্বশুর) । তিনি তাঁর গ্রন্ত্র ‘বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভায়’ বিবৃত করেছেন কতটুকু বিশ্বাস আর আস্থা নিয়ে বঙ্গবন্ধু তাদের উপর দেশ গঠনের এই গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন । তখন সারা দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণ বিপর্যস্থ কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে অকেজো করে দিয়েছিলেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা । সেই ব্যবস্থাকে আবার পুনঃস্থাপন করার জন্য খুঁজে খুঁজে আনতে হয়েছিল অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং শ্রমিকদের । বুকে এক অসাধারণ দেশপ্রেম নিয়ে তারা স্বল্পতম সময়ে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে পূুনর্বহাল করেছিলেন ।
বর্তমান প্রজন্মকে যখন বলি একাত্তরে পলায়নরত পাকিস্তানি সেনা বাহিনী আমাদের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ভাসমান মাইন (একধরণের শক্তিশালী বোমা) ফেলে সম্পূর্ণ অকেজো করে গিয়েছিল অথবা দেশের দুটি বৃহত্তম রেল সেতু, হার্ডিঞ্জ আর ভৈরব সম্পূর্ণ ধ্বংস করে গিয়েছিল তখন তারা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে । এই সব তারা কখনো স্কুলে পড়েনি বা কারো কাছে শোনেনি । বলি একটি সার্টের কাপড়ের জন্য (রীলিফ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিতে হয়েছে তাদের তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় । তাদের বলি মাঝে মাঝে বিটিভি যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি টেলিভিশনের জন্য সায়মন ড্রিং নির্মিত একটি একাত্তর পরবর্তি বাংলাদেশের প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করে । ওই চিত্রটা দেখলে কিছুটা বোঝা যাবে কেমন ছিল সেদিনকার বাংলাদেশ । তখন বিশ্বের অনেক বাঘা বাঘা বিশ্লেষক বলেছিলেন এই নতুন দেশটির সার্বিক ভাবে যে করুণ অবস্থা সেটি টিকে থাকাটা হবে এক বিস্ময় । বাংলাদেশ শুধু ঠিকে থাকেনি বর্তমানে এটি উন্নয়নশীল অপরাপর দেশগুলির জন্য এক মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত । এই অভ’তপূর্ব অর্জনের জন্য অনেকের অবদান আছে সত্য তবে সব চেয়ে বেশী অবদান দেশের প্রথম সরকারের, যে সরকার এই নতুন দেশটির বুনিয়াদ রচনা করেছিল ।
প্রধান রেল সেতু আর দুটি সমুদ্র বন্দর অকেজো করা ছাড়াও ধ্বংস করা হয়ছিল ২৯১টি রেল সেতু । ২৭৪টি সড়ক সেতু মুক্তিযোদ্ধারা উড়িয়ে দিয়েছিল । উপড়ানো ছিল ১০% রেল লাইন । ৬৬টি ফেরি আর ৫০০০ ট্রাক সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত । সরকারের সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ভারত হতে ফিরে আসা প্রায় এক কোটি ছিন্নমূল শরণার্থীকে পুনর্বাসন করা যেখানে ব্যাংকে নেই এক ডলার পরিমানের বৈদেশিক মূদ্রা আর কোন খাদ্য গুদামে নেই একবস্তা চাল । এরমধ্যে আবার একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াত-ছাত্র সংঘের নেতা কর্মীরা উগ্র ডান পন্থীদের দলে ভিড়ে গিয়ে চারিদিকে শুরু করে দিল নানা ধরণের অন্তর্ঘাত মূলক কর্মকান্ড । আজ এই পাটের গুদামে আগুন দেয় তো কাল ওই সার কখানায় বিষ্ফোরণ ঘটায় । তার উপর আছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্ররোচনায় নানামুখী ষড়যন্ত্র । বাংলাদেশের মানুষতো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামতের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে গিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিল । সুতরাং তাকেতো তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে । বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন ধীরে ধীরে বাংলাদেশ মিত্র দেশগুলির সহায়তায় উঠে দাঁড়াতে শুরু করেছে তখন সম্পূর্ণ ভাবে একটি মানব সৃষ্ট দূর্ভিক্ষ উপহার পেল বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে যার জন্য বিশ্লেষকরা এককভাবে দায়ি করেন তৎকালিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিক্সন সরকার আর তার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জারকে । এই প্রসঙ্গে তৎকালিন পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান ডঃ নুরুল ইসলামের গধশরহম ড়ভ ধ ঘধঃরড়হ: ইধহমষধফবংয শিরোনামে একটি একটি অসাধারণ গ্রন্থ আছে যা পাঠকরা পড়তে পারেন । বাংলাদেশের দূর্ভাগ্য যে দেশের অগ্রগতি ধরে রাখা যায়নি কারণ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারিদের ষড়যন্ত্রের কারণে ১৯৭৫এর ১৫ই অগাষ্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন । শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকরা তারা একই সাথে হত্যা করেছিল জাতিয় চার নেতাকে । এই সব হত্যাকান্ডের পর জাতি হয়ে পরেছিল নেতৃত্বশূন্য । নেতৃত্ব চলে গিয়েছিল নি¤œ আর মধ্য মেধার সামরিক বেসামরিক শাসকদের হাতে । এর ফলে দেশ পিছিয়ে পড়েছিল কমপক্ষে দুই যুগ ।
চল্লিশ একচল্লিশ বছর আগের বাংলাদেশ আর ২০১২ সালের বাংলাদেশের মধ্যে এখন আকাশ পাতাল তফাৎ । যে দেশটি যাত্রা শুরু করেছিল শূন্য কোষাগার দিয়ে সেই দেশের কোষাগারে এখন জমা আছে প্রায় তের বিলিয়ন ডলার । দেশের জনসংখ্যা যখন সাড়ে সাত কোটি তখন আমরা উৎপাদন করতাম প্রয়োজনের দুই তৃতীয়াংশ খাদ্য শস্য, দশহাজার মেট্রিক টন । বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ষোল কোটি, প্রতি বৎসর নগরায়ন, নদী ভাঙ্গন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদির কারণে দেশের আবাদযোগ্য জমির এক শতাংশ করে হারিয়ে যায় । এমন বাস্তবতা সত্বেও এখন বাংলাদেশ তিন গুনেরও বেশী খাদ্যশস্য উৎপাদন করে এবং কোন কোন বছর তার কিছু অংশ রপ্তানিও করতে পারে । যে দেশে আমাকে একটি জামা বানানোর রিলীফের কাপড়ের জন্য লাইন দিতে হয়েছিল সেই দেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরী পোষাক রপ্তানিকারক দেশ ।
২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান শ্যাস ও অর্থনীতিবিদ জন ও’নিল অনুন্নত দেশগুলির উপর এক সমীক্ষা চালিয়ে বলেছে একবিংশ শতকে প্রথম ধাপে চারটি অর্থনৈতিক পরাশক্তির আবির্ভাব হবে । এগুলি হচ্ছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন । এরপর আরো এগারটি দেশ তাদের পথ অনুসরণ করবে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম । উল্লেখ্য এই এগারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে একমাত্র দেশ যার গায়ে এখনো স্বল্পোন্নত দেশের লেভেল লাগানো আছে । তেমন একটি দেশ এই এগারটি দেশের মধ্যে অন্তর্ক্তূক্ত হয়েছে । এতে প্রমান করে বাংলাদেশের সম্ভাবনা । সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক তাদের ২০১৩ সালের বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন একটি অমীমাংসিত বিস্ময়’। বাংলাদেশের কাহিনী বিন্দু থেকে বৃত্ত হওয়ার কাহিনী । বাংলাদেশের উন্নয়নের এই ধারাকে ধরে রাখতে হলে চাই সঠিক ও যোগ্য লোককে রাষ্ট্রের সঠিক কাজে লাগানো এবং দেশকে দূর্নীতিমুক্ত করে সব সময় দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে দেশ পরিচালনার ভার ন্যস্ত করার অঙ্গিকার করা যারা দেশ গঠনে নিম্ন বা মধ্যমেধার বদলে মেধা সম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদকে কাজে লাগাতে পারবে।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ডিসেম্বর ১০, ২০১২

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ