|   প্রথমপাতা  |  প্রকাশের তারিখঃ Saturday, December 16, 2023 22:07|

 

 

 

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

 

 

রাহমান মনি:                                          

 

 

জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী হিন্দু কমিউনিটিতে নানান অনিয়মের অভিযোগ

 

 

 

 একদিন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি ছিল সারা বিশ্বে একটা আদর্শ কমিউনিটি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়েছে সেই কমিউনিটি। আজ কমিউনিটি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন; ভাঙছে, ঘর, ভাঙছে সংগঠন, ভাঙছে আরো কতো কি ! অতীতের সেই আন্তরিকতা, সেই ভালোবাস্‌ হৃদ্যয়তা আজ আর নেই। লেগে আছে ঠোকাঠুকি, লেগে আছে কাদা ছোড়াছুড়ি। কতিপয় বিতর্কিত ব্যক্তির কারণে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কিংবা তারা ইচ্ছে করেই কমিউনিটিতে সমস্যা তৈরি করে চলেছেন। আর এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ধর্মীয় সংগঠনও ।

এই জাপান প্রবাসে সার্বজনীন পূজা কমিটি এক সময় ছিল অত্যন্ত সুশৃংখল ও সুসংগঠিত। সুন্দরভাবে তারা পূজা উদযাপন করতো। সেই সুশৃংখল পূজা কমিটি আজ বিশৃংখলতায় পরিপূর্ণ। চলছে নানা অনিয়ম, চলছে ধারাবাহিক চরিত্র হনন। একটা সংগঠনের সাফল্য নির্ভর করে সেই সংগঠনের কর্মকর্তা ও সাধারণ সদস্যদের সততা, সদিচ্ছা ও স্বচ্ছতার উপরে। সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ ব্যাংকের হিসাববই দেখানো সংগঠনের স্বচ্ছতার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু এই পূজা কমিটিতেই মন্দিরের অনুদানের হিসাবসহ ব্যাংকের হিসাববই দেখতে চাওয়া এবং পূজায় আয় ব্যয়-এর হিসাব চাওয়া পুজারী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় ব্যাক্তি চরিত্র হনন করে বিভিন্ন জনের কাছে মানহানিকর ই-মেইল করা হয়েছে। এই প্রতিবেদকের সেই ই-মেইল নজরে এসেছে। বেনামে পাঠানো সেই ই-মেইলের প্রতিটি শব্দ মানহানিকর। শুধু তাই নয়; এই মানহানিকর ই-মেইলে ঈদ নিয়ে ব্যঙ্গ, সব কিছুতেই আলহামদুলিল্লাহ্‌ এবং গরুর মাংস খাওয়াকে কটাক্ষ করা হয়েছে।

পূজা কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, পূজা কমিটির সমস্যা শুরু ২০২২ সালে জনৈক ব্যক্তি পূজা কমিটির সভাপতি মনোনীত হবার পর থেকে। তাঁর এই উচ্চ পদে আসীন হওয়ায় পূজা কমিটির অনেক কর্মকর্তা ও সদ্যসের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠে। পূজারীদের অভিযোগ যে, ঐ ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে জাপানে মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের জন্য গঠিত কমিটির প্রধান থেকেও মন্দির করতে পারেননি এবং মন্দিরের জন্য সংগৃহীত অনুদানের হিসাবসহ ব্যাংকের হিসাববই দেখাতে অনিচ্ছুক।

ঘটনার উত্তাপ বেড়ে যায় এই বছর ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত সরস্বতী পূজার শেষে। সেদিন সেই কর্মকর্তারা তাঁর কাছে পূজা ও মন্দির কমিটির সাধারণ সভা ডেকে হিসাব-নিকাশ দেবার দাবি তোলেন। সেদিন নাকি উনি তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে বলেছিলেন যে অতি শীঘ্রই দুইটা সভা আহবান করবেন। তারপর তিন মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও যখন কোন সভা আহবান হয় না তখন সেই সংক্ষুব্ধ পূজারী এবং কর্মকর্তারা তাঁর কাছে কৈফিয়ত চান। এরপর ই-মেইলে বিভিন্ন বক্তব্য দিলেও সাধারণ সভা না ডাকায় সেই কর্মকর্তারা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদককে সভা আহবান করা জন্য অনুরোধ করেন।

সাধারণ সম্পাদক এ বছর জুলাই ২ তারিখে পূজা কমিটির সভা আহবান করেন এবং সেই সভায় পূজা কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থেকে যার যার বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। এরই মধ্যে জুন ৩০ তারিখ ভোর ৩টা ২০মিনিটে পূজা কমিটির গ্রুপের সকলের ই-মেইল একাউন্টে 'আবুলদার বাপ' নামক ইয়াহু ই-মেইল একাউন্ট থেকে বেনামে পূজা কমিটির সেই হিসাব চাওয়া কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় চরিত্র হনন করে মানহানিকর ই-মেইল করা হয়। এটা নোংরামি ছাড়া আর কিছু নয়। নোংরামি করে সত্যকে যে কোনদিন ঢেকে রাখা যায় না, তা বোঝার মতো মেধা আছে বলে ই-মেইল এর ভাষার ব্যবহারে মনে হয়নি ।

এদিকে কমিউনিটির মধ্যে এই মানহানিকর ই-মেইলের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর কমিউনিটির লোকজন রাগে-ক্ষোভে ফুঁসছে; সবাই প্রকৃত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।


rahmanmoni@gmail.com

 

 

ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও দেখুন.....

.

আরও দেখুন.....