প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

(মতামত সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব)

 

 

রাহমান মনি                                          

 

 

জাপান প্রবাসী বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন সমূহের প্রতি বিশেষ অনুরোধ

 

 

 

জাপানের মাটিতে জাপান প্রবাসীদের দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন ( আঞ্চলিক সংগঠন ) এর সঠিক সংখ্যার হিসেব এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। কারন প্রায়শই নিত্য নতুন সংগঠন এর আবির্ভাব ঘটেই চলেছে।

গত নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত আমার জানা মতে টোকিও ও তার আশপাশ এলাকাগুলোতে অর্থাৎ কানতো এলাকায় ছোট বড় মিলে মোট ২৭টি আঞ্চলিক সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

২১ ফেব্রুয়ারি টোকিও শহীদ মিনারে প্রভাতফেরিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের সময় যার সিংহভাগের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

এই সব আঞ্চলিক সংগঠনের অনেক গুলি কাজীর গরুর মতো গোয়ালে না থাকলেও কেতাবে থাকার মতো হলেও বেশ কিছু সংগঠন বেশ সক্রিয়। বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে তার জানানও দিয়ে থাকে।

ঞ্চলিক সংগঠন সমুহের আয়োজনের মধ্যে অন্যতম প্রধান আয়োজন হচ্ছে “ইফতার মাহফিল”। যা কারো কারোর মতে ইফতার পার্টি নামেই সমধিক পরিচিত।

কোন কোন সংগঠন আবার ৭/৮ শত ( প্রায় ) লোক সমাগম ঘটানোর দাবীও করে থাকেন। এই সব আয়োজন সম্পন্ন করতে অর্থ খরচও কম নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে তা ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ ইয়েন বা তারও বেশী খরচ হয়ে থাকে।

পবিত্র রমজান মাস আসন্ন। যদিও চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তথাপি মোটামুটি আগামী ২৪ এপ্রিল রোজা শুরু হওয়ার কথা জানা যায় ইসলামিক ক্যালেন্ডার মোতাবেক।

জাপানে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, মসজিদ কমিটি, আঞ্চলিক সংগঠন সমূহ কর্তৃক রমজান মাসে ইফতার মাহফিল আয়োজনের যে হিড়িক পড়ে যাবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। একই দিন একাধিক আয়োজন হবে যে তাও বলার অপেক্ষা রাখে না।

অনেকেরই একাধিক সংগঠন থেকে যোগদানের আমন্ত্রন আসবে যে তাও নির্দ্বিধায় বলা যায়। অনেকেই সব গুলি আয়োজনে যোগদানের ইচ্ছাও থাকে। কিন্তু সমস্যা হ’লো ইফতার এর সময় একই সময়। তাই শত ইচ্ছা এবং চেষ্টা থাকলেও একই দিনে একাধিক আয়োজনে অংশ নেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। এতে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি হয়।

রাজনৈতিক সংগঠনগুলি যেহেতু সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিস্তৃত তাই তাদের কাছে আমার অনুরোধ নয়। কারন , অনুরোধ রাখা সম্ভব হবে না। আর রাজনৈতিক সংগঠন গুলো একই দিনে ইফতার মাহফিল এর আয়োজনও করে না। তাই, ঝামেলা এড়ানো যায়।

আঞ্চলিক সংগঠন গুলো যেহেতু একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে তাই তাদের কাছে অনুরোধ রাখতে চাই, ইফতার মাহফিল এর নামে প্রবাসে যে অর্থ খরচ করা হয় দয়া করে সেই অর্থ দিয়ে নিজ নিজ এলাকা গুলোতে উন্নয়ন মূলক বা গঠন মূলক কাজে লাগালে একদিকে যেমন দেশ উপকৃত হবে , তেমনি অপরদিকে আপনাদের আদর্শ ও উদ্দেশ্যও বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।

কারন, প্রত্যেকটি সংগঠনের গঠনতন্ত্রে আদর্শ ও উদ্দেশ্য’র স্থানে জাপান প্রবাসীদের পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকার কথাও উল্লেখ থাকে।

তাছাড়া প্রবাসে যে পরিমান অর্থ খরচ করে ইফতার মাহফিল এর আয়োজন করা হয়ে থাকে সেই একই পরিমান অর্থে বাংলাদেশে গঠনমূলক অনেক কাজই করা যায়।

ধরা যাক, জাপানে একটি ইফতার মাহফিল আয়োজনে জাপানী অর্থে ৫০ মান ইয়েন খরচ করা হয় । বাংলাদেশী অর্থে প্রায় ৪ লাখ টাকা। এই ৪ লাখ টাকা দিয়ে অর্থাভাবে ঝরে পড়া বেশ কিছু শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সহায়তা করা যায়।

উক্ত পরিমান টাকায় পঙ্গু কিংবা শারীরীক ভাবে চলাফেরায় অচল,কিছু দুস্থ ব্যক্তিদের বেশ কিছু হুইল চেয়ার কিনে দেয়া যায়। এলাকার দুস্থ লোকদের পার্শ্বে দাঁড়ানো যায়। এলাকার উন্নয়নে অংশ নেয়া যায়। এছাড়াও আরো বিভিন্ন গঠন মূলক কাজ করা যায়। এবং এই সব কাজ করলে এলাকাবাসী জাপান প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা সহ সন্মানের সহিত স্মরন করবে । এতে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা এগিয়ে আসবে। অন্যদিকে জাপানে ইফতার মাহফিল বা পার্টির আয়োজন করে যাদের খাওয়ানো হচ্ছে তাদের ক’জনা নিয়মিত রোজা রাখছেন বা নামাজ পড়ছেন ? ইফতার তো মূলত রোজাদারদের জন্য। এছাড়া আমরা যারা ইফতার পার্টির আয়োজনের সাথে জড়িত বা পেছন থেকে সরাসরি কাজ করে থাকি তাদের মধ্য থেকে বা কতোজন রোজা রাখি ? আমরা অনেকেই তো ইফতার তৈরি করার সময় ফল ফলাদির লবনও চেখে দেখি। আমি ঢালাও ভাবে সবার কথা বলছিনা। ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ নেই।

তাই , জাপানস্ত বাংলাদেশের সকল আঞ্চলিক সংগঠন সমূহের প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাতে চাই, আসুন আমরা এবছর থেকে জাপানের মাটিতে ইফতার মাহফিল এর আয়োজন বিরত থেকে সেই অর্থ সামর্থ্য অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় অবদান রাখার চেষ্টা করি।


rahmanmoni@gmail.com

 

ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]