প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

 

 

রাহমান মনি                                          

 

 

টোকিওতে রাজপথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বাংলাদেশ ও মুসলিম বিরোধী শ্লোগান, কাদের স্বার্থে?

 

 

 

 সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনার জের ধরে টোকিওতে বাংলাদেশ দুতাবাসের সামনে মানব বন্ধনের আড়ালে বাংলাদেশ এবং মুসলিম বিরোধী শ্লোগান দিয়ে তারা আসলে বিশ্ববাসীর কাছে কি ম্যাসেজ দিতে চেয়েছে প্রশ্নটি এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জাপান প্রবাসী সমাজে ।

গত ২৪ অক্টোবর রোববার জাপানস্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে “সনাতন হিন্দু ফাউন্ডেশন” এর আয়োজনে এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) র সমর্থনে ভিন দেশীদের নিয়ে মানব বন্ধনে জাপানের রাজপথে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মুসলিম বিরোধী শ্লোগান দিয়ে জাপানে বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত করে। যার কারনে প্রবাসী সমাজ ফুঁসে উঠেছে । কিন্তু কেন এই আয়োজন ?
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা করার খবরে যে সংঘর্ষ হয়েছে তাতে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিবাদ সহ নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রবাস থেকেও প্রতিবাদ সহ নিন্দার ঝড় উঠেছে, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী উঠেছে । হিন্দু সমাজের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর নিন্দা জানিয়ে ১৭ অক্টোবর রোববার সার্বজনীন পূজা কমিটি জাপান এর আহ্বানে টোকিওতে একটি প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যে সভায় উপস্থিত ছিলেন সব ধর্মের সর্বস্তরের প্রবাসীরা। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে একটি হল নেয়া হয় আমার মাধ্যমে । প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের খবর স্থানীয় প্রবাসি মিডিয়া সহ বাংলাদেশের স্বনামধন্য পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হয় তাও আমারই মাধ্যমে ।
সার্বজনীন পূজা কমিটি জাপান’র একজন সদস্য ছিল অভিযুক্ত আয়োজক জনৈক ব্যক্তি । সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অসদাচরণ, অর্থ তছরুপ সহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে পূজা কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হলে দীর্ঘ দিন হিন্দু কমিউনিটি থেকে দূরে থাকে । নিজ দুষ্কর্ম স্বীকার করে সব কিছু ভুলে পুনরায় ফিরতে চাইলে সমর্থন না থাকায় সমমনা এবং ইসকনের (ইংরেজিতে আইএসকেসিওএন (ISKCON) শব্দের পুরো রূপটি হলো ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কন্সাসনেস, যা পশ্চিমা দুনিয়ায় হরে কৃষ্ণ মুভমেন্ট বা হরে কৃষ্ণ আন্দোলন নামে পরিচিত। ১৯৬৬ সালে মার্কিন মুল্লুকে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অভয় করনারাভিন্দ নামের একজন হিন্দু ধর্মযাজক এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সংগঠনটিকে ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তোলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, সংগঠনটি ইসলাম বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে) সমর্থন নিয়ে নিজেই ‘সনাতন হিন্দু ফাউন্ডেশন’ নাম দিয়ে সমমনাদের নিয়ে পূজা উদযাপন শুরু করে ।

কথা হ’লো, ঘটনা ঘটলো বাংলাদেশে, জাপানের রাজপথে ভিন দেশীদের নিয়ে বাংলাদেশ এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে শ্লোগান কেন ? কারা করছে ? কেন করছে ?
এদের বেশীরভাগই ইসকন এর সদস্য । এদেরই সমমনারা ভারতের মাটিতে গো মাংস রাখার অজুহাত দেখিয়ে মুসলিমদের পিটিয়ে মারে , জয় শ্রী-রাম বলার জন্য মানুষ খুন করে তাদের মুখে অন্যকে সন্ত্রাসী বলাটা কতোটা যুক্তিযুক্ত ?
ইসলামের দৃষ্টিতে ইসকন ইসলাম বিরোধী একটি সংগঠন। ইসকন নিজেরাই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়ায়, এরা কোন প্রকৃত সনাতন ধর্মাবলম্বী নয়, এরা সনাতন ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।একজন হিন্দু ধর্মযাজক এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এদের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হওয়া উচিত।
আয়োজক জনৈক ব্যক্তি বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে জাপান আসলেও সে কোনদিনই বাংলাদেশের স্বার্থে কোন কাজ করেনি। নিজের আপন বড় ভাইকে জাপানে ঘর থেকে বের করে দেয়, যিনি কিছুদিন আমার আতিথেয়তা নেন । একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি তার পাশে দাড়াই। ধর্ম-বর্ণ দেখিনি, দেখেছি তার অসহায়ত্ব ।

নিজ দেশই হউক বা অন্য দেশেরই হউক দূতাবাস ঘেরাও, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ , স্মারক লিপি ইত্যাদি কখন দেয় ? কেনই বা দেয় ?
এছাড়া ‘সনাতন হিন্দু ফাউন্ডেশন’ নামের যে সংগঠনটি এর আয়োজক ছিল সেই নামের কোন সংগঠনের অস্তিত্ব জাপান প্রবাসীদের জানা আছে বলে আমার জানা নেই, তবে ৩৭ বছর জাপান প্রবাস জীবনে আমারা জানা ছিল না । হয়তো বা আমারই ব্যর্থতা ।
তবে, সার্বজনীন পূজা কমিটি জাপান নামের একটি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের অস্তিত্ব সবারই জানা। গত ১০ অক্টোবর সংগঠনটি ২৬তম দুর্গা পূজার আয়োজন করে সাফল্যের সাথে। যেখানে সর্বস্তরের প্রবাসীরা অংশ নিয়ে থাকে।
তাই, সব শেষে দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দিয়ে বলতে চাই , জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রীতি আগের মতোই অটুট রয়েছে। ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ নেই এবং ওইসব ব্যক্তিদের সাথে প্রবাসীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই দু’চার জন সমমনা ছাড়া ।
 


rahmanmoni@gmail.com

 

 

ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও দেখুন.....

.

আরও দেখুন.....