প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

@

@

@

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

@

@

রাহমান মনি                                          

@

@

"জাপান স্মৃতি বাংলা প্রীতি" সীমাহীন বানান বিভ্রাট এবং ভুলে ভরা তথ্য সংশোধন করে সংস্করণ করাটা অতীব জরুরী

@

@

পাঠযোগ্য একটি বই হতে পারে হাজারো বন্ধুর সান্নিধ্যের চেয়েও শ্রেষ্ঠ ।

আর বানান বিভ্রাট, ভুলে ভরা তথ্য সম্বলিত কোন বই, বই পড়ার আগ্রহকে ম্লান করে দেয় ।

অতি সম্প্রতি শাহজাহান সিরাজ এর eeজাপান স্মৃতি বাংলা প্রীতিff বইটি পড়ে আমার তা-ই মনে হয়েছে।

জাপান স্মৃতি বাংলা প্রীতি বইটি শুরু হয় eকাঁচা মাছ খাওয়ার স্মৃতিf দিয়ে । যেহেতু eসুশিf নামক ব্যপকভাবে পরিচিত, প্রচলিত এবং জনপ্রিয় এই খাবারটির সাথে দীর্ঘ তিন যুগ ধরে শুধু পরিচিত-ই নই, কর্মক্ষেত্রের বদৌলতে ওতপ্রোতভাবে জড়িতও । তাই, বেশ উৎসাহ নিয়ে পড়ার শুরুতেই হোঁচট খেতে হয় বানান এবং জাপানী শব্দ উচ্চারণের বিভ্রাট নিয়ে।

শুরুতেই eকাঁচা মাছ খাওয়ার স্মৃতিf গল্পে স্বাভাবিকভাবেই জাপানি ট্রাডিশনাল ফুড gসুশিh প্রাধান্য পেয়েছে। বলা বাহুল্য জাপানিজ eসুশিf এখন জাপানের গণ্ডি পেড়িয়ে বিশ্বব্যাপী বহুল পরিচিত । সেই সুশি লিখতে গিয়ে বার বার ভুল করা হয়েছে, এই ভাবে এই গল্পে জাপানীজ অনেক শব্দের উচ্চারনেই ভুলের ছড়াছড়ি দেখা গেছে । যেমন গুহান (গোহান), নওড়ি (নোরি), ইদো (এদো)। এখানে বলে রাখা ভালো, ইংরেজি A, E, I, O এবং U বর্ণের জাপানি শব্দের উচ্চারনে সব সময় eআf, eএf, eইf, eওf এবং eউf, এর কোন বত্যায় ঘটবে না । তাই, জাপানে থেকে জাপানি উচ্চারনে এতো ভুলের ছড়াছড়ি লেখক সত্ত্বার দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ । এরপর রয়েছে সুশির রকমারিতায় তথ্যগত ভুল ।

eদৈত্যের নাচ দেখাf গল্পে জাপান স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রেখে তা লালন এবং একই সাথে পালনের পাশাপাশি পশ্চিমা সংস্কৃতি অভিযোজিত নতুন ধারার সৃষ্টি করেছে। অথচ বাংলাদেশে ভিনদেশি, পাশ্চাত্য ও মধ্যপ্রাচ্যীয় সংস্কৃতি ঢালাওভাবে গ্রহন, প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেদের সংস্কৃতি ত্যাগ ও অবহেলার কারনে নিজস্ব আঞ্চলিক লোকজ সংস্কৃতি বিলুপ্তির পথে ।

জাপান এশিয়ান ভুক্ত হওয়া সত্বেও তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিচর্চায় নিজেদের কতোটা সমৃদ্ধ করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

eহুকশু, জাপানি বাবুদের স্কুলf গল্পে লেখক তার স্বভাবগত জাপানী শব্দের বাংলায় উচ্চারনে বিভ্রাট ছাড়াও তথ্যগত কিছু ভুল থাকা সত্বেও বাংলাদেশ পরিচালনার নীতিনির্ধারক এবং অভিভাবকদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারলে দেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলেই মনে হয় । তথ্যগত ভুলগুলো না হয় না-ই বললাম। শুধু হোইকোয়েন বা হোইকুশো (Hoikusho , হুকশু নয়) সম্পর্কে সামান্য একটু আলোকপাত করতে চাই ।

প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু করার আগে জাপানে শিশুদের প্রাক-বিদ্যালয় বা বিদ্যালয়-পূর্ব উপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষনের মাধ্যমে প্রতিপালন যা eশিশুদের বাগানf হিসেবে কিন্ডারগার্টেনে বাগিচায় রোপিত চারাগাছের ন্যায় ৩ বছর পরিচর্যা হিসেবে গড়ে তোলা হয়, সেখানে যাওয়াটা অলিখিত বাধ্যতামূলক বলা যেতে পারে। কর্মজীবী মায়েরা আবার ডে-কেয়ার (হোইকোয়েন)-এ রেখে তাদের কর্ম সম্পাদন করেন। এই ক্ষেত্রে সর্বনিন্ম সীমারেখা (সাধারনত ৬ মাস বয়স থেকে) না থাকলেও সর্বোচ্চ ৬ বছর বয়সের নির্ধারিত সীমা রয়েছে। কারন ৬ বছর বয়স থেকে জাপানে শিক্ষাজীবন শুরু হয়ে থাকে। বরখেলাপ করার জো নেই।

এই হোইকোয়েন কিংবা কিন্ডারগার্টেন থেকেই জাপানে একতাবদ্ধ, টিমওয়ার্ক, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, নিয়ম মানা, দেশপ্রেম শিক্ষা দেয়া শুরু হয়। একতাবদ্ধ হয়ে চলা, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে হাত তুলে রাস্তা পারাপার হওয়া, নিজ প্রতিষ্ঠান নিজেদেরকেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, যত্রতত্র ময়লা না ফেলা, নাক ঝাড়া টিস্যুটি নিদিষ্ট স্থানে ফেলা এর সবই শিক্ষা দেয়া হয় স্কুলে যাওয়ার প্রাককালেই।

gবিয়েতে শ্বশুর-জামাই পাঞ্জাh গল্পটি পাঠক উপভোগ করবেন বলে আমার বিশ্বাস । যদিও লেখকের অভিজ্ঞতা পুরো জাপানের বিয়ে রীতি ব্যক্ত করে না ।

gপাবলিক বাথে বিবস্ত্র গোসলh তথ্যবহুল হলেও পাঠযোগ্য করার জন্য আরেকটু যত্নশীল হলে ভাল হfতো বলে মনে হয়েছে । কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত বাক্য ব্যবহার গল্পকে বিবস্ত্র করে ফেলেছে।

জাপানের সেনতো ( Sento, সেন্টু নয় ) নিয়ে গল্প নয়, রীতিমতো একটি বই লিখার মতো রশদের অভাব নেই।

gট্যাক্স দেওয়া ভারি মজারh গল্পে লেখক জাপান-এ কর প্রদানের সহজতর পদ্ধতি্র কথা উল্লেখ করেছেন । শুধু আয় প্রদান-ই নয় সেবামূলক যে কোন প্রতিষ্ঠানই সেবা প্রদানের ব্রত নিয়েই কাজ করে ।

লেখক এক স্থানে উল্লেখ করেছেন,eজাপান ও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৫০ গুণ তফাৎ দেখে আমি মাথা চুলকাই। নিজের প্রতি নিজে অভিযোগ করে কষ্ট পাই, বাংলাদেশ কী পারবে এই স্কেলে আসতে!f ।

আবার ট্যাক্স দেওয়া ভারি মজার গল্পে জাপান ও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৩০ গুণ তফাৎ এর কথা বলা হয়েছে। যদিও কোনটা-ই সঠিক নয় । বেতন বৈষম্যের তফাৎ লেখকের নিজ কল্পনার প্রতিফলন ছাড়া বাস্তবে নয় ।

gটেলিভিশন পরিবর্তনের হাতিয়ারh গল্পে লেখক যথেষ্ট মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। মাল্টি মিডিয়া সংশ্লিষ্ট হওয়ায় লেখক তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। মিডিয়া সংক্রান্ত লিখাটি বাংলাদেশ বিটিভি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে পারলে ভালো হবে।

gঘরে ঘরে ভাষা আন্দোলনh এবং gভাষাকে দেখভাল ও বহুমাত্রিক অত্যাচারh গল্পে লেখক সত্যিকার অর্থেই নিজেকে মাতৃভাষা এবং দেশপ্রেমের একজন বীর সেনানীর পরিচয় ফুটিয়ে তুলেছেন । লেখকের বক্তব্যের সাথে ভিন্নমত প্রকাশের কোন সুযোগ নেই । দীর্ঘদিন জাপান প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে একটি কথাই শুধু জানান দিতে চাই , ৩৭ বছর জাপান জীবনে শুধুমাত্র ২১ জন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছি। এর মধ্যে আবার ৬জন প্রধানমন্ত্রীর অফিসে নিয়মিত যাতায়াতের সুযোগ ঘটেছে । স্থানীয়ভাবে কোন সভা সেমিনারে আজ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক নেতা , মন্ত্রী বা উচ্চ পদস্থ কোন কর্মকর্তার মুখে জাপানিজ-ইংরেজী মিশিয়ে কোন বক্তব্য শুনিনি জাপানি কোন বক্তার মুখ থেকে।

জাপানীরা নিজ দেশ এবং নিজ ভাষাকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে থাকে। তার অর্থ এই নয় যে জাপানিরা ইংরেজী জানে না। বরং আমাদের দেশের ইংলিশ মিডিয়াম-এ পড়াশুনা করা অনেকের চেয়ে বেশী এবং ভালো জানেন ।

@gমরার আগেই কবরের অভিজ্ঞতাh গল্পে লেখক জাপান-বাংলাদেশের সেবার মান-এর পার্থক্য বেশা ভালোভাবেই তুলে ধরতে পেরেছেন।

gআমি ঘরজামাই নইh গল্পে প্রতিদান দিতে পারার আনন্দে আত্মতৃপ্ত লেখকের স্ত্রী কর্তৃক প্রথম দানবীর বাঙালীর সনদ কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়েছে। প্রশ্ন জাগে তিনি বা তারা কতো জনাকে চিনেন বা অন্যদের সম্পর্কে জানেন ?

gওসাগারি, উপহার দেয়ার আদিরীতিh ওসাগারিকে উপহারের আদিরীতি আখ্যায়িত করলেও ওসাগারি আসলে উপহার নয়, ব্যবহার উপযোগী নিজের অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে না দিয়ে যাদের প্রয়োজন তাদেরকে দেয়াকে অসাগারি বলা হয় । বিশ্বের সব দেশেই এই প্রচলন রয়েছে। আমাদের দেশেও এই রীতি চালু ছিল , রয়েছে ।

gকাওয়াসাকির কান্নাh গল্পের বাবা-মাfর সাহচর্য ছাড়া সব শিশুই যে বেপরোয়া হয়ে উঠে তার সাথে একমত হতে পারিনি।

gবাবুগিরি ও বুয়াগিরিh গল্পে লেখক জাপানে নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয় বলে উল্লেখ করেছেন । শুধু জাপানই নয় পৃথিবীর সব উন্নত দেশে তো বটেই এমনকি আমাদের বাংলাদেশেও এখন এই রীতি শুরু হয়েছে বলে লেখককে মনে করিয়ে দিতে চাই ।

gরোবট আমার বন্ধুh গল্প সুত্রে বলা যায় জাপানের প্রতিটি মানুষই স্ব স্ব ক্ষেত্রে একেক জন রোবট, যে যতো বড় পদে অধিষ্ঠিত সে ততো বড় রোবট । এজন্যই জাপান উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছুতে পেরেছে।

gতিন হাজার টাকায় চুল কাটাh গল্পে লেখক জাপানে তার দেখার গন্ডি থেকে বের হতে পারেন নি । চুল কাটার বিভিন্ন শ্রেনী বিশ্বের সবদেশেই রয়েছে। চুল কাটায় যেমন কয়েক হাজার ইয়েন ব্যয় হয় তেমনি মাত্র ১ হাজার ইয়েনেও কামানো যায় । জাপানীরা কখনই বাংলাদেশীদের ৬-১০ গুন বেশী আয়-রোজগার করে না । একই কাজে পার্মানেন্ট ওয়ার্কারদের বেতনের কিছুটা তারতম্য হতে পারে স্কিল হওয়ার কারনে । কিন্তু পার্টটাইম ওয়ার্কারদের বেতন -এর কোন তফাৎ নেই। লেখকের হয়তোবা তা জানা নেই ।

gলাইব্রেরি ও কাগজকালচারh গল্পটি বাংলাদেশী অভিভাবকদের জন্য শিক্ষণীয় । জাপানী শিশুরা কিন্টার গার্ডেন থেকে , মায়ের কাছে প্রথম হাতেখড়িটা পেয়ে থাকে । পাড়া , মহল্লা , ক্লাব , শপিং সেন্টার , সিটি অফিস এমনকি চুলকাটার সেলুন পর্যন্ত সর্বক্ষেত্র-ই যেনো এক একটি লাইব্রেরী । তারপরও লাইব্রেরীর অস্তিত্ব চোখে পড়ার মতো এবং পাঠকদেরও কমতি নেই । শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ।

gজাপানি ধর্ম , এক ঘরমে দুই পীরh , eবিচিত্র ইচ্ছাপূরণ ও বিচিত্র ধর্ম পালনf, গল্পে লেখক নিজেকে একজন ইসলাম বিদ্ধেষী মনোভাব বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন যা তার ব্যাক্তি জীবনেরই প্রতিফলন। লেখককে শুধু একটা কথাই মনে করিয়ে দিতে চাই , gএখন ইসলামের নাম শুনলে জাপানীরা ভয় পায়নাh । উল্টো পশ্চিমাদের তালে পড়ে যে ভুল বুঝেছিল তার জন্য অনুতপ্ত বোধ করে । আর ক্রিসমাস উদযাপন করে খৃস্ট ধর্মের অনুরাগী হয়ে নয় , শুধু মাত্র ব্যবসায়ী পলিসির কারনে । অন্য কিছু নয় ।

gরাজো (রাজিও বা Radio ) টাইসো , সুস্থতা চর্চার কৌশলh গল্পে লেখক যথারীতি ভুল তথ্য প্রচার করেন । তিনি বলেন বাংলাদেশে নাকি পুরুষের তুলনায় নারীরা কম বাঁচেন । আসল তথ্য হচ্ছে বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় ৪ বছর বেশি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর 'বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২১' প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু ৭৫ বছর, যেখানে পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ বছর।

অপরদিকে গড় আয়ুর দিক দিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জাপান। দেশটির মানুষের গড় আয়ু ৮৫.০৩। তবে নারী পুরুষের গড় আয়ুর পার্থক্য অনেক। পুরুষদের গড় আয়ু ৮১.৯১ বছর ও নারীদের গড় আয়ু ৮৮.০৯ বছর।

gকৃষিস্মৃতি ও দার্শনিক ফুকুওকাf, eশিক্ষাব্যবস্থা ও বাংলাদেশ বদলে দেবার স্বপ্ন !f গল্পে লেখক জাপানীদের শিশুকাল থেকেই কৃষি তথা প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে গড়ে উঠার বর্ণনা করেছেন সুন্দর ভাবেই ।

eরিকশার দেশ জাপানf তথ্যগত কিছু ভ্রান্তি ছাড়া পাঠযোগ্য ছিল । তবে, রিকশা জাপানে মূলধারার পেশা হিসেবে নয় , পর্যটক সমাগম (টোকিওতে আসাকুসাতে) এলাকা গুলোতে কেবলমাত্র পর্যটকদের বিনোদন দেয়ার জন্য, স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিই এই কাজে জড়িত ।

eভোটাভুটি রীতি, অপূর্বস্মৃতিf, eজাপানে নির্বাচনী ব্যবস্থাf পাঠযোগ্য বলা যেতে পারে ।

eকুবে বিফ , পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মাংসff, eনিগাকুশিকি ( নিউগাকুশিকি) প্রথম স্কুলে যাওয়াf, eডাকপিয়ন ও ই-কমার্সf, eহায়রে আমার টিফিন !f eস্বেচ্ছাশ্রম ও বিকল্প এনজিওf গল্পগুলিতে জাপান-বাংলাদেশ উভয় দেশের সেবার মান , দায়বদ্ধতা ভালভাবেই তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন ।

eজাপানি চোর ও মানুষ ছাড়া দোকানদারিf গল্পে জাপানিদের সততার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন,

eনেটিভ নে্টিজেনের কাণ্ডf গল্পে লেখক ছেলে করনেট এর অসততা তা ১৮০ ডিগ্রি উল্টে দিয়েছে ।

eনিরাপত্তার হাল-বেহালf গল্পে জাপানি শিশুদের পাশাপাশি জাপানী পোষাপ্রাণীও(কুকুর-বিড়াল) যে ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে রাস্তা পারাপার হয় সে বিষয় তুলে ধরলে আরো সমৃদ্ধ হতো বলে মনে হয়েছে।

eটোকিও ও গ্রাম দর্শনfগল্পে লেখক কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য হয়নি ।

eআমার প্রিয় পাসপোর্টf গল্পে অনেকটা ধান ভাঙতে শিবের গীত গেয়েছেন বলে মনে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি শিক্ষিত একজন শিক্ষক কর্ম সন্ধানে কেন প্রবাসে পড়ে থাকবেন তা প্রশ্ন সাপেক্ষ ।

eবই ও মিস্টার স্মার্টf গল্পে লেখক জাপানী শিশুদের গড়ে তোলায় বই পড়ার ভুমিকা এবং গুরুত্ব তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন ।

eরোগের নাম ভালো লাগে না। গল্পটি eভালো লাগে নাf না লিখে eবিষণ্ণতাf হলেই ভাল হতো। এই গল্প নিয়ে একটি মন্তব্যই করা যায় , সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজারটা যেমন খারাপ দিক রয়েছে, তেমনি হাজারটা ভালো দিকও রয়েছে। নির্ভর করবে কে কোনটা কিভাবে গ্রহণ করবে। তবে, জাপানীরা ফেসবুক-এ বাংলাদেশীদের মতো অপ্রয়োজনে পড়ে থাকে না ।

eলিঙ্গ ও যৌন বিলাসf গল্পে লেখকের আবারো ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব ফুটে উঠেছে । একই সাথে জাপান সম্পর্কে অস্পষ্টতাও প্রমানিত ।

eগাড়ি, বাড়ি ও নারীf গল্পে নারী নাকি পুরুষ, কাকে হাইলাইট করতে হবে তা নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন ।

সব ভালো তার , শেষ ভালো যার। কিন্তু লেখক eজাপান স্মৃতি বাংলা প্রীতিfগ্রন্থে তা প্রমান রাখতে পারেন নি ।

আমেরিকান রাজনীতি নিয়ে সম্যক ধারনা সম্পন্ন প্রাইমারি স্কুল পড়ুয়া ছেলে, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষিতা মেধাবী সুন্দরী স্ত্রী এবং নিজে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন দাবীদার একজন লেখক গ্রন্থে তার স্বাক্ষর রাখতে পারেন নি।

জাপানে বসবাস করেও জাপানী শব্দের সঠিক উচ্চারন নিজে না জানাটা ক্ষতির কিছু নেই , কিন্তু অন্যকে ভুল জানানোটা ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে । যেমন ইউনো (উএনো), হিনসু (হোনশু), কিইসু ( কিয়শু ), গুমেননাসাই (গোমেন নাসাই) , কুরোকো (কোরো নেকো),গামা (গামান), কেও(কিয়ো),কর্নিচুয়া(কোননিচিয়া), হেন্ননস্ত(হেননাহিতো), ইদো যুগ(এদো যুগ), গুহান(গোহান), নওড়ি(নোরি), eকুবে(কোবে),@নিগাকুশিকি(নিউগাকুশিকি) অনেকগুলোর মধ্যে কিছু মাত্র।(( জাপানী উচ্চারন নিয়ে আর কি-ই বা বলবো যেখানে আমেরিকা উচ্চারন এর ক্ষেত্রে আম্রিকা বলা রয়েছে )) । এছাড়াও নিজের নাম সিরাজ এর জাপানী উচ্চারনে শিরাজু হওয়ার কথা শিরাজি নয়।

৮ লাখ ইয়েন -এ ১০হাজার ডলার নয়, জানা যায়নি লেখক ডলারের কোন রেট থেকে এমন অংক কষেছেন ।

প্রায় প্রতিটি গল্প পড়ে মনে হয়েছে লেখক যা দেখেছেন , যা শুনেছেন এবং যা মনে করেছেন তা-ই নিজের মতো করে লিখে দিয়েছেন।

মেধা , শ্রম কোনটাই কাজে লাগাননি । অথচ বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে একটিমাত্র ক্লিক এর মাধ্যমে সব কিছু বের করা যায় মুহূর্তের মধ্য ।

তাই, ইন্টারনেট এর সহযোগিতা নিয়ে সীমাহীন বানান বিভ্রাট এবং ভুলে ভরা তথ্য সংশোধন করে সংস্করণ করাটা অতীব জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

কোন কোন গল্পে লেখকের স্ববিরোধীতা পাওয়া গেছে। যেমন , কোন কোন গল্পে তিনি নিজেকে রাজনীতি বিমুখ , কোথাও বা সমাজতান্ত্রিক দলের রাজনৈতিক সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কোথাও নিজেকে জাপানে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী কোথাওবা মাঝে মধ্যে আসা হয় ।

eeজাপান স্মৃতি বাংলা প্রীতিff গ্রন্থটি পাঠ করার পর লেখকের জাপানের প্রতি প্রীতি দেখে মনে হয়েছে গ্রন্থটির নাম উল্টোটাই হfলেই যুতসই হতো ।

গ্রন্থটির নাম হতে পারতো gজাপান প্রীতি, বাংলা স্মৃতিh ।।

উল্লেখ্য, জাপান স্মৃতি বাংলা প্রীতি বইয়ের সব গুলো গল্পই ধারাবাহিকভাবে bangla.bdnews24.com -এ প্রকাশিত হয়েছে । ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তে । ওয়েবসাইট-এ eজাপানে ট্যাক্স দেওয়া ভারী মজারf গল্পটি প্রকাশ পায়। -(https://bangla.bdnews24.com/probash/article1254407.bdnews

rahmanmoni@gmail.com

@

@

ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]

@

@

 

@

@

@

@

@

@

@

আরও দেখুন.....

.

আরও দেখুন.....

@

@