প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

 

 

রাহমান মনি                                          

 

 

আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বন্ধে শুভ বুদ্ধির উদয় হউক

 

 

 

 

সরকার আবারো ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে অর্থাৎ আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে যাচ্ছে ।

জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দি ডেইলি স্টার’ বাংলা অনলাইন সংস্করণ সুত্রে জানা যায় “সরকার শুরু করতে যাচ্ছে 'অভিবাসী কূটনীতি'। বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশিদের 'নেতিবাচক প্রচার-প্রচারণা' মোকাবিলা ও ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে অভিবাসী কূটনীতির লক্ষ্য”।

ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন, বিচার ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন’ এর প্রয়োগ সম্পর্কে আমরা সকলে ওয়াকিবহাল ।

গৃহীত নতুন উদ্যোগ বা সিদ্ধান্ত কি সেই আইনেরই আধুনিক রুপ ? নাকি , নতুন বোতলে পুরানো মদ ?

কিন্তু প্রশ্ন হ’লো সরকারকে কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হ’লো ? কি এমন ইমেজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে যে ,অর্থের বিনিময়ে 'কলাম লেখক'দের লেখায় তুলে ধরতে হবে সরকারের ইতিবাচক দিক ? এমনিতেই তো মিডিয়া তাদেরই নিয়ন্ত্রণে। রয়েছে চেতনাবাজ বুদ্ধিজীবি। তাছাড়া, সরকার সব সময় বলে থাকে দেশের জনগন তাদের সাথেই রয়েছে । তারপরও কিসের এতো সংকট ? কেনোইবা নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে ?

কথায় বলে অন্যায় করার সময় নিজের ছায়া দেখলেও ভয় পায় ।

গ্রামে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে ‘অন্যের জন্য যে কুয়া খোঁড়ে, সেই কুয়ায় সে নিজেই পড়ে’। সরকার ভেবেছে বিরোধীমতকে এবার সে একটা উচিত শিক্ষা দেবে, কিন্তু এখন সে নিজেই উচিত শিক্ষা লাভ করবে বলে আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে । কারন, প্রবাসে যারা সাংবাদিকতা বা লিখালিখি করেন , তাদের সকলেরই দুই চারজন স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি বা ঘনিষ্ঠতা থাকে। তারা যখন বিষয়টি নিয়ে সেই ঘনিষ্ঠজনদের সাথে আলাপ করবে তখন হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী ।

বাংলাদেশে বিরোধী মতকে দমন করার যে অভিযোগ রয়েছে তা শুধু অভিযোগই নয় প্রমানিত সত্য বলে প্রতিষ্ঠা পাবে। সরকার কর্তৃক চিহ্নিত তথাকথিত দেশ বিরুধী যে ৯ জন রয়েছেন তাদের প্রচার-প্রচারণা কেবল দু-একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ফেসবুক ও ইউটিউব নির্ভর। 'নেতিবাচক প্রচারণা' মোকাবিলায় 'অভিবাসী কূটনীতি' এখন থেকে স্থান করে নিবে বিশ্ব মিডিয়ায়। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি দারুনভাবে ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করি ।

এখন সম্পাদকদের সেলফ সেন্সরশিপ-এর কথা ইতোমধ্যে বিদেশে প্রচারিত হয়ে আছে , এই আইনের ফলে বিশ্ব জানবে যে, এরা দেশে কথা বলতে পারেনি, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিদেশেও তাদের কথা বলতে দিতে চাওয়া হচ্ছে না। আগে শুধু দেশের মানুষই বলাবলি করতো, 'অভিবাসী কূটনীতি'র ফলে তা বিশ্ববাসী অবলোকন করবে।

এছাড়া সরকার যদি মনে করে থাকে যে, আবদার মোতাবেক বিদেশে থেকে যারা (সরকারের ভাষায়) 'নেতিবাচক প্রচার-প্রচারণা' চালাচ্ছেন, তাদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। আর কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই সংশ্লিষ্ট দেশ গুলো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের হাতে তুলে দিবে (!), বিষয়টি কি এতোই সহজ ?

সরকারের সমালোচনা করা যে দেশ দ্রোহিতা নয় তা বিনা ভোটে চেপে বসা সরকার বুঝতে না পারলেও বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কিন্তু ঠিক-ই বুঝেন ।

আর যদি যাচাই বাছাই করতে গিয়ে ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ’ বেড়িয়ে আসে তাহলে বিষয়টি কি সরকারের জন্য স্বস্তির হবে ?

এই সহজ কথাটি কি আমাদের উপর চেপে বসা তথাকথিত নীতিনির্ধারক উপলব্দি বা অনুধাবন করতে পারেন ?

পরিশেষে বলতে চাই , আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বন্ধে সংশ্লিষ্টদের শুভ বুদ্ধির উদয় হউক ।।



প্রবাসী সংবাদকর্মী
rahmanmoni@gmail.com

 

 

ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও দেখুন.....

.

আরও দেখুন.....